ঢাকাবাসীকে সুষ্ঠুভাবে আরও বেশি সেবা দিতেই তথ্যকেন্দ্র : মেয়র তাপস
ঢাকাবাসীকে দ্রুততর সময়ে সুষ্ঠুভাবে আরও বেশি সেবা দিতেই নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (৩ জুলাই) নগর ভবন প্রাঙ্গণে ‘নগর ভবন অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্র’-এর উদ্বোধনকালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।  শেখ তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল। ঢাকাবাসীর সেবাগুলো যাতে আরও দ্রুততর সময়ে এবং সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে নিশ্চিত করা যায়, সেই প্রেক্ষিতে আজ আমরা তথ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করলাম। এখানে ঢাকাবাসী সরাসরি এসে জানতে পারবে- তার কাজের জন্য কোন জায়গায়, কোন দপ্তরে বা কোন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে, কী করতে হবে। এতে করে জনগণ তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এক জায়গায় পেয়ে যাবে এবং সুন্দরভাবে তার কাজ সম্পন্ন করে ফিরে যেতে পারবে। সুতরাং সেবাগুলো যেন আরও সুষ্ঠভাবে নিশ্চিত হয়, ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় যেন পৌঁছানো যায়, সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা অবারিত রাখতে সিটি করপোরেশন সজাগ থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের প্রশাসনিক সংস্কার যেমন চলমান রয়েছে তেমনি আমরা বিভিন্ন বিভাগে জনবল বৃদ্ধি করেছি। ফলে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কোনো কাজের জন্য আমরা প্রকল্পের ওপর নির্ভর করি না। সব কাজই নিয়মিত সূচি অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা হয়। এ ছাড়াও সেবার উৎকর্ষতা বাড়ানের পাশাপাশি সেবার মান যেন প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পায়- সে বিষয়গুলোর ওপর আমরা নজর দিয়েছি। সুতরাং এই তথ্যকেন্দ্রের সেবা স্থায়ীভাবেই চালু থাকবে। এখান থেকে ঢাকাবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের সেবা পাবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৩ জুলাই, ২০২৪

নিজস্ব সক্ষমতায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চাই : মেয়র তাপস
নিজস্ব সক্ষমতায় নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এর পরিধি বাড়ানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর হাজারীবাগে ‘শহীদ শামসুনেনেছা আরজু মণি মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ’ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র এ মন্তব্য করেন। মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা দেখি, মৌলিক সেবাগুলো এমনকি সন্তানদের খতনা দিতে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা যেন না হয় এবং জনগণ যেন মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা পায় সেজন্য আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব দিচ্ছি।  আপনারা জানেন, ডিএসসিসি অত্যন্ত সুচারুভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে চলেছে। আমাদের যে নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় চলমান রয়েছে, যা আগামী বছর শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্প শেষ হলেও আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।  সেজন্য জনবল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার যে বিষয়গুলো রয়েছে, তাতে আপনাদের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের) সহযোগিতা কামনা করছি। নিজস্ব সক্ষমতায় নগরবাসীর জন্য এই সেবাগুলো নিশ্চিত করতে এবং কলেবর বাড়াতে চাই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে বলে আশাবাদ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে কিন্তু মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহারের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি নির্ধারিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা আজ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত। তারই ফলশ্রুতিতে বর্তমানে মা ও শিশু মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। আমরা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অর্জন করতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী, তারই নেতৃত্বে আমরা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টও অর্জন করতে সক্ষম হবো।’ এসময় ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, নগর মাতৃসদন ইত্যাদিতে পর্যাপ্ত জনবলের অপূর্ণতা রয়েছে এবং ঢাকাবাসীকে আরও সুচারুভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেসব প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত জনবল দেওয়ার আহ্বান করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  এছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৬ জুন, ২০২৪

