আংশিক দায়মুক্তি পেলেন ট্রাম্প
আংশিক দায়মুক্তি পেলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন তিনি। সোমবার (০১ জুলাই) মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তাকে আংশিক দায়মুক্তি দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সংবিধানের অধীনে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেগুলোর জন্য দায়মুক্তি পাবেন। তবে নিজের এখতিয়ারের বাইরে নেওয়া পদক্ষেপের জন্য দায়মুক্তি পাবেন না তিনি।  সুপ্রিম কোর্টের নয় সদস্যের একটি বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত দেন। তাদের মধ্যে ছয়জনই ট্রাম্পের পক্ষে ছিলেন। আর বিপক্ষে ছিলেন বাকি তিনজন। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে এই প্রথম অপরাধের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তির প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দিলেন সুপ্রিম কোট।  এর আগে ২০২০ সালে নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগ থেকে সুরক্ষা থেকে পেতে ট্রাম্পের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। সর্বোচ্চ আদালতের এমন সিদ্ধান্তের ফলে নিম্ন আদালতের ওই আদেশ বাতিল হয়ে গেল।  আদালতের এমন  আদেশের ফলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং ক্যাপিটল হিলে হামলার মামলাগুলো পরিচালনা করা সরকারি কৌঁসুলিদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। প্রধান বিচারপতি মামলায় এমন একটি নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে সরকারি কৌঁসুলিদের সাজানো মামলাটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 
০২ জুলাই, ২০২৪

ট্রাম্প না বাইডেন, কাকে চায় রাশিয়া-চীন-ভারত
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনের এই মাঠে লড়বেন গতবারের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডেমোক্রেটিক দলের জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পাশাপাশি পুরো বিশ্বই গভীর মনোযোগে তাকিয়ে আছে নভেম্বরের ঘোষিত নির্বাচনের দিকে। বাইডেন নাকি ট্রাম্প—সেই প্রশ্নে বন্ধু দেশগুলোর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর আগ্রহই যেন বেশি। বিশেষ করে রাশিয়া, চীন, ভারতের মতো পরাশক্তি দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে, তা তুলে ধরা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে। কাকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চাইবেন পুতিন? পুতিন বলেছেন, তিনি আসলে জো বাইডেনকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চান। কারণ, বাইডেনকে অনেক বেশি ‘অনুমান’ করা যায়। তবে প্রকাশ্যে পুতিন এ কথা বললেও এটাকে প্রকৃত সত্য ভেবে নেওয়া ঠিক হবে না। জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্টকে ‘খুনি’ হিসেবে অবিহিত করেছেন এবং মস্কোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং রাশিয়াকে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যেই নিজের ভাগের প্রতিরক্ষা ব্যয় পূরণ করতে ব্যর্থ হবে, রাশিয়া সেখানে ‘যা খুশি তাই করতে পারবে’। অবশ্য বাইডেন বা ট্রাম্প, কাউকেই আপন ভাবতে পারবে না মস্কো। