প্রবাসীদের লাশ পরিবহন ও দাফন বাবদ ১৫ কোটি টাকার চেক বিতরণ
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৪ হাজার ২৬১ জন প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধিন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে প্রাপ্ত অর্থ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।  প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবব্রত ঘোষ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৩৬৬টি লাশের বিপরীতে ১ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, আগস্ট মাসে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ১ কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, অক্টোবরে ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, নভেম্বরে ১ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা, ডিসেম্বরে ১ কোটি ২২ লাখ ১৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।  ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৩৬৩টি লাশের বিপরীতে ১ কোটি ২৭ লাখ ০৫ হাজার টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১ কোটি ০৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, মার্চ মাসে ১ কোটি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, এপ্রিলে ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মে মাসে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং জুন মাসে ১ কোটি ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। সর্বমোট ১৪ কোটি ৯১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চেক প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। দেবব্রত ঘোষ জানান, বিভিন্ন এয়ারক্রাফটযোগে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহগুলো প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্গো শাখা থেকে গ্রহণপূর্বক দ্রুততম সময়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং লাশ পরিবহন ও দাফন খরচ বাবদ প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকার চেক স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রদান করা হয়।  তিনি বলেন, বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীর মৃতদেহ গ্রহণ করতে আসা প্রবাসী কর্মীর পরিবারের সদস্যদের জন্য Waiting Room চালু করা হয়েছে।  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধিন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ২টি অ্যাম্বুলেন্সযোগে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসে মৃত ৯৫ জন কর্মীর লাশ পরিবারের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয় এবং গুরুতর অসুস্থ কর্মীকে গ্রহণ করে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের অ্যাম্বুলেন্সযোগে বিনা ভাড়ায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ জনকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। দেবব্রত ঘোষ আরও জানান, ১ জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে যে সমস্ত কর্মী বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বিদেশে চাকরি নিয়ে গিয়েছিলেন ৫ বছরের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের প্রত্যেকের পরিবার ৩ লাখ টাকা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে এবং ১০ লাখ টাকা জীবন বিমা করপোরেশন থেকে প্রাপ্ত হবেন।
০১ জুলাই, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আব্দুল জলিল দাফন সম্পন্ন
বৃহত্তর কুষ্টিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী ছাত্রনেতা অ্যাড. আব্দুল জলিলকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের কুটিপাড়াস্থ মডেল মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীলের উপস্থিতিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এই বীর যোদ্ধাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এসময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক চিকিৎসক নেতা ডা. আমিনুল হক রতন, চেম্বার নেতা বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এবং জাসদের জেলা সভাপতি হাজী মহসিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ জুন, ২০২৪

আ.লীগ নেতাদের ফখরুল / নিজেদের দাফন যেন সুন্দর হয়, চিন্তা করেন
সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের চতুর্দিকে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি।  এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন। আপনাদের এখন যাওয়ার সময় হয়েছে। আর ঘুরাঘুরি করে লাভ নাই। মানুষ যেন মনে রাখে নিজেদের দাফন কাফন যেন সুন্দর হয় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।  মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‌‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ভূমিকা ও তালাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার অনন্য অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।  মুক্তিযোদ্ধা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। সকলে রাস্তায় নেমে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।  তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর আবারো দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।  খুব অল্প মধ্যে সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অভূতপূর্ব উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদেরকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। মৃতপ্রায় জাতিকে তিনি স্বপ্ন দেখিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি সততার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব আমাদেরকে একটি নতুন ভূখণ্ড এবং নতুন একটি জাতিসত্তা দিয়েছেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্থপতি। এ সময় ঘূর্ণিঝড় রিমালে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানন।  একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাফা সীমান্তে ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এ দেশের সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়ন নেমে এসেছিল। রক্ষী বাহিনী দিয়ে হত্যা ও ঘুম নির্যাতন চালানো হয়েছিল। দেশের সকল গণমাধ্যমকে বন্ধ করে দিয়ে কেবল চারটি বাদে ১১ মিনিটের মধ্যে দেশে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। যারা বিরোধিতা করেছিল সেদিন প্রায় ৩০ হাজার যুবক তরুণকে হত্যা করা হয়েছিল। অথচ আজকে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ  মানুষ কিন্তু সব জানে এবং বোঝে।  মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের লড়াই সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হলে শহীদ জিয়াকে অনুসরণ করতে হবে। তার ১৯ দফাকে অনুধাবন করতে হবে। আমরা চলমান লড়াইয়ে পরাজিত হলে দেশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম একটি বইয়ের মুখবন্ধে লিখেছেন  কারণ বাইরে আছে জিয়াউর রহমান যদি ১৯৮১ সালের নিহত না হয়ে ৭৫ সালে নিহত হতেন তাহলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো। হয়ত আফগানিস্তান না হলে অন্য কোনো রাষ্ট্র। এ সময় স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অবৈতনিক শিক্ষাসহ দেশের অনেক উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, এখন এই সরকারের একটাই লক্ষ্য সেটা হলো লুট করা। তাদের চামড়া মোটা হয়ে গেছে। কোনো কথা তাদের কানে যাচ্ছে না। আজকে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য এই সরকার ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে  সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে। তিনি বলেন, আজকের জেনারেল আজিজ এবং বেনাজীর আহমেদ কাদের সৃষ্টি? উনার তো পদত্যাগ করা উচিত।  চতুর্দিকে তাদের দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসছে। শুধু ঢাকা শহরে না মফস্বল শহরে ও তাদের দুর্নীতির খবর বেরিয়েছে। দুর্নীতির টাকার ভারে তাদের মারা পড়ার অবস্থা হয়েছে। সাবেক একজন ভূমি প্রতিমন্ত্রীর লন্ডনে নাকি তার তিন শতাধিক বাড়ি রয়েছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা দেশকে ভালোবাসেন আজকে তাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের আন্দোলন বহাল থাকবে এবং এটা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। এই আন্দোলনের  নেতৃত্ব দিচ্ছেন  আমাদের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন নাই। আমাদের হারানোর কিছু নাই।  
২৮ মে, ২০২৪

