খালেদা জিয়ার জন্য ফল পাঠালেন জামায়াতের আমির
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য উপহারস্বরূপ মৌসুমি ফল আম ও লিচু পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (২৭ মে) রাত ৯টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মৌসুমি ফল পৌঁছে দেওয়া হয়। এক বার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে ফলগুলো গুলশান কার্যালয়ে নিয়ে যান তার প্রতিনিধি গোলাম মাওলা। বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে উপহার আম ও লিচু গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু ও অ্যাডভোকেট মেহেদী। উল্লেখ্য, বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতৈকি জোট সঙ্গী জামায়াতে ইসলামী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও পৃথকভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ছিল জামায়াত।  জানা যায়, বর্তমানে এই দুই দল আগের মতোই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে বলে জানা গেছে।
২৮ মে, ২০২৪

শিক্ষার চরম অভাবের কারণে দুর্নীতি হচ্ছে : জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে নীতি নির্ধারক হিসাবে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশের নৈতিক শিক্ষার চরম অভাবের কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার বাজেট পাস হলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। উন্নয়ন বাজেটের অর্থ তারা লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি গাড়ির মালিক হচ্ছে। আর এই আত্মসাতে সহযোগী হচ্ছে কতিপয় বিপথগামী প্রকৌশলী যারা নৈতিকভাবে অসৎ। শুক্রবার (২৪ মে) ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ও জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দেশের মানুষের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে বিষিয়ে তুলছে। পদে পদে দুর্নীতি থাকায় দেশের মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না। উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে দুর্নীতি। অবৈধ সম্পদের মোহই মানুষকে চরমমাত্রায় নৈতিকভাবে পতন ঘটিয়েছে। নীতি-নৈতিকতা এবং ধর্মীয় অনুশাসন না মানার কারণে দেশে চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে গেছে দুর্নীতি। এই অবস্থায় প্রচলিত আইনের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান তিনি। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফোরামের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ঘুষ ছাড়া অফিস-আদালতে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ইউনিয়ন পরিষদের দারোয়ান থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত দুর্নীতি চরমমাত্রায় পৌঁছেছে। কিছু ভোগবাদী লোক জনগণের চিন্তা না করে নিজেদের ভোগ-বিলাসী জীবনের কারণে দেশ শত শত বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের মুখরোচক গল্প মানুষকে শুনালেও অর্থনীতিতে অন্তঃসারশূন্য দেশে আজ। সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শেয়ার বাজার, হলমার্ক দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি দেশকে আজ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে। তিনি আলোকিত সমাজ গঠনে প্রকৌশলীদের সততা ও দক্ষতার সাথে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান। কাউন্সিল অধিবেশনে ২০২৪-২৬ কার্যকালের জন্য সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মনোনীত হন প্রকৌশলী জয়নুল আবেদীন। সম্মেলনের সভাপতি গিয়াস উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জয়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবদুস সাত্তার শাহ, মির্জা মিজানুর রহমান, তৈয়বুর রহমান জাহাঙ্গীর, মোশাররফ হোসেন, সহ-সম্পাদক আব্দুল বাতেন, হোসাইন বিন মানসুর, আবুল হাসেম, আবু মেহেদী, মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ সরদারসহ দেশের শতাধিক দায়িত্বশীল প্রকৌশলীবৃন্দ।
২৪ মে, ২০২৪