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ক্রেমলিনকে রীতিমতো হতাশ করেছেন। তাই মস্কো খুব সম্ভবত এই নির্বাচনকে ন্যাটো-দর্শন, ইউক্রেন-দর্শন এবং একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখছে, যা তাদের ভূরাজনৈতিক কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শি জিনপিং কাকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট দেখতে চাইবেন? বাইডেন ও ট্রাম্প উভয়েই বিশ্ববাণিজ্যে চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রায় একই নীতিতে চলেন। কিন্তু চীনের আঞ্চলিক প্রভাবের বিরুদ্ধে দুই প্রার্থীর মনোভাব সম্পূর্ণ ভিন্ন। চীনের জন্য অবশ্য উভয় প্রার্থীই অপছন্দের। বেইজিংয়ের চোখে চঞ্চলমতী ট্রাম্প ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে তাদের দুর্বল করে দিতে পারেন। তবে, তার আমলে একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে আবারও বাণিজ্য-লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কাও করে চীন। বাইডেন আরও চার বছরের জন্য ক্ষমতায় ফেরেন, বেইজিং সম্ভবত এটাও চায় না। তাদের বিশ্বাস, বাইডেন যেভাবে জোট গঠন করে চলেছেন, তাতে নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। ভারত কাকে চাইবে? চীনের বিরুদ্ধে ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় মিত্র ভারত। একই সঙ্গে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় কে আসবেন, সেটা নিয়ে ভারত খুব একটা ভাবছে না। ট্রাম্প বা বাইডেন যেই প্রেসিডেন্ট হোন, ভারত তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধু সম্পর্ক নিয়েই চলবে।
৩০ জুন, ২০২৪

বাইডেনের সঙ্গে বিতর্ক নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই ফল মানবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে একে অন্যকে নানা ইস্যুতে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন জো বাইডেন ও ট্রাম্প। দুজনই দিয়েছেন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর। একপর্যায়ে বিতর্ক পরিচালনাকারী সিএনএনের সঞ্চালক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান নির্বাচনে যেই জিতুক তিনি ২০২৪ সালের ফল মানবেন কি না। তিনি বারবার প্রশ্নটি উপেক্ষা করছিলেন ও রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে চলে যাচ্ছিলেন। ফের তাকে প্রশ্নটি করা হয়। জবাবে ট্রাম্প বলেন, যদি সুষ্ঠু, আইনগত ও ভালো নির্বাচন হয় তাহলে অবশ্যই ফল মানবেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে তার বড় ধরনের কারচুপির অপ্রমাণিত দাবির পুনরাবৃত্তি করেন। তা ছাড়া বাইডেনকে তার বয়স সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যখন দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করবেন তখন তার বয়স হবে ৮৬। তিনি হবেন সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট জবাবে বলেন, এক সময় তিনি সবচেয়ে কমবয়সী আইন প্রণেতা বলে সমালোচনার শিকার হতেন ও ট্রাম্প তিন বছরের ছোট এবং অনেকটাই কম যোগ্য। অন্যদিকে ট্রাম্পকে বলা হয়, যে তার বয়স এখন ৭৮ ও দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে তা হবে ৮২ বছর। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তার স্বাস্থ্য ভালো ও তিনি এ সময় গলফ খেলার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। অন্যদিকে বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে তাকে তীব্র আক্রমণ করেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাইডেন। এ নিয়ে তিনি ট্রাম্পকে ‘কটূক্তি’ করেন। ট্রাম্পকে একজন দোষী সাব্যস্ত অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করেন বাইডেন। বিতর্কের একপর্যায়ে বাইডেন বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে একাধিক মামলা রয়েছে, সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। প্রকাশ্যে এক নারীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ট্রাম্পকে যে আদালত জরিমানা করেছেন, সে কথাও তোলেন বাইডেন।
২৯ জুন, ২০২৪

ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে যেসব মিল আপনাকে বিস্মিত করবে!
