Thu, 04 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
এমপি আনার হত্যা, যেভাবে পালিয়ে যান ফয়সাল
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে উন্নয়ন ইস্যু প্রাধান্য পাবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ ঘণ্টা আগে
দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার : নিতাই রায়
৫ ঘণ্টা আগে
পরিবেশ দিবসের পুরস্কার বিতরণ করলেন মন্ত্রী
৫ ঘণ্টা আগে
সরকারের ষড়যন্ত্র সফল হবে না : গয়েশ্বর
৫ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৪ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
কারাগারে দুগ্রুপের সংঘর্ষ
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুগ্রুপের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন হাজতিসহ দুজন কারারক্ষী আহত হয়েছেন। আহতরা কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার নিউ জেল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুরোনো কোন্দলের জেরে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার পর কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। জানা গেছে, সকাল থেকেই হাজতিদের সঙ্গে দেখা করতে স্বজনরা যশোরে কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ কারাগারের হুইসেল বেজে ওঠে। হাজতিদের দেখতে আসা দর্শনার্থীদের দ্রুত কারাগার এলাকা থেকে বাইরে যেতে বলা হয়। সূত্র জানিয়েছে, কারা অভ্যন্তরে নিউ জেল এলাকার সামনে সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সম্রাটের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। দুগ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। পরে হুইসেল বাজিয়ে কারারক্ষীরা ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দুই কারারক্ষী আহত হন। আহতদের কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় জড়িত সাত-আটজনকে চিহ্নিত করেছেন। কয়েকজনকে পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে। অন্যদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দুই কারারক্ষী ও ৫/৬ জন হাজতিকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ রয়েছেন। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, ঘটনাটি সামান্য। তবে, আকস্মিকভাবে তাদের একজন কারারক্ষী অ্যালার্ট হুইসেল বাজিয়ে ফেলেন। এতে করে বিষয়টি বড় আকারে রূপ নেয়। তিনি বলেন, মূলত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে শহরের দাগি কয়েকজন সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাইপো রাকিব অন্যতম। এদের দুটি গ্রুপের সদস্যদের বাইরেও কোন্দল ছিল। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও বলেন, কারারক্ষীদের ওপর হামলা চালানো হয়নি। তারা তাড়াহুড়ো করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪
বাকৃবিতে হলের সীমানা নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রী হলের সীমানা দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় ধরে চলে ওই সংঘর্ষ। একপর্যায়ে বিভিন্ন হল থেকে স্টাম্প, ব্যাট, সাইকেলের চেন, লাঠি এবং দেশি অস্ত্র হাতে ঘটনাস্থলে জড়ো হতে দেখা যায় তাদের। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের ভেতরে মারামারির সূত্রপাত। পরে তা হলের সামনে বড় আকার ধারণ করে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনিক ভবনের সামনে এবং পরে আব্দুল জব্বার মোড়ে সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে। এ ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন। বাকৃবি হেলথ কেয়ারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সাদিকুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহত একজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। আরেকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। শেখ রোজী জামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী। বেশ কিছুদিন ধরেই দুই হলের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ভেতরে ভেতরে ঝামেলা চলছিল। মঙ্গলবার সীমানা নিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে হলের প্রভোস্টরা ওই হলের ছাত্রী নেতারা এবং ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ একটি আলোচনা সভা হয়। এর মধ্যেই হলের সীমানায় ইফতারের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে ওই দুই হলের নেতাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যেও বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। একপর্যায়ে ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের এক নেতা সভাপতি গ্রুপের একজনকে ছাত্রী হলের ভেতরেই মারধর করে। পরে তাদের হলের বাইরে বের করে আনা হয়। এ সময় উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। পরে হল থেকে ছাত্ররা এসে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের আরেকজনকে ধরে মারধর করে। তখন দুই গ্রুপেরই বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রোকেয়া হলের সামনে ভিড় জমায়। পরে দুই গ্রুপের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সর্বাত্মক চেষ্টা করতে থাকে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে রোকেয়া হলের সামনে থেকে দুই গ্রুপের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে আবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরে সভাপতির গ্রুপের সদস্যরা আব্দুল জব্বার মোড়ে অবস্থান নেয় এবং একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। এই পর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা চলে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেয়। ইফতারের আগ পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় চলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। তবে ইফতারের পরে আর কোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের মতো পরিবেশ তখনো ছিল না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীদের দুই হলের সীমানা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। এর মধ্যে ছাত্রলীগের কয়েকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আমরা হলের ভেতর থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সব হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। আমরা কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো একা আইন তৈরি করি না। এ মুহূর্তে তদন্ত কমিটি হবে কি না বলতে পারছি না। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, একটি হল যখন তৈরি করা হয় তখন তার নির্দিষ্ট নকশা থাকে। না থাকলেও সেটি নির্ধারণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ায় সেটি আমরা সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান বলেন, নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি প্রক্টর এবং ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে নিয়মানুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২ মার্চ, ২০২৪
শেখ হাসিনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছাত্রদের দুগ্রুপের সংঘর্ষ
জামালপুরে শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুগ্রুপের দুজনের মাথা ফেটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার পর কলেজের ছাত্র হলে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা জানায়, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে জামালপুর এবং আশপাশের জেলার ছাত্ররা মিলে স্থানীয় গ্রুপ এবং বাইরের অন্যান্য জেলার ছাত্ররা অপর একটা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন শামীম, অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন ফারদিন। গতকাল রাতে ফারদিন গ্রুপের এক ছাত্রের রুমে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তবে গ্রুপের বিষয়টি দুজনের কেউ-ই স্বীকার করতে না চাইলেও আহত শাকিল বলেন, স্থানীয় ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে বাইরে থেকে আসা ছাত্রদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে। সব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে তারা চাপ তৈরি করে। শাকিল আরও বলেন, আমি হল ম্যানেজমেন্টের কমিটিতে আছি। স্থানীয় গ্রুপ আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তুচ্ছ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। অপর আহত ছাত্র শাকিব বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো ইস্যু নয়। কলেজের অভ্যন্তরীণ একটা বিষয় নিয়ে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে। তার মাথায় কে বা কারা আঘাত করেছে তা তিনি বলতে পারেন না। গ্রুপের বিষয়ে তিনি বলেন, গ্রুপ নেই, তবে প্রতিযোগিতা আছে। শামীম এবং ফারদিনের মধ্যে একটা রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা আছে। স্থানীয় গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা শামীম জানান, তেমন কিছু ঘটেনি। নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। দুজন ছাত্রের মাথা ফেটে যাওয়ার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সব জানানো হবে। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা ফারদিন জানান, আমরা সবাই ব্যাচমেট এবং বন্ধু। কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা চলার সময় নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। জানা গেছে, শামীম এবং ফারদিন দুজনই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক প্রার্থী। হলে মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে হল সুপার ইঞ্জিনিয়ার জুয়েল সরকার বলেন, প্রিন্সিপাল স্যারের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে বলা যাবে কী ঘটেছে। কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বজিৎ দাস বলেন, অভ্যন্তরীণ ঘটনায় ছাত্রদের মাঝে মারামারির ঘটনাটি শুনেছি। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় হল সুপারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলে পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
চবিতে জুনিয়রকে শাসানোর জেরে দুগ্রুপের সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের দুটি দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে জড়ানো এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইনের অনুসারী এবং আরেকাংশের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসাইনের অনুসারী। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, জুনিয়রকে শাসনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজয়ের একাংশের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এবং আরেকাংশের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে খেলার মাঠে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাপাল্টির ঘটনা ঘটে। দুপক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আইইআর বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মামুনকে দা দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। এ সময় মামুন পালিয়ে তার কবি আলাওল হলে চলে যায়। এরপর ইলিয়াসের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে শহীদুলকে ধাওয়া দেওয়ার জন্য আসে। এ সময় ভুল-বুঝাবুঝিতে সোহরাওয়ার্দী হল সাখাওয়াত গ্রুপের (মকু বিজয়) অনুসারীদের মুখোমুখি হয় তারা। বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এক জুনিয়রকে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে কয়েকজন ছেলে বের হয়ে মারধর করে। বর্তমানে তার অবস্থা খারাপ। