জাল সনদে এমপিওভুক্তি গ্রেপ্তার ৩
জাল বিএড সনদ তৈরি করে তা দিয়ে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া এবং এমপিওভুক্তি করে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলো মো. আশরাফুল আলম, স্বপন ব্যানার্জী ও আ ন ম আব্দুল্লাহ। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, এনটিআরসিএর জাল সনদ ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম হাসান সিদ্দিকী বলেন, একটি চক্র বিএড সনদ জাল করে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় অবৈধ নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ২০১৬ সালে এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই নিয়োগ দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কিছু কর্মকর্তার সাহায্যে শিক্ষক নিয়োগ করে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এমপিওভুক্তি করে। এ বিষয়ে গত ২ জুলাই ডিবি বরাবর একটি অভিযোগ দেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নয়ন মিয়া। তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে

স্কলারশিপের জন্য বাবার মৃত্যুর জাল সনদ দাখিল, অতঃপর...
ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারাটা অনেকের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। সেই ভাগ্যকে অর্জন করার জন্য অনেকে নানাভাবে পরিশ্রমও করেন। তবে এবার সামনে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য নিজের বাবার মৃত্যুর জাল সনদ দাখিল করেছে  এক শিক্ষার্থী।  সম্প্রতি এনবিসি ফিলাফোলফিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য নিজের জীবিত বাবাকে মৃত দেখিয়েছিলেন ওই শিক্ষার্থী। লেহাই ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপের জন্য তিনি এমন জালিয়াতির আশ্রয় নেন।  জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া শিক্ষার্থীর নাম আরিয়ান আনন্দ। তিনি ভারতীয় শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। তবে পরে তার জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।  নর্থহ্যাম্পটন কাউন্টি ডিস্ট্রিক অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, ওই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। তার বাবার মৃত্যুর বিষয়ে জাল সনদ দাখিল করার বিষয়টি ধরা পড়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  আনন্দ নামের ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ট্রান্সক্রিপ্ট, অর্থনৈতিক বিবরণ, ট্যাক্সসহ বিভিন্ন জাল সনদ দাখিলের অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি তিনি প্রিন্সিপালের নামে ভুয়া মেইল তৈরি করেও জালিয়াতি করেছেন।  কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডডিটে আনন্দ একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের শিরোনামে তিনি লেখেন যে, আমি আমার জীবন ও ক্যারিয়ার মিথ্যার ওপর গড়ে তুলেছি। তার এমন পোস্টের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হলে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে।  লেহাই ইউনিভার্সিটি পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালে আনন্দ নিজেই এমন পোস্ট দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ভারতে তার বাবা জীবিত রয়েছেন বলেও তদন্তে উঠে আসে।  আনন্দকে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ভুয়া তথ্য প্রদান, প্রতারণা পরিষেবা চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।  
২৯ জুন, ২০২৪

ঈদবাজার ঘিরে সক্রিয় জাল টাকা চক্র
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লালমনিরহাটের গরুর হাটসহ বিভিন্ন বাজারে জাল টাকা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চক্রটি নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছে জাল টাকা। অভিযোগ উঠেছে, লোভে পড়ে জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় কতিপয় গরু ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, ঈদকে টার্গেট করে জাল টাকার চক্রের সদস্যরা বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ১০০, ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে। তবে এবারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট অনিরাপদ ভেবে বেশিরভাগ ২০ ও ৫০ টাকার জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে ঈদবাজারে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত চক্রের সদস্যরা জাল টাকা তৈরি চক্রের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনে। আর এসব জাল টাকার নোট বাজারে ছড়িয়ে দিতে রয়েছে তাদের সিন্ডিকেট। তারা জাল টাকা কেনা থেকে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিজেদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় বিভিন্ন নামে পেজ ও গ্রুপ খুলে। প্রথম দিকে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। পরে তা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করা হয়। জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর রাতের আঁধারে লালমনিরহাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় খাল থেকে ৬৬ বান্ডিল জাল টাকার নোট উদ্ধার করে পুলিশ। শহরের জেলখানা রোডের খোর্দ্দসাপটানা এলাকার একটি সেতুর নিচ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করা হয়। এক ব্যক্তি মাছ ধরতে গিয়ে কিছু ছেঁড়া টাকা দেখতে পায়। এরপর পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেতুর নিচ থেকে ৬৬ লাখ টাকার ৬৬টি বান্ডিল উদ্ধার করে। এসব জাল টাকার প্রত্যেক বান্ডিল নোটের টাকার লেখা ছিল সাথী সংঘ, লাকি কুপন, ভাগ্য পরিবর্তন সংকেত। এ ছাড়া গত বছর কোরবানি ঈদের আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমনিরহাট শহরের খোঁচাবাড়ি এলাকায় এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আয়েশা বেগম নামে এক নারী কাছে থেকে হাজার টাকার ১৭টি ও ৫০০ টাকার ১০টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আটক করা হয়।  লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, প্রত্যেকটি পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে। সকলকে টাকা গুনে নেওয়ার সময় মেশিনে পরীক্ষা করে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
১৪ জুন, ২০২৪