নেতাকর্মীদের যে বার্তা দিলেন জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একদল সৎ ও দক্ষ লোকের প্রয়োজন। জামায়াতে ইসলামী সেই সৎ ও দক্ষ লোক তৈরির কাজ করে যাচ্ছে।  শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত থানা আমির ও বিভাগীয় সভাপতি এবং সেক্রেটারিদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আল্লাহর উপর ভরসা করে সাহসিকতার সাথে রাজপথে তৎপরতা চালাতে হবে। হযরত হানজালার (রা.) মতো বিপ্লবী চরিত্রকে ধারণ করতে হবে। রাজধানী একটি রাষ্ট্রের হৃৎপিণ্ড। যারা রাজধানীতে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে পারে তারাই দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাতিকে নেতৃত্ব দেয়। তাই ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতৃবৃন্দকে রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তিকে আরও মজবুত করতে হবে। রাজধানীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। গভীর রাতের পরে সুবহে সাদিকের আভা দেখা যাচ্ছে, জাতির মুক্তির সুর্য উদিত হবেই।  মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও ড. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মাওলানা আবু ফাহিম, ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন, শামসুর রহমান, এসএম কামাল উদ্দিন, ড. মোবারক হোসাইন, সদস্য আব্দুস সালাম, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, অধ্যাপক নুরুন্নবী মানিক, সৈয়দ সিরাজুল হক, মোহাম্মদ আবু ওয়াফি, শেখ শরীফ উদ্দিন আহমদ, হাফিজুর রহমান, কামরুল আহসান হাসান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সকল কার্যক্রম গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয় ফলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে বারবার গঠনতন্ত্র পড়ে তা অনুধাবন করতে হবে এবং সেই আলোকে আমরা নিজেরা কাজ করে যাচ্ছি কিনা তা পর্যালোচনা করতে হবে। সকল কাজে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। নামাজের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রাতের একটা অংশ আল্লাহর ইবাদতের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। নিজেদের লেনদেনকে আরও পরিচ্ছন্ন করতে হবে। হালাল হারামের বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে আরও কঠিন হতে হবে। নিজেদের পরিবারকে জান্নাতি পরিবার বানাতে হবে, সন্তানদেরকে ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করাতে হবে। মানবিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে ইসলামের আনসার সাহাবিদের মতো সহকর্মী ও সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এটিএম মাসুম বলেন, নিজেদের আধ্যাত্মিকতা বা রুহানি শক্তির মাধ্যমে এ দেশের মানুষ ও জনশক্তিকে প্রভাবিত করতে হবে। রাজধানীকে ইসলামী আন্দোলনের দুর্জয় ঘাটিতে পরিণত করতে হবে।  সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ দেশে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জাতির মুক্তির জন্য ইকামাতে দ্বিনের আন্দোলনকে বেগবান করতে থানা দায়িত্বশীলদের ময়দানে আরও তৎপর হতে হবে। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে আন্দোলনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে ইসলামী আন্দোলনের রাজধানীতে পরিণত করতে হবে।  ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কাজ সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ফলে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে দায়িত্বশীলদের  পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। সকল জনশক্তিকে ময়দানে তৎপর রাখতে হবে।
১৭ মে, ২০২৪

উজিরপুর জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার
নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির কাউসার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮। শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে উজিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১০ জানুয়ারি) র‌্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। র‌্যাব জানিয়েছে, নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য গত ৭ জানুয়ারি উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল কাউসার হোসেন। তার সহযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। র‌্যাব খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এদিকে আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযান সর্ম্পকে আরও বিস্তারিত জানানো হবে জানিয়েছে র‌্যাব। উল্লেখ্য, উজিরপুর উপজেলা বরিশাল-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত।
১০ জানুয়ারি, ২০২৪

মেহেরপুরে জেলা জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার
মেহেরপুর জেলা জাময়াতের আমির তাজউদ্দীন খান (৫২) কে গ্রেপ্তার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।  বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মুজিবনগর থানা পুলিশ। নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  মাওলানা তাজউদ্দিন খান মানিকনগর ডিএস আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক। তিনি বল্লবপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন খানের ছেলে। মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলা জামায়াতের আমির তাজউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতার অনেকগুলো মামলা চলমান। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। মেহেদী রাসেল আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে কেউ যেন নাশকতার সৃষ্টি না করতে পারে, এজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে অভিযান অব্যহত থাকবে।
০১ নভেম্বর, ২০২৩

