বাংলাদেশকে নিয়ে পরিকল্পনা আঁকছেন গিলেস্পি
পাকিস্তানের নতুন টেস্ট কোচ হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার জেসন গিলেস্পি। কোচ হিসেবে তার প্রথম আন্তর্জাতিক এসাইনমেন্ট হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। পেশাদার ক্যারিয়ারেও শেষ টেস্ট খেলেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। এবার কোচ হিসেবে তার শুরুটা হচ্ছে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। বাংলাদেশের সঙ্গে খেলার সুখকর স্মৃতি এখনো ভুলেননি তিনি। তবে কোচ হিসেবে পাকিস্তান দলকে নিয়েও নিজের পরিকল্পনা আঁকতে শুরু করেছেন গিলেস্পি। পাকিস্তান দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গিলেস্পি বলেছেন, ‘এখন আবার বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা। আমার মনোযোগ থাকবে পাকিস্তান যেন ভালো খেলে সেদিকে।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের শেষ টেস্টে নাইটওয়াচম্যান হয়ে ২০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি, যা এখনো রেকর্ড। তবে সে স্মৃতিতে পড়ে থাকতে চান না এই কোচ, ‘আমি অবশ্যই আমার শেষ টেস্ট ম্যাচ নিয়ে পড়ে থাকব না (হাসি)। তবে দারুণ স্মৃতি, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’ টেস্টে পাকিস্তানকে উপরের দিকে নিয়ে যেতে যান গিলেস্পি। তার পরিকল্পনার কথা তিনি শোনালেন এভাবে, ‘আমার সব মনোযোগ এখন পাকিস্তান দলের ওপর। আমি কীভাবে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারি, সে চেষ্টা করব। বাংলাদেশ খুব ভালো দল। প্রতিপক্ষ নিয়ে যেভাবে বিশ্লেষণ করা দরকার, আমরা তা করব। চেষ্টা করব তাদের বিপক্ষে যেন প্রভাব বিস্তার করতে পারি।’ ২১ আগস্ট শুরু হওয়া বাংলাদেশ টেস্ট নিয়েও মুখিয়ে তিনি, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার প্রথম টেস্ট ম্যাচ হবে এটি। আমি সে জন্য মুখিয়ে আছি।’
৯ ঘণ্টা আগে

পাকিস্তানে খেলার জন্য রোমাঞ্চিত শান্ত
দুটি টেস্ট খেলতে আগামী আগস্টের মাঝামাঝিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। আসন্ন এই সফরটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেরও অংশ। আগামী ২১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান সফরে যেতে এবং খেলতে মুখিয়ে তার দল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শান্ত বলেন, ‘আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে দল হিসেবে আমরা পাকিস্তান ফিরতে মুখিয়ে আছি। পাকিস্তানে খেলা সব সময় চ্যালেঞ্জিং, তবে রোমাঞ্চকর ব্যাপারও।’ পাকিস্তানের সঙ্গে আগে খেলা ১৩ টেস্টের একটিতেও জয় লাভ করেনি বাংলাদেশ। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার ইঙ্গিত দিলেন শান্ত, ‘ঘরের মাঠে শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে আমাদের সেরাটি দিতে হবে।’ আসন্ন সিরিজটি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলোর সূচি নিশ্চিত করায় আমরা পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। এ সিরিজে আমাদের পরীক্ষা হবে। কিন্তু এ সংস্করণে আমাদের উন্নতি দেখানোরও সুযোগ এটি।’
০৫ জুলাই, ২০২৪

রোহিতদের পরের লক্ষ্য টেস্টের রাজদণ্ড
বার্বাডোজে শনিবার (২৯ জুন) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ছোট সংস্করণের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ১৭ বছর পর আবার সাফল্য পেয়েছে তারা। সেই সাফল্যের দুদিন না কাটতেই নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ভারত। তাদের পরের লক্ষ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রাজদণ্ড আগেও জিতেছে ভারত। কিন্তু তখন সেরা দুই দলের ফাইনাল হতো না। র‌্যাঙ্কিং সেরার হাতে তুলে দেওয়া হতো রাজদণ্ড। এখন টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে সেরা দুই দল খেলে ফাইনালে। আগের দুবার টানা টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের ফাইনাল খেলেছে ভারত। প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছিল। গতবার তারা ফাইনাল হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অনেক দিন ধরেই আইসিসির টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে পারছিল না ভারত। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। তাই নতুন লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দল যেভাবে উন্নতি করছে, তাতে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা। এ দুই টুর্নামেন্টে প্রায় একই দল খেলবে। সিনিয়র ক্রিকেটাররাও থাকবে। ওই দুই ট্রফি আমরা জিততে চাই।’ ২০২৫ সালের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ফাইনাল খেলার লক্ষ্য রোহিতদের।
