টিকটকার মামুনের জামিন
ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন মামুনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। অন্যদিকে বাদীপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় মামলার বাদী লায়লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ১১ জুন আসামি মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের আদালত মামুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৯ জুন তার বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন লায়লা। পরে কুমিল্লার পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করে।
০২ জুলাই, ২০২৪

টিকটকার প্রিন্স মামুনের জামিন
ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন প্রিন্স মামুনের আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। শুনানির সময় এ মামলার বাদী লায়লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে গত ১১ জুন আসামি মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান। এসময় আসামিপক্ষে আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত শাওন রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৯ জুুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। মামলার পর কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরেচ মামুন তাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেইসঙ্গে তাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।
০১ জুলাই, ২০২৪

টিকটকার মামুনের দিন কাটছে নাচে-গানে
কারাগারে থাকা আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে টিকটকার প্রিন্স মামুনের দিন কাটছে নাচে-গানে। লায়লা আক্তার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন প্রিন্স মামুন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কারাবন্দিদের নিয়ে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচতে দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার ফ্যানদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার এর কড়া সমালোচনাও করছেন। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন লায়লা আক্তার। এরপর মামুনকে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ কালবেলাকে বলেন, কারাগার হচ্ছে সংশোধনাগার। ঈদ উপলক্ষে বন্দিদের জন্য বিনোদনের আয়োজন করা হয়। সেখানে মামুন গান-বাজনা করেছে। আমরা চাই সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বন্দিদের মানসিক উৎকর্ষ সাধিত হোক। তাই আমরা নিজেরাই তার গান রেকর্ড করেছি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেছি।
২৪ জুন, ২০২৪