সারাবিশ্বে জাল পাতছেন এরদোয়ান
আসছে সপ্তাহগুলোতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের প্রভাব বাড়াতে নিজের সফরসূচি ঢেলে সাজাচ্ছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইউরোপীয় বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের প্রভাব খানিকটা কমে এসেছে। ফলে তা পুনরুদ্ধার করতে ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়া ও আমেরিকা সফরের সিদ্ধান্ত ‍নিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম দ্য মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়।  এরদোয়ানের সফর শুরু হবে ইউরোপের দেশ স্পেন ভ্রমণের মাধ্যমে। দেশটি তুরস্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও ন্যাটো সদস্য। এছাড়া ভূমধ্যসাগরীয় স্বার্থ ও গাজা যুদ্ধ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে বলে মত বিশ্লেষকদের। স্পেনের পর জি-৭ সামিটে অংশ নিতে ইতালি সফরে যাবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। উত্তর আফ্রিকাতে দুই দেশের যৌথ স্বার্থ নিয়ে তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।  ইউরোপের পর জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটে অংশ নেবেন এরদোয়ান। থিঙ্ক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের বিশ্লেষক ওমর ওজকিজিলসিক জানান, আঙ্কারার নীতি নির্ধারকরা তুরস্কের স্বার্থান্বেষী চোখে গোটা বিশ্বকে দেখছেন। তারা তুরস্কের কূটনীতিকে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে চান এবং এশিয়ার উদীয়মান কোনো শক্তির সঙ্গেই অংশীদারত্বের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না।  সাংহাই সামিটের পর আজারবাইজানে অর্গানাইজেশন অব টার্কিক স্টেটসের সম্মেলনে যোগ দেবেন এরদোয়ান। তুর্কি কর্মকর্তারা কাজাখস্তান এবং আজারবাইজানের মতো তুর্কি রাজ্যগুলির মাধ্যমে চীন থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহনের জন্য মধ্য করিডোর বাণিজ্য স্থাপনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। তার্কিক দেশগুলোর সম্মেলন শেষে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ন্যাটোর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে পারেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ওজকিজিলসিক জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ন্যাটোতে তুরস্কের গুরুত্ব আগের তুলনায় বেড়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডন সফরের মাধ্যমে নিজের কূটনৈতিক সফর শেষ করবেন এরদোয়ান। বলা হচ্ছে এরদোয়ানের টানা এসব সফর বিশ্ব রাজনীতিতে তুরস্কের প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। 
১২ জুন, ২০২৪