লক্ষ্যমাত্রার অনেক আগেই বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবো : তাপস
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে উৎপন্ন/সৃষ্ট বর্জ্যের আনুষ্ঠানিক অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  শেখ তাপস বলেন, আমাদের এবারের প্রস্তুতি আগেরবারের চাইতে আরও ভালো। আমাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা অনেক যান-যন্ত্রপাতি আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আমাদের পূর্বের যে অভিজ্ঞতা তার আলোকে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইতোমধ্যে অনেক দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলে রূপান্তরিত হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমাদের কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুপুর ২টার জন্য অপেক্ষা না করে তার আগেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা এবার আত্মবিশ্বাসী যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছি, তার অনেক আগেই আমরা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারব। মেয়র বলেন, ঢাকাবাসীর যে প্রত্যাশা এবং আমাদের যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, সেটি হলো ২৪ ঘন্টার মধ্যে যাতে বর্জ্য অপসারণ হয়, শহর পরিষ্কার হয়। গতবারও আমরা তা অত্যন্ত সুচারুভাবে এবং সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছি। ঢাকাবাসী সেটা অবলোকন করেছে ও সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছে। এবারও সকলের সহযোগিতায় আমরা সফল হব ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।  এ ছাড়াও তিনি বৃষ্টি হলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই যেন এ ব্যাপারে সজাগ থাকে সেলক্ষ্যে নানাবিধ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।  অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
১৭ জুন, ২০২৪

কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিয়ে যে ঘোষণা দিলেন মেয়র তাপস
এবারের ঈদে রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই ঘোষণা দেন। মেয়র বলেন, আমরা প্রতিবার বর্জ অপসারণের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে থাকি সেটা হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই বর্জ্য অপসারণ। সুতরাং ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারিত হবে এবং পরের দিন যে বর্জ্য অপসারিত হবে সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারিত হবে। গবাদি পশুর হাটের বর্জ্য ঈদের আগের রাত থেকে অপসারণ শুরু হবে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা জানি যে, রাতের পরে পশুর সংখ্যা কমে যায়, বিক্রি কমে যায়, হাটের পরিধিও কমে যায়, সেজন্য আমরা এই কাজটি আগের রাতে শুরু করব যাতে করে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা না থাকে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় হাট রয়েছে। দুই ধাপের বর্জ্য অপসারণের কর্মপরিকল্পনা : শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, হাট এবং কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণের জন্য আলাদা কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেছেন তারা। যাতে একটার সাথে আরেকটার কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। দুইটাই এক নাগাড়ে চলবে। গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে এবারের কর্মপরিকল্পনা একটু ঢেলে সাজানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা হাটের জন্য আলাদা জনবল, আলাদা কর্মকর্তা এবং আলাদা যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করেছি। একসময় আমাদের যান-যন্ত্রপাতির কিছু দূর্বলতা ছিল, এবার ইনশাল্লাহ আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই; আমরা পূর্ণভাবেই সক্ষম। মেয়র বলেন, আমাদের বহরে এবার নিজস্ব অর্থায়নে ৩৫টা নতুন যান-যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছি। ২৫টা ১০ টনের যান-যন্ত্রপাতি ইতোমধ্যে আমরা চালু করে ফেলেছি, ১০টা পে-লোডার লাগে, যেগুলো ময়লা অপসারণ করে, সেইগুলো সংযোজন হয়েছে। আরও প্রায় ১৫টি যান-যন্ত্রপাতি গাড়ি সংযোজন হচ্ছে। এক কথায় আমাদের যান-যন্ত্রাপাতির বহর অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমরা আশাবাদী, আমরা ঢাকাবাসীকে গতবার যে সুবিধা দিতে পেরেছি, তারচেয়ে আরও সুষ্ঠুভাবে আমাদের কার্য্ক্রম দিতে পারব। ঈদের দিন বর্জ্য অপসারণের কাজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ইনশাআল্লাহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সেইভাবে আমাদের জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা ইনশাল্লাহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হব এবং ঢাকাকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে সবার জন্য উপহার দিতে পারব। গতবছর কোরবানির ঈদ ঘিরে ৪৮ ঘণ্টায় মোট ৪১ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে উত্তর সিটি এলাকায় ২২ হাজার ৩৮৭ টন এবং দক্ষিণে ১৮ হাজার ৮৫২ টন বর্জ্য সরানোর কথা জানিয়েছিলেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। মেয়রের অনুরোধ : ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর প্রতি আমি অনুরোধ করব, আহ্বান করব… যেহেতু আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ হাটের বর্জ্য, কোরবানির পশুর বর্জ্য, নিয়মিত বর্জ্য সকল কিছুই আমাদের সিটি করপোরেশনকে পরিষ্কার করতে হয় আগের রাত থেকে। আমাদের ৭২ ঘণ্টা এই কার্য্ক্রম চলে, বিশ্রাম নিতে পারি না। আমি সকলকে অনুরোধ করব, দুই দিন, অর্থাৎ ঈদের দিন ও পরের দিন যেন সকল কোরবানি সস্পন্ন করা হয়, যাতে করে পরে নতুন করে কোরবানির পশুর বর্জ্য আর সৃষ্টি না হয়। প্রত্যেক হাটের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ : শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। প্রতিটি হাটে আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে তদারকির জন্য রাখা হয়েছে। কোরবানির তিন দিন সার্বক্ষণিকভাবে তদারকির জন্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, পশুর হাটগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হবে। সকলে হাট থেকে পশু ক্রয় করতে পারবেন। কারো কোনো বিড়ম্বনা হবে না। তিনি বলেন, কোনো সমস্যা যদি হয়, হাটের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১২ জুন, ২০২৪

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে : তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। রাজধানীর পশুর হাটগুলোর বর্জ্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি। বুধবার (১২ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেয়র। শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ৩৫ হাজার মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুত করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি। মেয়র বলেন, জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, বিচারপতিরাসহ ভিআইপিরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিতে যেন নামাজের বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। নারীদের জন্য নামাজের আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করতে পারবেন। জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ঈদের জামাতের জন্য ১৬ জুন সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে বলে জানান তিনি। কোরবানির পশুর হাটের বিষয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঈদ উপলক্ষে যে কোরবানি করা হয়, সারা দেশ থেকে কোরবানির পশু রাজধানীতে বিক্রির জন্য আনা হয়। এ কারণে পশুর হাট দিনে দিনে বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। প্রতিটি হাটে আমাদের অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। মোবাইল কোর্ট দায়িত্ব পালন করছে। কোরবানির ঈদের আগের দিন থেকে তিন দিন সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তাকে কেন্দ্রীয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত করা হয়েছে। তারা তদারকি করবেন। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী স্বাচ্ছন্দ্যে পশুর হাটগুলো পরিচালিত হবে এবং রাজধানীবাসী নিরাপদে পশু কিনতে পারবেন। কেউ বিড়ম্বনায় পড়বেন না। তারপরও কেউ কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হলে হাটগুলোতে থাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষগুলো ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
১২ জুন, ২০২৪

সিটি করপোরেশনের জমি মাদকচক্র-ভূমিদস্যুদের দেব না : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জমি কোনো মাদকচক্র ও ভূমিদস্যুদের কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। রোববার (৯ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে মীরনজিল্লা পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন। তাপস বলেন, মীরনজিল্লায় যে কাঁচাবাজার রয়েছে সেটি ২০১৬ সালে পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রায় ৮ বছর পরে আমরা সেটি বাস্তবায়নে যাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে আমি আপনাদের বলতে চাই, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো জমি কোনো ভূমিদস্যুর হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। মীরনজিল্লা কোনো মাদকচক্র, কিশোর গ্যাং ও অপরাধচক্রের আখড়া হতে দেব না। সব জমি আমরা দখলমুক্ত করব এবং আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ঢাকাবাসীর জন্য আমরা সেটা কাজে লাগাব। জনকল্যাণে কাজে