টিকটকার মামুনের পক্ষ নিলেন তসলিমা নাসরিন
টিকটকার প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লায়লা আক্তার ফারহাদকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যা নিয়ে কদিন ধরেই তোলপার নেট দুনিয়া। চলছে আলোচনা-সমালোচনা।  বিষয়টি নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। কেউ লায়লার পক্ষে কেউবা মামুনের পক্ষে কথা বলছেন। আবার অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। বুধবার (১২ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। যেখানে টিকটকার মামুনের পক্ষ নিয়ে শেয়ার করেছেন নানা কথা।  ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রিন্স মামুন ছিল লায়লা আক্তারের জিগোলো। সেই অল্প বয়সী তরুণদের জিগোলো বলা হয় যারা টাকা পয়সা আর নানা উপহারসামগ্রীর বিনিময়ে বয়স্কা মহিলাদের সঙ্গ দেয়। মূলত যৌনসঙ্গ। ৪৮ বছর বয়সী লায়লা ২৪ বছর বয়সী মামুনকে জিগোলো হিসেবেই রেখেছিলেন। মামুনকে তিনি মাঝে মাঝে টাকা দিতেন, তার বিনিময়ে সুদর্শন তরুণটির সঙ্গ উপভোগ করতেন। মামুনকে শুধু যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করতেন না, মামুনকে তিনি টাকা রোজগারের জন্যও ব্যবহার করতেন।  মামুনের পেছনে তিনি যত টাকা ব্যয় করতেন, তার চেয়ে বেশি তিনি মামুনের সঙ্গে ভিডিও বানিয়ে আয় করতেন। জনপ্রিয় টিকটকার মামুন নাচতো বা গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাতো, তার পাশে রঙ করা পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেন লায়লা। এসব অর্থহীন রুচিহীন ভিডিও  ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুকে আপলোড করতেন তিনি। শুধু নাচ গানের ভিডিও নয়, মামুন খাচ্ছে, মামুন হাসছে, মামুন খেলছে – সব কিছুর ভিডিও তার করা চাই, মামুনের জন্য ভিউয়ার সংখ্যা এত বেশি ছিল যে তিনি এ থেকে ভালো টাকা রোজগার করতেন। করতেনই বা বলি কেন, রোজগার এখনো করছেন। তিনি ধনী। মামুন দরিদ্র। তিনি মামুনকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন, মামুনকে খাওয়াচ্ছেন, পরাচ্ছেন। ইচ্ছে হয় মামুনকে তিনি টাকার বিনিময়ে সারাজীবনের জন্য কিনে নেন। মামুনকে বিয়ে করতে চান লায়লা। মামুনের কোনো ইচ্ছে নেই তার দ্বিগুণ বয়সী মহিলাকে বিয়ে করার। চাপাচাপি করলে এক শর্তে সে রাজি, তাকে লায়লার বাড়িটি লিখে দিতে হবে। পাকা জিগোলোর মতোই ব্যবহার মামুনের। কয়েক লাখ টাকা দিয়ে লায়লা হয়তো ভেবেছিলেন নিজের স্বপ্নপূরণ করবেন। কিন্তু মামুন চায় বাড়ি। মামুনকে লায়লা বাড়ি লিখে দেবেন কথা দিয়েও দেন না। মামুন সে কারণে লায়লাকে ছেড়ে চলে যায়।  লায়লার দরকার সঙ্গ, মামুনের দরকার টাকা। এই সম্পর্কটি শুরু থেকেই ছিল দেওয়া নেওয়ার সম্পর্ক। বাড়ি না পেয়ে লায়লার সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন মামুন। সম্পর্কে ইতি টানা মানবাধিকারের অংশ। মেনে নেওয়া উচিত ছিল লায়লার, কিন্তু তিনি মেনে নেন না। যদিও যে কারোরই যে কোনো বন্ধুত্বের, প্রেমের, বিয়ের, এমনকী জিগোলোর সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার অধিকার আছে, কিন্তু মামুনকে সে অধিকার কিছুতেই দিতে চাননি লায়লা। ফেসবুকে সারাক্ষণই মামুনের জন্য তার কান্নাকাটি চলতে থাকে, মিডিয়ার লোক নিয়ে চলে যান মামুনের গ্রামের বাড়িতে। মানুষকে দেখান মামুনকে তিনি খুব  ভালোবাসেন। মামুনকে তিনি সত্যিই যদি ভালোবাসতেন, মামুন তার পায়ের নখের যোগ্য নয়, এ কথা বলতেন না বারবার। মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে তার সর্বনাশ করতেন না!  লায়লার মতো চালাক চতুর নয় মামুন। সে বিশ্বাস করেছিল লায়লা তার ফ্যান, লায়লা তাকে ভালোবাসেন। লায়লা তার জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করবে। হয়তো কোনো দিন সে ভাবতে পারেনি, লায়লা তাকে একদিন জেলখানার ভাত খাওয়াবে। মামুনের পারিবারিক সমস্ত তথ্য প্রকাশ করলেও তার নিজের বয়স কত, তার বিয়ে হয়েছিল কি না, তার সন্তান আছে কি না ইত্যাদি পারিবারিক কোনো তথ্যই লায়লা প্রকাশ করেননি। মিডিয়া কোনো প্রশ্ন করলে তিনি কায়দা করে উত্তর এড়িয়ে গেছেন। মামুনের পরিবারের দারিদ্র্য নিয়ে, মামুন এবং তার পরিবারের সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য তিনি করেননি। নিজের ধন দৌলত নিয়ে লায়লা সব সময় গর্ব করেছেন, নিজের ডিগ্রি, নিজের বেতন, নিজের বাড়ি গাড়ি ধন দৌলত নিয়ে তার অহংকারের শেষ নেই। আর মামুনকে কখন কত টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন, মামুনকে কত টাকা দামের কী উপহার দিয়েছেন, সবই বিশ্ববাসীকে বারবারই জানিয়ে দিয়েছেন। মামুন লায়লাকে বিয়ে করতে রাজি নয় বলে লায়লা এখন মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিয়েছেন, মামুন না কি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এমন বানোয়াট কথা অসৎ না হলে বলা যায় না। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক করলে প্রতারণা হয়, ধর্ষণ হয় না। অনুমতি ছাড়া যৌনসম্পর্ক করলে হয় ধর্ষণ। লায়লার তো এ ব্যাপারে অনুমতির কোনো অভাব ছিল না।  লায়লা বুঝে গিয়েছেন মামুন আর তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবে না, জিগোলো সম্পর্কটিও চুকে বুকে গেছে। মামুনকে আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করাও তার পক্ষে সম্ভব হবে না। বিয়ে করা তো হবেই না। এ কারণে তার এত রাগ মামুনের ওপর। মামুন যে তাকে ভালোবেসে বিয়ে করবে না, সে যে বিয়ে করলে টাকা কড়ি আর বাড়ি গাড়ির বিনিময়ে করবে, এটি লায়লা মেনে নিতে পারেননি। লায়লা বহুবার মামুনকে হুমকি দিয়েছেন তাকে বিয়ে না করলে বা তার সঙ্গে একত্রবাস না করলে, তার সঙ্গে আগের মতো ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েট’ না করলে বা ভিডিও না বানালে তিনি মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলা তুলে নেবেন না। যখন দেখেছেন মামুন কিছুতেই তার কাছে ফিরে যাবে না, তখন বলেছেন, তাকে নব্বই লাখ টাকা দিলে তিনি মামলা তুলে নেবেন। মামুনকে কী করে হেনস্থা করা যায়, কীভাবে তাকে নিঃস্ব করে ফেলা যায়, তিনি করছেন, এভাবেই তিনি তার অনুদার এবং প্রতিশোধপরায়ণ চেহারাটি প্রকাশ করছেন। মামুনের বড় দুই ভাই বোন প্রতিবন্ধী। তারা কথা বলতে পারে না। তার অসহায় মা বাবা আর ভাইবোনের জন্য টিকটিক আর ইউটিউব থেকে উপার্জিত টাকা দিয়ে একখানা একতলা বাড়ি বানিয়েছে মামুন, পরিবারের মানুষগুলোর মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকায় একটি সেলুনের ব্যবসা শুরু করেছে সে। হাজারো ভক্ত মামুনকে দেখতে এসেছিল। সেই সেলুনের উদ্বোধনের দিন লায়লা গিয়েছেন। প্রেস কনফারেন্সের ভিড়ে সবাইকে দেখিয়ে নিজের ওড়না দিয়ে মামুনের মুখের ঘাম মুছে দিয়ে দরদী প্রেমিকার অভিনয় করে আসার দুদিন পর লায়লা ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিয়েছেন মামুনের বিরুদ্ধে।  লায়লার আত্মীয়স্বজন মিলিটারিতে, ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশও মনে হয় মিলিটারির আদেশ পালন করতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সত্যিকার নারীনির্যাতক আর ধর্ষকরা দেশময় ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে না। আর মামুনের মতো স্ট্রাগল করা এক তরুণকে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করেছে। রিমান্ডে নেওয়া হবে বেচারাকে, বেধড়ক পেটানো হবে। যে তরুণ লায়লার চক্রান্তের শিকার, সে এখন শিকার হচ্ছে মিথ্যে মামলার, ফেঁসে গেছে আইনের মারপ্যাঁচে। মামুনের আত্মীয়স্বজন লায়লার আত্মীয়স্বজনের মতো প্রভাবশালী নয়। সুতরাং মামুনকে ভুগতে হচ্ছে, ভুগতে হবে।  না বুঝে সে আটকে গেছে লায়লার পাতা ফাঁদে। মামুনকে মুক্ত করার জন্য, আশা করছি, মানবাধিকারের জন্য যে  আইনজীবীরা লড়েন, এগিয়ে আসবেন। লায়লা আর মামুনের এই দ্বন্দ্ব বা লড়াই আসলে নারীবাদ আর পুরুষতন্ত্রের লড়াই নয়, এ ধনী আর দরিদ্রের লড়াই, সবল আর দুর্বলের লড়াই, দম্ভ আর অসহায়ত্বের লড়াই, শিকারি আর শিকারের লড়াই।    নারী হয়ে জন্ম নিয়েছে বলেই সে ভালো, সে সত্যবাদী, এ আমি মনে করি না। পুরুষ যেমন বদমাশ হতে পারে, নারীও তেমন বদমাশ হতে পারে। উল্লেখ্য, ১০ জুন প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর পরের দিন ১১ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এর আগে গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। 
১৩ জুন, ২০২৪