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ইস্যুতেই আলাদা। কিন্তু কিছুটা কাছ থেকে দেখলে আপনি দেখতে পাবেন যে, মূলত দুই প্রার্থীর মধ্যেই বৈদেশিক নীতি, বাণিজ্য এবং এমনকি অভিবাসন নীতি নিয়েও কিছু আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে।  যদিও সিএনএন-এ বৃহস্পতিবারের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের সময় আপনার দুজনের এই মিলের বিষয়ে খুব বেশি কিছু শোনার সম্ভাবনা নেই। এটি সর্বোপরি একটি বিতর্ক। বরং এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে,  বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যকার এবারের বিতর্ক হতে পারে স্মরণকালের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পেইনের মধ্যে সবচেয়ে ফলপ্রসূ বিতর্কগুলোর একটি। ভবিষ্যৎ কমান্ডার ইন চিফ হিসাবে দুই প্রার্থীর মধ্যে তুলনা করার সময় ভোটারদের তাদের মেজাজ, ধারাবাহিকতা এবং কোন বিষয়ে অনুমান করার যোগ্যতার বিষয়গুলোও বিবেচনা করা উচিত। সর্বোপরি, আমেরিকার মিত্র এবং প্রতিদ্বন্দ্বীরা বিশ্বের নেতৃস্থানীয় পরাশক্তির সাথে মোকাবিলা করার সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ধারণা পেতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা অবজ্ঞা নয়, বরং তারা সম্মানজনক আচরণ প্রত্যাশা করেন। এই প্রচেষ্টার একটি চমৎকার উদাহরণ হলো- চলতি বছরের শেষ নাগাদ ন্যাটোর সকল সদস্য  জিডিপির ২ শতাংশ তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষায় ব্যয় করবেন। এটি ওবামা প্রশাসনের সময় একটি নীতিগত লক্ষ্য ছিল, যখন বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিন্তু আপনি জানেন না যে, প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প কিভাবে ক্রমাগত ন্যাটো সদস্যদের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াতে প্রকাশ্যে তিরস্কার করেছিলেন। তিনি মিথ্যা দাবি করেছিলেন যে, ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে যারা ২ শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি, তাদের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক বিলিয়ন ডলার ‘পাওনা’ ছিল।  জার্মানির মতো আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের ট্রাম্প ভুলভাবে সমালোচনা করেও তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সূঁচ পরিমাণও নড়াতে পারেননি। কিন্তু এটি অবশ্যই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জার্মানদের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। ২০১৮ সালে মাত্র ১১ শতাংশ জার্মান ট্রাম্পের ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছিল। এ ছাড়া, Pew/Körber ফাউন্ডেশনের একটি জরিপ অনুসারে, তার শাসনামলে সাধারণভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও ২০ শতাংশ কমে যায়। এ ছাড়া, আমেরিকান নীতিতে দ্রুত পরিবর্তন করেন তিনি। যেমন, ট্রাম্প প্রকাশ্যে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উনের জন্য তার ‘ভালোবাসা’র কথা ঘোষণা করেছেন। অথচ, দেশটি কয়েক দশক আগে থেকেই আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠার পাশাপাশি মার্কিন মিত্র, এমনকি চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্যও অস্থিরতার সৃষ্টি করে। চীন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসকের নামমাত্র মিত্র হতে পারে, কিন্তু কিমের বিস্তৃত পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং তার পারমাণবিক মেজাজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া চাইনিজদের জন্য অস্বস্তিকর।  চায়না যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের ২১ শতকের বৈদেশিক নীতির মূল ইস্যুটি কী হবে এ ব্যাপারে বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। ট্রাম্প তার পূর্বসূরি প্রেসিডেন্টদের চেয়ে চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন। চীনের অর্থনীতি সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটি রাজনীতিতেও উদারীকরণ করবে বলে দীর্ঘদিনের যে বিশ্বাস ছিল, ২০১৭ সালে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে সেই বিশ্বাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসা হয়। বরং তার পরিবর্তে, ট্রাম্প প্রশাসন চীনকে একটি সমকক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী  হিসাবে বিবেচনা করা শুরু করে এবং অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রকে  নিয়ে গঠিত "দ্য কোয়াড" এর মতো ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্বকে সংকুচিত করা শুরু করেন। ট্রাম্প চীনা পণ্যের উপর বিপুল শুল্ক আরোপ করেন, যা উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।  