উত্তরে বন্যার শঙ্কা, সিলেট সুনামগঞ্জে দুর্ভোগ
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারা দেশেই ঝরছে বৃষ্টি। পার্বত্য অঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোয় বৃষ্টি হচ্ছে বেশি। এর সঙ্গে রয়েছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল। ভারতের চেরাপুঞ্জি এলাকায় অব্যাহত রয়েছে প্রবল বর্ষণ। এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়েছে তিন শতাধিক পর্যটক। ফেনীতে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক। এদিকে আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী ৬ জুলাইয়ের পরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে শুরু করবে। আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় এ রকম টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ: ১৩ দিন যেতে না যেতেই ফের তৃতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান তৃতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি নগরীতেও পানি প্রবেশ করেছে। কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব এলাকায় বাড়িঘর, বাজার, দোকানপাট প্লাবিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, সিলেটের ১৩টি উপজেলায় ৭ লাখ ১১ হাজার ২২৬ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। ৬৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ৮ হাজার ৩০৮ জন। ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ১৮৪টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ। বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ১২৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, নগরের বেশ কিছু এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে নগরের মির্জাজাঙ্গাল, মণিপুরি রাজবাড়ি, তালতলা, জামতলা, কুয়ারপা শিবগঞ্জ, শাহজালাল উপশহর, হাওয়াপাড়া, যতরপুর, মেন্দিবাগ, তোপখানা, মজুমদারি, চৌকিদেখী, দক্ষিণ সুরমাসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা। পানিবন্দি সুনামগঞ্জবাসী: প্রথম দফা বানের জল না শুকাতেই আবার বন্যার কবলে পড়ছেন সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। ভারতের চেরাপুঞ্জি অঞ্চল থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবার বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সব নদনদীর পানি। নতুন করে বন্যার কবলে পড়েছেন জেলার ২৫ লাখ মানুষ। পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর আরপিননগর, সাহেববাড়ি ঘাট, পুরানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দুর্গাপুর সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে আবার তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক এখন পানির নিচে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, সব নদীর পানি আবার বাড়ছে। সড়কে পানি ওঠায় জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন সুনামগঞ্জে যেতে হচ্ছে নৌকায়। সাজেকে আটকা পড়েছেন ৩ শতাধিক পর্যটক রাঙামাটির বাঘাইছড়ির কাচালং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে বাঘাইহাট সড়কের পানি ওঠার কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পর্যটন উপত্যকা সাজেক। ফলে সেখানে বেড়াতে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। সাজেক কটেজ মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, গতকাল সকালে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি-বাঘাইহাট সড়ক তলিয়ে যায়। ফলে সাজেকে ছোট-বড় মিলে ১২৫ গাড়ির পর্যটক আটকা পড়ে। সোমবার যেসব গাড়ি এসেছে, তাদের সবাই সাজেকে অবস্থান করছে। যারা আছেন তাদের কোনো রুম ভাড়া লাগবে না। তারা শুধু পানির খরচ দিলেই হবে। এদিকে নেত্রকোনায় নতুন করে আবারও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার প্রধান নদী উব্ধাখালীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বেড়েছে সোমেশ্বরী, কংস ও ধনু নদীর পানিও। জেলার সবকটি নদীর পানি বাড়ায় কলমাকান্দা উপজেলার নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের পূর্ব ঘনিয়ামোড়া এলাকায় মো. মামুন নামে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার। নিহত মামুন কিসমত ঘনিয়ামোড়া এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। (প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন কালবেলার সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা)
০৩ জুলাই, ২০২৪

কেন্দুয়া-মদন সড়কের বেহালদশা, দুর্ভোগ চরমে