০১ জুলাই, ২০২৪

বন্ধের পথে পুলিশের ডোপ টেস্ট
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদস্যদের মাদকমুক্ত রাখতে ২০২০ সালে শুরু হয় ডোপ টেস্ট বা মাদক শনাক্তকরণ কার্যক্রম। এতে প্রথম বছরেই ১২০ পুলিশ সদস্যের শরীরে মাদকের উপস্থিতি মেলে। অবশ্য পরের তিন বছরে মাদক গ্রহণ করেন—এমন পুলিশ সদস্য শনাক্ত হন মাত্র ১৪ জন। ডোপ টেস্ট শুরুর পর গত চার বছরে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৪ জনে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদক শনাক্তের পর শাস্তির মুখোমুখিও হতে হয় ওই পুলিশ সদস্যদের। তবে শনাক্ত কিংবা শাস্তি পাওয়া সবাই কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার। কারণ উপরের পদের কেউ এ পরীক্ষার আওতায় আসেননি। এতে বাহিনীর ভেতরেই দাবি ওঠে ‘সবার জন্য সমান নিয়ম করার।’ কার্যত এ কারণেই পুলিশের ভালো উদ্যোগটি বন্ধের উপক্রম। পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পর্যন্ত নন-ক্যাডার হলেও এএসপি থেকে তার উপরের কর্মকর্তারা বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা। তবে নন-ক্যাডার থেকে পদোন্নতি পেয়েও কেউ কেউ এএসপি বা এডিশনাল এসপি পর্যন্ত হন। পুলিশের নন-ক্যাডার সদস্যদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ডোপ টেস্ট চালুর পর শুধু নন-ক্যাডারদের তালিকা করে পরীক্ষা করা হয়েছে। রহস্যজনকভাবে ক্যাডার সদস্যদের নাম আসছে না সে তালিকায়। তাদের দাবি, সব পুলিশ সদস্যের জন্যই যেন এক নিয়মে চলে। এক বাহিনীতে দ্বৈত নিয়ম যেন না হয়। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নানা প্রতিবন্ধকতায় এএসপি থেকে তার উপরের কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্ট না হওয়ায় নিচের পদের সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। এ নিয়ে বাহিনীর নীতিনির্ধারক পর্যায়ে কয়েক দফা কথাও বলেছেন। মূলত তারপর থেকেই ডোপ টেস্টের গতি রহস্যজনকভাবে কমে আসে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ডোপ টেস্ট কি তাহলে বন্ধের পথে? ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরের উপকমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ডোপ টেস্ট বন্ধ হয়নি। ইতোমধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন ১২৪ জন। চাকরি হারানোর ভয়ে ডিএমপির সদস্যদের মাদক গ্রহণের হার কমেছে। যে কারণে সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পাওয়া যাচ্ছে কম, শনাক্তও হচ্ছে কম। এ ছাড়া ডোপ টেস্ট সব পর্যায়ে না হওয়ায় একটি পক্ষের অসন্তোষ তো রয়েছেই। এসব কারণে কার্যক্রমটি গতি পাচ্ছে না। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালের মার্চে ডিএমপিতে ডোপ টেস্ট শুরুর ঘোষণা আসে। প্রথম বছর তা চলেও জোরেশোরে। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্য শনাক্ত হন ১২০ জন। ২০২৩ সালে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৬-এ। যার মধ্যে ৯৮ জনই কনস্টেবল, আটজন নায়েক, সাতজন এএসআই, এসআই ১১ জন, একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট ও একজন পরিদর্শক। কিন্তু পরবর্তী ১৪ মাসে শনাক্ত হন মাত্র আটজন। ডিএমপি সদর দপ্তর জানায়, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত ১৩৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন ১২৪ জন। একজন মারা গেছেন এবং একজন অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে। দুজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অন্য ছয়জনের বিরুদ্ধেও পদাবনতিসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জানা