কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভোলার লালমোহন উপজেলায় তানজিলা বেগম নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুন) বিকালে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারখালী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  তানজিলা বেগম (১৮) ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারখালী এলাকার মো. তছির আহমদের মেয়ে। লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন কালবেলাকে বলেন, বিবাহিত এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তানজিলা বেগম। এ নিয়ে তার বাবা-মা রাগারাগি করেন। অনেকক্ষণ তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার মা। একপর্যায়ে তার রুমের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে তানজিলার মা। তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং পুলিশকে জানায়। তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে নিজ বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন ওই কিশোরী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
২২ জুন, ২০২৪

মানিকগঞ্জে আইনজীবীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে আইনজীবীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে সদর উপজেলার পোড়রা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালেহা আক্তার পৌরসভার পোড়রা এলাকার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল রজবের স্ত্রী। এই দম্পত্তির সাদনান আল রিয়াদ (১০) ও সিনান আল রিসাল (১২) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরকীয়ার জেরে সালেহার সঙ্গে কয়েক বছর ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। বুধবার (২৯ মে) ওই আইনজীবী তার নিজ গ্রাম সাটুরিয়ায় উপজেলায় নির্বাচনের ভোট প্রদান করতে যান। রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। এই নিয়ে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে ঝগড়া হয়। সকালে বাড়ি ফিরলেও তাদের মধ্যে পুনরায় একই ঘটনা ঘটে। ঝগড়ার জেরে সালেহা ঘরের দরজা আটকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে তার স্বামী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে তার মরদেহ দেখতে পায়। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সালেহার মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়। মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জেরে পারিবারিক কলহে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
৩০ মে, ২০২৪

মাদ্রাসাছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রংপুরের পীরগাছায় নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের কাশিম মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ছাত্রীর নাম মোহসিনা খাতুন টুম্পা (১৪)। সে ওই গ্রামের আল আমিনের মেয়ে। জানা যায়, টুম্পা স্থানীয় পাওটানাহাট ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে পড়ত। শিশুকালে তার বাবা ও মায়ের বিচ্ছেদ ঘটে। বাবা-মা দুজনেই পরে বিয়ে করেছেন। টুম্পা তার দাদা-দাদির কাছে বড় হচ্ছিল। তার বাবা দ্বিতীয় স্ত্রীসহ জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন। টুম্পার দাদি রাহিমা বেগম বলেন, আমার নাতনি কিছুদিন ধরে মাথাব্যথা ও পেট ব্যথায় ভুগছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যার আগে টুম্পা আমার কাছে মাথায় তেল দিয়ে নিয়েছে। তেল দেওয়ার পর নাতনি আমাকে বলে আমি ঘুমাব, আমাকে ডাকিস না। আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে ঘরে গিয়ে দেখি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। টুম্পার দাদা-দাদি তাদের নাতনি অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে মনে করলেও এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলছেন, টুম্পার আত্মহত্যার পেছনে অন্যকোনো কারণ থাকতে পারে। পীরগাছা থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, আমরা ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃতদেহ পর্যবেক্ষণ করেছি। নারী পুলিশ ও স্থানীয় নারীদের সহায়তায় শালীনতার সঙ্গে মৃতদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করেছি। আলামত জব্দ করেছি। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করেছি। মৃত্যুর বিষয়টি সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হেফাজতে নিয়েছি। ময়নাতদন্তপূর্বক পাশাপাশি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত ইউডি মামলা নিয়ে ময়নাতদন্ত করবে। ময়নাতদন্তের পর অন্যকোনো বিষয় এর পেছনে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।
২৯ মে, ২০২৪

হোটেল থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পিরোজপুরের নেছারাবাদের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মো. ইদ্রিস আলী নামের এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ মে) সকালে নেছারাবাদ থানাসংলগ্ন হোটেল রিলাক্সের দ্বিতীয় তলার ৩২ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।   পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ইদ্রিস আলী উপজেলার মিয়ারহাট বন্দরের একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এবং তার বাড়ি উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বরইবাড়ি গ্রামে। গত ২২ মে রাত থেকে ওই হোটেলের কক্ষে অবস্থান করছিলেন তিনি। হোটেল ম্যানেজার জুয়েল হোসেন জানান, সকাল আটটার দিকে তাকে একাধিকবার ডাকাডাকির পরেও কোনো সাড়া পাইনি। পরে হোটেল কক্ষের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে সাড়া-শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেন। দোকানের কর্মচারী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইদ্রিস মিয়া গত বুধবার রাতে দোকান থেকে বিদায় নিয়ে বের হন। পরে গত ২৩ মে রাতে তারা ইদ্রিসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পান।  ইদ্রিসের স্ত্রী মাহমুদা বলেন, গত বুধবার সকালে বোনের বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। তারপর দুদিন পর্যন্ত রাতে বাসায় আসেননি। আজ সকালে জানতে পারি থানা সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেল থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আতাহার আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনা আমি শুনেছি। ইদ্রিস আলীর বাবা কয়েকদিন আগে মারা গিয়েছেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে তার গ্রামের বাড়ি খুব কাছাকাছি। তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে নদীর ওপারে হোটেলে কেন দুদিন ধরে বসবাস করছে সেটা আমার জানা নেই। বিষয়টি দুঃখজনক। নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, ব্যবসায়ী নিজের কক্ষেই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথামিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২৪ মে, ২০২৪

নাটোরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নাটোরের নলডাঙ্গায় আয়শা সিদ্দিকা নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাঁশিলা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত আয়শা সিদ্দিকী বাঁশিলা মধ্যপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান মন্টুর স্ত্রী। তিনি নাটোর এনএস কলেজের স্নাতক ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে মিজানুর রহমান তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকী ও তার এক সন্তানকে বাড়িতে রেখে বিদ্যালয়ে যায়। সাড়ে ৮টার দিকে পরিবারের অন্য সদস্যরা গৃহবধূর আয়শা সিদ্দিকীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।  পরিবারের দাবি, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আয়শা সিদ্দিকী। নলডাঙ্গা থানার ওসি মনোরুজ্জামান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কয়েকদিন ধরে ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪

শরীয়তপুরে রহস্যজনক মৃত্যু, আমগাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
স্ত্রী আমিরজান বেগম সকালে স্বামীকে মুড়ি খেতে দেওয়ার আগে নলকূপ থেকে পানি আনতে গিয়েছিলেন। সেখানে দেখেন আমগাছে ঝুলছে স্বামী মুজিবুর রহমান মাদবরের মরদেহ। জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দুপুর ১২টায় মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার (১০ মে) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  স্ত্রীর দাবি পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ তার স্বামীকে হত্যা করেছে। প্রতিপক্ষের দাবি, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন তাদের ঝামেলা চলছিল। তাই তারা বলছেন নিজেরাই মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। পরে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে।  নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত মুজিবুর রহমান মাদবর (৬৫) নয়ন মাদবরকান্দি গ্রামের মৃত শামেদ আলী মাদবরের ছেলে। তার ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে।  নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মুজিবুর রহমান মাদবরের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমিসহ আমার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি তার বাড়ির পাশেই পূর্বপাশে আনুমানিক ১০ ফুট দূরত্বে একটি নলকূপের পাশের আমগাছে গলায় বৃদ্ধ মুজিবুর মাদবরের মরদেহ ঝুলছে। দড়ি কেটে আম গাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।  এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানতে চাইলে ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলার পেছনে ঘাড়ে দড়ির দাগ রয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। পোস্টমর্টেমের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট আসার পর বোঝা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা। আর পরিবার অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মুজিবর মাদবরের পরিবারের সঙ্গে চাচাতো ভাই সেকান্দার মাদবরের পরিবারের গ্রাম্য রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে। হত্যা ও মারামারিসহ এ এলাকায় আনুমানিক পাল্টাপাল্টি ১৫টি মামলা চলমান। এ মামলাগুলোতে এ দুই পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনকে পাল্টাপাল্টি আসামিও করা হয়েছে। সে মামলাগুলো আদালতে চলমান।  এ সময় মুজিবুর মাদবরের স্ত্রী আমিরজান বলেন, মরদেহ ঝুলতে দেখে বাড়ির অন্যদের ডেকে আনি। তখন আমার স্বামীর চাচাতো ভাই সেকান্দার মাদবরের ছেলে সুমন মাদবর আমাকে মেহগুনি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। তাদের সঙ্গে এলাকার দলাদলি ও আর জমাজমি নিয়ে মামলা রয়েছে। তাই তারা আমার স্বামীকে মেরেছে।  অভিযোগ অস্বীকার করে মৃত মুজিবর মাদবরের চাচাতো সেকান্দার মাদবরের ছেলে সুমন মাদবর  বলেন, মাঝে মাঝেই মুজিবুরের সঙ্গে তার পরিবারের লোকজন ঝগড়া করতেন। এমনকি তাকে ঠিকমতো খেতেও দিতেন না। গতকাল রাতেও মুজিবুর মাদবর তার স্ত্রী আমিরজান ও মেয়েদের সঙ্গে ঝগড়া করেছেন। সকালে এমন ঘটনা ঘটার পরে আমিরজান বেগম স্বাভাবিক ছিলেন। ঘটনার পরে তার নাতিসহ অন্যরা পালিয়ে চলে যায়। এ সময় আমিরজান চলে যেতে চাইলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি আপনার স্বামী মারা গেছেন, আপনি কোথায় যাচ্ছেন? এরপর সে চলে যেতে চাইলে আমি তার হাতে ধরে আটকে রেখেছি। তাকে আমি বেঁধে রাখিনি। আমাদের সঙ্গে পূর্ব থেকে তাদের সঙ্গে জমাজমি ও নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। মূলত তারা নিজেরাই মুজিবুরকে হত্যা করেছেন। আর এখন আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। এখন প্রশাসনের কাছে দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক কারণ বের করুক। যেন নির্দোষ কেউ শাস্তি না পায়।
১০ মে, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে এক ছাত্রলীগ নেতার বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জের ১০নং গন্তব্যপুর ইউনিয়নের হরিপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্ত্রীর নাম নুসরাত জাহান মাহি (১৯)। তিনি গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেনের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের পরের দিন হরিপুরে জাকির ও নুসরাতের বিয়ে হয়। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। তবে পারিবারিক কলহ নাকি অন্যকিছু থেকে নুসরাত আত্মহত্যা করল তা এখনো বোঝা যায়নি। এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, আমি শাহরাস্তির চেরিয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে রয়েছি। দুপুরে ফোনে খবর পেলাম নুসরাত ফাঁস দিয়েছে। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখি ও মারা গেছে। আমি এখন আর কোনো মন্তব্য করার মতো অবস্থায় নেই। এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
০৬ মে, ২০২৪

