আন্দোলনে নামলেন ড্রাগন ফল চাষিরা
ক্ষতিকর হরমোন ও বিষপ্রয়োগ করে ড্রাগন ফলের আকার বৃদ্ধির অপপ্রচারে ধস নেমেছে ড্রাগন ব্যবসায়। ফেসবুক ও ইউটিউবে এমন প্রচারণায় পথে বসেছে শত শত কৃষক। এখন আর কেউ ড্রাগন ফল কিনতে চাচ্ছেন না। এমন দাবি করে অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে মুক্তমঞ্চের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও যশোর জেলার ড্রাগন চাষিরা অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা মানুষের জন্য ফল উৎপাদন করি। আমরা যেসব ওষুধ ব্যবহার করি, সেটি যদি মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে কৃষি বিভাগ অথবা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাদের জানাক; বা কোনো ওষুধ আমরা ব্যবহার করব, সেটি আমাদের জানাক, আমরা সেগুলো ব্যবহার করব। ইউটিউবাররা তো বিশেষজ্ঞ না। তারা কীভাবে বলতে পারে ড্রাগন ফলে যেসব টনিক ব্যবহার করি, সেগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর। তারা আরও বলেন, আগে এক বিঘা জমিতে ৮ মণ ধান হলেই খুশি হতো কৃষক। তবে এখন প্রযুক্তি উন্নয়ের ফলে এক বিঘা জমিতে এখন ২৮-৩০ ধান উৎপাদন হচ্ছে। প্রতিটি চাষে প্রযুক্তি ও আধুনিক ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। এতে ফসলের ফলন বাড়ে দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ হয়। জীবননগর উপজেলা বালাইনাশক কমিটির আহ্বায়ক বকুল বলেন, ‘ভারতীয় যে হরমোনের কথা বলা হচ্ছে, আমরা সেই হরমোন বিক্রি করি না। আমরা বাংলাদেশ সরকারি অনুমোদিত হরমোন বিক্রি করি। এতে কোনো ক্ষতিকর উৎপাদক নেই। কিছু ইউটিউবাররা ভারতীয় হরমোনের প্রচার ও অবৈধভাবে বিক্রির জন্য এই কাজ করছে।’ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জীবননগর পৌর যুবলীগের সভাপতি ও ফল চাষী শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু, তরুণ উদ্যোক্তা রুহুল আমিন রিটন, চাষি রমজান, শিক্ষক ও চাষি বসির উদ্দিন, প্রফেসর জসিম উদ্দিন, রাজেদুল ইসলাম, উপজেলা পেস্টিসাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান হাবিব বকুল,আব্দুল আজিজ প্রধান প্রমুখ।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

জীবননগরে ভেজাল মধু বিক্রি করায় জরিমানা 
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভেজাল মধু বিক্রি করায় খন্দকার সুন্নাহ কালেকশনসকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করেন।  ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ল্যাবে পরীক্ষা করে খন্দকার সুন্নাহ কালেকশনসের মধু ভেজাল বলে প্রমাণিত হয়। ল্যাব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর খন্দকার সুন্নাহ কালেকশনে অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল মধুসহ পণ্যের গায়ে লেবেল না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকার সত্ত্বেও পণ্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অপরাধের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪১ ধারায় প্রতিষ্ঠানের মালিক নয়ন খন্দকারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দকৃত মালামাল জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।  জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র বলেন, ল্যব টেস্টের মাধ্যমে মধুতে ভেজাল প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর, সরিষার তৈল, নারিকেল তেলে লেবেল না থাকায় ও মূল্য তালিকা পরিদর্শন না করার অপরাধের অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল, জেলা নমুনা সংগ্রহকারী নাসির উদ্দীন, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আনিছুর রহমান ও পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অজয় কুমার উপস্থিত ছিলেন।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ধান কাটার কাঁচি নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছাত্রলীগ নেতাসহ আহত ১২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কাঁচি (লোহার তৈরি ধান কাটার যন্ত্র) ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁকা গ্রামে ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের কাছ থেকে কয়েকদিন আগে একটি ধান কাটার কাঁচি নিয়েছিলেন একই গ্রামের পূর্বপাড়ার রাজীবের ছেলে রিফাত। সেই কাঁচি ফেরত না দেওয়ায় শনিবার সকালে মাঠে কাজে যাওয়ার সময় রিফাতের হাতে থাকা হাঁসুয়া কেড়ে নিয়ে হাসান বলেন, কাঁচি ফেরত না দিলে হাঁসুয়া দেবেন না। রিফাত বিষয়টি পরিবারকে জানালে কয়েকজন নারী এসে হাসানকে মারধর করে। পরে হাসানের পরিবারের কয়েকজন সেখানে গেলে বাধে মারামারি। দুই পক্ষের মারামারিতে আহত হন অন্তত ১২ জন। আহতরা হলেন, বাঁকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, ফিরোজ শেখ (৪২), তৌফিক (২৭), মো. ইমরান শেখ (১৮), বেদানা খাতুন (৬০), জাহাঙ্গীর শেখ (৫০) ও রহিমা খাতুন। এদের মধ্যে তৌফিক ও জাহাঙ্গীর শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইমরান শেখ আহত অবস্থায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অপর পক্ষের রিফাতসহ তার পরিবারের সেলিম, মনিরুল ইসলাম, বাবুল আক্তার ও সাব্বির আহত হয়েছেন। সেলিম ও মনিরুল ইসলাম জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে ভর্তি সেলিম জানান, আমি বাড়ি ছিলাম। হঠাৎ এসে হাসানের পরিবারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় মারামারি শুরু হয়। কাঁচি নিয়ে এর আগে সকালে হাসান ও রিফাতের ঝামেলা হয় বলে জানান তিনি। এদিকে, এই মারামারির ঘটনায় জীবননগর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে দুই পক্ষ। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জীবননগর থানা পুলিশসহ বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান। এ বিষয়ে জীবননগর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

নাশকতা মামলায় জীবননগর পৌর যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
নাশকতা পরিকল্পনার পালাতক আসামি মো. মানিক মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মানিক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর বিএনপির যুবদল নেতা। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন জীবননগর থানা পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃত মো.মানিক মিয়া পৌর যুবদলের প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ৪নং দৌলতগঞ্জ পাড়ার মৃত গোলাম হোসেন মোল্লার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জীবননগর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান। তিনি বলেন, গত ২৯ অক্টোবর রাতে নাশকতার পরিকল্পনার জন্য বাঁকায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বৈঠক করছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছিল। ওই মামলায় জীবননগর পৌর যুবদলের প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সক্রিয় কর্মী মো. মানিক মিয়া পলাতক আসামি ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামীকাল বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩
X