ডেনমার্ককে হারিয়ে কোয়ার্টারে জার্মানি
শুরু হয়ে গিয়েছে ইউরোর নকআউট পর্ব। প্রথম ম্যাচেই বিদায় নিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালি। তবে ইতালির ভাগ্য বরণ করতে হয়নি জার্মানিকে। স্বাগতিকরা হেসে খেলেই হারিয়েছে ডেনমার্ককে। আর ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় রোববার (৩০ জুন) রাত একটায় ইউরোতে জার্মানি বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ওয়েস্টফালেনস্টেডিয়নে ডেনমার্ককে ২-০ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রবেশ করে। বৃষ্টিস্নাত ম্যাচে জার্মানির পক্ষে গোল করেন জামাল মুসিয়ালা এবং কাই হাভার্টজ। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিকূল আবহাওয়া দেখা যায় যার দরুণ প্রথমার্ধে ২০ মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বজ্রপাত এবং ভারী বৃষ্টিতে মাঠ ভিজে যায়। তবে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও খেলা চলতে থাকে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও রেফারি সিদ্ধান্ত ম্যাচের রঙ বদল করে দেয়। ম্যাচের শুরুতেই নিকো শ্লটরবেকের একটি হেডার গোলের আগের অবরোধের কারণে ভিএআর দ্বারা বাতিল হয়। পরে ডেনমার্কের জোয়াকিম অ্যান্ডারসেনের একটি গোল বাতিল হয় কারণ থমাস ডিলেনি সামান্য অফসাইড ছিলেন। এর পরপরই ভিএআর জার্মানিকে একটি পেনাল্টি দেয় অ্যান্ডারসেনের হাতে বল লাগার জন্য, যা হাভার্টজ স্মাইকেলকে পরাস্ত করে গোল করে জার্মানিকে লিড এনে দেন। হাভার্টজ একটি দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল। তবে তিনি মিস করেন যখন তার শট স্মাইকেলকে পাশ কাটিয়ে বাইরে চলে যায়। তবে, মুসিয়ালা লেফট উইং থেকে বল নিয়ে জার্মানির জন্য দ্বিতীয় এবং নির্ধারক গোলটি করেন। জার্মানির এই পারফরম্যান্স তাদের আক্রমণাত্মক দক্ষতার প্রমাণ দেয়, যেখানে হাভার্টজ এবং ফ্লোরিয়ান উইর্টজও স্কোর বাড়ানোর কাছাকাছি এসেছিলেন। এই জয়ে জার্মানি ইউরো ২০২৪-এ সর্বাধিক গোলকারী দল হয়ে উঠেছে, মোট ১০ গোল করেছে তারা। জয়ের পরও জার্মানির রক্ষণভাগে কিছু উদ্বেগজনক মুহূর্ত ছিল, বিশেষ করে যখন ডেনমার্কের রসমুস হোয়লুন্ড প্রথমার্ধে একটি সুযোগ মিস করেন। তবুও, মুসিয়ালা, উইর্টজ এবং হাভার্টজের শক্তিশালী আক্রমণাত্মক ত্রয়ীটি ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে ওঠে। জার্মানি এখন কোয়ার্টার-ফাইনালে ৫ জুলাই স্পেন বনাম জর্জিয়া ম্যাচের বিজয়ীর সাথে মুখোমুখি হবে। দলের এই পারফরম্যান্সে হোম ফ্যানরা উদ্দীপ্ত, এবং তারা আশা করছে তাদের দল ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফির পথে তাদের দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত রাখবে।
৩০ জুন, ২০২৪

শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়ালো জার্মানি
জার্মানিতে চলমান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ ‘এ’র শেষ খেলায় দারুণ এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিল জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড। যেখানে বদলি হিসেবে নামা নিকলাস ফুলক্রুগের শেষ মুহূর্তের সমতাসূচক গোল জার্মানিকে সুইজারল্যান্ডের সাথে ১-১ গোলে সমতা এনে দেয়। একই সাথে গ্রুপ এ-এর শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করলো জুলিয়ান ন্যাগেলসম্যানের শিষ্যরা। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৪ জুন) রাত ১টায় শুরু হওয়া ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ড্যান নডয়ের গোলে প্রাথমিক লিড নেয়। এমনকি ৯২ মিনিট পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল সুইসরা। নডয়ে ম্যাচের ২৮ মিনিটে রেমো ফ্রেউলারের ক্রস থেকে শট নিয়ে বল জালে পাঠায় এবং সুইস সমর্থকদের জার্মানিতে উদযাপন শুরু হয়। সুইজারল্যান্ডের ডিফেন্স ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে জার্মানিকে আটকে রেখেছিল তবে শেষ মুহূর্তে ফুলক্রুগের গুরুত্বপূর্ণ হেডে করা গোল তাদের বিজয়ের আশা ভেঙ্গে দেয়। নাটকীয় সেই গোলের পর জার্মান সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে, কারণ জার্মানি তাদের অপরাজিত শুরু বজায় রাখলো ঘরের মাঠের ইউরোতে।  