বেনজীর লিখিত জবাব দিয়েছেন, পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা : দুদক সচিব
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে লিখিত জবাব দিয়েছেন, এটি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।  রোববার (২৩ জুন) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।  দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদ আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এবারের চিঠিতে নতুন করে সময়ের আবেদন করেননি। লিখিত বক্তব্যে তার অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, সময় দেওয়া বিবেচ্য বিষয় নয়, মামলার বিষয়ে তদন্তকারী টিমের সুপারিশ পর্যালোচনা করবে দুদক। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ যে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে দুদক। এ ছাড়া, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, আগামীকাল সোমবার (২৪ জুন) বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও দুই কন্যার দুদকে হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে। তারাও দ্বিতীয় দফায় সময় বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিল। প্রসঙ্গত, দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত তিন দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 
২৩ জুন, ২০২৪

দুদক সচিব হলেন খোরশেদা শ্রমে নতুন সচিব
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মাহবুব হোসেনকে বদলি করা হয়েছে। তার স্থানে নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খোরশেদা ইয়াসমীন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ অতিরিক্ত সচিবকে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে দুদকে পদায়ন করা হয়। তিনিই দুদকের প্রথম নারী সচিব। দুদক সচিবকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে ন্যস্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে চুক্তিতে সচিবের দায়িত্ব চালিয়ে আসা এহছানে এলাহীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর চুক্তিতে সচিব হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এদিকে খোরশেদাকে দুদক সচিব করায় দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অর্থপাচারে জড়িত ৭ ব্যাংকের কর্মকর্তারা : দুদক সচিব
অর্থপাচারের সঙ্গে ৭ ব্যাংক ও দুই মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের বিমানবন্দর শাখার অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এবং মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দুদকের নজরদারিতে রয়েছে বলেও জানান দুদক সচিব। তিনি বলেন, অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলো হলো- জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক এবং এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জার ও ইমপেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জার। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দুদক সচিব বলেন, প্রবাসী ওয়েজ আর্নার্স ও বিমানের যাত্রীরা হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে রেমিট্যান্স নগদ ও বৈদেশিক মুদ্রায় নিয়ে আসেন তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু অসাধু কর্মকর্তারা ব্যাংকের টাকা ব্যবহার করে তা ব্যাংকিং চ্যানেলে সংগৃহীত না দেখিয়ে নিজেরাই ক্রয় করে মার্কেটে বিক্রি করে দেন। যা পরে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।  তিনি বলেন, গতকাল সোমবার দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার সময় বিদেশি মুদ্রার কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারদের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পায় দুদক। মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ভ্রমণকারীরা বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা তাদের সঙ্গে থাকা বিদেশি মুদ্রা বিমানবন্দরের ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে দেশীয় মুদ্রা বাংলাদেশি টাকায় এনকেশমেন্ট করেন। নিয়ম অনুযায়ী ফরেন কারেন্সি এনকেশমেন্ট ভাউচার এনকেশমেন্টকারীকে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জাররা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচারে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করে বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেন। এ ছাড়াও তারা স্বাক্ষরবিহীন ভুয়া ভাউচার দেন। এই বিদেশি মুদ্রা ক্রয়কারী ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত একাউন্টে অন্তর্ভুক্ত করেন না। ফলে বিদেশি মুদ্রার কেন্দ্রীয় রিজার্ভে এসব বিদেশি মুদ্রা যুক্ত হয় না। যার কারণে বাংলাদেশ বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি বা সংকটের সৃষ্টি হয়। এভাবে দিনে অন্তত শত কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে ব্যাংকিং খাত বঞ্চিত হচ্ছে। যা পরে পাচার হয়ে যায়।  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব বলেন, এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত সেটি যাচাইবাছাই চলছে। যাচাইবাছাই শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X