যায়, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজারবাগ ব্যারাকে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও ব্যবসায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। এ প্রেক্ষিতে রাজারবাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ডিএমপি সদর দপ্তরের এক গোপন প্রতিবেদন পাঠায়। এ ভিত্তিতে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া পুলিশে মাদক নির্মূলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি পরের বছর অবসরে যান। এরপর দায়িত্ব পান মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি ঘোষণা দিয়ে ডিএমপি সদস্যদের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন। আর সে ঘোষণা আসে ২০২০ সালের ১০ মার্চ। এর পর থেকেই সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ডিএমপি সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, তৎকালীন কমিশনারের নির্দেশের প্রতিটি বিভাগে চিঠি দিয়ে সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যের তালিকা চাওয়া হয়। সে তালিকা কমিশনারের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ যাচাই-বাছাই করে সন্দেহভাজনকে পরীক্ষা করা হয়। পুলিশের বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল কালবেলাকে বলেন, পুলিশের কেউ যদি মাদকাসক্ত বা শৃঙ্খলাবিরোধী ন্যূনতম অপরাধ করে, তাহলে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। এখানে কোনো র্যাঙ্ক বা কে কর্মকর্তা, তা দেখার সুযোগ নেই। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে পুলিশের সদস্যদের ডোপ টেস্ট করানো হয়। পুলিশকে মাদকমুক্ত রাখতে ডোপ টেস্টের এই উদ্যোগ অনন্য উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের এক নেতা কালবেলাকে বলেন, আমরাও চাই পুলিশ সদস্যরা মাদকমুক্ত থাকুক। কিন্তু বাহিনীতে এটি সবার জন্য সমান হতে হবে। ধরে ধরে কনস্টেবল, এএসআই, এসআই, ইন্সপেক্টরদের টেস্ট হবে, এটা কোনো নিয়ম হতে পারে না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতনদের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছি। কেননা, ঊর্ধ্বতন কারও ডোপ টেস্ট হয়েছে—এমন কোনো তথ্য এখনো পাইনি। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন নামের সংগঠনটি কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পর্যন্ত সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ডোপ টেস্টের বিরোধিতা কখনোই করা হয়নি। আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা আছে—পুলিশে যাকে সন্দেহজনক মনে করা হবে, তার ডোপ টেস্ট হবে। সেটা টপ টু বটম। টেস্ট করে যার পজিটিভ আসবে, সে পুলিশে চাকরির যোগ্যতা হারাবে। পুলিশে মাদকাসক্তের কোনো স্থান নেই। এ বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, টেস্টের গতি কমেছে, তা সত্য। পুলিশে মাদকাসক্তদের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য কম আসছে। সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া গেলে টেস্ট করা হয়। শুরুতে যেমন একসঙ্গে অনেকের টেস্ট হয়েছে, এখন এমনটা হচ্ছে না। যার বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাদের টেস্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অতীতে মাদকাসক্তের কারণে ক্যাডার কর্মকর্তাদেরও চাকরি চলে যাওয়ার রেকর্ড আছে। আসলে মাদক বা অন্যায়-অনিয়ম করলে পুলিশে চাকরির সুযোগ নেই।
১১ মে, ২০২৪

ডোপ টেস্ট পজিটিভ আসলে ভর্তি বাতিল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তির সময় ডোপ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। টেস্টের ফল পজিটিভ হলে ভর্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ। রোববার (৫ মে) চবি উপাচার্য প্রফেসর মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমিটির এক সভায় ডোপ টেস্টের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক আমাদের সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। তাই আমরা এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের চবিতে চূড়ান্ত ভর্তির আগে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ কালবেলাকে বলেন, ডিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডোপ টেস্টের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হবে। তবে প্রথমবারের মতো শুধু ভর্তিচ্ছুদের ক্ষেত্রেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সকল শিক্ষার্থীদেরই এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে।  বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, এতদিন যা ঘটে গেছে তা গেছে। এখন থেকে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রথমদিকে আমরা ভর্তির জন্য ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট নেব। ডোপ টেস্ট পজিটিভ এলে ভর্তি বাতিল হবে। 
০৬ মে, ২০২৪

রোহিতদের হটিয়ে টেস্টের এক নম্বর দল এখন অস্ট্রেলিয়া 
এতদিন ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের র‌্যাঙ্কিংয়ে একক রাজত্ব ছিল ভারতের। ওয়ানডে,টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির এক নম্বর দল অবশ্য একটিতে নিজের রাজত্ব হারালো। রোহিত শর্মার দলকে টেস্টের এক নম্বর স্থান থেকে নামিয়ে দিয়েছে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জয়ী দল অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়েরও এক নম্বর দল। এই ভারতকে হারিয়েই গত বছরের জুনে ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতে নিয়েছিল অজিরা। ভারতকে হারিয়ে প্যাট কামিন্সের দলের শিরোপা জয়ের সুফল মিলল র‌্যাঙ্কিংয়েও। আইসিসির বার্ষিক হালনাগাদ র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন টেস্টের সেরা দল অস্ট্রেলিয়া। এক নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার রেটিং পয়েন্ট ১২৪। ১২০ রেটিং নিয়ে দুইয়ে আছে ভারত। এছাড়া বাকি দলগুলোর পজিশনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ওয়ানডের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাতে থাকা শ্রীলঙ্কার (৯৩) সঙ্গে ছয়ে থাকা ইংল্যান্ডের (৯৫) রেটিং ব্যবধান মাত্র ২। ৮৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আট ও ৮০ রেটিং নিয়ে নয়ে আছে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য র‌্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন এসেছে। ২৫০ পয়েন্ট নিয়ে ছয় থেকে চারে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ধাপ অবনমন হয়েছে পাকিস্তানের। ২৪৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন ৭ নম্বরে। ২৩১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে ৯ নম্বরে। প্রসঙ্গত, বার্ষিক র‌্যাঙ্কিং শুধু এ বছর নয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে গত তিন বছরের পারফরম্যান্স। এর মধ্যে ২০২১ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত পারফরম্যান্সকে ৫০ শতাংশ ও সবশেষ এক বছরকে শতভাগ হারে বিবেচনায় নিয়েছে আইসিসি।
০৩ মে, ২০২৪

বিশ্বকাপের আগে টাইগার কোচের ‘বিশেষ’ পরিকল্পনা
দ্বিতীয় মেয়াদে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিয়ে টেস্টের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে গত বছর অক্টোরবের ওয়ানডে বিশ্বকাপের কারণে সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেননি তিনি।  এর মধ্যে ডিসেম্বরে টেস্টে সিলেটে নিউজিল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ। এতে কিছুটা ছেদ পড়ে সেই পরিকল্পনায়। পরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতে টাইগাররা। এতেও নতুন পরিকল্পনা নিয়ে পিছু হটেন লঙ্কান কোচ।  তবে ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে শ্রীলঙ্কার কাছে নাস্তানাবুদ হয় বাংলাদেশ দল। এবার টনক নড়েছে হাথুরুসিংহের। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ক্রিকেটের দীর্ঘ ফরম্যাট নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। বিশেষ করে টিম মিটিংয়ে টেস্ট ব্যাটারদের অনুশীলন পরিকল্পনা জানিয়ে দিয়েছেন টাইগারদের হেড কোচ।  শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্পোটিং উইকেটে রান পাননি ব্যাটাররা। এ জন্য টেস্ট ব্যাটারদের সঙ্গে পুরো কোচিং স্টাফ নিয়ে বৈঠক করেন হাথুরুসিংহে। কোচদের কাছ থেকে ব্যাটিং পরিকল্পনা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের টেস্ট ব্যাটার মুমিনুল হক।  