মুরাত ইয়াকিনের দল, জানত যে একটি জয় তাদের জার্মানিকে ছাড়িয়ে যেতে দেবে। ফ্রাঙ্কফুর্টে তার দল শীর্ষ স্থান নিশ্চিত করার দ্বারপ্রান্তেওে ছিল। তবে, শেষ মুহূর্তে জার্মানির নিরলস চাপ অবশেষে তাদের উপর প্রভাব ফেলে। ম্যাচের শুরুতে সুইস সমর্থকরা নডয়ের প্রথম দিকের স্ট্রাইক উদযাপনে গানে এবং উল্লাসে মেতে উঠেছিল। সুইজারল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধে তাদের লিড দ্বিগুণ করার খুব কাছে চলে এসেছিল, যখন নডয়ের আরেকটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল করা হয়েছিল। এটি ছিল ম্যাচের দ্বিতীয় বাতিল করা গোল, জার্মানির রবার্ট অ্যান্ডরিচের জন্যও একই ঘটনা ঘটে। অ্যান্ডরিচের প্রচেষ্টা, যা বক্সের প্রান্ত থেকে কার্ল করা শট ছিল, ভিএআর হস্তক্ষেপের পর বাতিল হয়েছিল কারণ জমাল মুসিয়ালার ফাউলের জন্য এটি গণ্য হয়নি। জার্মানি অবশ্য তাদের আগের দুটি জয়ে দেখানো নির্দয়তা এই ম্যাচে কম দেখালেও, শেষ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। তাদের দৃঢ়তা ফুলক্রুগের সমতা সূচক গোলে ফলপ্রসূ হয়, এবং সমর্থকদের মধ্যে উচ্চ আশা জাগায় যে তারা প্রতিযোগিতার বাকি অংশে শক্তিশালী পারফর্ম করতে পারবে। সুইজারল্যান্ড, যদিও শেষ মুহূর্তের গোলের জন্য হতাশ, তবুও তারা নকআউট পর্যায়ে অগ্রসর হয়েছে। জার্মানির অপরাজিত রেকর্ড এবং নাটকীয় ড্র ইউরো ২০২৪-এর উত্তেজনাপূর্ণ শুরু অব্যাহত রাখার মঞ্চ তৈরি করেছে।  পরবর্তী রাউন্ডে সুইজারল্যান্ড উঠলেও একেবারে শেষ মুহূর্তের গোলে বিদায় নিয়েছে স্কটল্যান্ড। তারা হাঙ্গেরির কাছে ১-০ গোলে হেরেছে। হাঙ্গেরির অবশ্য তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলোর মধ্যে সেরা হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
২৪ জুন, ২০২৪

ইউরো ২০২৪ / পরের রাউন্ডে জার্মানি
টানা দুই জয়ে প্রথম দল হিসেবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে জার্মানি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করা স্কটল্যান্ডেরও পরের রাউন্ডের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ‘বি’ গ্রুপে ২ ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ধুঁকছে ক্রোয়েশিয়া। বুধবার রাতে হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক জার্মানি। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে স্কটল্যান্ড। তার আগে আলবেনিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করা ক্রোয়েশিয়ার বিদায়ের পথ প্রশস্ত হয়েছে। প্রথম ম্যাচে স্পেনের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল কাতার বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান পাওয়া দেশটি। গ্রুপের তলানিতে অবস্থান ক্রোয়েশিয়ার। জার্মানির জয়ে দুই অর্ধে দুটি গোল করেন জামাল মুসিয়ালা ও ইলকায় গুন্দোগান। বার্সেলোনার প্লে-মেকার গুন্দোগান দলের দ্বিতীয় গোল করার আগে মুসিয়ালাকে দিয়ে প্রথমটি করিয়েছেন। সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে ৩৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের হাতে। প্রথম ম্যাচে জার্মানির কাছে ৫-১ ব্যবধানে হারা স্কটল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে। হাঙ্গেরিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইউরো শুরু করা সুইজারল্যান্ড ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে আছে। ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা স্কটল্যান্ড শেষ ম্যাচে হাঙ্গেরিকে হারালে পরের রাউন্ডে নাম লেখানোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সেটা গ্রুপের দ্বিতীয় দল কিংবা রানার্সআপ হওয়া দলগুলোর শীর্ষ চার দলের একটি হয়ে। ৬ গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দলের সঙ্গে চার গ্রুপের তৃতীয় স্থানে থাকা শীর্ষ চার দলও পরের রাউন্ডে যাবে। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘরের মাঠে সমর্থকদের ইউরো জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে জার্মানি। এ সম্পর্কে কোচ জুলিয়ান নাগালসম্যান বলেছেন, ‘সমর্থকদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখাই আমাদের কাজ। ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় সমর্থকরা রীতিমতো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে দিয়েছিল! ওটা ছিল অবিশ্বাস্য অনুভূতি।’
২১ জুন, ২০২৪

মুসায়লার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইউরোর নকআউট পর্বে জার্মানি
