ইসরায়েলকে তুলোধুনা করলেন এরদোয়ান
গাজা উপত্যাকায় অব্যাহতভাবে নির্মমতা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের নির্মমতা থেকে নেহাই পায়নি উপত্যাকার হাসপাতাল, স্কুল ও বসতি। ইসরায়েলের হামলায় ভেঙে পড়েছে গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থাও। এমন সময়ে দেশটিকে তুলোধুনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  এরদোয়ান গাজায় ইসরায়েলি হামলার সমালোচনা করে এটিকে ‘শতাব্দীর নিকৃষ্টতম বর্বরতা’ বলে উল্লেখ করছেন। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আঙ্কারায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গত ১৫১ দিন থেকে আমরা শতাব্দীর নিকৃষ্টতম বর্বরতা দেখেছি।  নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্মমভাবে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করে এরদোয়ান বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলোর সীমাহীন সমর্থনে এটি ঘটেছে। নেতানিয়াহু ও তার সহযোগীদের আইন ও জনগণের সামনে প্রত্যেক ফোঁটা রক্তের জবাবদিহি করতে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, তারা ফিলিস্তিনের মালিকানাধীন জমি দখল করে আছে। সংকট সমাধানের সবচেয়ে বড় বাধাগুলোর একটি হলো এটি।   ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সিকে (ইউএনআরডব্লিউএ) অসম্মান করায় ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, মিথ্যা ও অপবাদ দিয়ে তেল আবিব সংস্থাটিকে অসম্মান করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এটি বিশ্বাস করা উচিত নয়। একইসঙ্গে সংস্থাটির অস্তিত্বকে খর্ব করাও উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ হলো ১৯৬৭ সালের সীমানার মথ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আর এটির রাজধানী হবে জেরুজালেম।   
০৬ মার্চ, ২০২৪

মেটা-এক্স-টিকটক প্রধানদের তুলোধুনা
সামাজিক মাধ্যমে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারায় মেটা, টিকটক ও এক্সের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইউও) তুলোধুনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মার্কিন কংগ্রেস ভবনে এক শুনানিতে তাদের একহাত নেন তারা। খবর আলজাজিরার। মার্কিন বাবা-মা এবং আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের যৌন নিপীড়ক ও আত্মহত্যা প্রতিরোধের মতো বিষয়ে যথেষ্ট কাজ করছে না প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে তাদের ক্ষোভের মাঝে বুধবার সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা। কমিটির চেয়ারম্যান ডিক ডারবিন বলেন, আমাদের বাচ্চারা অনলাইনে যেসব বিপদের সম্মুখীন হয় তার জন্য তারা দায়ী। তাদের ডিজাইন পছন্দক্রম, আস্থা ও নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগের ব্যর্থতা, মৌলিক নিরাপত্তাকে পাশ কাটিয়ে মুনাফার ক্রমাগত চেষ্টা আমাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, ‘জনাব, জাকারবার্গ, আপনিসহ আমাদের সামনে যেসব কোম্পানি রয়েছে, আমি জানি আপনি এমনটা বলতে চান না, কিন্তু আপনাদের হাতে রক্ত লেগে আছে। আপনাদের এমন একটি পণ্য আছে যা মানুষ হত্যা করছে।’ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গের উদ্দেশে তিনি এমন কথা বলেছেন। এ সময় জকারবার্গ, এক্স-এর সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো, স্ন্যাপচ্যাটের সিইও ইভান স্পিগেল, টিকটকের সিইও শউ জি চিউ ও ডিসকর্ডের সিইও জেসন সিট্রনের কমিটির সামনে নিজ নিজ বয়ান পেশ করেন।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X