রাইসির দাফন সম্পন্ন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নিজ শহর মাশহাদে তাকে দাফন করা হয়েছে। ব্রিটিশি সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতের চার দিন পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে দাফন করা হয়েছে। শিয়াদের অন্যতম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ইমাম রেজার মাজারে ৬৩ বছর বয়সী এ নেতাকে দাফন করা হয়।  টেলিভিশনের বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যায়, প্রেসিডেন্টের দাফন উপলক্ষে উত্তর-পূর্ব শহরটির প্রধান সড়কে মানুষের বিপুল উপস্থিতি দেখা গেছে।  এর আগে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সবচেয়ে বড় জানাজা হয় তেহরানে। বুধবার (২২ মে) রাজধানীর তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নেয়। এ দিন রাইসিকে সম্মান জানাতে অংশ  নেন ৬৮ দেশের প্রতিনিধি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অভ্যর্থনা জানান ইরানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মোখবার, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানি এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা। সংকটকালে ইরানের পাশে থাকায় বিদেশি রাষ্ট্রের নেতাদের ধন্যবাদ জানান তারা। জানাজায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ইব্রাহিম রাইসির রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দক্ষতা ও বন্ধুত্বভাবাপন্ন মনোভাব স্মরণ করেন এবং নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি তেহরানে অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন। এ সময় উপস্থিত থাকাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী আলি আসাদভ, রাশিয়ান ডুমার চেয়ারম্যান ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নাইম কাসেম, হুতির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম, আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গান্দাব ব্র্যান্দার আখুন্দ, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুসেইন আরনাস, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাংগুলি বেরদিমুহামেদভ, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস বিন সাইদ, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাবিহ বেরি প্রমুখ। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ছিলেন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট তিনি। একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক রাইসি বিশ্ব রাজনীতিতেও অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে। ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।  
২৩ মে, ২০২৪

বে গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের দাফন সম্পন্ন
বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শিল্পপতি শামসুর রহমানের মরদেহ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে সরকারি শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে তৃতীয় এবং হাটুরিয়া মিঞা বাড়ি বাদ আসর চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। সোমবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মরহুমের প্রথম জানাজা বুধবার বাদ জোহর ঢাকার হাজারীবাগে লেদার কলেজ মাঠ ও বাদ মাগরিব গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা হয়। প্রথিতযশা শিল্পপতি শামসুর রহমানের ছিল চামড়া খাতে ৪০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা। তিনি বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। শামসুর রহমান ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ভাগে স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়ে ১৯৭৭ সালে বে ট্যানারিজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে বে গ্রুপ নামে পরিচিত। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সংস্থার সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস ও ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি স্বীকৃতিস্বরূপ পাদুকা খাতে ষোলোবার জাতীয় রফতানি ট্রফি পেয়েছেন। দানবীর ছিলেন তিনি। দরিদ্র জনসাধারণের শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। পল্লিগ্রাম এবং অনগ্রসর এলাকায় তিনি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, হাসপাতাল ও অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান করেছেন। গোসাইরহাটের সরকারি শামসুর রহমান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
১৭ মে, ২০২৪