জাল নোট ছড়াতে সক্রিয় চক্র, গ্রেপ্তার ৪
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুত হচ্ছে গরুর হাট। সেসব হাটে গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ব্যাপারীরা। এর আগে বিভিন্ন হাটে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে তৎপরতা শুরু করেছে বেশ কয়েকটি চক্র। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমনই এক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। তারা রীতিমতো জাল টাকার ‘টাঁকশাল’ তৈরি করে নিয়েছিল। টার্গেট ছিল কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক কোটি জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুটি বাসায় অভিযান শেষে ডিবি লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার চারজন হলো জাল টাকার আধুনিক প্রবর্তক লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে ‘মাজার জাকির’ ওরফে ‘গুরু জাকির’, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ বেগম, লিমা আক্তার রিনা ও সাজেদা আক্তার। মশিউর রহমান বলেন, বাজারে পাওয়া ২২ এমএম সাদা কাগজ কালার প্রিন্টারে দিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জাল টাকা ও ভারতীয় মুদ্রা তৈরি করে আসছিল চক্রটি। চক্রের মূলহোতা জাকির ১২ বছর ধরে ৫০০ ও ১ হাজার টাকার জাল নোট তৈরি করে আসছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেন সন্দেহ করতে না পারেন সেজন্য বর্তমানে ১০০ ও ২০০ টাকার জাল নোট তৈরি করত। ঈদ টার্গেট করে চক্রটি বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তিনি বলেন, অভিযানে দুটি বাসা থেকে প্রায় সোয়া ১ কোটি টাকা এবং আরও প্রায় ৩ কোটি জাল টাকা তৈরির বিশেষ কাপড় বা কাগজ, বিশেষ ধরনের কালি, ল্যাপটপ, চারটি প্রিন্টার, বিভিন্ন সাইজের কয়েক ডজন স্ক্রিন বা ডাইস, সাদা কাগজ, হিটার মেশিন, নিরাপত্তা সুতাসহ জাল টাকার হরেক রকম মালপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার জাল টাকার মধ্যে ২০০, ৫০০, ১০০০-এর নোট ও ভারতীয় রুপিও রয়েছে। মশিউর রহমান বলেন, ২৫ বছর ধরে জাল টাকার খুচরা ও পাইকারি কারবারের পাশাপাশি বিভিন্ন মানের জাল টাকা ও জাল রুপি তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ লিয়াকত হোসেন জাকির। তিনি ২০১২ সাল থেকে ৫০০ ও ১ হাজার টাকার জাল নোট তৈরি করলেও বর্তমানে সাধারণ মানুষ যেন সন্দেহ করতে না পারেন, সেজন্য বড় নোটের পাশাপাশি ১০০ ও ২০০ টাকার জাল নোটও তৈরি করত। বর্তমানে কাগজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের কালি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় জাকির ১ হাজার টাকার ১০০টি নোটের বান্ডেল ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করত। গত ১২ বছরে জাকির কখনো জাল টাকা খুচরায় বিক্রি করেনি। নারী-পুরুষ মিলে তার ১৫ থেকে ২০ জন কর্মচারী আছে, যাদের মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতন দিত। তিনি আরও বলেন, তারা ব্যক্তি পর্যায়ে জাল টাকা বিক্রি করলে ধরা পড়তে পারে, সেই ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে (বিশেষত ফেসবুক ও মেসেঞ্জার) দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে জাল নোট বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত। লালবাগের ডিসি বলেন, একবার জাল নোট তৈরির সময় জাকিরের সহযোগীরা গ্রেপ্তার হলে সে মাজারে মাজারে অবস্থান করত। মাজারের কচ্ছপ, মাছের খাবার নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে তাকে ‘মাজার জাকির’ বলা হয়। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জাল নোটের ছোট ছোট ঘরোয়া কারখানা স্থাপনকারীরা জাকিরের কাছ থেকে কারিগরি, সফট কপি, পরামর্শ এমনকি মডেল জাল রুপি নিয়ে থাকে বলে জাকিরকে ‘গুরু জাকির’ বলেও চেনে। গত রোজার ঈদের আগে জাকিরের জাল নোটের দুই পাইকারি ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই নারী মাদকের একটি মামলায় কারাগারে গিয়ে জাল নোট চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এরপর জামিনে এসে জাল টাকার কারবার শুরু করে। ঈদকে সামনে রেখে সে বিপুল পরিমাণ জাল নোট কেনার জন্য এসেছিল। তার সূত্র ধরে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
০৯ জুন, ২০২৪

