গোপনে ফিলিস্তিনের বিপুল জমি দখল করল ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিপুল জায়গা নিজেদের বলে অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ অনুমোদনের ফলে গত দিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জায়গা হারাচ্ছে পশ্চিম তীর। ইসরায়েলি দখলদার বিরোধী ওয়াচডগের এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েল পশ্চিম তীরের তিন হাজার ১৩৮ একর জমি নিজেদের বলে অনুমোদন দিয়েছে। ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির পর এবারই সবচেয়ে বেশি ভূখণ্ড নিজেদেরে করে নিল ইসরায়েল। অসলো চুক্তিতে বলা হয়, ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে সরে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এ চুক্তিকে থোড়াই কেয়ার করছে ইসরায়েল। প্রায় প্রতিবছর ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে ইসরায়েলের দখল করা জমি নিজেদের বলে অনুমোদন করে আসছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।  ইসরায়েলি অধিকার সংস্থা ‘পিস নাউ’ নতুন ভূখণ্ড অনুমোদনের বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরের বেসামরিক ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ গত ২৫ জুন নতুন ভূখণ্ডের অনুমোদন দিয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত বিষয়টি প্রকাশ করা হয়নি।  ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে পিস নাও নামের এ সংস্থা। তারা নতুন করে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখলের নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ড স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াকে আরও কঠিনতর করে তুলছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণ করা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ইসরায়েল এ জমিগুলোকে নিজেদের বলে অনুমোদন করেছে। কোনো জমি একবার নিজেদের অনুমোদন করলে পরে সেসব জমির ফিলিস্তিনি মালিকানাকে অস্বীকার করে ইসরায়েল। 
০৪ জুলাই, ২০২৪

জমি দখল করতে গিয়ে ১০ ভাড়াটে দুর্বৃত্ত আটক
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বসতবাড়ির জমি দখল করতে আসা ১০ ভাড়াটে দুর্বৃত্তকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।  সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই গ্রামের আমসা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন, নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাংগা এলাকার সাইদুল, কুড়িগ্রাম সদরের মধ্যকুমরপুর এলাকার কামাল মিয়া ও নুর জামাল, একই এলাকার নুরনবী রানা, ফজলুল করিম, মাহমুদুল হাসান, নাদের আলী, আশিক, শামিম ও বেলাল হোসেন। স্থানীয়রা জানান, আমসা বাজার এলাকার মকবুল হোসেনের সঙ্গে তার আপন বড় ভাই আব্দুল কাদেরের বসতবাড়ীর ৭ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকালে আব্দুল কাদের মকবুল হোসেনের বসতবাড়ীর ওই জমি দখল করার জন্য ৬টি মোটরসাইকেলে করে কুড়িগ্রাম সদর, মধ্যকুমরপুর ও নাগেশ্বরী এলাকার থেকে ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত নিয়ে আসে। দুর্বৃত্তরা মকবুল হোসেনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে হামলা ভাঙচুর, লুটপাট শুরু করে। আশপাশের লোকজন তাদের বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় মকবুলের মা মমেনা বেগম প্রতিবেশী আব্দুল হামিদ ব্যাপরী, শহিদুল ইসলাম, আফজাল ব্যাপারী, মন্জুরুল ইসলামসহ ৭  জন আহত হন। পরে মমেনা বেগমসহ আহতদের চিৎকারে প্রায় ৪ শতাধিক গ্রামবাসী জড়ো হয়ে দৃর্বৃত্তদের ঘিরে ফেলে। এ সময় দুজন পালিয়ে গেলেও ৬ টি মোটরসাইকেলসহ ১০ দুর্বৃত্তকে আটক করে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক ১০ দুর্বৃত্তকে মোটরসাইকেলসহ থানায় নিয়ে আসে। ফুলবাড়ী থানার ওসি প্রানকৃষ্ণ দেবনাথ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, জনগণের হাতে আটক বহিরাগত ১০ দুর্বৃত্তকে আটক করা হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
০৭ জুন, ২০২৪

ঝিনাইদহে ভাইদের জমি দখল করতে জালিয়াতি