অনুমান করুন তো, এরপর কি ঘটেছিল? যখন বাইডেন হোয়াইট হাউসে পৌঁছেন, তিনি তখন ট্রাম্পের চেয়েও দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেন। তিনি আগের আরোপিত শুল্ক বজায় রাখার পাশাপাশি নতুন করে চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ১০০% করারোপ করেছিলেন। চীনা সামরিক বাহিনী যাতে লাভবান না হয়, সেজন্য বাইডেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কম্পিউটার চিপসের মতো খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করেন। ২০২২ বাইডেন সিক্সটি মিনিট (60 minutes) কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, চীন আক্রমণ করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষা করবে। এর মধ্যদিয়ে তাইওয়ান সম্পর্কে আমেরিকার দীর্ঘদিনের  "কৌশলগত অস্পষ্টতা" নীতি পরিত্যাগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অথচ, দ্বীপটিতে আক্রমণ করলে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া কি হবে সে বিষয়ে এতদিন চীন কেবল ধারণার ওপরই নির্ভরশীল ছিল। মার্কিন গোয়েন্দারা মূল্যায়ন করেছেন যে, মাও সেতুং এর পর সবচেয়ে শক্তিশালী চীনা নেতা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার সেনাবাহিনীকে তাইওয়ানে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।  গাজা যুদ্ধ এরপর মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া যাক, যেখানে গাজা  যুদ্ধ চলছে। পূর্বে, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতকে গুরুত্ব সহকারে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তেল আভিভে থাকা মার্কিন দূতাবাস বিতর্কিত জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করার মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়া হয়। এতে বিক্ষোভকে উস্কে দেওয়া হয় এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। কারণ,  ইসরায়েলিদের মতো ফিলিস্তিনিরাও বিশ্বাস করে যে, জেরুজালেমই তাদের রাজধানী। ক্ষমতায় থাকাকালীন, ট্রাম্প ইসরায়েলকে অন্ধভাবে পশ্চিম তীরে কেবল বসতি স্থাপন  সম্প্রসারণ করতে দেওয়াই নয়, বরং তিনি ইসরায়েলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড ফ্রিডম্যানকে নিযুক্ত করেছিলেন। ফ্রিডম্যান  দীর্ঘস্থায়ী মার্কিন নীতির বিপরীতে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে, ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের কার্যকলাপ বেআইনি। এমনকি ইসরায়েল যদি পশ্চিম তীরের কিছু অংশকে দখলও করে নিত, সেটিও ট্রাম্প প্রশাসন সমর্থন করত।  এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পারিবারিক বন্ধু -ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন, যা ইসরায়েল এবং কিছু আরব রাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। কিন্তু ওই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের কিছুই দেয়নি।  অন্যদিকে, বাইডেন প্রশাসন আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তির আসন্ন সম্প্রসারিত রূপ হিসেবে সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণকে অন্তর্ভুক্ত করে। যা ৭ই অক্টোবর হামাসকে ইসরায়েলে হামলা চালাতে আংশিক প্ররোচিত করেছে বলে মনে করা হয়। হামাসের ওই হামলার দুই সপ্তাহ আগে এক  বিরল এক সাক্ষাৎকারে সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান ফক্স নিউজকে বলেন, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য "প্রতিদিনই আমরা নিকটবর্তী হচ্ছি"। অক্টোবরে একটি প্রচারাভিযানের অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, হামাস এই ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিককরণকে ব্যাহত করতে চেয়েছিল। মূলত নেতানিয়াহুর সঙ্গে হতাশা বাড়তে থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলি নেতাকে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনাহীন আলিঙ্গনকে অব্যাহত রাখে বাইডেন প্রশাসনও। এমনকি, নেতানিয়াহুর প্রতি বাইডেনের সমর্থনের নিজস্ব নামও রয়েছে “দ্য বিয়ার হাগ”। বাইডেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মাঝে মধ্যে গাজায় হতাহতের মাত্রা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছেন এবং দীর্ঘদিন নেতানিয়াহুর সাথে কথাবার্তাও বন্ধ ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতি তাদের শক্তিশালী সমর্থন অব্যাহত ছিল। বরং এই সমর্থনকে আরও স্পষ্ট করতে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের এফ-ফিফটিন( F-15) যুদ্ধবিমান বিক্রির জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। হামাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে ইসরায়েল যে বোমা ব্যবহার করেছে তার অনেকই সরবরাহ করেছে মার্কিন সরকার। ঠিক একইসময়ে, অনাহারে থাকা গাজাবাসীদের সহায়তা পেতে সাহায্য করার জন্য ভূমধ্যসাগরে আমেরিকার নির্মিত ও বহুল প্রচারিত ঘাটটি ছিল একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা। এমন একটি যুদ্ধের কথা মনে করা কঠিন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র একইসাথে যুদ্ধবাজদের একজনকে বিপুল অস্ত্র এবং অন্য পক্ষকে ত্রাণ সরবরাহ করেছে।  