Sat, 06 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
তীব্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইবি শিক্ষার্থীরা
২৭ মিনিট আগে
পেট্রোম্যাক্স এলপিজিতে নিয়োগ, পদসংখ্যা অনির্ধারিত
৩১ মিনিট আগে
বেসরকারি সংস্থায় চাকরির সুযোগ, বেতন ৬০ হাজার
৪৯ মিনিট আগে
যমুনার পানি বেড়ে ডুবে যাচ্ছে বসতবাড়ি
৪৭ মিনিট আগে
তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, বন্যার কবলে ৫ হাজার পরিবার
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৬ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, বন্যার আশঙ্কা
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে আবারও তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। যে কোনো মুহূর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই ৩ ঘণ্টায় পানিপ্রবাহ বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির খবরে আবারও চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো নতুন করে আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। শনিবার সকাল থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় থেকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৫৭ মিনিট আগে
তিস্তার পানি উপচে ভাতের চুলায়
দ্বিতীয় দফায় পানি বাড়ছে তিস্তায়। সকাল-দুপুর এমন পানি ওঠানামার খবরে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তা নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়ির আঙিনা-উঠান, এমনকী ভাতের চুলার মধ্যেও বানের পানি ঢুকে পড়েছে। বসতবাড়ির ভিতরে পানি ঢুকে ভাসিয়ে নিয়েছে হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, আসবাবপত্র ও গবাদিপশুর খাবারও। সোমবার (০১ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। অন্যদিকে, তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার দুপুরে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৮৯০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। উজানের ঢল আর ভারি বর্ষণে রংপুর লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে নিম্নাঞ্চলের ঘর বাড়িতে ফের উঠতে শুরু করেছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ডুবে গেছে ওইসব এলাকার সবজি ক্ষেত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধি ও কম ভাঙনের কবলে পড়েছে কাউনিয়ার গদাই গ্রাম। গত দেড় সপ্তাহে চলাচলের রাস্তার প্রায় ২০০ কিলোমিটার ভেঙে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে ভাঙতে পারে সেখানকার অন্তত ১০টি বাড়ি। গদাই গ্রামের আকবর হোসেন বলেন, ভাঙতে ভাঙতে এখন বাড়ির কাছে চলে আসছে নদী। কতবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ করেছি, বলেছি কোনো কাজই করেনি। একই কথা বলেন আসমা বেগম নামে এক গৃহিণী। তিন বলেন, আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই। ঠিকমতো জিও ব্যাগ না ফেলায় যে কোনো সময়ে বাড়ি ভেঙে যাবে, সেজন্য আগেভাগেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি একটা ঘর। কেননা, বানের পানিতে উঠান, চুলা ডুবে গেছে। ঘরের মধ্যে পানি উঠে থালা-বাসন ও আসবাবপত্র ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। তাই ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গংগাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সূর্যমূখী ক্বারী মাদ্রাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এ ছাড়া কোলকোন্দ ও লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের ৫ শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। সেখানে নিম্নাঞ্চলে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় পানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে, প্রস্তুত রয়েছে শুকনো খাবারও। রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের খবর আসছে। গত সপ্তাহে আমাদের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এসেছেন। খোঁজখবর রাখছেন তিনি। বরাদ্দ এলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বরাদ্দ নেই, আপদকালীন বরাদ্দ যা আছে তা দিয়ে সাময়িকভাবে কাজ করা হচ্ছে।
০১ জুলাই, ২০২৪
তিস্তার পানি কমলেও ভোগান্তির শেষ নেই
কয়েকদিন ধরে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও সোমবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও তিস্তা চরাঞ্চল এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করছে। তবে চলাচলের রাস্তাঘাট ও গবাদিপশু নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্ট তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে আজ সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর গতকাল রোববার বিকেলে তিস্তার ব্যারাজ পয়েন্ট পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তবে পানি আবার কমে যাওয়ায় এসব এলাকার বাড়ি ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন চরবাসীরা জানান, রোববার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যার মধ্যেই তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। আর সোমবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, দুদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও সোমবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করছে। তবে দ্রুত গতিতে পানি নেমে যাওয়ায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন বলেন, দুদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফউদ্দৌলা বলেন, সোমবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
০১ জুলাই, ২০২৪
তিস্তার পানি রাতেই অতিক্রম করতে পারে বিপদসীমা
উজানের ঢলে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তার পানি। বিপদসীমার কাছাকাছি মাত্র ১৭ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আবারও তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট এখনো খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। একই পয়েন্টে বিকাল ৩টা পানি বিপদসীমার ৪০সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পানি বেড়েছে ২৩ সেন্টিমিটার। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রম বড় ধরনের বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় ওই দোয়ানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি আবার কমে যায়। কিন্তু আবারও শনিবার দুপুর গড়তেই পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে চর এলাকার রাস্তাঘাট আবারও তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, ৫দিন পর আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। বিষয়গুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জেলা প্রশাসককে অবগত কর হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার বিকাল থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতেই পানি প্রবাহ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও তিনি জানান।