মৌলভীবাজারে জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে জুড়ী শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে জুড়ী শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।  পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর জুড়ী থানায় করা পুলিশি কাজে বাধা দেওয়া, বেআইনি কাজ ও হত্যার উদ্দেশ্য আঘাত করা মামলায় ৯ নম্বর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন মাওলানা আব্দুর রহমান। গত ৫ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জুড়ীতে মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী। মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে জুড়ী থানার এসআই খসরুল আলম বাদল বাদী হয়ে ২৮ জনের নামোল্লেখসহ আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় এতদিন জামায়াত আমির মাওলানা আব্দুর রহমান পলাতক ছিলেন। জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, মাওলানা আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তারের করা হয়েছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

নোয়াখালীতে জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাজী হানিফ আনসারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে তাকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৮ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের কদমতলা বাজারের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। পরে ঘটনার দুই দিন পর ১০ অক্টোবর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারীকে ১ নম্বর আসামি করে ৩১ জনের নামে মামলা হয়। চরপার্বতী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি হাবীবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলায় কাজী হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় কাজী হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।’
১৬ অক্টোবর, ২০২৩

জলঢাকায় জামায়াতের আমির আটক
জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নীলফামারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর পিপিএমের দিকনির্দেশনায় ওসি মো. মুক্তারুল আলমের নেতৃত্বে বুধবার (৪ অক্টোবর) রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে।  আটককৃতরা হলেন, উপজেলা জামায়াতে আমির মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান (মাস্টার) ও তার সহযোগী মোহাম্মদ মশিউর রহমান।   আটককৃতদের নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের- ১৫(৩) ২৫(ডি) ধারা মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোক্তারুল ইসলাম।
০৫ অক্টোবর, ২০২৩

চলমান আন্দোলন নিয়ে যে নির্দেশনা দিলেন জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সরকার আমাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, ইসলামী আন্দোলন করার অধিকারসহ সব নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের বসে থাকলে চলবে না। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলনে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।  শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরার দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় মজলিসে শূরার বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।  সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে  মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, ড. মোবারক হোসাইনসহ মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও মজলিসে শূরার সদস্যবৃন্দ। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, একজন দায়িত্বশীল হিসেবে আমাদের দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কেননা কাল কেয়ামাতের কঠিন দিনে আমাকে আপনাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করা লাগবে। এজন্য আমল ও আখলাকের সমন্বয় ঘটিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদেরকে ঋণমুক্ত জীবন-যাপন করার ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। মৃত্যুর পূর্বেই শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সম্পদকে আল্লাহর জিম্মায় অসিয়ত করে যেতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে না।  তিনি বলেন, বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করল, সাঈদীর মারাত্মক কার্ডিয়াক অ্যাটাকের পরও তার চিকিৎসার ব্যাপারে চরম অবহেলা করা হয়েছে, কালক্ষেপণ করা হয়েছে। কোনো মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়নি। আরও বেদনাদায়ক ব্যাপার হলো বর্তমান জালেম সরকার ঢাকায় তার জানাজার অনুষ্ঠান তো দূরের কথা গায়েবানা জানাজা পর্যন্ত করতে দেয়নি। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে তার গায়েবানা জানাজায় বাধা দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আন্দোলন হিসেবে আল্লাহর জমিনে তারই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় জামায়াতের দায়িত্বশীল হিসেবে আমাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিদের মজবুত ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ইলমী যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আল্লাহর গোলাম হিসেবে জান্নাতের প্রত্যাশায় আমলী জিন্দেগি উন্নত করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগ করে এ দেশের ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনকে নিশ্চিহ্ন করার মিশন নিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকার কাজ করছে। কিন্তু এ দেশের শান্তিকামী জনগণ তা আর হতে দেবে না। এই জালেম সরকারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে হটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।   সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি এক গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করা হয়েছে। সরকার জুলুম নির্যাতনের অংশ হিসেবে বারবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও আমিরে জামায়াতসহ নেতৃবৃন্দকে বের হতে দিচ্ছে না। জেলগেট থেকেই তাদের নতুন নতুন মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে। 
১৯ আগস্ট, ২০২৩