লাগাব। ঢাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে এবং সুন্দর ও বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাব। গত ৪ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সবাই হরিজন ও তেলেগু সম্প্রদায়ের এবং আগামীতেও তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হরিজন, তেলেগুসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিতে চাকরি নিশ্চিত করেছেন, বাসা নিশ্চিত করেছেন। আজকে আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করে চলেছি। গত ৪ বছরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এ পর্যন্ত ২৫০ জন নতুন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়েছি। এরা সবাই হরিজন ও তেলেগু সম্প্রদায়ের। এর বাইরে আমরা নিয়োগ দেইনি। আগামীতে যে নিয়োগ দেওয়া হবে সেখানেও হরিজন সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্ব স্ব সম্প্রদায়কে আলাদা আলাদাভাবে বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। যাতে করে কোনো রকম সাংঘর্ষিক কোনো কিছু না হয় এবং শৃঙ্খলা থাকে। সুতরাং, আমরা মানবতার জননী শেখ হাসিনার রূপকল্প পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছি। কোনো সম্প্রদায়ের অযুহাতে অপরাধচক্র সৃষ্টির অপচেষ্টা দক্ষিণ সিটি বরদাশত করবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কোনো সম্প্রদায়ের অজুহাত দিয়ে আমাদের জমি বছরের পর বছর দখল করে সেখানে মাদকের আখড়া বানাবে, কিশোর গ্যাং বানাবে, অপরাধচক্র সৃষ্টি করবে... ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা বরদাশত করবে না। সব অবৈধ ভূমিদস্যকে উচ্ছেদ করে আমরা আমাদের সব সম্পদ, সম্পত্তি ঢাকাবাসীর কল্যাণে নিয়োজিত করব। আজকে যে ৬৬টি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে আপনারা এগুলো দেখভাল করবেন। এগুলো আপনাদের সম্পদ, সিটি করপোরেশনের সম্পদ। আপনাদের জীবনযাপনে যেন অবৈধ কোনো চক্র কোনো ধরনের পাঁয়তারা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে আপনারা সচেতন থাকবেন। প্রয়োজনে আমাদের জানাবেন। আমরা সেসব কঠোরভাবে দমন ব্যবস্থা নিব ইনশাআল্লাহ। বাসা বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী আজ রোববার একটি ভবনে মুসলিম সম্প্রদায়ের ৬ জন এবং বাকি ২টি ভবনে হরিজন সম্প্রদায়ের ৬০ জন যোগ্য প্রার্থীর মাঝে বাসা বরাদ্দের চাবি হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি ভবন ৬ তলাবিশিষ্ট এবং তাতে ৩৬টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আওয়াল হোসেন প্রমুখ।
০৯ জুন, ২০২৪

২৫ ভাগের বেশি বনায়ন সৃষ্টি করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি : তাপস
করপোরেশনের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ও ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় ২৫ শতাংশের বেশি বনায়ন সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন এই সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা নগর ভবন প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও চারা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। শেখ তাপস বলেন, আমাদের বনায়ন ১০ ভাগের নিচে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমানে তা ১৭ ভাগে উপনীত হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তিনি আমাদের ১৭ ভাগ থেকে বনায়ন ২৫ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, আমাদের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ও গৃহীত কার্যক্রমের মাধ্যমে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনই প্রথম সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আমরা ২৫ ভাগের ঊর্ধ্বে বনায়ন সৃষ্টি করতে পারব। মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ নেতাদের ওসমানী উদ্যান, পান্থকুঞ্জ উদ্যান, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল, শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও খালুনগর খালের দুই পাশে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আপনারা সেখানে বনায়ন করবেন, গাছ লাগাবেন। আমরা ঢাকা শহরকে সবুজে সবুজে ছেয়ে ফেলব। আমরা এই নগরীকে একটি সুন্দর, সবুজ ও শ্যামল মহানগরীতে রূপান্তরিত করব। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করায় দক্ষিণ ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, জিয়াউর রহমান ছাত্রসমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। সেই ছাত্রসমাজের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলম ও খাতা তুলে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে মেয়র মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক এবং খিলগাঁও মডেল কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিটের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করে। পরে নগর ভবন প্রাঙ্গণে একটি কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী সভাপতিত্ব করেন। 
