কলড্রপ নিয়ে কাল থেকে অ্যাকশন : পলক
মোবাইলে কথা বলার সময় কল কেটে গেলে অর্থাৎ কলড্রপ হলে আগামীকাল থেকে অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কলড্রপ হলে কোনো মোবাইল অপারেটরকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি। রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সভায় মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এমন হুঁশিয়ারি দেন পলক। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিশ্চিত করা, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেই সেবা পাচ্ছে কিনা এবং সুলভমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট দেওয়ার যে উদ্দেশ্য সেটা গ্রাহক পাচ্ছে কিনা আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার মোবাইল অপারেটরগুলো করছে কিনা। পলক আরও বলেন, কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট, তেমনি বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস’ খুব একটা সন্তোষজনক নয়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। কলড্রপে গ্রাহকের ক্ষতিপূরণে কঠোর হওয়া হবে উল্লেখ করে পলক বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করবো। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাবে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কলড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব। শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব। এক্ষেত্রে অপারটেরদের সহায়তাও দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেব যাতে নদীটা পার হতে পারেন। আমরা বলব, সাঁতরিয়ে নদীটা পার হন। এক্ষেত্রে অপারেটরদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক টাওয়ার স্থাপনে সহায়তার আশ্বাস দেন পলক। পাশাপশি খরচ কমাতে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ, স্থাপনা নির্মাণের মতো সরকার প্রদত্ত সুবিধা নেওয়ার জন্য অপারেটরগুলোকে পরামর্শও দেন তিনি।
৩০ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী মালয়েশিয়া : পলক 
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি খাতে মালয়েশিয়া বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসার পরিসর বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে একথা জানান পলক। সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার এ আগ্রহের কথা ব‌্যক্ত করেন। তবে সেক্ষেত্রে কিছু চ‌্যালেঞ্জের কথাও এ সময় তুলে ধরা হয় বলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন পলক। বৈঠক শেষে পলক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে বেশ কিছু মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করতে চায় এবং ব্যবসার পরিসর বাড়াতে চায়। সেক্ষেত্রে রাজস্বসহ অন্যান্য কিছু বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান এবং বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইডটকোর পরিচালক (ফিন্যান্স) আহমেদ জুবায়ের আলী উপস্থিত ছিলেন।
২০ জুন, ২০২৪

কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা (আইটিইএস) খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন এবং আবারও করা হবে। শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর উদ্যোগে “বাক্কো মেম্বারস মিট-২০২৪” অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পলক বলেন, বর্তমানে দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বার্ষিক রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ খাতে সরকার কর ছাড় দেওয়ায় অল্প সময়ে বাজার এত বড়  হয়েছে। চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজার বড় করতে হবে। সেটা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। সে লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন।  তিনি বলেন, বাক্কো’র প্রায় চার’শ কোম্পানিতে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা প্রত্যেকে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এবং বাংলাদেশের সম্পদ।  বাক্কো’র প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াহিদ শরিফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাক্কো’র সেক্রেটারি জেনারেল মি. তৌহিদ হোসেন, বাক্কো’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট  আবুল খায়ের।
০৫ মে, ২০২৪

‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ এ স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরলেন পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ওরাকলের গ্লোবাল চিফ ইনফরমেশন অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ইভান্সের সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নেন পলক। এ সময় ‘বুদ্ধিমান ক্লাউড বিনির্মাণে এআই এর ব্যবহার’ শীর্ষক এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি।  আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। আলোচনায় পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যের পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যার লক্ষ্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি; এ চারটি প্রধান ভিত্তির ওপর ২০৪১ সাল নাগাদ অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদ্ভাবনী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট জাতিতে রূপান্তর করা।  প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো বিকাশ করেছি, আমরা আমাদের সমস্ত সরকারি পরিষেবাগুলোকে ক্লাউড ফার্স্ট অ্যাপ্রোচের ভিত্তিতে তৈরি করেছি। ডিজিটাল সরকারি পরিষেবা প্রদানে ওরাকলের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ক্লাউড, যা ওরাকলের সাথে অংশীদারিত্বে আমরা চালু করেছি। আমাদের পরিষেবাগুলোকে নির্বিঘ্নে প্রদান করা এবং নিরাপত্তাসহ ক্লাউড স্টোরেজ, প্রসেসিং সুবিধা এবং এই সমস্ত এআই ফিউশন সুবিধায় ওরাকলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলা নববর্ষ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্থান করে নিতে যাচ্ছে : পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের জীবনে নতুন মাত্রা দিয়েছে। যেটা আমাদের জাতীয় গণ্ডি পেরিয়ে এই নববর্ষের উদযাপনটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নিতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি মূল অংশ। আজকে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা অঙ্কনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের সঙ্গে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে আরও সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারছি। এই ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনাটি করতে ৬৫০ এর বেশি শিল্পী গত কয়েকদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি ১২ হাজার লিটারেরও বেশি রং ব্যবহার করে আঁকা হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ মিঠামইনে বাংলালিংকের উদ্যোগে আয়োজিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা উপভোগকালে এসব কথা বলেন জুনাইদ পলক। এ সময় তিনি ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনার শেষ আঁচড় প্রদান করেন। প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন আমাদের রাজনৈতিক মুক্তিকে নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের প্রয়োজন অর্থনৈতিক মুক্তি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি তখনই টেকসই হবে যখন আমরা সাংস্কৃতিক বিপ্লব সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারব। তিনি আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মুক্তি এবং স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তিকে টেকসই করার জন্য আমরা ৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পথে আছি। নববর্ষের সর্বজনীন উদযাপনের মধ্য দিয়ে সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে আমাদের একটি আনন্দের উৎসবের দিন হচ্ছে বাংলা নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ।  পলক আরও বলেন, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মনোপলি ছিল। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তখন তিনি মোবাইলের মনোপলি ভেঙে দেন।  তিনি বলেন, সেই সময় বিএনপির একজন তৎকালীন নেতা সরকারের মন্ত্রীর একমাত্র মোবাইল টেলিফোন কোম্পানি ছিল, আর অন্য কোনো লাইসেন্স বাংলাদেশের ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু মোবাইলের মনোপলি ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশে মোবাইলে বিপ্লব করেছেন। টেলিকম সেক্টর অন্যতম একটি সফল প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বাংলালিংক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তারা একদিকে যেমন গ্রাম-গ্রামান্তরে ফোরজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিয়েছে, অপরদিকে সরকারি সেবাগুলো দেওয়ার জন্য ভূমিকা রেখেছে। আজকে বাংলাদেশে ১৯ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী, ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি নববর্ষের উৎসবটাকে বিশ্ব অঙ্গনে আলপনা আঁকার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এবং এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা অসাম্প্রদায়িক ও প্রবৃদ্ধিশীল প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। ঐতিহ্যবাহী হাওরের মিঠামইন, অষ্টগ্রাম এবং ইটনা ঐতিহাসিক একটি অর্জন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হাওরে বিস্ময়কর রাস্তা করে দিয়েছেন। যার ফলে আজকে হাওরবাসী যে রকম একটি আধুনিক সড়ক ব্যবস্থায় সংযুক্ত হয়েছে, অপরদিকে হাওর এলাকাটি একটা অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।  তিনি বলেন, হাওরে এই পর্যটন কেন্দ্রটি একসময় শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বিদেশি পর্যটকদের পরিদর্শনের জন্য আকর্ষণ করবে।  এ সময় কিশোরগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

সাতক্ষীরাবাসীদের যেসব সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাতক্ষীরায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি পার্ক করা হবে। সব উপজেলায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট দেওয়া হবে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে স্মার্ট উপহার হিসেবে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চিংড়ি চাষ নয়; সাতক্ষীরায় বসে আউটসোর্সিং করে নারীরা ডলার, পাউন্ড, ইউরো আয় করছেন। প্রশিক্ষণ নিয়ে মাত্র চার মাসে যোগ্য ও দক্ষ হয়ে উঠেছেন আমাদের নারীরা। স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। পোস্ট অফিসকে ডিজিটালাইজেশন করে সব সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি উচ্চ গতির ইন্টারনেটের উদ্বোধন করেন। তালার শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিনকে ফাইটার প্লেন বানাতে যত টাকা লাগে সরকার সেই সহযোগিতা করবে জানান। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একে ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। তারানা সুলতানার পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’র উপ-প্রকল্প পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে এ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ২৪০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X