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পাভেলের দাফন সম্পন্ন
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসিম পাভেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  বুধবার ( ১৫ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।  গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দীর্ঘদিন হার্ট, কিডনি ও লিভারজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।  এর আগে, সকাল ১০টায় সাভারে প্রথম, দুপুর ১২টায়, ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় এবং জোহরের পর বনানী কবরস্থান মসজিদে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম, মো. রফিকুল ইসলাম, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল এমপি, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শাহীন মালুম, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা জেলা যুবলীগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
১৫ মে, ২০২৪

৭ সন্তানের ফেলে যাওয়া জামালকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন
চাঁদপুর মতলব উত্তরের মোহনপুরের বাসিন্দা জামাল মোল্লার ৭ সন্তান। তার সন্তানরা কয়েক মাস আগে চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্ট স্টেশনে খোলা আকাশের নিচে তাকে রেখে চলে যায়। এরপর সেখানেই অর্ধাহারে অনাহারে বিনা চিকিৎসায় ও তীব্র গরমে কষ্টের মধ্য দিয়ে মারা যান জামাল মোল্লা। বুধবার (৮ মে) দুপুরে রেলওয়ে থানার ওসি মো. মাসুদ আলম তার দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   এর আগে শনিবার (৪ মে) রাত ১টায় রেলওয়ে কোর্ট স্টেশনে মারা যান জামাল মোল্লা। স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে কোর্ট স্টেশনে অবস্থানকালে জামাল মোল্লা নিজের নাম ও পরিবারের বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছিলেন। তার বয়স ৮০ বছর। তিনি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা। এখানে তার সন্তানরা তাকে এখানে রেখে চলে গিয়েছিল। তারা আরও জানান, তার পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। তাদের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক সময় তিনি মোহনপুরে ভালো ব্যবসায়ী ছিলেন এবং ছেলেদের নিয়ে সে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই ছেলে-মেয়েরাই তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বাড়ি, ঘরসহ সকল সম্পত্তি লিখে নিয়ে তাকে ফেলে রেখে যায়। তার স্ত্রী আছে কি না তা জানতে চাইলে কোনো কিছু না বলে তিনি সবসময় শুধু চুপ করে সবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ওসি মো. মাসুদ আলম বলেন, মরার পরেও তিন দিন বৃদ্ধার স্বজনদের খোঁজ পাইনি। পরে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে তাকে দাফন করল আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম সংস্থা। ওনার মৃত্যুর বিষয়ে রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের দাফন সম্পন্ন
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টায় ন্যাম ভবন চত্বরে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে  বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ ঝিনাইদহের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে আনা হয়।  সেখান থেকে সড়কপথে আরাপপুরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ জোহর শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. আজিম-উল-আহসানের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় ঝিনাইদহ ছাড়াও আশপাশের জেলার শত শত নেতাকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন। বাদ আসর শৈলকুপা উপজেলা শহরের ডিগ্রি কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা ও বাদ মাগরিব গ্রামের বাড়ি শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। জানাজা পূর্ব সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ও মরহুমের ছেলে ব্যারিস্টার জিসান হাই। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. সালাহউদ্দিন মিয়াজী, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আজিম আনার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে শৈলকুপায় অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন জেলা আ.লীগের সহসভাপতি আলহাজ নজরুল ইসলাম দুলাল, শৈলকুপার পৌর মেয়র  ও সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়ারদার, উপজেলা চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা প্রমুখ। উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংসদ সদস্য আব্দুল হাই মৃত্যুবরণ করেন।
১৭ মার্চ, ২০২৪

বাবার পাশেই দাফন হবে অবন্তিকার
শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকাকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার পাশেই দাফন করা হবে। শনিবার (১৬ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বড়ভাই অপূর্ব। এর আগে বেলা ৩টায় প্রথম নামাজে জানাজা নগরীর পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।  তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ২টার দিকে পুলিশ মরদেহ হস্তান্তর করেছে। সেখান থেকে কুমিল্লার বাহিচাগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে তার মরদেহ আনা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৩টায় নগরীর পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহতের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে।   শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে সহকারী প্রক্টর ও আম্মান সিদ্দিকী নামের এক সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ অবন্তিকা নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক ছাত্রী। রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  মৃত ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে। 
১৬ মার্চ, ২০২৪

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ইহসানুল করিমের দাফন
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলালের দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। জানাজা শেষে সহকর্মী সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। গত রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইহসানুল করিম মারা যান। কর্মজীবনে ইহসানুল করিম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিবও ছিলেন। তিনি ১৯৪৯ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এই রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে বাসসের ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অবসরে যান। বাসস থেকে অবসরের পর একই বছরের ২০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে প্রথমে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম প্রেস সেক্রেটারি জাওয়াদুল করিমের ভ্রাতুষ্পুত্র। জাওয়াদুল করিম ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর পাঁচ বছরের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদেই প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১২ মার্চ, ২০২৪
X