ইরান এবং সৌদি আরব প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরবে, যেখানে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। কারণ তার ইরানবিরোধী অবস্থান সৌদি স্বার্থের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত ছিল। ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের সাথে ওবামা প্রশাসনের করা পারমাণবিক চুক্তি  প্রত্যাহার এবং দুই বছর পরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি ড্রোন হামলায় ইরানের অন্যতম  প্রধান সামরিক নেতা মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন।  কারণ ট্রাম্পের মতে, সোলেইমানি "শত শত আমেরিকান বেসামরিক নাগরিক এবং সেনাদের লক্ষ্যবস্তু, আহত এবং হত্যা করেছিলেন।" বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এখন এমবিএস (বিন সালমান) এর প্রতি আস্থা রাখেন, কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তির রাস্তা রিয়াদের মধ্যস্থতায়ই সম্ভব, যদি ইসরায়েলি এবং সৌদি আরব দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতির কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়। অন্যদিকে, ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার কিছু প্রাথমিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, বাইডেন প্রশাসন চুক্তিটি নবায়ন করেনি। এই বছরের শুরুর দিকে জর্ডানে তিনজন আমেরিকান সৈন্যকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন একটি ড্রোন হামলার অনুমোদন দেন, এতে বাগদাদে ইরান-সমর্থিত এক মিলিশিয়া নেতা নিহত হয়। সিরিয়ায় ইসরায়েলিরা একজন শীর্ষ ইরানী জেনারেলকে হত্যার পর, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে রক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্ব দেয়। ইরান প্রতিশোধ হিসেবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত শত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যদিও ওই হামলা ইসরাইলে উল্লেখযোগ্য কোনো  ক্ষতি সাধনে সক্ষম হয়নি। (সংক্ষেপিত) সিএনএন অবলম্বনে অনূদিত। অনুবাদ: মোহসিন কবির।
২৮ জুন, ২০২৪

জেলেনস্কিকে দুঃসংবাদ দিলেন ট্রাম্প
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের আগে আবারও ইউক্রেন ইস্যুতে কথা বলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আগামী নভেম্বরে ফের হোয়াট হাউজে প্রবেশ করতে পারলে  ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা বন্ধ করবেন৷  তুরস্কের গণমাধ্যম মেহর নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।  রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি হয়ত এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকা যেকোনো রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সেলসম্যান। তিনি যখনই আমাদের দেশে আসেন, তখনই ৬০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে চলে যান। বারবার তিনি আর্থিক সহায়তা চান। তার চাওয়া আর কখনই শেষ হয় না। আমি এটির মীমাংসা করব।  এর আগে ট্রাম্প একাধিকবার ঘোষণা করেছিলেন, ফের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসলে ইউক্রেনের সংঘাত বন্ধ করতে সক্ষম হবেন।  
১৬ জুন, ২০২৪

কারাদণ্ড হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ে যাবেন ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কারাগারে যেতে হলেও তিনি নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকবেন। ট্রাম্পের আইনজীবীদের একজন আলিনা হাব্বা গতকাল রোববার বিবিসিকে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করায় হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লড়াইয়ে ট্রাম্পের কোনো কিছুই বদলাবে না। ট্রাম্প রাজনৈতিক ও নির্বাচনী বিচারের শিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করতে ব্যবসার নথি জালিয়াতির অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে দোষীসাব্যস্ত করেছেন ১২ সদস্যের জুরিবোর্ড। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবার কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন। তবে তিনি অভিযোগ করে আসছেন যে বিচারে কারচুপি করা হয়েছে এবং প্রসিকিউশন রাজনৈতিকভাবে সাজানো। আগামী ১১ জুলাই বিচারক এই মামলার আনুষ্ঠানিক রায় ঘোষণা করবেন। তবে ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি এ মামলায় আপিল করবেন। এদিকে বিচারের সময় ট্রাম্পের পাশে থাকা ৪০ বছর বয়সী আইনজীবী হাব্বা বলেন, কারাদণ্ড দেওয়া হলেও আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প লড়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু দুর্নীতি আমরা দেখেছি। তবে বিচারব্যবস্থায় এর আগে এমন দুর্নীতি দেখা যায়নি।’ তিনি বিচারক জুয়ান মার্চানকে ‘অত্যাচারী’ বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সাক্ষীদের আক্ষরিকভাবে ক্রুশবিদ্ধ করার অভিযোগ করেন এই আইনজীবী।