২৩ মে, ২০২৪

'বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' পেলেন তালাশের নাজমুল সাঈদ
বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ পেলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানীমূলক অনুষ্ঠান তালাশের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ। টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে তিনি সেরা রিপোর্টার হিসেবে নির্বাচিত হন। 'ফ্ল্যাটের আশায় নিঃস্ব তারা' শিরোনামে প্রকাশিত অনুসন্ধানটির জন্য এই স্বীকৃতি পান তিনি। বুধবার (২২ মে) বিকেলে ঢাকাস্থ সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ এর উদ্যোগে নিরাপদ নগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও 'বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' এর আয়োজন করা হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের প্রধান সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক মো. সাইফুল আলম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নাজমুল সাঈদের হাতে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। নাজমুল সাইদ স্থানীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতা শুরু করলেও ঢাকায় আমাদের সময়, আমাদের অর্থনীতি, শীর্ষ নিউজ ডটকম, বাংলামেইল টুয়েন্টিফোর ডটকম, দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম, দীপ্ত টেলিভিশন, বৈশাখী টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন ও বর্তমানে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানীমূলক অনুষ্ঠান তালাশের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় খুব সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন এই সাংবাদিক। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নাজমুল সাঈদ প্রথম আলো মাদক বিরোধী পুরস্কার-২০১৮, আহছানীয়া মিশন মাদক বিরোধী পুরস্কার-২০২০, টিআইবি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০২৩ , ক্র্যাব বেস্ট রিপোটিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩। নাজমুল সাঈদ এ বছর মিনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়ে সেরা ৫ এ ছিলেন। এ ছাড়াও সাংবাদিকতার জন্য বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন এই সাংবাদিক।  এদিকে, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ জিতেছেন নিউ এইজ এর রাশেদ আহমেদ, বণিক বার্তার আল ফাতাহ মামুন, সমকালের অমিতোষ পাল ও লতিফুল ইসলাম, সারাবাংলা ডট নেট এর রাজনীন ফারজানা।
২২ মে, ২০২৪

ডেঙ্গু নিয়ে কারও ওপর দায় চাপাতে চাই না : তাপস
ঢাকায় ডেঙ্গু নিয়ে কারও ওপর দায়ভার চাপাতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে দায়ী করতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করা হলে আমরা মাঠপর্যায়ে আরও ফলপ্রসূ ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে পারব। যেমন : গত বছর আমাদের অনেক রোগীর তথ্য দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমরা যাচাইবাছাই করে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। এ ছাড়াও যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আমাদের শুধু তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন তাদের তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। তাদের তথ্যও অত্যন্ত জরুরি। কারণ যিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। আবার যিনি ডেঙ্গু রোগী কিন্তু বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন, তার তথ্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজউক প্রতিনিধির কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা চেয়ে ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আপনাদের কাছে নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা থাকে। রিহ্যাবের বাইরেও অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়। সেজন্য আপনারা যদি সেসব নির্মাণাধীন ভবনের তালিকাটা আমাদের কাছে সরবরাহ করেন, তাহলে আমরা যৌথভাবে অভিযানগুলো পরিচালনা করতে পারব। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উদ্দেশে মেয়র বলেন, গতবারের ন্যায় এবারো আমাদের আওতাধীন এলাকার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ একবার পরিষ্কার করা হবে। পরে যদি আপনারা সপ্তাহে একদিন শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করেন, তাহলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও সহজ হবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন সচেতনতা সৃষ্টি হবে তেমনি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণও নিরাপদ থাকবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন মো. আলতাব হোসাইন, করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, বর্ডার গার্ড হাসপাতাল ঢাকার পরিচালক লে. কর্নেল শফিউল আশরাফ রুবেল, রাজউক পরিচালক শামসুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদ, বাংলাদেশ বেতারের উপপরিচালক মাহফুজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ঢাকা ওয়াসা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর, রিহ্যাব, বাংলাদেশ রেলওয়ে, মাউশিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২১ মে, ২০২৪

