সংসদে প্রধানমন্ত্রী / দেশে ১৪২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারা দেশে বর্তমানে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। ৯৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজ চলছে। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষদের নাগালের মধ্যে কমিউনিটিবেজড স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করছে বর্তমান সরকার। এর মধ্যে ৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক নদীভাঙন ও অন্যান্য কারণে ধ্বংস হয়ে যায়। বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের সাফল্যের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা পাচ্ছেন। এটি জনগণ ও সরকারের যৌথ প্রয়াসে বাস্তবায়িত কার্যক্রম। জনমুখী এ কার্যক্রম ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয়, যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৮-২০০১ সময়ে ১০ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ ও অধিকাংশই চালু করা হয় এবং জনগণ সেবা পেতে শুরু করে। কিন্তু, ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এ অবস্থা ২০০৮ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় নদীভাঙন ও অন্যান্য কারণে ৯৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক ধ্বংস হয়ে যায় এবং ১০ হাজার ৬২৪টি বিদ্যমান থাকে। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ‘রেভিটালাইজেশন অব কমিউনিটিজ হেল্থ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি)’ প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরুজ্জীবিতকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সময়ে নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রয়োজনীয় মেরামত, জনবল পদায়ন, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহপূর্বক নতুন নির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চতুর্থ সেক্টর (৪র্থ এইচপিএনএসপি) অপারেশনাল প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় কমিউনিটিজবেজড হেল্থ কেয়ারের (সিবিএইচসি) মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সমস্ত কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।  সরকারপ্রধান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামীণ জনগণকে মূলত স্বাস্থ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ, সীমিত নিরাময়মূলক সেবাসহ জরুরি ও জটিল রোগীদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ে রেফার সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, অসংক্রামক রোগসমূহ প্রাথমিকভাবে নিরুপণ এবং উচ্চতর পর্যায়ে রেফার, যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্সেনিকোসিস, অটিজম ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম আরো জোরদার করা এবং একটি কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
০৫ জুন, ২০২৪

২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার
বর্তমান সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ২৭ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল। বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়াসহ হাসপাতালগুলোর পরিচালনার জন্য এমএসআর খাতে মোট বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ টাকা ওষুধবাবদ ব্যয় করা হয়। সেই আলোকে হাসপাতালগুলোকে ওষুধ খাতে বরাদ্দকৃত ৭০ শতাংশ টাকার সব ওষুধই নিম্ন আয়ের রোগীরা পাচ্ছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি বিভিন্ন কোম্পানির মোট ৬৩টি ওষুধের মূল্য কমিয়েছে। সামন্ত লাল বলেন, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিনামূল্যে পর্যাপ্ত ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ অন্তঃবিভাগে ভর্তিকৃত রোগীদের উন্নতমানের ডায়েট খাবার দেওয়ার লক্ষ্যে দফায়-দফায় অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে ওষুধের দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূল্য সমাজের সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে সরকার সদা সচেষ্ট রয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৯২ সালে প্রাইসিং পলিসি প্রণয়ন করা হয় এবং ১৯৯৪ সালে সরকার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা করেছে। অত্যাবশ্যকীয় প্রিমার্জ হেল্থ কেয়ারের তালিকাভুক্ত ১১৭টি জেনেরিক ওষুধের মূল্য সরকার নির্ধারণ করে থাকে। এ ছাড়া, তালিকা বহির্ভূত অন্যান্য জেনেরিক ওষুধের মূল্য সংশ্লিষ্ট ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে ভ্যাট প্রদানের নিমিত্ত ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে মূল্য সনদ গ্রহণ করে থাকে।
০৫ জুন, ২০২৪

৬ জুন বাজেট ঘোষণা
আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
০৯ মে, ২০২৪

সংসদ অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে)। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে।  রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সংবিধান অনুযায়ী গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন। অধিবেশন চলবে মাত্র ছয় কার্যদিবস। এর মধ্যেই পাস হতে পারে একটি বিল। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। সরকারি দলের হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, গ্রাম আদালত বিল ২০২৪, সংশোধিত স্থানীয় সরকারসহ ৪টি বিল এ অধিবেশনে পাসের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। এ ছাড়া একাদশ সংসদের শ্রম বিল, গণমাধ্যম কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী বিলসহ ৫টি অমীমাংসিত আইনও গতি পেতে পারে। জুনের প্রথম সপ্তাহে বসবে বাজেট অধিবেশন। চলবে মাসব্যাপী। এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। যা শেষ হয় ৫ মার্চ।
০১ মে, ২০২৪

