৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাবে সায়
নেপাল থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে সরকার থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গৃহীত উদ্যোগের এখন আরও অগ্রগতি এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির পাঁচ বছরের পরিকল্পনা প্রস্তাবটি অনুমোদন মিলেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও বিপিডিবি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এই বিদ্যুৎ আমদানির সুবিধার্থে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ৬৫০ কোটি টাকার একটি পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা ধরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে দেশে আনা হবে। তবে এই বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতীয় সঞ্চালন লাইন ব্যবহারের সুবিধা নেওয়া হবে। এর জন্য অবশ্য ভারতকে প্রতি ইউনিটে ০.৫৯ টাকা ট্রেডিং মার্জিন দিতে হবে। সব মিলে নেপাল থেকে আমদানিতব্য এই জলবিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৮ টাকা ১৭ পয়সা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসেন খান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) কর্তৃক পাঁচ বছরের পরিকল্পনা ধরে নেপাল থেকে ৪০ মেঘাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে।   প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করে তিনি আরও জানান, ‘এই বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হবে। এর জন্য ভারতকে আমাদের ট্রান্সমিশন খরচও দিতে হবে। ভারতের মধ্য দিয়ে আনতে হবে বিধায় প্রতি ইউনিটে ০.৫৯ টাকা ট্রেডিং মার্জিন দেশটিকে প্রদান করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও উল্লেখ করেন, ব্যবস্থাটি আনুষ্ঠানিক করতে নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফরের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে কি না, তা নির্ধারণ করা হবে।
১২ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে আজ রোববার (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নয়াদিল্লিতে তার আবাসস্থলে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য ভুটান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভুটান থেকে ভারতের ভূখণ্ড দিয়ে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন। বিষয়টি ইতোমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাবতীয় বিষয়াদি আলোচনায় উঠে আসে। তিনি বলেন, উভয় দেশ বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার দেশে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কেননা ভুটান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’ কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া জায়গার যথার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা করেন যে, ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে। তিনি বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ চেয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ অন্যরা বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। ভুটানের অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব কেসাং ডেকি ও পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন ভুটানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
০৯ জুন, ২০২৪

‘ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি আপাতত হচ্ছে না’
ভুটান থেকে আপাতত জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবিদ্যুৎ চুক্তি এই যাত্রায় সই হবে না। কারণ আমাদের আরেকটু কাজ করতে হবে। তবে আমরা আশা করছি খুব সহসাই সেটি সই করতে পারব।  জলবিদ্যুতের মাঝখানে কী আছে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের ওপর দিয়েই তো লাইন আসতে হবে। ভারত কিন্তু নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ফ্যাসিলিটেড করেছে। সুতরাং ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে, এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) আবার যুক্ত হোক, এ জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য আমি তাদের বিবিআইএন-এ আবার যোগ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এনেছি। ভুটানের রাজা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে শুনেছেন। মন্ত্রী জানান, ভুটানে বিমান ফ্লাইট সপ্তাহে মাত্র দুটি, এটি বাড়ানোর বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে। তবে ভুটানে বাংলাদেশিদের ট্রাভেল ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, ভুটানকে কুড়িগ্রামে একটি অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের জন্য আমরা জায়গা দিতে যাচ্ছি। প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সকালে ভুটানের রাজা চার দিনের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
২৫ মার্চ, ২০২৪

কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বেড়েছে
রাঙামাটিতে কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বেড়েছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বেড়েছে। আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু থাকলেও হ্রদের পানি বাড়ায় কেন্দ্রের দুটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে এ দুই ইউনিট মিলিয়ে উৎপাদন হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। শুষ্ক মৌসুমে এ কেন্দ্রের একটি ইউনিট দিয়ে ২৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছিল। তবে এক সপ্তাহ ধরে পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি হওয়ায় হ্রদে পানি বেড়েছে। ফলে উৎপাদন কিছুটা বাড়িয়ে ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি ইউনিট চালুর মাধ্যমে মোট ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। নিয়মিত বৃষ্টি হলে ধীরে ধীরে বাকি তিনটি ইউনিট চালুর মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে বলে কেন্দ্রসূত্রে জানা গেছে। কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের জানান, বর্তমানে ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ইউনিট দিয়ে দৈনিক ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
২৫ জুন, ২০২৩
X