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে। বিজয় গ্রুপের আরেকাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন জানান, আজকের এই ঘটনার জন্য আমার বা আমার জুনিয়রদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এটা সম্পূর্ণই তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। তারা অতর্কিতভাবে আমাদের হলে আক্রমণ চালায়। এতে করে আমার একজন জুনিয়র আহত হয়েছে। আমি তাদের বলেছি আমার কোনো জুনিয়র যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাকে আমি আইনের হাতে তুলে দেব। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইলিয়াসের অনুসারীরা তার (শহীদ) দুটি দোকান ভাঙচুর করেছে। শহীদুল জানান, ইলিয়াস কিছুদিন আগেও জুনিয়র দিয়ে আমাদের সঙ্গে বেয়াদবি করিয়েছে, যারা আমাদের থেকেই রাজনীতি শিখেছে। আজকে তাদের কে আমরা একটু শাসন করেছি। এই শাসন করাতেই আজকের এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এরপরে তারা হল থেকে সবাইকে নিয়ে এসে আমার দোকানে ভাঙচুর ও ক্যাশ থেকে টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এমনকি আমার স্টাফদের গায়েও হাত তুলেছে। হোটেলের ১০-১৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগী মামুনকে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, মারামারির খবর পেয়েই আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে হাজির হই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আমরা এখন পর্যন্ত একজনের মাথায় আঘাতসহ দুজনের আহতের খবর পেয়েছি। এখন পরিবেশ শান্ত আছে। উভয়পক্ষই নিজ নিজ হলে অবস্থান করছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
এমপিকে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকুকে ফুল দিয়ে বরণ করাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রিয়াজ ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দলীয় নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বসুরহাট বাজারে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভেতর ঘটনার সূত্রপাত হয়। ওই ঘটনার পর বাজার এলাকায় চারটি ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সদর চরশাহী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় আহতরা হলেন, আওয়ামী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনির, চরশাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. রুবেল, দিঘলি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইস্রাফিল। এরা বাবুল আনসারীর অনুসারী। যুবলীগ নেতা রিয়াজের তিন অনুসারী আহত হয়েছে। তাদের নামপরিচয় জানা যায়নি। জানা গেছে, চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গোলাম ফারুক পিংকুকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এসময় ফুল দিয়ে বরণ করাকে কেন্দ্র করে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারীর লোকজনের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। দুই গ্রুপের লোকজন সংসদ সদস্য পিংকুর সামনে হাতাহাতি করে। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সংক্ষেপে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়। পরে দুই গ্রুপের লোকজন বসুরহাট বাজার এলাকায় গিয়ে দফায় দফায় হাতাহাতির মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। লাঠিসোঁটা নিয়ে একপক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দেয়। এতে দুপক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রিয়াজ বলেন, বিকেলে এমপির হাতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে কি হয়েছে আমি জানি না। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়েছে। তিনজন আহত হয়েছেন। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, এমপিকে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
চবিতে ফের ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দিনের ব্যবধানে ফের সংঘর্ষে জড়াল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষ নিজ নিজ হলে অবস্থান করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্রলীগের সমাবেশ থেকে ফেরার পর ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়েছে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৮ জনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশ থেকে ফেরার পথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সভাপতি সেলিনা আক্তার ও তার অনুসারীদের সাথে সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমনের অনুসারীদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। সভাপতির উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা হামলা করেছে অভিযোগ করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুন বলেন, ‘সভাপতির অনুসারীদের হামলায় আমার ৮ জন অনুসারী আহত হয়েছে।’ অন্যদিকে, সভাপতি সেলিনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় রুমে ছিলাম। চিৎকার-চেচামেচি শুনে বাইরে আসি। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে দেই। তখন সাধারণ সম্পাদক সেখানে ছিলেন না।’ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাত্রলীগের কর্মসূচি থেকে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ফিরলে গেটে আগে-পরে প্রবেশ নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে এক পর্যায়ে সেলিনা সেখানে উপস্থিত হন। সে সময় সাইমুন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। উল্লেখ্য, সভাপতি সেলিনা হোসেন সরকারি বদরুন্নেসা কলেজের পুরাতন হলে থাকেন এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমন কলেজের নতুন হলে থাকেন।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
আরও
X