প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিবে ঢাবি শিক্ষক সমিতি
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ ছাড়া ২৬ মে (রবিবার) একই দাবি নিয়ে একটি মানববন্ধন আয়োজন করবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রোববার (১৯ মে) অনুষ্ঠিত ঢাবি শিক্ষক সমিতির এক সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সোমবার সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় আগামী ২৬ মে রবিবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে এবং এই সময়ের মধ্যে প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ বাতিল না হলে ওই মানববন্ধন থেকে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এতে আরও বলা হয়, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে জারিকৃত এসআরও নং ৪৭-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এটি প্রত্যাখ্যান করে ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় উপস্থিত শিক্ষকরা এই পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাখ্যানপূর্বক তীব্র প্রতিবাদ করেন। এক মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ বাতিলের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদের জরুরি সভায় ৩০ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৭ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ওই কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬১ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করে সর্বজনীন পেনশনে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের পক্ষে মতামত প্রদান করেন।  
২০ মে, ২০২৪

ঢাবি শিক্ষক সমিতি ড. ইউনূসের নোবেল পুরস্কার স্থগিতের অনুরোধ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দেশের শ্রম আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে। তাই বিচারকাজ চলার সময় তার নোবেল পুরস্কার স্থগিত রাখতে নোবেল কমিটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে তিনি এ অনুরোধ জানান। ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে ১৬০ জন আন্তর্জাতিক ব্যক্তি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন দাবি করে এর প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, এরই মধ্যে ড. ইউনূস রাজস্ব মামলায় অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন। যেহেতু আমাদের রাষ্ট্রীয় আইনে তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং শ্রম আইনে তার বিচার প্রক্রিয়া চলছে, তাই নোবেল কমিটির কাছে আমাদের অনুরোধ, এ বিষয়ে একটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসের এ পুরস্কার যেন স্থগিত করা হয়। ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কিছু মানুষ যারা আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত, তারা যখন কোনো অন্যায় এবং দুর্নীতির পক্ষে অবস্থান নেন, তখন মানবতা লজ্জিত হয়। প্রতিটি সমাজেই কিছু মানুষ থাকেন, যারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত। এ ১৬০ জন, যারা বিচার প্রক্রিয়াধীন একটি বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, তারা নীতিজ্ঞান বিবর্জিত মানুষ। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, যে প্রতিষ্ঠান ১৬০ জনের বিবৃতি প্রচার করেছে, তারা টাকার বিনিময়ে করেছে। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য ড. ইউনূস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নোবেল বিজয়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। মানববন্ধনে আরও ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, অধ্যাপক আবদুস সামাদ, অধ্যাপক আবদুল বাছির, অধ্যাপক জিয়া রহমান, অধ্যাপক হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু প্রমুখ। ২০১ কৃষিবিদের বিবৃতি: ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২০১ বিশিষ্ট কৃষিবিদ। গতকাল গণমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠান কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) দপ্তর সম্পাদক এম এম মিজানুর রহমান। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন কেআইবির সাবেক মহাসচিব ড. মির্জা এ জলিল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এনামুল হক, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, সাবেক সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কেআইবির কার্যনির্বাহী সদস্য কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এ কে এম সাইদুল হক চৌধুরী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কেআইবির কার্যনির্বাহী সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদসহ ২০১ জন।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X