জাবি থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জিসান আহমেদ নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ মে) সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জিসান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের হল অ্যাটেন্ডেট নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শেরপুর জেলার সদর থানার বাসিন্দা। জানা গেছে, সকালে জিসানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। জিসান পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পাশে বসবাস করতেন। জিসানের বড় ভাই ওয়ালীউল্লাহ কালবেলাকে বলেন, গতকাল দুপুর থেকে সারা দিন বাড়িতে ছিল না জিসান। রাতে বাড়িতে ফিরলে মা তাকে এতক্ষণ কোথায় ছিল এটা বলে রাগারাগি করে ও গরুকে পানি খাওয়ানো হয়নি কেন এসব নিয়েও বকা দেয়। তখন সে আবার রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। পরে রাত ৮টার সময় আমার কাছে ফোন দিয়ে সে ক্ষমা চায়। আমরা মনে করেছিলাম সে আবার ফিরে আসবে কিন্তু সে যে এমন করবে আমরা বুঝতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমি নিরাপত্তা শাখার অধীনে থাকা আনসার ক্যাম্প থেকে জানতে পারি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় একটি ঝুলন্ত মরদেহের খোঁজ মিলেছে। পরে আমি আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানাই। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জি এম আসলামুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আমরা সকালে এসে মরদেহটি উদ্ধার করেছি। নিহতের পরিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়নি। এখন আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
০৬ মে, ২০২৪

ঝালকাঠিতে কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় একটি পাঞ্জেখানা মসজিদ থেকে দেলোয়ার হোসেন নামের এক কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রাম থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত দেলোয়ার হোসেন ওই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় মরিচবুনিয়া বাজারে ইফতার করে বাড়িতে যায় দেলোয়ার হোসেন। কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। স্বজনদের ধারনা তিনি নামাজ পড়তে গেছেন। রাত গভীর হলেও তিনি আর ঘরে ফিরে আসেনি। পরে তাকে খুঁজতে বের হয়ে বাড়ির সামনের মসজিদের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্বজনরা। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কাঠালিয়া থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

ফুলার রোডে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফুলার রোড এলাকার আবাসিক কোয়ার্টারে আদ্রিতা বিনতে মোশারফ নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি খবর পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মোশারফ হোসেনের মেয়ে। ঘটনা প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক মোশারফ হোসেনের মেয়ে আদ্রিতা মোশারফ নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছে। সাড়ে তিনটা বা চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। পরে নামাজের সময় আমাদের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিত নামাজ পড়তে বের হচ্ছিলেন, এমন সময় কান্নার শব্দ শুনে সেখানে তিনি দৌড়ে গিয়ে এ ঘটনা দেখেন। তারপর আমরা জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনো আপাতত ওখানেই আছে। এ বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমানকে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
৩১ মার্চ, ২০২৪
X