বিশেষ করে টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সশিপে পাকিস্তান-ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে ব্যাটারদের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয় মঙ্গলবারের এ বৈঠকে। মুমিনুল হক বলেন, ‘খেলা না থাকলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে কিছু নির্দেশনা দেন কোচ। সে রকম একটা মিটিং ছিল। অবশ্য এবারের মিটিংটা একটু আলাদা। লিগ শেষ হলে টেস্ট ক্রিকেটারদের অনুশীলনে থাকতে বলা হয়েছে। বিসিবি থেকেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হবে।’ টাইগার কোচের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নে কাজ শুরুর কথা জানান বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘জাতীয় দলের পুলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে রাখার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোচ টেস্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং করে পরিকল্পনা দিয়েছেন। বিসিবি এখন কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুশীলনের ব্যবস্থা করবে। কারণ, বিশ্বকাপ শেষে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজ খেলা হবে।’  টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার কথা জানান ক্রিকেটাররা। তবে বোলারদের জন্যও কোচের বিশেষ পরিকল্পনা দিয়েছেন হাথুরুসিংহে। তবে সময় সুযোগ মতো ব্যাটারদের মতো দলের বোলিং বিভাগের সঙ্গেও আলাদাভাবে কথা বলবেন লঙ্কান কোচ। জালাল ইউনুস জানান, ‘এখন থেকে যে পরিকল্পনা করা হবে, সেটা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে। কন্ডিশনিং বা স্কিল ক্যাম্পের পাশাপাশি এ দলের হয়ে চার দিনের ম্যাচ খেলবেন টেস্ট ক্রিকেটাররা।’  
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

টেস্ট পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নিলেই শাস্তি
ময়মনসিংহের নটর ডেম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০ টাকা। একই সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের থেকে টেস্ট পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেস্ট পরীক্ষার নামে এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দেন। এই নির্দেশনা না মানলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

টাইগারদের কাঁদানো কামিন্দুই মাসসেরা
লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ভরাডুবির পেছনে যেমন টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতা দায়ী ছিল, তেমনি প্রভাব ছিল লঙ্কান ব্যাটারদেরও। তার মধ্যে বাংলাদেশকে সবচেয়ে ভুগিয়েছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার কামিন্দু মেন্ডিস। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই শতক হাঁকানো লঙ্কান ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস আইসিসির মার্চ মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। মার্চ মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডায়ার ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরিকে। মূলত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের দাপুটে পারফরম্যান্সেই মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন কামিন্দু। আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়া তৃতীয় লঙ্কান ক্রিকেটার তিনি। তার আগে প্রবাথ জয়সুরিয়া ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার আইসিসির মাসসেরা হয়েছেন। আইসিসিরি তরফ থেকে সেরার স্বীকৃতি পেয়ে বেশ খুশি কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি বলেন, ‘আইসিসি মাসসেরা হতে পেরে আমি অনেক খুশি। এটাকে আমি আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য ইন্সপারেশন হিসেবে নিচ্ছি। এমন স্বীকৃতি আমাদের ক্রিকেটার হিসেবে আরও পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করে। দল, দেশ ও সমর্থকদের জন্য মাঠে পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করে।’   দীর্ঘদিন পর শ্রীলঙ্কার দলে ফিরেছিলেন কামিন্দু। দলে ফিরেই ছন্দে রয়েছেন তিনি। গত মাসটা স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ রান করার পর টেস্ট সিরিজে দাপট দেখান। নারী ক্যাটাগরিতে মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের মায়া বোচার।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

