মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে খোকন মাদবর নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) সকালে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের চিডারচর এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন মাদবর উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের কাদির মাদবর কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। খোকন মাদবরের বড়ভাই শাহিন মাদবর, খোকন মাদবর পেশায় একজন জেলে। শনিবার রাতে পদ্মা নদীতে চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ পাতেন। আজ ভোরে নৌকা নিয়ে ওই জাল তুলতে নদীতে যান তিনি।  তিনি বলেন, পদ্মা নদীর পশ্চিম চিডারচর এলাকা থেকে জাল তোলার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে খোকন গুরুতর আহত হন। অন্য জেলেরা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খোকন মাদবরকে মৃত ঘোষণা করেন। পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, খোকন মাদবর মাছ ধরতে সকালে পদ্মা নদীতে গিয়েছিলেন। সেখানে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে জাজিরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কবির আলম বলেন, সকালে বজ্রপাতের আঘাতপ্রাপ্ত এক জেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে নিহতের পরিবারকে প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে।
৩০ জুন, ২০২৪

সাগরে ভাসা বোতলকে মদ ভেবে পান, ৪ জেলের মৃত্যু
সাগরে ভাসতে থাকা বোতলকে কুড়িয়ে নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার একদল জেলে। এরপর তা মদ ভেবে পান করে চার জেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলা হয়েছে, মদ মনে করে বোতলের তরল পান করায় চার জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও দুজন।  জানা গেছে, জেলেদের দলে মোট ছয়জন সদস্য ছিলেন। তারা দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর তেঙ্গল থেকে ৩২০ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে এগুলো কুড়িয়ে পেয়েছিলেন।  শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী জানিয়েছে, জেলেদের দলের সদস্যরা মদ মনে করে বোতলের ভেতরে থাকা তরল পান করেছিলেন।  দ্বীপরাষ্ট্রটির মৎস্য ও পানিসম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কাহাবাত্তে সংবাদমাধ্যমকে জানান, নৌবাহিনী জেলেদের উদ্ধার করে কূলে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্ধার করে কূলে এনে চিকিৎসার মতো পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে না ভেবে নৌকাতেই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে নৌবাহিনী।  সুশান্ত কাহাবাত্তে জানান, সাগরে পাওয়া বোতলগুলো একই এলাকায় থাকা অন্য নৌযানের লোকজনকেও দেন জেলেরা। বিষয়টি তাদেরও নজরে এসেছে।  নৌবাহিনী জানিয়েছে, জেলেদের নৌকাটি অন্য একটি নৌযানের সাহায্যে টেনে কুলের দিকে আনা হচ্ছে। গত ৪ জুন তারা গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সাগরে কুড়িয়ে পাওয়া বোতলগুলোয় কী ধরনের তরল ছিল তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।   
৩০ জুন, ২০২৪

রাস্তায় পড়ে ছিল তার, বিদ্যুৎস্পর্শে ২ জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় পড়ে থাকা অটোরিকশা গ্যারেজের তারে বিদ্যুৎস্পর্শে ২ জেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) দুপুর ২টায় উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের দিনেশপুর আদর্শগ্রাম ঘাটের আমান উল্লাহর গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।  তারা হলেন- শাপলাপুরের দিনেশপুর এলাকার বাসিন্দা মো. ইমন ও  নুরুল আবছার।  জানা গেছে, সাগরে মাছ ধরে দিনেশপুর আদর্শগ্রাম ঘাটে নোঙর করে মাছ ধরার ট্রলার। সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মো. ইমন ও  নুরুল আবছার নামে দুই জেলে। আমান উল্লাহর গ্যারেজের কাছে পৌঁছালে রাস্তায় পড়ে থাকা সেই গ্যারেজের বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পর্শ হন দুজন। এতে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক মো. আজমল হুদা কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যুৎস্পর্শে গুরুতর আহত হওয়া দুই জেলেকে হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, শাপলাপুরে বিদ্যুৎস্পর্শে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ মে, ২০২৪

বজ্রপাতে এক জেলের মৃত্যু
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই ভাই আহত হয়েছেন। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কালীপুরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর শাখা নদীতে বজ্রপাতে মারা যান তিনি। মৃত ওই জেলের নাম নাহিদ (২৩)। আর আহত তার অপর দুই ভাই হলেন- দুদু মিয়া (৪০) ও দাদন মিয়া (৪৫)। তারা তিনজনই গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের বড় কালীপুরা গ্রামের আহসান উল্লার ছেলে বলে জানা গেছে। স্থানীয় ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, গেল শনিবার রাত একটার দিকে নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যান নাহিদ, দুদু ও দাদন। ওই রাতে দুইটার দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় নদী থেকে বাড়ি ফেরার পথে নৌকায় বজ্রপাতে মারা যান নাহিদ। আহত হন সঙ্গে থাকা দুই সহোদর দুদু মিয়া ও দাদন। এ বিষয়ে গজারিয়া নৌ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তাছাড়া কালীপুরা এলাকাটি তাদের দায়িত্বের সীমানায় নেই।
২৪ মার্চ, ২০২৪

ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ / আরও ৪ জেলের মৃত্যু
চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধদের শরীরের ৬০-৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মারা যাওয়া ও চিকিৎসাধীনদের শ্বাসনালি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে রহিম উল্লাহ, মোহাম্মদ শাহীন, আরমানের বাড়ি কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়। আর ওসমান গনি সদরের বাসিন্দা। এর আগে দগ্ধ হওয়ার পরদিন ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান জেলে আইয়ুব আলী। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার রাশেদ উল করিম জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১২ জেলের ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ জেলের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫ জেলে।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X