ঈদ টার্গেট করে সক্রিয় জাল নোট চক্র
ঈদুল আজহার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট তৈরি চক্র। কারণ এ সময় কোরবানির পশুর হাট ছাড়াও অন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক টাকার লেনদেন হয়। ব্যস্ততম লেনদেনের এই সুযোগেই বাজারে জাল নোট ছাড়ে এসব চক্র। ঈদ টার্গেট করে তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া এমন একটি চক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তার নাম হৃদয় মাতব্বর (২২)। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় জাল নোট তৈরিতে ব্যবহৃত একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি প্রিন্টার, একটি রাউটার, একটি পেপার কাটার, ৯টি ভুয়া এনআইডি কার্ড, তিনটি ভুয়া ভারতীয় এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং ৬০ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের জাল নোট (৬০২টি ১০০ টাকার নোট এবং একটি ৫০০ টাকার নোট) জব্দ করা হয়। র‌্যাব-৩-এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হোসেন বলেন, ঈদুল আজহাকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন হৃদয়। প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করলেও ঈদে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছিলেন হৃদয়। তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে জাল নোটের অবাধ কারবার নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা হলে র‌্যাব এসব সংঘবদ্ধ জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এমন বেশকিছু জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে র‌্যাব গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৩-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। এএসপি শামীম হোসেন জানান, হৃদয় কম্পিউটারে পারদর্শী। তিনি দোলাইর পাড় এলাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতেন। ইউটিউব থেকে জাল টাকা বানানোর প্রক্রিয়া শিখে নেন। পরে নিজেই জাল নোট ছাপানো শুরু করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে জাল নোট বিক্রির নেটওয়ার্ক তৈরি করেন। এসব পেজ প্রমোট ও বুস্টিং করে অনেক পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা সংগ্রহ করেন। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে এ কাজে জড়িত। এ ছাড়াও তিনি অবৈধভাবে দেশি ও বিদেশি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে আসছিলেন।
০৮ জুন, ২০২৪

নদীতে জাল ফেলতেই উঠে এলো অজগর সাপ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় একটি পাঁচ কেজি ওজনের বার্মিজ অজগর সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অজগর সাপটি দৈঘ্য প্রায় ৪ দশমিক ৫ ফিট এবং ওজন অনুমানিক ৫ কেজি।  বুধবার (৫ জুন) সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার ৬নং ভজনপুর ইউনিয়নের মুর্খাজোত গ্রাম সংলগ্ন করতোয়া নদীতে থেকে উদ্ধার করে বনবিভাগ।  স্থানীয় ও বন বিভাগ জানায়, উপজেলার ভজনপুর মূখাজোত গ্রামে করতোয়া নদীতে এক ব্যক্তি মাছ ধরার সময় তার জালে একটি অজগর সাপ দেখতে পান। সাপটি উদ্ধার করে বন বিভাগকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দীন খাঁন, উপজেলা সহকারী (ভূমি) মাহমুদুল হাসান উপস্থিত হয়ে সাপের বাচ্চাটিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উদ্ধার করেন।   সংকটাপন্ন প্রাণী হওয়ায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৯ ধারা অনুযায়ী উক্ত বন্য প্রাণীটিকে উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বনবিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়।  এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (বিট) নুরুল হুদা বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৫ কেজি ওজনের এ সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ ফুট। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। উদ্ধার হওয়া সাপটিকে ঠাকুরগাঁও শিংড়া ফরেস্টে অবমুক্ত করা হবে।   বাংলাদেশ অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, অজগর নির্বিষ সাপ। এটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া নড়াচড়াও করে না। এই প্রজাতিটি গাছে একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এদের প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা ইঁদুর, কচ্ছপের ডিম, সাপ, বন মুরগি, পাখি, ছোট বন্যপ্রাণী ইত্যাদি খায়। সাপটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে। জোহরা মিলা বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬-৭ মাসের ব্যবধানে পঞ্চগড় সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় চারটি  বার্মিজ অজগর সাপ দেখা দিলেও স্থানীয়দের সহায়তায় তিনটি উদ্ধার করেছে পঞ্চগড় বন বিভাগ। 
০৫ জুন, ২০২৪