সাঈদীর শূন্যতা পূরণ হবে না : জামায়াতের আমির
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সরকারের অবিচারের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, তার শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হবে না। তিনি দুই দুইবারের এমপি ছিলেন। কিন্তু কারাভ্যন্তরে সেই ধরনের চিকিৎসা পেতেন না। তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল, আগেও বারডেম হাসপাতালে ৫টি রিং পড়ানো হয়েছিল।  শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রুহের মাগফিরাত কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গত ১৪ আগস্ট রাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারা হেফাজতে মারা যান। মুজিবুর রহমান বলেন, নিয়মানুযায়ী আবারো হার্ট অ্যাটাকের পর তাকে সেই বারডেম হাসপাতালেই নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা না করে সময়ক্ষেপণ করা হয়। তার পরিবারের সদস্যদের ধারে কাছেও যেতে দেওয়া হয়নি। এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের দেখা করারই সুযোগ দেওয়া হয়নি। কতটা অমানবিক কাজ তারা করেছে। জটিল রোগী হলে হাসপাতালে সাধারণত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু তার ব্যাপারে সেটা করা হয়নি। দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও অবহেলা করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত, যেন ভবিষ্যতে কোনো রোগীর ক্ষেত্রে এ রকম করা না হয়। দোয়া মাহফিলে অনলাইনে দেশে-বিদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী, সুধী, শুভানুধ্যায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।  জামায়াতের এ নেতা বলেন, সাঈদী আজীবন শাহাদাতের তামান্না লালন করতেন। তবে তিনি চেয়েছিলেন, তাফসিরের ময়দানে ফিরে আসতে এবং তাফসির করতে করতে মৃত্যুবরণ করতে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। তাকে নজিরবিহীনভাবে অমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মৃত্যুর পর লাশের মালিক তো তার পরিবারের সদস্যরা, পুলিশ তো না। তার লাশটি স্ত্রীকে পর্যন্ত দেখতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ লাশ পিরোজপুর নিয়ে দ্রুত দাফনের জন্য চাপ দিয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক তিনি আজ আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি যেই কুরআনের জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন, আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, যতদিন পর্যন্ত কুরআনের রাজ্য কায়েম না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না। সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আল্লামা সাঈদী অবিচার ও জুলুমের শিকার। মিথ্যা অভিযোগে তিনি ১৩ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাকে বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এই অবিচারের বিচার আমরা আল্লাহর কাছে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহতায়ালা হয়তো দুনিয়াতে বিচার করবেন, না হলে আখিরাতে জালেমের বিচার অবশ্যই হবে। মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন, যুগে যুগে আল্লাহতায়ালা ঈমানদারদের পরীক্ষা নিয়েছেন। সবাইকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। যারা এই পরীক্ষায় টিকে যাবেন, তারাই ঈমানদার। মাওলানা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আমরা কুরআনের আন্দোলনে অবিচল থাকব, যতই বাধা আসুক না কেন। সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী বলেন, তার শূন্যতা আমি অনুভব করছি। তিনি পড়াশোনা করতেন। হিকমতের সঙ্গে দাওয়াতি কাজ করতেন। কে কী বলল, তার পরোয়া করতেন না। সত্যের পথে, ঈমানের পথে তিনি অবিচল থেকেছেন। ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, কোনো লোভ-লালসা তাকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। গ্রেপ্তারের পরও তার কাছে প্রলোভন এসেছিল, কিন্তু আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। তিনি যা বলতে বাস্তবে তা আমল করতেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে অংশ নেন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা যাইনুল আবেদীন, সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন জাফরী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী ও মাসুদ সাঈদী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আবদুস সবুর ফকির, অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, মাওলানা আবু ফাহিম, আবদুস সালাম, ড. মোবাররক হোসাইন, সৈয়দ ইবনে হোসাইন প্রমুখ।
১৮ আগস্ট, ২০২৩
X