মা হারালেন পূজা চেরি 
ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায় আর নেই। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।  রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় এক ফেসবুকে পোস্টে তিনি লিখেছেন, ঝর্ণা অ্যান্টি (পূজা চেরির মা) আর নেই । সবাই উনার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করবেন। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পূজার মা। ফেসবুক পোস্টে মায়ের অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়েছিলেন নায়িকা। অভিনেত্রীর মা ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে রাখা হয় তাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে বাসায় এনে চিকিৎসকের পরামর্শে রাখা হয়। রোববার কোনো কিছু বোঝার আগে বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের নিজ বাসায় মারা যান তিনি। পূজার পারিবারিক সূত্রে এমনটাই জানানো হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ ফেসবুকে মায়ের অসুস্থতার খবর জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। তারপর  সবশেষ ২০ মার্চ ফেসবুক বার্তায় মায়ের সুস্থ হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেন পূজা। জানিয়েছিলেন তার ভালো হয়ে যাওয়ার খবরও। 
২৪ মার্চ, ২০২৪

সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেলেন ঝর্ণা হাসান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ফরিদপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঝর্ণা হাসান ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ আলীপুরের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। তিনি প্রয়াত শ্রমিকনেতা, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পৌর মেয়র হাসিবুল হাসান লাভলুর সহধর্মিণী। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত হাসিবুল হাসান লাভলুর রাজনৈতিক অর্জন, ত্যাগ, জনপ্রিয়তা এবং শ্রমের পুরস্কার হিসেবে তার সহধর্মিণী ঝর্ণা হাসান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে ফরিদপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। ঝর্ণা হাসান ২০০৪ সালে স্বামী হাসিবুল হাসান লাভলুর হাত ধরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক পথ চলা শুরু করেন। ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে তিনি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। এ ছাড়াও ঝর্ণা হাসান বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ফরিদপুর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থার আজীবন সদস্য।  ঝর্ণা হাসানের বড় ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম প্লাবন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ছোট ছেলে আশরাফুল হাসান প্রলয় ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।  ঝর্ণা হাসান কালবেলাকে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে দলের সংকট ও সম্ভাবনায় দলের পাশে থেকেছি। দলও আমাকে মূল্যায়ন করেছে। আমার স্বামী হাসিবুল হাসান লাভলু আমৃত্যু দলের জন্য অনেক খেটেছেন। সংরক্ষিত নারী আসনে আমাকে সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাব।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নেত্রকোনায় ঝর্ণা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
গৃহবধূ ঝর্ণা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে নেত্রকোনার সদর উপজেলার বাংলা বাজারে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সর্বস্তরের মানুষসহ নিহতের সন্তান ও স্বামী অংশ নিয়ে ন্যায় বিচারের দাবি তুলে ধরেন। বৃহস্পতিবার আয়োজিত কর্মসূচিতে সতস্ফুর্তভাবে সবাই অংশ নেন। উল্লেখ্য যে, পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের খোয়াজ খাঁর সাথে তার চাচাতো ভাই আলম খানের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৬ মার্চ খোয়াজ খাঁ পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার মেয়ে তামান্নাকে মারধর করার সময় ফিরাতে গিয়ে স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার মারধরের শিকার হন। পরে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২৭ মার্চ রাতে দুপক্ষে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খোয়াজ খাঁর লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে ফের আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে ঝর্নাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। প্রথমে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝর্ণা আক্তার মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেন। মৃত্যুর পর ঝর্ণার লাশ বাবার বাড়িতে দাফন করা হয়। এরপর ফিরোজ খাঁকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। মামলার অন্যতম আসামি এএসআই ফিরোজ খাঁ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন। কর্মস্থল থেকে ছুটি ছাড়াই বাড়ি এসে তিনি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।  মানববন্ধনে বক্তারা মামলার চার্জশিট থেকে অন্যতম আসামি পুলিশ সদস্য ফিরোজ খাকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের আন্তরিকতার অভাব, দ্রুত তদন্তকাজ শেষ না করা সহ নানা কারণে এই মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা বাদী পক্ষকে অব্যাহত হুমকি দিলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশনার পরও ঝর্ণা আক্তারের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। এমনকি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো খবরও নেওয়া হয়নি। নিহতের পরিবারের দাবি, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট দিতে হবে। তাহলেই কেবল সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। ন্যায় বিচারের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ কাজ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য দেন- নিহতের স্বামী আলম খাঁ, নিহতের ভাই নুরুল আমিন, বাংলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজা আক্তার, উজ্জ্বল নাগ, হাজী মো. আব্দুল জলিল, রানা সরকারসহ অনেকে।
২৪ আগস্ট, ২০২৩
X