০৩ জুন, ২০২৪

ট্রাম্প ৩৪ অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত, সাজা ঘোষণা ১১ জুলাই
ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি আদালত এ রায় দেন। ওই মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সবকটিতে দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা। আদালতের এই রায়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি অপরাধের জন্য দোষীসাব্যস্ত হলেন। আগামী ১১ জুলাই এ মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তাকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি। রায়ের বিরুদ্ধে শিগগিরই আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার দলের পক্ষ থেকে একে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় বলে অভিহিত করা হয়েছে। আর রায়ের পর ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট শিবিরে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজমুখে কিছু বললেও তার নির্বাচনী প্রচার টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ এদিকে এ রায় নির্বাচনে কি ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। তবে শেষ পর্যন্ত এ রায় নির্বাচনে কি ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা বলার সময় এখনো আসেনি বলে বেশিরভাগ বিশ্লেষকই মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আদালতের রায় আসার পরই তার সমর্থকরা অনলাইনে হিংসাত্মক ভাষায় পোস্ট দিতে শুরু করেছে। ট্রাম্পপন্থি ওয়েবসাইটগুলোতে দাঙ্গা, বিপ্লব এবং হিংসাত্মক প্রতিশোধ নেওয়ার ডাক দিচ্ছে তারা। খবর সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্টের। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা এই মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। তার হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন ১২ বিচারকের একটি বেঞ্চ। এর আগে তারা রায় নিয়ে ১১ ঘণ্টা আলাপ-আলোচনা করেন। এমন সময় এ রায় ঘোষণা করা হলো, যখন কয়েক মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার প্রেসিডেন্ট পদে আসতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে রায়ের কারণে তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাধা আসবে না। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটা তার জন্য মর্যাদাহানিকর। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন। খুব শিগগিরই তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান। তবে এটাই কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একমাত্র মামলা নয়। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা চলছে। এ ছাড়া, প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষের পর হোয়াইট হাউস থেকে সরকারি গোপন নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে করা আরও একটি মামলা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরছেন তিনি। সব মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি ও তার দল রিপাবলিকান পার্টি বলে আসছে। বৃহস্পতিবার যে মামলায় রায় দেওয়া হয়, তাতে সাজা ঘোষণা করা হবে আগামী ১১ জুলাই। তাতে তার কারাদণ্ড হতে পারে। তবে বিশ্লেষকদের মতে জরিমানা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নির্বাচনে যেমন প্রভাব পড়বে: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে নিউইয়র্কের একটি আদালতে। এই ঐতিহাসিক রায়ে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কী প্রভাব পড়তে পারে, সেটা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী কেনেডি পরিবারের সদস্য রবার্ট এফ কেনেডি। তিনি পূর্বাভাষ দেন, নিউইয়র্ক ট্রায়ালের সিদ্ধান্তে ট্রাম্পের অসুবিধার চেয়ে সুবিধাই বেশি হবে। টেক্সাস ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কিথ গ্যাডি জানান, ট্রাম্পের বিচারের রায়ে মার্কিন নির্বাচনের ওপর কী প্রভাব পড়বে, তা এখনো বলার সময় আসেনি। তিনি বলেন, ‘হয়তো এতে ভোটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে কিছু মানুষ তাদের ভোটের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন।’ সাউদার্ন মেথোডিস্ট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর প্রেসিডেন্সিয়াল হিস্ট্রির পরিচালক জেফ্রি অ্যাঙ্গেল বলেছেন, কী ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে কোনো ধরনের ইঙ্গিত পেতে আমরা প্রায়ই ইতিহাসের আশ্রয় নেই; কিন্তু এই ঘটনার কাছাকাছি এমন কোনো ধরনের রেকর্ড পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না। দাঙ্গা ও বিপ্লবের ডাক ট্রাম্পপন্থিদের: সমর্থকদের কয়েকজন জুরিদের ওপর হামলা, বিচারক হুয়ান মার্চেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা এবং সরাসরি গৃহযুদ্ধ ও সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্যাট্রিয়টস ডট উইনে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘নিউইয়র্কে কোনো পিছটান নেই এমন কারও উচিত মারচেনের খেয়াল রাখা। তার চাপাতি হাতে কোনো অবৈধ অভিবাসীর মুখে পড়ার আশঙ্কা আছে বলেই মনে করছি।’ গেটওয়ে পাণ্ডিতের আরেকটি পোস্টে একজন আদালতের রায়ের পর উদার মনস্কদের গুলি করার পরামর্শ দিয়েছেন। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সময় হয়েছে বামদের মুখ বন্ধ করার, তবে ভোট দিয়ে তা করা যাবে না।’
০১ জুন, ২০২৪

আদালতে দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প
আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যবসায়ক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বৃহস্পবিতার (৩০ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে করা ৩৪টি অভিযোগের সবকটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।  সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টেদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম ব্যক্তি যিনি ফৌজদারি অপরাধে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন। আগামী ১১ জুলাই তার এ মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে।  এতে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। তবে সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জরিমানা করার সম্ভাবনা বেশি বলছেন আইনজ্ঞরা।  রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, তিনি ন্যায়বিচার পাননি। বিষয়টি তার জন্য মানহানিকর। আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।  ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটি ছাড়াও আরও মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের ঘড়যন্ত্রের একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে সরকারি পোপন নথিপত্র সঙ্গে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।  আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার ২০০৬ যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এরপর ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুলতে তিনি তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন। ঘুষের এ অর্থ ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন স্টর্মির হাতে তুলে দেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে লেনদেনের বিষয়টি গোপন করেন তিনি। অন্যদিকে আদালতে এ অভিযোগ বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প।  নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে এ মামলাটির দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে শুনানি হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার ১২ জন বিচারকের একটি বেঞ্চ তাকে অভিযুক্ত করেন। আদালত অভিযুক্ত ঘোষণার আগে বিচারকরা প্রায় ১১ ঘণ্টা আলাপ-আলোচনা করেছেন।  যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে তাতে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। অন্যদিকে আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে যাচ্ছেন তিনি। বিবিসি জানিয়েছে, মামলার রায়ের কারণে তার নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না।  ট্রাম্পের আইনজীবীদের অভিযোগ, মামলার রায়ের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি ভুল কিছু করেননি। আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। 
৩১ মে, ২০২৪