মানুষ গড়ার কারিগর একজন স্কুল শিক্ষক। সেই শিক্ষক যদি হয় জালিয়াত তবে তার কাছে কী শিখবে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বলছি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার সোনাতনপুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. মোকাদ্দেস হোসেনের কথা। তিনি উপজেলার ফলসী গ্রামের চাঁদ আলীর ২য় স্ত্রীর প্রথম সন্তান। উপজেলার ফলসী গ্রামের মৌজায় ছোট দুই ভাইয়ের ১৮ শতাংশ জমি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মাসাতের অভিযোগে কারাভোগ করেছেন। এমনকি সম্পত্তি দখল করতে এর আগে ভাইদের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে করেছেন শ্লীলতাহানির মামলা। জানা যায়, হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের ফলসী গ্রামের চাঁদ আলীর দুই স্ত্রীর ৫ ছেলে ও ৭ মেয়ে। ছোট স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে বড় মোকাদ্দেস হোসেন। তিনি উপজেলার সোনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি  শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন ২০১২ সালে। তার নিজ মায়ের অন্য দুই ভাই মিরাজ হোসেন ও রাসেদুল ইসলাম। বে মাতা দুই বড় ভাই মোশাররফ হোসেন ও আব্দুল কুদ্দুস। তাদের বাবা মৃত চাঁদআলী ফলসী ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। পিতা চাঁদআলী ২০০০ সালে ৪৬ নং ফলসী মৌজায় ৬৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে। পরে দানপত্র করে দেয় তার মেজো ছেলে মিরাজ ও ছোট ছেলে রাসেদুলকে। যার দলিল নং ১৩৫২/২০০০। এই অবস্থায় মিরাজ ও রাসেদুলের বড় ভাই শিক্ষক মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাল দলিলের মাধ্যমে ১৮ শতক জমি নিজের নামে করে নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তার ছোট ভাই মিরাজ হোসেন বাদি হয়ে আদালতে তার নামে জালিয়াতির মামলা করেন। এ ছাড়াও হরিনাকুন্ডু সাবরেজিস্টার অফিসের মোহরার শামছুল আলম বাদী হয়ে আরও একটি  মামলা করেন। আদালত জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় আসামি মোকাদ্দেসকে গত ২১ এপ্রিল আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এরপর তিনি এক মাস ৭ দিন পর গত ২৮ মে জামিনে বের হন।  অভিযোগ রয়েছে শিক্ষক মোকাদ্দেস এতটাই লোভী ও ভূমি দস্যু যে  তার স্ত্রী মুসলিমাকে বাদী করে নিজ ও বে-মাতা ৪ ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে শ্লীলতাহানির মামলা  দায়ের করেন। সেই মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এ দিকে শিক্ষক মোকাদ্দেসের জালিয়াতির ঘটনা ও হাজতবাসের কথা জেনে স্কুল কতৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বহিষ্কারাদেশ অমান্য করে পুর্বের মত স্কুলের কার্যক্রম করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া তিনি জাল সনদে শিক্ষকতা পেশায় এসেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেটি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলে এাকাবাসী দাবী করেন।   সোনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন জানান, তার ব্যাপারে আমরা স্কুল ম্যানিজিং কমিটির সভাপতিসহ সকলে আলোচনায় বসবো। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার বিরুদ্ধে চলতি বছরে আদালতে মামলা হয়। জেল হাজতে থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। সে তার বিরুদ্ধে আনা সাময়িক বরখাস্তর বিষয়টি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য দেন দরবার  করছে বলেও স্কুল কমিটির সভাপতি  ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান। তিনি বলেন পরিচালনা কমিটি সভা করে তার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে। এদিকে ভুক্তভোগি মিরাজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই মোকাদ্দেস হোসেন তাদের জমি দখলের হীন উদ্দেশ্যে জাল দলিল করে। পরে তারা আদালতের মামলা করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়াও তিনিসহ তার ছোট বড় ভাইদের বিরুদ্ধে তার ভাবির করা মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হন। পরবর্তীতে  ওই মামলা  মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তারা সকলে খালাস পান। হরিণাকুন্ডু মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, তাকে আদালত সাজা না দেওয়া পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। তবে তিনি আবেদন করলে সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মোকাদ্দেস হোসেনের মুঠো ফোনে বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
০৬ জুন, ২০২৪

বিধবার সম্পত্তি দখলচেষ্টার অভিযোগ দেবরের বিরুদ্ধে