মেয়রের সামনে কাউন্সিলর রতনকে জুতাপেটা করলেন চামেলী
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনকে জুতাপেটা করেছেন সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। সোমবার (২০ মে) দুপুরে নগর ভবনে করপোরেশনের বোর্ড সভায় এ ঘটনা ঘটে। সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন। ডিএসসিসির বোর্ড সভায় উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ২২ এপ্রিল নারী কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলীর একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২৪ এপ্রিল তাকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।  ডিএসসিসির কাউন্সিলররা ধারণা করছেন গুলিস্তান, পল্টন, আনন্দবাজার এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অঘোষিত দ্বন্দ্ব চলছিল। এ ছাড়া গত ২২ এপ্রিল ওই নারী কাউন্সিলরের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে। এর পেছনে রতনকে সন্দেহ করে আসছিলেন রোকসানা ইসলাম চামেলী। হয়তো এসব কারণেই জুতাপেটার এমন ঘটনা ঘটেছে। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, সোমবার বেলা ১১টায় ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে দ্বিতীয় পরিষদের ২৫তম করপোরেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। সভার শুরুতে ডিএসসিসি মেয়র তার নেতৃত্বে দ্বিতীয় পরিষদের চার বছরের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। আগামী এক বছরের মধ্যে প্রতিশ্রুতির বাকি কাজ শেষ করতে ৭৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সহযোগিতা চান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসসিসির এক কাউন্সিলর বলেন, আজ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তের ডানপাশে একটি চেয়ারে বসেছিলেন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। আর বাঁ পাশে অন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে সামনের সারিতে বসেছিলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন। দুপুর ১২টার দিকে নিজ আসন থেকে উঠে রতনের সামনে গিয়ে দাঁড়ান চামেলী। কোনো কথা বা তর্ক ছাড়াই হুট করে পা থেকে জুতা খুলে রতনকে পেটাতে থাকেন চামেলী। এ সময় আশপাশের কাউন্সিলররা এগিয়ে গিয়ে চামেলীকে থামান। তবে জুতাপেটার সময় রতন চুপচাপ করে নিজ আসনে বসেছিলেন। আরেক কাউন্সিলর বলেন, ঠিক কী কারণে চামেলী রতনকে জুতাপেটা করেছে, তা জানা যায়নি। করপোরেশন সভায় তাদের তর্কও হয়নি। চামেলীর এমনকাণ্ডে সবাই হতভম্ব। ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বারবার চামেলীকে থামতে বলেন। কিন্তু তিনি থামছিলেন না। একপর্যায়ে অন্য নারী কাউন্সিলররা চামেলীকে করপোরেশন সভা থেকে বের করে দেন। পরে করপোরেশন সভা চালিয়ে নেন ডিএসসিসি মেয়র। এসময় অন্য কাউন্সিলররা চামেলীর বহিষ্কারের দাবি জানান। এক নারী কাউন্সিলর বলেন, ডিএসসিসির ইতিহাসে করপোরেশন সভায় এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কখনো ঘটেনি। আজকের ঘটনা ডিএসসিসিতে কলঙ্ক হয়ে থাকবে। ডিএসসিসির সব নারী কাউন্সিলর চামেলীর বহিষ্কার চান। জানতে চাইলে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন বলেন, আমি বুঝে উঠতে পারিনি, পেছন থেকে এসে এভাবে মারবে। আমি হতভম্ব! তার (চামেলী) সঙ্গে আমার পূর্বে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। হুট করে আজ করপোরেশন সভায় এমন ঘটনা (জুতাপেটা) করেছেন। তখন ডিএসসিসি মেয়র তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।  আপনার প্রতি এমন আক্রশের কারণ কী জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন রতন আরও বলেন, আমি জানি না। এটা পারিবারিক শিক্ষার অভাব। একটা বোর্ড সভায়, যেখানে মেয়র মহোদয় উপস্থিত সেখানে এরকম ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। এ বিষয়ে কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী বলেন, আমি তো বোর্ড সভায় ছিলাম। এরকম ঘটনা ঘটেছে কি না আমি জানি না। কেউ যদি প্রচার করে তাহলে সেই ভালো-মন্দ বলতে পারবে। আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না। কাউন্সিলর রতনের গায়ে আপনি হাত তুলেছেন না কি সেই আপনার গায়ে হাত তুলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।
২০ মে, ২০২৪
X