সংসদ অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন। সংসদ অধিবেশনের প্রতিদিনের কার্যক্রম জাতীয় সংসদ ভবন থেকে বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করবে। এতে আরও বলা হয়েছে, বেতার মধ্যম তরঙ্গ ঢাকা-ক ৬৯৩ কিলোহার্জ, এফ এম ৯২.০ মেগাহার্জ এবং ওয়েবসাইট www.betar.gov.bd ও মোবাইল অ্যাপ Bangladesh Betar এর মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ভাষণ দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হওয়া ২৯৯টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৩টি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন। স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ আসনে ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ জুন
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের ৫৫টি উপজেলার নির্বাচনও ওইদিন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভা শেষে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট। ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বাস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের করা ইলেকশন পিটিশনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের একক বেঞ্চ দুই মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেন। নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে থাকেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই ও তার সমর্থকরা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের ওপর হামলা-নির্যাতন, হুমকি-ধমকি প্রদান, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়াসহ এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তার সমর্থকরা যে কোনোভাবে নৌকার প্রার্থীকে জেতানোর কথাও বলতে থাকে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। গত ১৩ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে চিঠি দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাস। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগও দাখিল করেন তিনি। এসব অভিযোগের তদন্ত করে একজন বিচারকের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর নির্বাচন কমিশন আব্দুল হাই ও তার সমর্থকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে। ইসি বাদী হয়ে একের পর এক মামলা দায়েরের পরও বেপরোয়া আচরণ ছিল নৌকা প্রার্থী ও তার সমর্থকদের। এ অবস্থার মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের দিন হাকিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারেন পোলিং অফিসার রাজু আহমেদ। ভোটের দিন দুপুরে ওই কেন্দ্রে গিয়ে সাংবাদিকরা এ চিত্র দেখতে পান। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে সিল মারার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। একই কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায়ও প্রকাশ্যে সিল মারার চিত্র চোখে পড়ে। এর ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে হাইয়ের অনুসারীরা। এ ছাড়া অনেক কেন্দ্রে জোর করে সিল মারার ঘটনা ঘটে। ভোটের দিন নির্বাচন বন্ধ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। ভোট গ্রহণ শেষে ৭ জানুয়ারি বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঝিনাইদহ-১ আসনে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। কাস্টিং ভোটের ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ ছিল। কিন্তু ওই আসনের চূড়ান্ত ফলে ৯ শতাংশ ভোট বেড়ে যায়। ওই আসনে ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ কারণে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়, যা প্রথম প্রতিবেদনের চেয়ে বেশি ২৮ হাজার ৩৮৯ ভোট। এসব ভোট নৌকা প্রতীকে কাস্টিং দেখানো হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট স্থগিত রাখতে এবং ১০ জানুয়ারি জারিকৃত গেজেট বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী এসব ঘটনা তুলে ধরে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাস। আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট আব্দুল হাইয়ের নির্বাচনী ফলের গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশ দেন। এদিকে গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গ্রামে গ্রামে তাণ্ডব শুরু করে হাইয়ের অনুসারীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী দুলাল বিশ্বাসের সমর্থকদের শত শত বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে টিভি, ফ্রিজ, হাড়ি-পাতিলসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। লুট করা হয় টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু ও ধান। পিটিয়ে আহত করা হয় নারীসহ অর্ধশত মানুষকে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা উপজেলায়। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরবাড়ি ছাড়ে অসংখ্য পরিবার। তাদের মধ্যে অনেকেই কৃষক—যারা পেঁয়াজ চাষ করেন। এলাকায় আসতে হলে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের এসব নেতার কাছে চাঁদা দাবি করে হাইয়ের ক্যাডাররা। হামলা চালায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপরও। নির্বাচনের পর নতুন করে তাণ্ডব শুরু করায় শৈলকুপায় আতঙ্কের এলাকাতে পরিণত হয়।  
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে