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে পোনা নিধনের মহোৎসব
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দেশি মাছের পোনার আবাসস্থলে বেহুন্দি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছের পোনা নিধন চলছে। এতে দেশি প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন জেলে ও সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরের মোহনা পেকুয়ার মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেলের মগনামা লঞ্চ ঘাট, উজানটিয়া টেকপাড়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন, পেরাসিঙ্গা পাড়া, করিমদাদ মিয়া ঘাট, রাজাখালী সুন্দরীপাড়া, আরবশাহ বাজারের পশ্চিমসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক লাখ বেহুন্দি জাল বসিয়ে অবৈধভাবে নানা প্রজাতির মাছের রেণুপোনা আহরণ করছে। পরে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা বাছাই করে নিয়ে বাকি মাছের পোনা মাটিতে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলছে এক অসাধু চক্র। এ ছাড়া ফিশিং ট্রলার ও ছোট বোট এবং নৌকা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাছ আহরণ করা হচ্ছে। মাছের প্রজননের সময় মৎস্য অধিদপ্তরের ৬৫ দিন বিধিনিষেধ থাকলেও এ নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না পেকুয়ায়। কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ আহরণ করছে মৎস্য আহরণকারীরা। এসব রেণুপোনা আহরণের পর বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হয়।  নিষেধাজ্ঞা জারির পর মৎস্য অফিস সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এখানেই তাদের কাজ শেষ। তারা কোনো অভিযান চালাচ্ছে না। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, পেকুয়ার অফিসারকে নির্দেশনা দিয়েছি অভিযান করতে।
০৪ জুন, ২০২৪

দুর্নীতির মামলায় বিআরটিএর সহকারী পরিচালকের কারাদণ্ড
চোরাই গাড়ি সড়কে জাল কাগজপত্র দিয়ে নতুন রেজিস্ট্রেশন করে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয় বিআরটিএ পরিদর্শক আইয়ুব আনসারির বিরুদ্ধে। এ মামলায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৮ মে) বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ এ রায় দেন বলে বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার জানিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক আইয়ুব আনসারী বিআরটিএর ঢাকা সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদে কর্মরত। আইয়ুব আনসারী বরিশাল নগরের পশ্চিম কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার মৃত আতাহার আলী হাওলাদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ পিপি বিপ্লব কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার বলেন, ২০১১ সালের ২১ মার্চ মশিউর রহমান ঠাকুর নামে এক ব্যক্তির মাইক্রোবাস চুরি হয়। এ ঘটনায় ২৩ মার্চ গৌরনদী থানায় জিডি করেন তিনি। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি জানতে পারেন তার চোরাই মাইক্রোবাসের চেসিস নম্বর ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পাওয়া অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে বিআরটিএর সহকারী পরিচালকসহ দুইজনকে আসামি করে বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। বিশেষ পিপি বিপ্লব কুমার রায় জানান, ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একমাত্র আইয়ুব আনসারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২৯ মে, ২০২৪

ফেনীতে জাল ভোট দেওয়ায় প্রিসাইডিং প্রত্যাহার ও পোলিং কর্মকর্তা আটক
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনী সদরে পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ার অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রত্যাহার ও পোলিং কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান তাদের আটক করেন। জানা গেছে, সকাল ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিদর্শনকালে জালভোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে দুইজনকে আটক করে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ছনুয়া উচ্চ বিদ্যলায়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জল চন্দ্র দাস জানান, জালভোট দেওয়ায় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহআলম ও পোলিং কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মানিককে আটক করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মানিককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শাহআলমকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, জালভোট দেওয়ার অপরাধে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাকে আটক করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে রাখার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, ফেনী সদর উপজেলার ১৪০ কেন্দ্রের ১ হাজার ৬৫টি বুথে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৪ জন। সদরে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল (দোয়াত কলম), অ্যাড. মনজুর আলম (মোটরসাইকেল), ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক একে শহীদ উল্যাহ খোন্দকার (টিউবওয়েল), গোলাম কিবরিয়া (উড়োজাহাজ), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুর্শিদা আক্তার (কলস), আঞ্জুমান আক্তার (প্রজাপতি)।
২৯ মে, ২০২৪
X