Sat, 06 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
এসিআইয়ে অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি, আছে বিদেশ ভ্রমণের সুবিধা
৩ মিনিট আগে
ছাত্রলীগের বাধা উপেক্ষা করে ঢাবিতে কোটাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু
৩৭ মিনিট আগে
বাবাকে খুঁজে পেতে নড়াইলের তরুণী পাবনায়
৪২ মিনিট আগে
আকর্ষণীয় বেতনে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নেবে সিপিডি
১ ঘণ্টা আগে
তীব্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৬ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতি নির্মূলের আহ্বান
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতি নির্মূলের আহ্বান জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’, আলোচনা সভা এবং ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক’ প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’ শীর্ষক ‘জাহানারা ইমাম স্মারক বক্তৃতা’ প্রদান করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তার বক্তৃতার বিষয় : ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন এবং ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার’। দাপ্তরিক প্রয়োজনের তাগিদে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার অধস্তন আদালতসমূহ পরিদর্শনের কার্যক্রম গ্রহণ করায় তিনি শারীরিকভাবে উপস্থিত হতে পারেননি। তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্মূল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। উক্ত অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, বিশ্ব শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, এলকপ-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এম সাঈদ আহমেদ রাজা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদসন্তান নাট্যজন আসিফ মুনীর। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক’ প্রদান করা হয়েছে। এ বছর ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশের মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাগরিক আন্দোলনের নেতা বিশ্ব শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম এবং সংগঠন হিসেবে ‘এম্পাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ)’-কে জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক প্রদান করা হয়েছে। সকাল ৮টায় মিরপুরে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ।
২৬ জুন, ২০২৪
বিপুল পরিমাণ পাসপোর্টের স্লিপসহ ৫ দালাল আটক
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্টের স্লিপসহ পাঁচ দালালকে আটক করেছে র্যাব। রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার দুপুরে উপজেলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নোয়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটক পাঁচজন হলেন- দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ এলাকার মো. ফজল, একই এলাকার মো. ওমর ফারুক, কুমিল্লা নগরীর আড়াইউড়া এলাকার মো. আলমগীর হোসেন, ছোটরা এলাকার মো. জনি ও রাজাপুর এলাকার ফয়সাল আহমেদ। র্যাব কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীরা লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের সূত্র ধরে রোববার দুপুরে নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। তিনি বলেন, এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯৭টি ডেলিভারি স্লিপ, ১০টি পাসপোর্ট চালান ও তিনটি মোবাইলসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
২৪ জুন, ২০২৪
আবদুর রশীদের মৃত্যুতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শোক
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা ও ইন্সটিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ (অবঃ)-এর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। শুক্রবার (১৪ জুন) ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ এক শোক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা এবং ইন্সটিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ (অব.)-এর মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। জেনারেল রশীদের অকাল মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে এক কৃতি সন্তানকে। আমরা হারিয়েছি মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলনের এক অকুতোভয় সহযোদ্ধাকে। তার পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়েছে সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি শুক্রবার ভোরে ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি ক্যানসার ও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আবদুর রশীদ ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন এবং বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সামরিক বাহিনীর চৌকষ কর্মকর্তা জেনারেল রশীদ চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর নিজেকে যুক্ত করেছেন নাগরিক আন্দোলনে। বাংলাদেশে জঙ্গি মৌলবাদের উত্থান, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবলয়ের সঙ্গে এর সম্পৃক্তি, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার সংকট ইত্যাদি বিষয়ে তিনি বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকীতে নিয়মিত লিখেছেন যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারকে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। বিভিন্ন সময়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জাতীয় সম্মেলন এবং বহির্বিশ্বে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তার তথ্যবহুল বিশ্লেষণী ভাষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে শুধু বাংলাদেশে নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহেও তিনি সুপরিচিত ছিলেন।’
১৪ জুন, ২০২৪
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শ্যামলী নাসরিন, সম্পাদক আসিফ মুনীর
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। নির্বাহী সভাপতি হয়েছেন কাজী মুকুল এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির বিদায়ী সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে সভাপতি ঘোষণা করে ৫৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কমিটি দুটির নাম ঘোষণা করেন শাহরিয়ার কবির ও কাজী মুকুল। গত ১৮ মে সংগঠনের অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে নবনির্বাচিত ৯১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং ৫৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পৃথক আইন প্রণয়নের পাশাপাশি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ফেসবুকসহ অনলাইনে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