৩০ জুন, ২০২৪
নেমে যাচ্ছে তিস্তার পানি ভাঙতে শুরু করেছে তীর
উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। এদিকে পানি কমতে থাকলেও প্লাবিত এলাকার কাঁচা সড়ক ও ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়া, চণ্ডিমারী ও সদর উপজেলার কালমাটি ও বাগডোরা এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ওইসব এলাকার বসতভিটা, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গত শুক্রবার তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে গত ৪ দিনেই সেই পানি নেমে যায়। পানি থেকে জেগে ওঠা পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিস্তাপাড়ের কৃষক। এদিকে স্বল্পমেয়াদি এ বন্যার পানি দ্রুত কমতে থাকায় শুরু হয়েছে নদীভাঙন। তিস্তা গরীবুল্লাহ পাড়ার কৃষক কেরামত আলী জানান, ৪ দিন বাড়ি-ঘরে পানি ছিল। এখন পানি নেই; কিন্তু ঘরে বাইরে জমে আছে কাদা মাটি। চলাচলে ভাগান্তি হচ্ছে। একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, পানি কমে গেছে। তবে নদীর তীরে শুরু হয়েছে ভাঙন। ভাঙন ঠেকানো না গেলে অনেক বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হবে। ওই এলাকার হোসেন আলী জানান, বন্যার আগে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে ছিল তিস্তা। ভাঙতে ভাঙতে ফসলি জমি নদীর পেটে চলে গেছে। তিস্তা এখন বাড়ির কিনারায়। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি এলাকার আব্দুর রহমান জানান, বসতবাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে না যেতেই শুরু হয়েছে নদীভাঙন। তিস্তার পেটে আবাদি জমি। এখন বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার মতো জমিও নেই। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের তিস্তা নদী-তীরবর্তী গরীবুল্লাহপাড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। কয়েকশত বাড়ি ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এম কে এম তাহমিদুল ইসলাম লালমনিরহাটের তিস্তা নদীভাঙন এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিস্তার ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২৫ জুন, ২০২৪
তিস্তার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে ভাঙন
উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এদিকে বন্যার পানি নেমে গেলেও প্লাবিত এলাকার কাঁচা সড়ক ও ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়া, চন্ডিমারী ও সদর উপজেলার কালমাটি ও বাগডোরা এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ওইসব এলাকার বসতভিটা, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গত শুক্রবার তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে গত ৪দিনেই সেই পানি নেমে যায়। পানি থেকে জেগে উঠা পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তিস্তা পাড়ের কৃষকরা। এদিকে স্বপ্ন মেয়াদি এ বন্যার পানি দ্রুত কমতে থাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। তিস্তা গরীবুল্লাহ পাড়ার কৃষক কেরামত আলী জানান, গত ৪দিন থেকে বাড়ি-ঘরে পানি ছিলো। এখন বাড়ি ঘরে পানি নেই। কিন্তু ঘরে বাইরে জমে আছে কাদা মাটি। চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, পানি কমে গেছে। তবে নদীর তীরে শুরু হয়েছে ভাঙন। ভাঙন ঠেকানো না গেলে অনেক বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হবে। ওই এলাকার হোসেন আলী জানান, বন্যার আগে বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে ছিল তিস্তা। ভাঙতে ভাঙতে ফসলি জমি নদীর পেটে চলে গেছে। তিস্তা এখন বাড়ির কিনারায়। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি এলাকার আব্দুর রহমান জানান, বসতবাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে না যেতেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। তিস্তার পেটে আবাদি জমি। এখন বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার মতো জমিও নেই। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী গরীবুল্লাহ পাড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। কয়েকশত বাড়ি ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ অনেক স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এমকেএম তাহমিদুল ইসলাম লালমনিরহাটের তিস্তা নদী ভাঙন এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিস্তার ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
২৪ জুন, ২০২৪
তিস্তার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের
কয়েকদিন ধরে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পাওয়া তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। শনিবার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় তিস্তার পানি আরও কমে ৬০ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুর ১২টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৫৫ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের এখনো অনেক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এদিকে পানি কমলেও এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই পরিবারগুলোকে। চলাচলের রাস্তায় কাদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে পানি কমায় ভাঙন দেখা দিয়েছে অনেক এলাকায়। লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল আনন্দ বাজার ও বাগডোরা এলাকা এবং জেলার আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ পরিবার গত ৫ দিন থেকে পানিবন্দি থাকার পর শনিবার অনেক ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমে যাওয়ায় তলিয়ে যাওয়া চলাচলের কর্দমাক্ত রাস্তাঘাটে চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়ছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। তিস্তার পানি কমায় এ অঞ্চলে ফসলি জমিও ভাঙনের মুখে পড়েছে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকার বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। তবে ডুবে যাওয়া ফসলি জমিতে পানি স্থায়ী না হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তিস্তার পানি অনেকটা কমতে শুরু করেছে।