নেত্রকোনার কেন্দুয়া-মদন পাকা সড়কের কেন্দুয়া পৌরশহরের সাউদপাড়া মোড় থেকে জামতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের বেহালদশা। এ রাস্তার জন্য চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।  সড়কটির এক কিলোমিটারজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে ধীরে ধীরে গর্তগুলো আরও বড় আকার ধারণ করছে। গর্তে জমে থাকা ময়লাপানি সাধারণ পথচারীসহ যাত্রী ও যানবাহন চালকদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  রোববার (৩০ জুন) বিকেলে সড়ক ঘুরে পথচারী, যাত্রী ও বিভিন্ন যানবাহন চালকদের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে, পৌরশহরের সাউদপাড়া মোড় এবং কেন্দুয়া সরকারি কলেজ মোড় এলাকার রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক।  এ দুটি মোড়ে পুরো রাস্তা জুড়ে বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এবং এসব গর্তে ময়লা পানি জমে কাদায় সয়লাব হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি মোড় দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ লোকজন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। রাস্তার গর্তে যানবাহনের চাকা আটকে কিংবা উল্টে পড়ে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কেন্দুয়া সরকারি কলেজ মোড় এলাকার ব্যবসায়ী আবু সাদেক তালুকদার বলেন, ভাঙা এ সড়কটির জন্য গত এক দেড় মাস ধরে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করছে। প্রায় সময়ই সড়কের বড় বড় গর্তে গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। শনিবার (২৯ জুন) একটা গাড়ি উল্টে গিয়েছিল। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ সড়কে নিয়মিত অটোরিকশাচালক জিয়াউর রহমান বলেন, রাস্তাটার অবস্থা খুব খারাপ। যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। গর্তে পড়ে গাড়ি হেলেদুলে প্রায় সময়ই উল্টে যায়। আমাদের গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তাটা তাড়াতাড়ি মেরামত করা না হলে আর চলাচল করা যাবে না। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরকার বলেন, সড়কটির অবস্থা খুব খারাপ। পুরো উপজেলায় এরকম আরও কয়েকটি সড়ক রয়েছে। কিন্তু ফান্ডিং স্বল্পতার কারণে সবগুলো রাস্তার সংস্কার কাজ এক সঙ্গে করা সম্ভব নয়।  তিনি বলেন, আমরা সংস্কারযোগ্য সবগুলো সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এরমধ্যে কেন্দুয়া-মদন সড়কটির সংস্কার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খুব তাড়াতাড়ি করা হবে।
০১ জুলাই, ২০২৪

তিস্তার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের
কয়েকদিন ধরে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পাওয়া তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। শনিবার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় তিস্তার পানি আরও কমে ৬০ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এর আগে দুপুর ১২টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৫৫ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের এখনো অনেক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এদিকে পানি কমলেও এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই পরিবারগুলোকে। চলাচলের রাস্তায় কাদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে পানি কমায় ভাঙন দেখা দিয়েছে অনেক এলাকায়।  লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল আনন্দ বাজার ও বাগডোরা এলাকা এবং জেলার আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ পরিবার গত ৫ দিন থেকে পানিবন্দি থাকার পর শনিবার অনেক ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমে যাওয়ায় তলিয়ে যাওয়া চলাচলের কর্দমাক্ত রাস্তাঘাটে চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়ছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। তিস্তার পানি কমায় এ অঞ্চলে ফসলি জমিও ভাঙনের মুখে পড়েছে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকার বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। তবে ডুবে যাওয়া ফসলি জমিতে পানি স্থায়ী না হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।  ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তিস্তার পানি অনেকটা কমতে শুরু করেছে। 
২২ জুন, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় শ্রমিকেদের উপচে পড়া ভিড়, চরম দুর্ভোগ
হঠাৎ করে শ্রমিকে ঠেসে গেছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে শ্রমিক নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে এ ভীড় দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সিএনএর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কাল শুক্রবার (৩১ মে) থেকে বন্ধ হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। ফলে দেশটিতে শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ শ্রমিক আনছে। এতে করে বিমানবন্দরে শ্রমিকদের বিশাল জটলা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিকেরা বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন।  অভিযোগ রয়েছে, বিদেশ থেকে শ্রমিক আনার পর তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে পুনর্বাসন করছে না নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বিমানবন্দরে এখন তিল ধারণের ঠাই নেই।  