তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ডুবে গেছে ফসলি জমি
উজানের অব্যাহত ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। দেখা দিয়েছে বন্যা। পানি প্রবেশ করছে তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে। শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ৫১ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি প্রবাহ বেড়ে একই পয়েন্টে সকাল ৯টা থেকে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারাদিনে পানিপ্রবাহ আরও কিছুটা বেড়ে সন্ধ্যা ৬টায় ৫১ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। তবে একই সময় তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।  জানা গেছে, ১৩ জুন দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  পরে রাতে পানি প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পায়। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর তিস্তায় সেই পানি প্রবেশ করায় নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। জানা গেছে, তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার  গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।  তিস্তা দোয়ানী গ্রামের কৃষকরা জানান, ভারতে বন্যা হয়েছে। ওই পানি যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে ছাড়ে তখন আমাদের এলাকায় বন্যা দেখা দিবে। এতে অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না, বর্ষাকালে আমরা পানি দিয়ে কী করব। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিবে।
১৪ জুন, ২০২৪

তিস্তা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
তিস্তা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।  মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা সড়ক সেতুর নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।   এর আগে নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সদর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহতের পরনে কালো জ্যাকেট ছিল কিন্তু কোনো প্যান্ট ছিল না তবে মুখে দাড়ি আছে। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মহদেহের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
২১ নভেম্বর, ২০২৩
X