এবারের ইউরোর স্বাগতিক জার্মানি আসরে তাদের দুর্দান্ত শুরু অব্যাহত রেখেছে। স্কটল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করার পর হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে জয়লাভ করে নকআউট পর্বে পৌঁছেছে ক্রুস-নয়্যাররা।  বায়ার্ন মিউনিখের ফরোয়ার্ড জামাল মুসায়লা এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে তিনি একটি গোল করেন এবং খেলার শেষের দিকে বদলি হওয়ার সময় দর্শকদের দাঁড়িয়ে অভিবাদন পান। মুসায়লার গোলটি অবশ্য বেশ বিতর্কিত। কারণ গোলের আগে ইলকায় গুন্দোগান এবং হাঙ্গেরির উইলি অরবানের মধ্যে সংঘর্ষের পর আসে। হাঙ্গেরির ফাউলের দাবি সত্ত্বেও, ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) মাঠের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। এতে করে মুসায়লা হাঙ্গেরি সমর্থকদের সামনে তার সতীর্থদের সাথে উদযাপন করতে পারেন। হাঙ্গেরি প্রথমার্ধের ঠিক আগে রোলান্ড সালাইয়ের হেডারের মাধ্যমে একটি আশা পেয়েছিল, কিন্তু এটি অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয়। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে গুন্দোগান নিজেকে ফাঁকা পেয়ে হাঙ্গেরির গোলকিপার পিটার গুলাসিকে সহজে পরাস্ত করে জার্মানির লিড দ্বিগুণ করেন। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫-১ ব্যবধানে জয়ের তুলনায় জার্মানি এখানে কঠিন প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিল। হাঙ্গেরির রক্ষণ শক্তিশালী ছিল এবং লিভারপুলের ডমিনিক সোবোসলাই তার সেট-পিস দক্ষতার সাথে নিয়মিত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি ম্যানুয়েল নয়ার থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করতে এবং অন্য একটি প্রচেষ্টা জোনাথন তাহ দ্বারা ব্লক করতে বাধ্য করেন। সৃষ্টিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণের মুহূর্ত দ্বারা চিহ্নিত জার্মানির এই পারফরম্যান্স তিনটি পয়েন্ট অর্জনের জন্য যথেষ্ট ছিল যা তাদের সবার আগে নকআউট পর্বে তুলল।  রোববার ফ্রাঙ্কফুর্টে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি জয় জার্মানিকে গ্রুপ এ-এর বিজয়ী হিসেবে নিশ্চিত করবে। হাঙ্গেরির জন্য, এই পরাজয়টি তাদের সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রাথমিক হারের পর একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা। তারা এখন তাদের টুর্নামেন্টের আশা বাঁচিয়ে রাখতে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে।
২০ জুন, ২০২৪

কার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামছে জার্মানি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির প্রায় আট দশক পেরিয়ে গেছে। অক্ষশক্তির দেশ জার্মানি যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কয়েক দশকের অবিশ্বাস্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটিকে ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত করেছে। এবার জার্মানির নজর পড়েছে সামরিক খাতে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। জার্মানির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা বলছেন। বিশ্ব শাসনের স্বপ্ন থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেছিল জার্মানি। যুদ্ধের পর জার্মানির অর্থনীতির কোমর ভেঙে যায়। উল্টো ক্ষতিপূরণের বোঝা বয়ে চলতে হচ্ছে এখনও। তবে এবার কোনো রকম রাখঢাক না রেখেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে জার্মান প্রতিরক্ষমন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেন, রাশিয়ার হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার দেশের অবশ্যই যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, নিউজ ম্যাগাজিন দের স্পিয়েগেল পিস্টোরিয়াসকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ২০২৯ সালের মধ্যে আমাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইউরোপের দেশগুলো বিশেষে করে পূর্ব ইউরোপে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, রাশিয়া ইউক্রেন ছাপিয়ে অন্য দেশেও আক্রমণ করতে পারে। এরপরই ইউরোপের দেশগুলো সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে। জার্মানিতে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যকতামূলক করার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশটির বিরোধী দল সিডিইউ বলছে, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে এক বছরের জন্য তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে আইন করার চেষ্টা করবে তারা। জার্মানিতে ২০১১ সাল পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু ছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও জার্মান সামরিক বাহিনীতে কর্মীর অভাবের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিডিইউ। রাশিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, জার্মানি সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য ইতোমধ্যে একটি নতুন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সীমানায় নেটোর সেনা মোতায়েন। গেল বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলজের মন্ত্রিসভা নতুন প্রতিরক্ষা ফ্রেমওয়ার্কের অনুমোদন দেয়। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েসের এক বিবৃতিতে জানান, রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেছে। নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে এয়ারবাসের কাছ থেকে আরও ২০টি ইউরোফাইটার জেট কিনতে চায় জার্মানি। বুধবার বার্লিনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এমন কথা বলেন তিনি। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। এমন পরিস্থিতি চলমান থাকলে আবারও দীর্ঘ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ইউরোপ।
০৮ জুন, ২০২৪

জার্মানি যাচ্ছেন তিন হকি খেলোয়াড়
জার্মান লিগে খেলতে আজ দেশ ছাড়বেন রোমান সরকার ও মাহবুব হোসেন। ভারত সফর থেকে ফিরে তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন লিগসেরা সোহানুর রহমান সবুজ। জার্মানির এভি বুবলিনজেন হকি ক্লাবের হয়ে খেলবেন রোমান সরকার ও মাহবুব হোসেন। প্রথমবার জার্মান লিগে খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে রোমান বলেন, ‘জার্মানিতে আমাদের সিনিয়র অনেক খেলোয়াড় আগে খেলেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা খেলার আমন্ত্রণ পেয়েছি।’ সবুজ বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দলের হয়ে ভারতে অবস্থান করছেন। ভারত থেকে ফেরার পর এ ড্রাগ-ফ্লিকারেরও জার্মানি যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে খেলেছেন রোমান সরকার। মাহবুব খেলেছেন ঊষা ক্রীড়া চক্রের হয়ে। জার্মানিতে খেলার বিষয়ে রোমান সরকার বলেন, ‘লিগের সূচি এখনো হাতে পাইনি। আমরা সেখানে গিয়ে দলের সঙ্গে আগে অনুশীলনে যোগ দেব। চলতি মাসের শেষদিকে লিগ শুরু হওয়ার কথা।’ একসময় মামুনুর রহমান চয়ন, রাসেল মাহমুদ জিমি, ইমরান হোসেন পিন্টু, তাপস বর্মণ, মশিউর রহমান বিপ্লব, কৃষ্ণা কুমাররা জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার লিগে খেলেছে। মাঝে বেশ কয়েক বছর বন্ধ ছিল দেশ দুটির দুয়ার। রোমান সরকার ও মাহবুব হোসেনকে দিয়ে খুলছে জার্মানির পথ।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

এভিয়েশন শিল্পে ‘মর্ডান লজিস্টিক পার্টনার' হতে চায় জার্মানি
বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের ‘মর্ডান লজিস্টিক পার্টনার' হিসেবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জার্মানি। দেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি এই খাতে দক্ষ টেকনিক্যাল স্টাফ তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টিও নিজেদের পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানায় জার্মানি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার নিজ দেশের এই আগ্রহের কথা জানান। বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকায় সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হয়।  রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার সরকার বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়ছে, ত্বরান্বিত করতে জার্মানি বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের ‘মর্ডান লজিস্টিক পার্টনার’ হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে চাই আমরা।  অর্থনৈতিক, কারিগরি এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে একত্রে কাজ করছি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা এবং সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রমের বিষয়ে কথা বলেন এবং এই বিষয়ে জানতে চান তিনি।  প্রত্যুত্তরে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এই শিল্পের যথাযথ বিকাশ এবং উন্নয়নে বর্তমান সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এভিয়েশন সেক্টরে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা পাওয়ার প্রস্তাব আনন্দের। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আলোচনা সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের বিকাশেও সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সরকারের গৃহীত নানা ব্যবস্থার ফলে এরই মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য আমরা বিশেষ পর্যটন অঞ্চল নির্মাণ, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে পর্যটন সার্কিট তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইতোমধ্যেই পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এ বছরই এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