টিকটকার লায়লাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
ব্যাভিচারে লিপ্ত নর-নারীর সমান শাস্তি এবং লায়লা আখতার ফারহাদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নারী ও পুরুষদের আইনগত সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করা ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি ডা. আব্দুর রাজ্জাক খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, কোষাধ্যক্ষ আল আমিন, ঢাকা জেলা কমিটির ইয়াসির আরাফাত, সোনারঁগাও উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহ জালাল, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লা বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেছে। অথচ আমরা দেখছি, প্রিন্স মামুন ও লায়লা উভয়েই সজ্ঞানে দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে থাকছে। তারা বিবাহিত কী অবিবাহিত এ বিষয়ে তারা কখনো স্পষ্ট করেনি। লায়লার নিজ বাসায় নিয়ে মামুনকে রেখেছে। উল্লেখ্য, লায়লা বিবাহিত ও তার একাধিক সন্তান রয়েছে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল কন্টেন্ট দিয়েছে এবং তা থেকে স্পষ্ট তারা (লায়লা ও মামুন) স্বেচ্ছায় নিজ ইচ্ছায় দীর্ঘদিন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। অথচ আইনের দৃষ্টিতে শুধু প্রিন্স মামুন অপরাধী কিন্তু লায়লা নয়। যা স্পষ্টতো লিঙ্গ বৈষম্যপূর্ণ আইনের কারণে।  যেহেতু উভয়ে সামাজিকভাবে অপরাধী তাই উভয়কেই শাস্তির আওতায় আনা উচিত, যেন পরবর্তী প্রজন্ম এ সব অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে। বর্তমান আইন যেহেতু লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয় তাই দ্রুত এ বৈষম্যপূর্ণ আইনকে পরিবর্তন/ সংশোধন করে যুগোপযোগী করে তোলা আবশ্যক। সংগঠনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, নারী মানেই ভিকটিম এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারীরাও অপরাধ করতে পারে। বর্তমান সমাজে নারীকে নিরপরাধী বলে বিবেচনা করা হয়। ফলে সকল অপকর্মের দায় পুরুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়ায় পারিবারিক সম্প্রীতি আজ ধ্বংসের পথে। লায়লা ও প্রিন্স মামুন একি অপরাধ করার পরেও আইনের দৃষ্টিতে মামুন অপরাধী ও লায়লা ভিক্টিম এ কেমন যুক্তি? সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, লায়লা কোনো কচি খুকি নয়। তার পূর্বেরও দুটি বিয়ের কথা শোনা যায় এবং তার সন্তানও আছে । মামুনের চাইতে লায়লার বয়স বেশি তাই লায়লাকে ভুল বুঝিয়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে এটা কেউ বিশ্বাস করে না। যদি অপরাধ হয়ে থাকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ব্যভিচারে নর-নারী দুজনের শাস্তির বিধান করতে হবে।  বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে নারীকে ব্যভিচারের জন্য শাস্তি দেওয়া যায় না কিন্তু পুরুষের শাস্তির বিধান আছে যা একটি বৈষম্যপূর্ণ আইন। আমরা অতি দ্রুত এ আইন পরিবর্তন এবং লায়লাকেও একই আইনে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
১৩ জুন, ২০২৪

ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুন কারগারে 
ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের রিমান্ড ও জামিন উভয় নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আসামি মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত শাওন রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।  এর আগে গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। মামলার পর সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে মামুন তাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় গিয়ে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে গিয়ে অবস্থান করত। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেইসঙ্গে তাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। 
১১ জুন, ২০২৪

আদালতে টিকটকার প্রিন্স মামুন 
লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১টা ৫০ মিনিটে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। দুপুরে তার উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। মামলার পর সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মামুন তাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। মামুন তার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার তাকে ধর্ষণ করে। পরে সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেইসঙ্গে তাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।
১১ জুন, ২০২৪

ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুন গ্রেপ্তার
টিকটকার প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লায়লা আক্তার ফারহাদকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে কুমিল্লায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুমিল্লা জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলায় ডিবির একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে কাল ঢাকার আদালতে তোলা হবে। এর আগে রোববার (৯ জুন) প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। মামলার বিবরণীতে বলা হয়, আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন লায়লাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। মামুনেন ঢাকায় থাকার মতো কোনো বাসা না থাকায় লায়লা তাকে বিশ্বাস করে নিজ বাসায় রাখে।  ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন। ওইদিন থেকে মামুন লায়লার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লায়লার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। মামুন বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করত। তবে মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ আগের মতো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুন লায়লাকে আবার ধর্ষণ করে। পরে তাকে বিয়ের বিষয়ে বলা হলে সে লায়লার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
১১ জুন, ২০২৪

টিকটকার গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তানিয়া আক্তার নামের এক টিকটকার গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে, টিকটক করতে বাধা দেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে। আর তার বাবার দাবি- স্বামীর বাড়ির লোকজন তার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ী গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তানিয়া আক্তার (২৮) উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ী গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে প্রবাসী এনামুল হকের স্ত্রী। তানিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে। তানিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, এনামুলের সঙ্গে ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য তানিয়ার ওপর নির্যাতন করত স্বামীর বাড়ির লোকজন। এসব বিষয় নিয়ে আগে একাধিকবার সালিশ সভাও হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানান স্থানীয় মেম্বার। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুজিবুর রহমান জানান, গৃহবধূ তানিয়া টিকটক করত। স্বামী এনামুল হক সৌদি আরবে থাকেন। অন্য ছেলেদের সঙ্গে টিকটক করার ছবি এনামুলের নজরে গেলে প্রবাস থেকে স্ত্রী তানিয়াকে এসব করতে নিষেধ করেন। স্বামীর অবাধ্য হওয়ায় একপর্যায়ে এনামুল এসব ছবি তার শ্বশুরের কাছে পাঠানো হবে বলে স্ত্রীকে ধমক দেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে তানিয়া আত্মহত্যা করেছে। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু আহাম্মেদ জানান, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরে কোনো প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, টিকটকার আটক
নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকা থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পর নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পাশাপাশি প্রধান আসামি নীরবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নীরবকে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোরের একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। পথে আলাইপুর এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা উত্তর বড়গাছা এলাকার টিকটকার নীরব ও তার সহযোগী স্টেশন বাজার এলাকার পারভেজ ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেন। পরে ছাত্রীকে খুঁজে না পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই টিকটকার নীরব ও পারভেজকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর সদর থানার পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে। রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার গোচর গ্রাম থেকে অসুস্থ অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং প্রধান অভিযুক্ত টিকটকার নীরবকে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া চলা অবস্থায় ওই ছাত্রী আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। নাটোর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মইনুল হক রিকু বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় পুলিশ ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। গাইনি ওয়ার্ডে ওই ছাত্রীর চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, অপর অভিযুক্ত পারভেজকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। টিকটকার নীরবকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
X