২২ মে, ২০২৪
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নতুন কমিটির আত্মপ্রকাশ
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় অবিলম্বে পৃথক আইন প্রণয়নের পাশাপাশি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (২১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। গেল ১৮ মে সংগঠনের অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে নবনির্বাচিত ৯১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং ৫৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির সদস্যদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি হন শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি হন কাজী মুকুল। এ ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক হন শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়। অন্যদিকে কার্যনির্বাহী কমিটির বিদায়ী সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে সভাপতি ঘোষণা করে ৫৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দুটি কমিটির নাম ঘোষণা করেন শাহরিয়ার কবির ও কাজী মুকুল।
২১ মে, ২০২৪
জমির দালাল থেকে ‘দুদক কর্মকর্তা’
একসময় লোকাল বাসের সুপারভাইজার ছিলেন হাবিবুর রহমান। লিভারে সমস্যার কারণে সেই কাজ ছেড়ে নামেন জমির দালালিতে। একপর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা গৌতম ভট্টাচার্যের সঙ্গে পরিচয় হয়। গৌতম তাকে টাকা আছে—এমন লোকের নাম-ঠিকানা সংগ্রহের কাজ দেন। অর্থশালী লোকের নাম-ঠিকানা জোগাড় করার পর হাবিবুরকে সাজানো হতো দুদকের সহকারী পরিচালক। এরপর দুদকের ভুয়া অভিযোগপত্র নিয়ে তিনি হাজির হতেন টার্গেট করা ব্যক্তির কাছে। দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা এক মামলার চার্জশিটে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরের ২৩ জুন মো. আশিকুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তারের পর ২৪ জুন আদালত দুদক মহাপরিচালকের পিএ গৌতম ভট্টাচার্যসহ চারজনকে তিন দিনের রিমান্ড দেন। পরে তারা জামিনে কারামুক্ত হন। সম্প্রতি এ মামলার তদন্ত শেষে ডিএমপির গোয়েন্দা (লালবাগ) বিভাগের উপপরিদর্শক রুহুল আমিন চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন দুদকের ভুয়া সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান, পরিতোষ মণ্ডল ও চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল মো. এসকেন আলী খান। চার্জশিটে বলা হয়েছে, সাভারে জমি বিক্রির একটি কাজে এসে পরিতোষের সঙ্গে হাবিবুরের পরিচয় হয়। তিনি জমির দালালি করেন। এরপর পরিতোষ তাকে গৌতম ভট্টাচার্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। গৌতম তাদের অর্থশালী লোকদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহের কাজে লাগান। এর কিছুদিন পর শ্বশুরবাড়ির দুঃসম্পর্কের আত্মীয় এসকেন আলীর সঙ্গে কথা হয় হাবিবুরের। এসকেন তাকে তার পরিচিত ব্যবসায়ী আশিকুজ্জামানের খোঁজ দেন। এরপর হাবিবুর তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে দুদকের গৌতমকে দেন। পরে আশিকুজ্জামানের নামে একটি চিঠি বানান গৌতম এবং তা দুদকের খামে ভরে হাবিবুরকে দেন। হাবিুবর সেটি নিয়ে ব্যবসায়ীর বাসায় গিয়ে অবৈধ টাকা অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখান। পরে গত বছরের ২৩ জুন গৌতম তাকে মতিঝিলের হীরাঝিল হোটেলে ডাকেন। সেখানে আশিকুজ্জামানের সঙ্গে ১ কোটি টাকার চুক্তি হয়। ওইদিন ২০ লাখ টাকা দিতে রাজি হন তিনি। তখন গৌতম তাকে মিষ্টির প্যাকেটে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। দুপুরে আশিকুজ্জামান মিষ্টির প্যাকেটে টাকা নিয়ে হোটেলে আসেন। এ সময় ডিবি পুলিশ এসে তাদের হাতেনাতে আটক করে। বিকেলে পরিতোষ ও এসকেন টাকার ভাগ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এলে তাদেরও আটক করে পুলিশ। আদালতের মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, গত ২১ মার্চ আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় নথি সিএমএম বরাবর পাঠানো হয়েছে। মামলার বাদী আশিকুজ্জামান বলেন, আসামিরা আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। তারা যাতে আর কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে ভোগান্তিতে ফেলতে না পারে, সেজন্য তাদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।
১৯ মে, ২০২৪
‘বিএনপি পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করত’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করত। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যখন বিএনপি সরকার বাংলাদেশ শাসন করেছে তখন তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আল-বদর নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে এদেশের জনগণকে শোষণ করত, শাসন করত এবং অত্যাচার করত। আর এখনের চিত্র হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়নের বিষয়টা মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। এজন্য তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের (১৭ মে) এই দিনে স্বদেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। ওইদিন লাখো মানুষ তাকে স্বাগত জানান, ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষের সেই স্বপ্ন শেখ হাসিনা পূরণ করেছেন। এজন্য ১৭মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে। পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সামদানি ফেরদৌস, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন বাবুল, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর প্রভাতী ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন।
১৭ মে, ২০২৪
