চারদিক / চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি চাই
প্রকৃতির কোলে গড়ে ওঠা দেশের সর্ববৃহৎ ও শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাঁচ দশক পেরোলেও এখনো নির্মিত হয়নি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র তথা টিএসসি। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞানচর্চা, জ্ঞানসৃজন ও মুক্তচিন্তার বিকাশকেন্দ্র। এখানে শিক্ষার্থীরা শুধু পুথিগত বিদ্যা অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বৃত্তের বাইরে গিয়ে চিন্তা করতে শেখে। আর টিএসসি হলো এরকমই একটি বড় প্ল্যাটফর্ম যেখানে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য জ্ঞানচর্চা হয়ে থাকে। সুস্থ আড্ডা, বিভিন্ন সংস্কৃতিচর্চা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান, মনন ও সাংস্কৃতিক ভাব আদান প্রদানে টিএসসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ক্লাসের বাইরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের খুব একটা সান্নিধ্য পায় না। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক প্রকার দূরত্ব থেকে যায়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে টিএসসি না থাকায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যেমন—বিতর্ক ক্লাব, আবৃত্তি মঞ্চ, অঙ্গনসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনকে তাদের কার্যক্রম ও কর্মশালা পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ক্লাসরুম কিংবা উন্মুক্ত জায়গা বেছে নিতে হয়। এতে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম আরও বেগবান করতে টিএসসি নির্মাণ করার কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) নির্মাণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। মো. শাকিল আহমদ শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বাকৃবি টিএসসি ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে খাবারের রেস্তোরাঁগুলো থেকে তুলনামূলক কম দাম ও মান ভালো হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে পছন্দের জায়গা হলো ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যান্টিন। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় সময়ই ওই ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারে সংকট দেখা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে এসেও খাবার পাওয়া যায় না। আবার সকাল ও রাতের খাবারও পাওয়া যায় না। ফলে বাইরের রেস্তোরাঁ থেকে বেশি দামে খাবার কিনে খেতে হয় শিক্ষার্থীদের। আবার ক্যান্টিনে নেই পর্যাপ্ত আসন সংখ্যা। তাই বড় রকমের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। জানা যায়, দুপুর ১২টা থেকে খাবার পাওয়া যায় ক্যান্টিনে। তবে দুপুর ১টা বাজলে প্রায়ই শেষ হয়ে যায় ভাত। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। মাঝে মধ্যেই ক্লাসের সময় হয়ে যাওয়াতে শিক্ষার্থীদের বাইরের খাবার হোটেল থেকে বেশি দামে খেতে হয় দুপুরের খাবার। যেখানে টিএসসিতে ১০ টাকায় দেড় প্লেট ভাত পাওয়া যায় সেটা বাইরে খেতে হলে ১৫ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া মাছ ও মাংসের দাম বাইরের হোটেলগুলোতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখতে দেখা যায়। বাইরের তুলনায় দাম কম হওয়াতে শিক্ষার্থীরা খেতে আসে টিএসটিতে। টিএসটিতে দুপুরে খেতে আসা এক শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাস শেষে দুপুর ১টার দিকে টিএসসির ক্যান্টিনে খেতে আসলে প্রায়ই ভাত শেষ হয়ে গেছে বলেন ক্যান্টিনের ম্যানেজার। এত ভিড় থাকা সত্ত্বেও তারা আগে থেকে ভাত রান্না করে রাখে না। এ ছাড়া শুধু দুপুরের রান্না করা হয়। সকাল ও রাতের খাবার বাইরে থেকে বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদের। খাবারের মানও তেমন ভালো না।      কৃষি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে খাবারের সময় বসার আসন পাওয়া যায় না। অনেকে আড্ডা দেয় আবার অনেকে খাবার টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। এমনিতেই সময় স্বল্পতা অন্যদিকে ক্লাসও ধরতে হবে। অনেক সময় ক্লাসে যেতেও দেরি হয়ে যায়। টিএসসি ক্যান্টিনের ম্যানেজার সোহেল এ বিষয়ে জানান, দ্বিতীয়বার ভাত রান্না হতে একটু সময় লাগে। আর অনেক সময় শিক্ষার্থী কম আসলে অতিরিক্ত রান্না ভাত নষ্ট হয়। এ ছাড়া দুপুরে খাওয়ার সময় অনেকে টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। অনেক শিক্ষার্থী খেতে এসে আসন পায় না। আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করি তারা যেন খাবার ৩ ঘণ্টা সময় পড়াশোনা না করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের চাওয়া এবং সমস্যার কথা লিখিত আকারে জানালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব। শিক্ষার্থীরা চাইলে সেখানে সার্বক্ষণিক খাবার সরবরাহ করা হবে, এতে সমস্যা হবে না।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X