আগামী ২ মে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই দিন বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংসদ সচিবালয় জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন। এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বলেছে, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি লাভের পর দেশ পরিচালনায় যাত্রা মসৃণ হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয়ের পর কিছু সমালোচক সতর্ক করেছিলেন, বাংলাদেশ কার্যকর একদলীয় শাসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে জয়ী হয়েছে এবং এর অনুগত স্বতন্ত্ররা আরও ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছে। তারা যুক্তি দিয়েছিল সংসদে কোনো অর্থবহ বিরোধী দল নেই। গত ৮ এপ্রিল ‘আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে’ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ভারতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী লিখেছেন, মার্কিন সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি লাভের সঙ্গে সঙ্গে ‘হাসিনার সরকার পরিচালনার জাহাজটি এখন মসৃণ সমুদ্রে যাত্রা করছে।’ লাহিড়ী বাংলাদেশের ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে একজন স্বাধীন বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছিলেন। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার এবং পঞ্চম মেয়াদে সরকার গঠন করে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন নারী সরকার প্রধান হিসেবে আর্বিভূত হন। লাহিড়ী উল্লেখ করেছেন, ‘জানুয়ারিতে তার দলের জয় এই অঞ্চলের প্রায় সব মহলেরই প্রশংসা কুড়িয়েছে। শেখ হাসিনা একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন ও ভারত উভয়েই তার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন দিয়েছিল। আঞ্চলিক শক্তি, মতাদর্শগত এবং রাজনৈতিক ঝোঁক নির্বিশেষে তার প্রশাসনকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে এসেছে।’ লাহিড়ী লিখেছেন, যাই হোক আওয়ামী লীগ সরকারের বেশিরভাগ দৃষ্টি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। এটি বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র’ প্রচারের জন্য কতটা সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করেছে তা দেখে। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল, নির্বাচনগুলো অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। মার্কিন কর্মকর্তারা নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচন বর্জন করলেও সব বিরোধী দল তা অনুসরণ করেনি। ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং সেইসঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৯শ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। অফিসিয়াল ভোটার (৪১.৮ শতাংশ) গত নির্বাচনের তুলনায় কম ছিল কিন্তু অভূতপূর্ব কম নয়। কেউ কেউ এই কম ভোটারকে একটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখেন যে বিরোধীদের বয়কট জনগণের মনোভাব প্রতিফলিত করে। তিনি বলেন, বিএনপির বয়কট কিছু ভোটারদের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়েছে তবে এটি অগত্যা জনগণের ভোট প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত বহন করে না। ভোটের দৌড়ে, বিএনপির নির্বাচন বিরোধী বিক্ষোভ সহিংসতায় পরিণত হয়। শতাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির অনুগতদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের আগের দিন দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল-অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। অগ্নিসংযোগকারীরা ভোটকেন্দ্র এবং একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চারজন নিহত হয়। আতঙ্কের এই বিরাজমান পরিস্থিতিতে কিছু ভোটারকে নির্বাচনের দিন বাড়িতেই অবস্থান করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয়ের পর কিছু সমালোচক সতর্ক করেছেন, বাংলাদেশ কার্যকরভাবে একদলীয় শাসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে জয়ী হয়েছে এবং এর অনুগত স্বতন্ত্ররা আরও ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছে। তারা যুক্তি দিয়েছিল, সংসদে কোনো অর্থবহ বিরোধী দল নেই। তিনি বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে উল্লেখ করেছেন, দলের সিনিয়র ব্যক্তিদের স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিয়ে, আওয়ামী লীগ অবশ্যই সম্ভাব্য অন্তর্দলীয় বিরোধের ঝুঁকি নিয়েছিল। তবুও, এটি ভোটারদের প্রকৃত নির্বাচনী বিকল্প প্রদান এবং সংসদে কণ্ঠস্বরের বৈচিত্র্যকে প্রসারিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি অপ্রতিরোধ্য সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা একটি দল একদলীয় রাষ্ট্রের সমতুল্য নয়। বাংলাদেশকে একদলীয় রাষ্ট্র না বানিয়ে অতীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই রকমের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। একইভাবে ভারত ও জাপান বহুদলীয় গণতন্ত্রের কাছে না হারিয়ে একদলীয় আধিপত্যের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। প্রধান প্রশ্ন হলো- আওয়ামী লীগ এই অতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদের আয়োজন করেছিল না কি বিএনপির নির্বাচন বয়কটের কারণে এটি অনিবার্য পরিণতি ছিল। লাহিড়ী বলেন, পর্যবেক্ষকদের জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল কেন বিএনপি নির্বাচন বয়কট করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার কোনো নজির নেই বলে বিএনপির দাবিকে অভিহিত করা হলেও, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবির এখনো ভিত্তি নেই। বয়কট শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সাহায্য করেছিল। বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট অনুসরণ করার চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক শাসনের মধ্যে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরির বিষয়ে উচ্চতর আশা করেছিল। এই আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিএনপি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

সংসদ ভবনে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
জাতীয় সংসদ ভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আগামী ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় (টানেলের নিচে) ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. তারিক মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, অন্যান্য হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, এ জামাত সবার জন্য উন্মুক্ত। জামাতে আগ্রহী মুসল্লিদের অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪
X