২২ জুন, ২০২৪
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিপৎসীমার ৫৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে একই সময় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৪৩ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এদিন সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৩৩ সেমি নিচে রেকর্ড করা হয়। তবে এই পয়েন্টে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টা থেকে পানি প্রবাহ কমে বিপৎসীমার ৪৩ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেমি। শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল আনন্দ বাজার ও বাগডোরা এলাকা এবং জেলার আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ পরিবার গত ৪ দিন থেকে পানিবন্দি রয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তা। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী স্কুলের খেলার মাঠ। পানি উঠেছে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক ও মসজিদে। ফলে এদিন পবিত্র জুমার নামাজ মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার এক পাশে আদায় করেছেন মুসল্লিরা। পানিবন্দি মানুষগুলো বেশি বিপাকে পড়েছে গরু ছাগল ও হাঁস মুরগি নিয়ে। বাড়ি ছেড়ে দুরে উঁচু রাস্তায় গরু ছাগল বেঁধে রেখেছে তারা। ঘরে পানি উঠায় রান্না করতে পারছে না পরিবারগুলো। ফলে তাদের শুকনো খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে এখনো সরকারি ব্যবস্থাপনায় পানিবন্দি মানুষদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমেছে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। তিস্তা নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার বাগডোরা এলাকার কৃষক আজগর আলী জানান, পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী অনেক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। গত ৪ দিন থেকে আমরা পানিবন্দি। পানির নিচে লেট্রিন, টিউবওয়েল ও চুলা। রান্না করতে না পেরে পাউরুটি ও টোস্ট বিস্কুট খেয়ে আছি। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছি। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত, উজানের পানিতেই তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে আরও ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে পানি প্রবেশ করলে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদী তীরবর্তী পুরো অঞ্চল প্লাবিত হবে।
২১ জুন, ২০২৪
বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। যে কোনো মুহূর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে স্কুল মাঠ। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৯টায় একই পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে, দুপুর ১২টায় ২০ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টা থেকে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু ওই পয়েন্টে পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিপৎসীমার মাত্র ২০ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এদিকে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ’ পরিবার গত তিনদিন থেকে পানিবন্দি রয়েছে। তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তা। তারা গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত অন্যান্য পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঘরে পানি ওঠায় রান্না করতে পারছে না। ফলে তাদের শুকনো খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তবে এখনো সরকারি ব্যবস্থাপনায় পানিবন্দি মানুষদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পানিবন্দি মানুষজন। তিস্তা নদী তীরবর্তী বাগডোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর গোবর্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয় মাঠে এখন হাঁটু সমান পানি। তলিয়ে গেছে কমিউনিটি ক্লিনিক ও মসজিদ। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি তিস্তায় প্রবেশ করে নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। তিস্তা নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার আনন্দ বাজার এলাকার কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী অনেক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। উঁচু স্থানে চুলা জ্বালিয়ে রান্নার কাজ সেরে নিচ্ছেন মানুষজন। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত উজানের পানিতেই তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে আরও ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে পানি প্রবেশ করলে আমাদের বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদী তীরবর্তী পুরো অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
২০ জুন, ২০২৪
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। যে কোনো মুহূর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৯টায় একই পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেই পানি তিস্তায় প্রবেশ করে নদীতীরবর্তী কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। তিস্তা নদীসংলগ্ন সদর উপজেলার আনন্দবাজার এলাকার কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে নদীতীরবর্তী অনেক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। উঁচু স্থানে চুলা জ্বালিয়ে রান্নার কাজ সেরে নিচ্ছেন মানুষজন। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত উজানের পানিতেই তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে আরও ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে পানি প্রবেশ করলে আমাদের বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীতীরবর্তী পুরো অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
২০ জুন, ২০২৪
আরও
X