টেস্ট পারফরম্যান্সে চোখ খুলেছে নির্বাচকদের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতা আরও একবার লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুর্বলতা ফুটিয়ে তুলেছে। লঙ্কানদের বিপক্ষে এমন অসহায়ত্বের হারের পর নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর মতে, এমন হতাশাজনক হার তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। স্পোর্টিং উইকেটে বাংলাদেশের সামর্থ্য নিয়েও ধারণা পেয়েছেন তারা। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ভালো করতে এখন নতুন পরিকল্পনা সাজাবেন তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টেই স্পোর্টিং উইকেটের ব্যবস্থা করেছিল বিসিবি। সিলেট-চট্টগ্রাম—দুই মাঠেই ব্যাটিং বিভাগে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রতিপক্ষের পেসারদের বিপক্ষে লড়াই করতে পারলেন না তারা। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের ৩৩ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান পেসাররা। লঙ্কানদের বিপক্ষে এমন অসহায়ত্ব নিয়ে হতাশ লিপুরা। গতকাল মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা হতাশ। ফল যে আমাদের পক্ষেই আসতে হবে, এমন কোনো কথা ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম দলটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, আরও ভালো পারফর্ম করবে।’ তবে স্পোর্টিং উইকেটে খেলে নিজেদের যাচাই করে নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আগেই বলেছি আমরা স্পোর্টিং উইকেটে খেলার চেষ্টা করেছি। কারণ, দেশের পাশাপাশি বাইরে গিয়েও আমাদের অনেক টেস্ট খেলতে হবে। সেজন্য নিজেদের সক্ষমতা-দুর্বলতা যাচাইয়ের জন্যই বিসিবি এই উইকেটের ব্যবস্থা করেছে। এর কারণে হয়তো আমরা এ মুহূর্তে আশাহত; এতে আমাদের দুর্বলতম জায়গাগুলো ফুটে উঠেছে।’ তবে এটা ধরেই এখন ঘাটতি মেটানোর কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। দুই টেস্টেই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। বিশেষ করে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন, লিটন দাসরা একদমই রান করতে পারেননি। তাদের আউটের ধরনগুলোকেও হতাশ করেছে প্রধান নির্বাচককে, ‘আমাদের ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরনগুলো ভালো ছিল না। থিতু হওয়ার আগে কেউ আউট হয়েছেন, যে বলগুলো তারা ছেড়েও দিতে পারতেন! তাদের অফ স্টাম্প কোথায় আছে, সেটা জানলে হয়তো বলগুলো তাড়া করতেন না। প্রথম বলেই কেউ কেউ চালিয়ে দিয়েছেন।’ এখানেই ক্রিকেটারদের লাল বলে খেলার মানসিকতার ঘাটতি দেখছেন তিনি। এমন ভুলত্রুটি এবারই প্রথম—এমনটা বিশ্বাস করতে চান না লিপু। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটা এই সিরিজেই প্রথম হয়নি, আমার মনে হয় এটা রিপিটেশন হয়েছে। এটাকে সিরিয়াসলি নেওয়া উচিত। যে গর্তটা তৈরি হয়েছে, তা ঢেকে দেওয়া উচিত। সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে যারা তত্ত্বাবধায়ক আছেন, তারা তত্ত্বাবধান করবেন; আমরা বিষয়টায় আলোকপাত করব। যারা অ্যানালিস্ট আছেন, তারা ড্রপবক্সে তাদের পৌঁছে দেবেন, কোথায় কোথায় তাদের দুর্বলতা ছিল।’ তবে দুই ম্যাচে বোলাররা যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। ফিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি ক্যাচ মিস করা ও ব্যাটিংয়ে রান না পাওয়া—সবকিছু মিলিয়ে বোলাররা কৃতিত্ব পায়নি জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘বোলারদের অনুপ্রাণিত করতে আমার মনে হয় ব্যাটাররা এগিয়ে আসবেন।’ একই সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে চান নির্বাচকরা।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪
X