২০ মার্চ, ২০২৪

গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দিল জার্মানি
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ ইউনিয়নের উদ্বেগ সত্ত্বেও গাঁজাকে আংশিক বৈধতা দিয়ে আইন পাস করেছে জার্মানির পার্লামেন্ট। গত শুক্রবার বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হলে ৪০৭ জার্মান আইনপ্রণেতা পক্ষে ভোট দেন। অন্যদিকে ২২৬ রক্ষণশীল ও উগ্র ডানপন্থি আইনপ্রণেতা বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং চারজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। খবর আনাদোলুর। পার্লামেন্টে বিলের ওপর ভোটের আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাচ আইনপ্রণেতাদের নতুন আইনকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গাঁজা খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আগে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক বছরে গাঁজা সেবনের হার ক্রমাগত বেড়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গাঁজা খাওয়ার অনুমতি দিল জার্মানি
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ ইউনিয়নের উদ্বেগ সত্ত্বেও গাঁজাকে আংশিক বৈধতা দিয়ে আইন পাস করেছে জার্মানির পার্লামেন্ট। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হলে ৪০৭ জার্মান আইনপ্রণেতা পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে ২২৬ রক্ষণশীল ও উগ্র ডানপন্থি আইনপ্রণেতা বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং চারজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। খবর আনাদোলুর। পার্লামেন্টে বিলের ওপর ভোটের আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাচ আইনপ্রণেতাদের নতুন আইনকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গাঁজা খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আগে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সাম্প্রতিক বছরে গাঁজা সেবনের হার ক্রমাগত বেড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল বলেন, আজ আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন গ্রহণ করছি, যা আমাদের গাঁজা নিয়ন্ত্রণ নীতিকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করবে। নতুন আইনের মাধ্যমে আমাদের প্রথম লক্ষ্য কালোবাজারের বিরুদ্ধে লড়াই করা। আমাদের দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো যুবক ও শিশুদের আরও ভালোভাবে সুরক্ষা দেওয়া। নতুন আইনের মাধ্যমে অপরাধী চক্রের মাধ্যমে গাঁজা বিক্রি প্রতিরোধ করা হবে। নতুন আইন অনুযায়ী, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরা ২৫ গ্রাম পর্যন্ত গাঁজা রাখতে পারবেন। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বাড়িতে তিনটি পর্যন্ত গাঁজার গাছ রোপণ করতে পারবেন। সর্বাধিক ৫০০ সদস্যবিশিষ্ট অলাভজনক সংস্থা গাঁজা চাষ করতে পারবে। চাষের পর তা সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা যাবে। তবে একজন সদস্য প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম গাঁজা নিতে পারবেন। তবে শিশু ও যুবকদের রক্ষায় স্কুল, খেলার মাঠ, যুবকেন্দ্র ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে গাঁজা সেবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তরুণদের কাছে গাঁজা বিক্রির ন্যূনতম সাজা বৃদ্ধি করে দুই বছর করা হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জার্মানি সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে জার্মানি সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি ২৩) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে গত ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা যোগ দেন। ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X