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের উচিত শিক্ষা দেবেন ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করবেন। আর এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের উচিত শিক্ষা দেবেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এই তথ্য জানায় আলজাজিরা। নির্বাচনী প্রচারণার অর্থায়নকারী ও দাতাদের সঙ্গে আলাপ করার সময় রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ট্রাম্প অঙ্গীকার করেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দমন করবেন তিনি। বৈঠকে দাতাদেরকে ট্রাম্প ‘আমার ৯৮ শতাংশ ইহুদি বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। একই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন এরকম কয়েকজন ব্যক্তি ট্রাম্পের বরাত দিয়ে বলেন, ‘আমি একটা জিনিস করতে চাই, যা হলো, কোনো শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করলেই তাকে আমি দেশ থেকে বের করে দেব। আপনারা জানেন, (যুক্তরাষ্ট্রে) অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী আছে। যখনই তারা এটা শুনবে, তারা ভদ্র আচরণ শুরু করবে। আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, এবং আমি মনে করি আপনাদের অবশ্যই সেটা করা উচিত, আমি যদি আবারও জিতে যাই, তাহলে আমি এই আন্দোলনকে ২৫ থেকে ৩০ বছর পিছিয়ে দেব’। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ১৪ মে দাতাদের এই বৈঠকে অংশ নেন ট্রাম্প। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দাতাদের নাম প্রকাশ করেনি ওয়াশিংটন পোস্ট। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করায় বৈঠকে নিউইয়র্ক পুলিশের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। অন্য শহরগুলোরও নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে অনুসরণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইসরায়েল ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করে একটি শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার ট্রাম্পের সঙ্গে লবিং করেছে প্রধান রিপাবলিকান দাতারা। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সামনে রেখে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে পুঁজি করে নোংরা রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্প ও বাইডেনের বিরুদ্ধে।
২৯ মে, ২০২৪

মার্কিনিদের ওপর হামলা করতে সেনাবাহিনী গঠন করছে অভিবাসীরা : ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, অভিবাসীরারা মার্কিনিদের ওপর আক্রমণ করার জন্য সেনাবাহিনী গঠন করছে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য জায়গা থেকে আসা অভিবাসীরা আমেরিকানদের শহর দখলের ষড়যন্ত্রে মেতেছে। খবর রয়টার্সের।  বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নিউইয়র্ক সিটির দক্ষিণ ব্রঙ্কসে এক সমাবেশে ট্রাম্প এসব বলেন। তিনি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে প্রচারসভা করছেন ট্রাম্প।  ওই সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য জায়গা থেকে আসা অভিবাসীরা সংঘবদ্ধ হচ্ছে। তারা আমেরিকানদের আক্রমণ করার জন্য সেনাবাহিনী গঠন করছে। তিনি চীন, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের হুমকি হিসেবে চিত্রিত করেন। অথচ সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা অপরাধ কর্মকাণ্ডে অভিবাসীদের জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি নয়। ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি- অভিবাসীদের মধ্যে যারা যুদ্ধের জন্য সামর্থবান পুরুষ তারা একটি সেনাবাহিনী গঠন করছে। তারা আমাদের ভেতর থেকে আক্রমণ করবে। আমরা এই লোকেদের যুক্তরাষ্ট্রে আসতে দেব না এবং আমাদের শহরকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে দেব না। এবার নির্বাচিত হলে আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘অপরাধমূলক নির্বাসন অভিযান’ চালানোর অঙ্গীকার করছি। স্থানীয়দের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেতে এর আগেও ট্রাম্প অভিবাসীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তার প্রচারাভিযানজুড়ে বারবার উস্কানিমূলক ভাষা ব্যবহার করেছেন। তিনি এর আগে অভিবাসীদের হিংসাত্মক অপরাধে ইন্ধন দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তাদের ‘পশু’ বলেও অভিহিত করেছেন। এপিল মাসে মিশিগানে ও উইসকনসিনের গ্রিন বে এলাকায় প্রচার সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের ‘পশু’ ও ‘অমানুষ’ বলে মন্তব্য করেন। তখন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গালাগাল করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কয়েকটি মামলার কথা উল্লেখ করে এসব অপরাধে অভিবাসীদের জড়িত থাকার ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, ৫ নভেম্বরের ভোটে তাকে বিজয়ী না করলে যুক্তরাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। ট্রাম্প বলেন, জর্জিয়ার এক শিক্ষার্থী খুনের পেছনে জড়িত ভেনেজুয়েলার এক অভিবাসী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তিনি আরও বলেন, ‘কিছু অভিবাসী আছে যারা পুরোপুরি মানুষ না। তাদের পশু বলে ডাকতে ডেমোক্র্যাটরা নিষেধ করে। তারা তাদের মানুষ বলে। আমি বলি, এসব অভিবাসী মানুষ নয়। তারা পশু।’
২৪ মে, ২০২৪
X