সামাজিক যোগাযোগমমাধ্যমে বিমানবন্দরের বিভিন্ন ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে শ্রমিকদের শুয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। বিমানবন্দরের এমন দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে দেশটির অভিবাসন বিভাগের পরিচালক জেনারেল দাতুন রুসলিন জসুহ মুখ খুলেছেন।  তিনি বলেন, ৩১ মের পর থেকে মালয়েশিয়ায় আর বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না। ফলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ সময়ে বিপুল সংখ্যক শ্রমিককে নিয়োগ দিয়েছে। সেসব শ্রমিক আসার কারণে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে গেছে।  এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছে। ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।  জেনারেল দাতুন বলেন, মালয়েশিয়ায় সাধারণত প্রতিদিন ৫০০ থেকে এক হাজার বিদেশি শ্রমিক আসেন। তবে গত ২২ মে থেকে এ সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। এরপর ২৭ মে থেকে তা বেড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। আগামীকাল এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।  তিনি জানান, শ্রমিকরা যেনো ভোগান্তিতে না পড়েন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত খাবার আর পানীয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োগকারীদের সহযোগিতদা চান তিনি।   
৩০ মে, ২০২৪

শীতের মধ্যে ঝুম বৃষ্টি বাড়াল দুর্ভোগ
খুলনায় শৈত্যপ্রবাহের পর মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি আসলেও বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এমন পরিস্থিতিতে জবুথবু হয়ে পড়েছে খুলনার জনজীবন। ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) খুলনা বিভাগে দিনের অন্যান্য সময়েও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।   ভোর ৪টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও কিছুক্ষণ পরই আবার শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। গত কয়েক দিনে খুলনায় সূর্যের দেখা মেলেনি, ঘনকুয়াশায় ঢেকে ছিল খুলনার আকাশ, সেই সঙ্গে ছিল উত্তরের হিমেল হাওয়ায় মৃদ্য শৈত্যপ্রবাহ। খুলনা আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমি লঘুচাপের কারণে খুলনায় সকাল ৯টার পর হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টি কয়েক ঘণ্টা থাকতে পারে। নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার ইজিবাইকচালক কামাল বলেন বলেন, গত কয়েক দিন শীতের জন্য রাস্তায় লোক অনেক কম ছিল। কিন্তু আজকের এই বৃষ্টিতে লো নেই বললেই চলে।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

ছিথিপত্র / দুর্গন্ধ ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায় লাখো মানুষ
লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বর্ডার বাজার এলাকা ময়লার নগরীতে পরিণত হয়েছে। দুই জেলার সীমান্তবর্তী স্থানে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে খোদ রায়পুর পৌরসভা। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তিতে। অথচ পৌরসভা হয়েও সেটি পারছে না রায়পুর পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা পোহাচ্ছেন সীমাহীন দুর্ভোগ। দুর্গন্ধ এমন যে, পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে মনে হয় পাবলিক টয়লেট। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলে এলেও পৌরসভা ও বাজার কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে নেয়নি চোখে পড়ার মতো কোনো উদ্যোগ। আবর্জনার কারণে ডাকাতিয়া নদীর সঙ্গে সংযুক্ত চরপাতা ইউপির খালের পানি প্রবাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষাক্ত পানি আটকে গিয়ে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। শুষ্ক মৌসুমে দুর্গন্ধ প্রকট হয়ে ওঠে। আঞ্চলিক এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াত করে। এ ছাড়া স্থানীয় গ্রামবাসী অভিযোগ দিলেও আবর্জনার ভাগাড় নিয়ে কোনো ধরনের কর্ণপাত করে না কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। জিহাদ হোসেন রাহাত, শিক্ষার্থী, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

ভারী বৃষ্টিতে গাজাবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়ল
ইসরায়েলের টানা হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি হামলা থেকে গাজার মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল—কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি। হামলা থেকে বাঁচতে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ লাখ মানুষ আজ ঘরবাড়ি ছাড়া। তাদের মধ্যে অনেকে সড়কে বা পার্কে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারী বৃষ্টি তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত শরণার্থী শিবিরগুলো বন্যা ও নর্দমায় পরিপূর্ণ। এরই মধ্যে আবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা আরও বেড়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবির থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা আনাস আল-শরিফ বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ ও অবরোধের মাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে নাগরিকদের সামনে নতুন আরেক সমস্যা এসে হাজির হয়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে নগর কর্তৃপক্ষ আর কাজ করতে পারছে না। কারণে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের যানবাহন ধ্বংস করে দিয়েছে। এক ফিলিস্তিনি বলেছেন, আমরা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এখানে নতুন আরেক যুদ্ধের মুখে পড়েছি। পয়ঃনিষ্কাশনের পানি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে সেগুলো প্লাবিত করছে। আমাদের শিশুরা রোগ ভুগছে। আর আমরা অসুস্থতায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বেঁচে আছি। হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ২২ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৭ হাজার ৯১০ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে বর্তমানে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। সেখানে অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোটারদের দুর্ভোগ লাঘবে নসরুল হামিদের ‘স্মার্ট’ সংযোজন
বিগত দিনে নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের দিন ভোটারদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠতে দেখা যেত ভোটার নম্বর সংগ্রহের বিড়ম্বনা। সেই বিড়ম্বনা দূর করতে ঢাকা-৩ আসনে নিজ এলাকার ভোটারদের জন্য এক অ্যাপে সমাধান নিয়ে এসেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নসরুল হামিদ।  এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভোটারদের ফোনে ফোনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে নসরুল হামিদের ভয়েজ মেসেজ। যেখানে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি মুঠোফোনে শেষ মুহূর্তে ভোট চাইছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম ই মামুন বলেন, আমরা ভোটার ইনফো-স্মার্ট ভোটার ইনফো বিডি নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছি। এক্সপার্ট এখানে আমাদের সহযোগিতা করেছে। এ অ্যাপ প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে যে কেউ সহজে তাদের ভোটার নম্বর, কেন্দ্রসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবে। এজন্য তাদের জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, এলাকা সিলেক্ট করতে হবে। এ ছাড়া ভোটারদের ফোনে ভয়েজ মেসেজের মাধ্যমে ভোট চাওয়া হচ্ছে। ভোটার ইনফো- স্মার্ট ভোটার ইনফো বিডির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন যেমন প্লেস্টোরে রয়েছে ঠিক তেমনই আইফোন ইউজারদের জন্য আইওএস ভার্সনটি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে৷ এ ছাড়া ওয়েব ফর্মেটেও এটি ব্যবহারের সুযোগ আছে।  ঢাকা-৩ নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নসরুল হামিদের তরুণ কর্মী বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাপটি ব্যবহার করে ভোটারদের ভোটার নম্বর পজ মেশিনের সাহায্যে প্রিন্ট করে দিচ্ছেন। সেখানে ভোটার নম্বর, কেন্দ্র, কত নম্বর বুথে ভোট প্রদান করতে হবে এমন প্রয়োজনীয় তথ্য থাকছে।  এ ছাড়া যে কোনো ভোটার তাদের মোবাইলে অ্যাপটি ইনিস্ট্রল করে সহজেই নিজের তথ্য সংগ্রহ করতে পারছেন। এজন্য তার নির্দিষ্ট এলাকার তথ্য শুরুতে ডাউনলোড করে নিতে হয়। তথ্য ডাউনলোড থাকলে অ্যাপটি অফলাইনেও কার্যকর। ৭ জানুয়ারি এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৩ আসনের ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এই আসনে ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের দিন অ্যাপটি ব্যবহার করে ভোটারটা নসরুল হামিদের টেন্ড থেকে তাদের নম্বর সংগ্রহ করতে পারবেন।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

এক নির্দেশে দুর্ভোগ ৩০ হাজার মানুষের
বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধকে কেন্দ্র করে দুর্ভোগে পড়েছেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনসংলগ্ন কয়েক এলাকার প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হঠাৎ ফুটওভার ব্রিজে চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সরকারি সিটি কলেজ, কলেজিয়েট স্কুল, রেলওয়ে স্টেশন কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়, সিটি গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়সহ আশপাশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকে বিএনপি-জামায়াতের টানা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এসব ফুটওভার ব্রিজে তালা ঝুলিয়ে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের এক সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন স্টেশনসংলগ্ন এলাকার ৩০ হাজার বাসিন্দা। বিপাকে পড়েছেন সবজি ও ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় বাজার রিয়াজউদ্দিন বাজার, নিউমার্কেটের ব্যবাসায়ীরাও। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে স্টেশনসংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা পারাপার হতেন। এ পথে স্থানীয়রা লাশ নিয়ে চৈতন্যগলি কবরস্থানে যান। এ ছাড়া স্টেশনে কর্মরত রানিং স্টাফ, গার্ড, ট্রেনচালক, সহকারী চালক, পয়েন্টস ম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেন এবং পুরোনো রেলস্টেশনের প্রবেশ পথ দিয়ে যাত্রীরাও এসব ফুটওভার ব্রিজগুলোতে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল জুমায় আশপাশের মসজিদের যাওয়ার পথে দুর্ভোগে পড়েন মুসল্লিরা। এ সময় অনেক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে ঘটনার মীমাংসা হয়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে রেলওয়ের একজন চালক দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘পাশেই স্টেশন কলোনিতে রেলওয়ের স্টাফরা থাকেন। গভীর রাত কিংবা ভোরেও অনেকের ডিউটি থাকে। আগে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে স্টেশনে যেতাম; কিন্তু কয়েক দিন ধরে ফুটওভার ব্রিজ বন্ধ থাকায় নিউমার্কেট হয়ে স্টেশনে যাচ্ছি। তাই দুর্ভোগে পড়েছি।’ সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল আলশ সাজ্জি দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজগুলো ব্যবহার করে আমরা অভ্যস্ত। এ পথে সহজেই লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করা যায়। বিশেষ করে শুক্রবার জুমার সময়ে অনেকেই চৈতন্যগলি কবরস্থানে কবর জেয়ারতে আসেন, মসজিদে যান; কিন্তু সম্প্রতি এগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই এভাবে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে যেন স্টেশনের অবকাঠামো ত্রুটিগুলো সারানো হয়।’ এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) চিফ ইন্সপেক্টর আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফুটওভার ব্রিজগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে সাময়িক অসুবিধা হলেও বৃহত্তর স্বার্থে করতে হয়েছে। অবরোধসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে কেউ যেন নাশকতা চালাতে না পারে, তাই এগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।’
০৪ নভেম্বর, ২০২৩

১৩ কিলোমিটার বেহাল সড়কে দুর্ভোগ
ঝিনাইদহ শৈলকুপার একটি সড়কের ১৩ কিলোমিটার অংশে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার গাড়াগঞ্জ থেকে ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর ভায়া কবিরপুর-ফাদিলপুর সড়কের অনেক স্থান ভেঙে গেছে। বেশ কিছু স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, শৈলকুপা শহরের পশ্চিম পাশের প্রায় ১৫টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ ঝিনাইদহে যাওয়ার জন্য সড়কটি ব্যবহার করেন। তাদের কেউ গাড়াগঞ্জ, আবার কেউ আবাইপুর হয়ে হাটগোপালপুরে যান। এই একটি সড়কই তাদের ভরসা। সরেজমিন দেখা যায়, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গাড়াগঞ্জ থেকে একটি সড়ক শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর বাজার হয়ে রয়েড়া, এমপি মোড়, ফাদিলপুর, আবাইপুর, ফটিকতলা হয়ে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের হাটগোপালপুর গিয়ে মিলেছে। এই সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সব ধরনের ছোট যানবাহন চলাচল করছে। ব্যাটারিচালিত ভ্যানে যাত্রী আনা-নেওয়া করা হয় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। এই সড়কের কবিরপুর থেকে আবাইপুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কের বেশিরভাগ স্থানে পিচঢালাই উঠে গেছে। দেখলে মনে হয়, এটা একটি ইটের রাস্তা। সড়কটির অনেক স্থান ভাঙাচোরা। বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে থাকে। এই সময় এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় কয়েকজন জানান, ২০০৪ সালে সড়কটি এক দফা সংস্কার হয়েছিল। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। গত অর্থবছরে কিছু কিছু জায়গা সংস্কার করা হয়েছিল, বাকি জায়গার গর্তগুলো রয়ে গেছে। সংস্কার করা স্থানগুলোও ভাঙতে শুরু করেছে। স্থানীয় ইজিবাইকচালক তানভির আহম্মদ বলেন, আমরা এখানে বসে অনেক উন্নয়নের গল্প শুনি। কিন্তু আমাদের শৈলকুপায় কোনো উন্নয়ন দেখি না। আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়কটি বছরের পর বছর ভাঙাচোরা পড়ে আছে। কিন্তু সংস্কার হয়নি। হাটফাদিলপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, আবাইপুর, বগুড়া ও নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের মানুষ এই বাজারে আসেন। সপ্তাহে দুই দিন এখানে বাজার বসে। প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু সড়কটি খারাপ হওয়ায় তাদের বাজারে আসতে সমস্যা হয়। তিনি আরও বলেন, এ সড়ক তিনটি বড় বাজারসহ বেশ কয়েকটি ছোট বাজারের মধ্যে দিয়ে চলে গেছে। এ সড়ক দিয়ে বাজারগুলোর ব্যবসায়ীরা ট্রাকসহ বিভিন্ন যানে পণ্য আনা-নেওয়া করেন। শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, সড়কটির একাধিক স্থান সংস্কার করা হয়েছে। গত অর্থবছরে চার কিলোমিটার সংস্কার করা হয়। এবার বাকি ৯ কিলোমিটারের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে ঢাকায় এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩
X