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে সম্পৃক্ত ছিলেন জাহানারা ইমাম : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের লেখা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে যখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন হয়। স্বৈরাচারী সরকার, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের যে আস্ফালন চলছিল সেই সময়ে যারা এ দেশের সাহসী সন্তান, বলতে গেলে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম তাদের মধ্যে একজন। শনিবার (৪ মে) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরেবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে জাহানারা ইমাম স্মৃতি স্মারক হস্তান্তর প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে নির্মূল কমিটির মাধ্যমে প্রতি জেলায় আন্দোলন হয়েছে। সে সময়ে আমার মফস্বল এলাকায়ও এই নির্মূল কমিটির মাধ্যমে আমরা গণআন্দোলনের মতো জনমত গড়ে তুলেছিলাম। সেই যুদ্ধাপরাধীদের জন্য যে জনমত তৈরি হয়েছিল আমরা সবাই এতে সম্পৃক্ত ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলেন ৭ কোটি মানুষের একজন পুরোধা নারী। যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করেছিল। সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে মহাপরিচালক কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, জাতীয় জাদুঘরের নবম শাখা জাদুঘর হিসেবে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরকে আমাদের আওতায় নিতে যাচ্ছি। এখানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি প্রদর্শিত ৫ হাজার নিদর্শন রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম একাত্তরে জাতিকে উৎসর্গ করেছিলেন তার জ্যেষ্ঠ সন্তানকে। তার ‘একাত্তরের দিনগুলি’ ৬টি খণ্ডে ব্রেইল পদ্ধতিতে তৈরি করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রদর্শন করা হয়েছে। এই প্রতিবন্ধকতা পার করতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম পেরেছেন। এই অর্জন সকল মানুষের জীবনে ঘটে না। তার জীবনে ঘটার কারণ তিনি আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেছেন। যে চেতনা মানব মুক্তির। তিনি রাজনীতির কথা ভেবেছিলেন। বাংলাদেশের স্বপ্নকল্প তৈরি করেছিলেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামী।
০৪ মে, ২০২৪
হাসপাতাল থেকে দালাল চক্রের ২৫ সদস্য আটক
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) নানা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় ১০ নারীসহ দালাল চক্রের ২৫ সদস্যকে আটক করা হয়। জানা যায়, রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা, অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব- ৮ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী যুবায়ের আলম শোভন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় হাসপাতালটিতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এলেও নানা হয়রানির শিকার হতে হয় বলে আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল। গোপনে সংবাদ ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে র্যাবের সদস্যরা হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আটকদের মধ্যে বেশিরভাগ হাসপাতালের পুরাতন স্টাফ। যারা কোনো না কোনো সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আবার দুয়েকজন বর্তমান স্টাফের সম্পৃক্ততাও পাওয়া গেছে, যারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই সাধারণ মানুষের শতভাগ চিকিৎসা যেন নিশ্চিত হয়। সে লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তা থাকবে বলে জানান শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গোটা বরিশালে আমরা দালালমুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চাই। এ চক্রের খপ্পরে পড়ে সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। এদের সঙ্গে আমাদের কোনো স্টাফ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
বিএনপির লক্ষ্য একাত্তর মুছে সাত চল্লিশে ফিরে যাওয়া : শাহরিয়ার কবির
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সত্য। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেনি। বিএনপির লক্ষ্য হচ্ছে একাত্তর মুছে সাত চল্লিশে ফিরে যাওয়া। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। শাহরিয়ার কবির বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন বলে বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ করলেই যে তিনি মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করবেন এমন তো কোনো কথা নেই। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারে খন্দকার মোশতাকও মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি দাবি করে তাদের অনেকে মুক্তিযোদ্ধা। হ্যাঁ মেজর হাফিজ থেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সংবিধানের যদি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ঢোকানো হয়, তারা ক্ষমতায় গেলে সেটি বাতিল করে দেবেন। ১৭ এপ্রিল আমরা যেমন পালন করব, তেমন ১০ এপ্রিল জাতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবেও পালন করতে হবে। এতে করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের অপশক্তিকে যদি আমরা নির্মূল করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের আগামীর অগ্রযাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে বঙ্গবন্ধুর পাশে সবসময় ছায়ার মতো ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। কিন্তু ইতিহাসে বঙ্গমাতাকে সেভাবে তুলে ধরা হয় না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তার যে অবদান সেটা যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে। বর্তমানে রাজনীতিতে অনেক হাইব্রিড ঢুকে পড়েছে। হাইব্রিড কেউ নেতৃত্বে আসলে ইতিহাস বিকৃত হয়। শিক্ষার্থীদের বলব সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের যেসব ফিল্ম- তথ্যচিত্র আছে তা দেখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে যেতে হবে। মেহেরপুরে মুজিবনগরে শিক্ষার্থীদের যেতে হবে ইতিহাস জানতে। মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকার গঠনে বঙ্গবন্ধু পূর্বেই নির্দেশনা ও গাইডলাইন দিয়ে গেছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠনের পথ তৈরি করে গেছিলেন। এদিকে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ শীর্ষক সেমিনারে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের প্রকৃত ইতিহাস নিজে জানতে হবে এবং অন্যদের জানাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে হবে। সেই সঙ্গে প্রকৃত ইতিহাসের চর্চা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অবদান সুনিপুণভাবে তুলে ধরতে হবে। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আমাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে উপায়ে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা চলেছে। এখনো গুপ্ত ঘাতকদের অংশ বিশেষরা এই বিতর্ক অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ত্বেই মুক্তিযুদ্ধ হয় এবং দেশ ঘাতক মুক্ত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মোছা. খোদেজা খাতুন। এসময় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী, শিক্ষক সমিতির নেতারা, নীল দলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X