মেঝেতে তোশকের বিছানা। একটি ফ্রিজ, একটি টেবিল, একটি ওয়ারড্রব। দেখে মনে হবে নিম্ন মধ্যবিত্ত কোনো পরিবারের শয়নকক্ষ। ১৩ শতাংশ জমিতে দুই তলা ভবনের তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাটের এক কক্ষে থাকেন আয়েশা আক্তার ও তার ১৫ বছরের কিশোরী কন্যা। যৌথ বাড়িটিতে আয়েশার প্রয়াত স্বামীর জমির পরিমাণ চার শতাংশ। স্থানীয় জমির দর অনুযায়ী যার মূল্য কোটি টাকার ওপরে। দোকান আছে ৪টি। সম্পত্তি অনুযায়ী সচ্ছল জীবনযাপনের কথা থাকলেও মা-মেয়ের দিন কাটে অর্ধাহারে, অনাহারে। ওই মায়ের দাবি, সাভারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জমি, দোকান থাকলেও ওয়ারিশসূত্রে মালিক হয়েও এসব জমি কাজে আসছে না তার। সবই নিজের দখলে রেখে ভোগ করছেন তার দেবর। ঢাকার সাভারের গেন্ডার পূর্ব ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা তারা। জানা যায়, ক্রয় সূত্রে সাভারের পূর্ব ভবানীপুর, সাভার নামা গেণ্ডা ও সাভার থানা রোড এলাকায় ৩টি জমির মালিক ছিলেন মুন্সী আলী আহমেদ। এর মধ্যে তার ১৩ শতাংশের দুই তলা বসতবাড়ির চার শতাংশ বড় ছেলে মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ শরীফকে, ছোট ছেলে খায়রুল আহমেদ আমিনকে চার শতাংশ ও স্ত্রী মোসলেমা খাতুনকে তিন শতাংশ জমি দলিল মূলে লিখে দেন।  জমির সব কাগজপত্র নিজের কব্জায় রাখেন খায়রুল। ২০১২ সালে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী আয়েশা আক্তার ও এক কন্যা রেখে মারা যান মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ শরীফ। ২০১৯ সালে মারা যান মোসলেমা খাতুন। স্বামীর অসুস্থতার সময় থেকেই জমি বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসার জন্য জমির নথি ও কাগজপত্র দেবরের কাছে চেয়ে আসছিলেন আয়েশা আক্তার। তবে এত বছরেও সেসব বুঝে পাননি তিনি। এর মধ্যে ২০২২ সালে জোরপূর্বক অল্প মূল্যে সব জমি নিজের নামে করে নিতে বায়না দলিল করিয়ে নেন খায়রুল। ফলে সাভারের মতো শিল্পাঞ্চলে বহু সহায়সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে মা-মেয়েকে। সম্প্রতি ওই বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, ১৩ শতাংশ জমির চারপাশে সীমানা দেয়াল। মূল ফটকের পাশে ৩টি দোকান। ভেতরে ঢুকে বামে গাড়ির গ্যারেজ, মাঝে প্রায় ৩-৪ শতাংশ ফাঁকা জমিতে বেশ কিছু গাছপালা। উত্তর পাশে দুই তলা ভবন। নিচতলায় তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট। এ ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে কোনোমতে বসবাস করছেন ওই মা-মেয়ে। কক্ষটির দরজা সম্প্রতি সারাই করা হয়েছে। জানালার কাঁচও ভাঙা। ওয়েলক্লথ দিয়ে কোনোমতে ঢেকে সেটি আটকে রাখা হয়েছে। মেঝেতে পাতা বিছানায় বসে দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দু’জনই। আয়েশা আক্তার বলেন, ২০১২ সালে হঠাৎ অসুস্থ হন আমার স্বামী। ক্রমেই অসুস্থতা বাড়তে থাকে। অর্থকষ্ট ও চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করতে চেয়েছিল। ওই সময় সে জমির কাগজপত্র চেয়েছিল তার ভাইয়ের কাছে। কিন্তু সে দেয়নি। তিন লাখ টাকায় একজন কিডনিদাতাও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু টাকা সংকুলান করা যায়নি। তাই কিডনিও দিতে পারিনি। প্রায় এক বছর রোগে ভুগে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর দুর্দশা বেড়ে যায়। বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মা ও মেয়ে। বাড়ি থেকে তাড়াতে দেবর নানাভাবে চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বামী বেঁচে থাকতে কোনো দিন দোকানেও যাইনি। কিন্তু এক সময় তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বললো। এরপর তারা আমাকে নানাভাবে হুমকিধমকি দিয়ে আসছিল। শারীরিক নির্যাতন ছাড়াও অপবাদ দিয়ে মানহানিও করে। একপর্যায়ে ২০২২ সালের দিকে অস্ত্রের হুমকিসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের দিয়ে হুমকি দিয়ে জমি লিখে দিতে বলে। এরপর নিজেরাই একটি বায়না দলিল বানায়। আমিও ভাবলাম, এত জটিলতা বাদ দিয়ে জমি বিক্রি করি। এরপর স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে বসে সেই জমির বায়না দলিল করা হয়। মোট ২৪ লাখ টাকার। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা নগদ দিবে বলে জানায়। কিছু টাকা দিলেও পরে তা আবার ফেরত নিয়ে নেয়। দলিলে লেখা ছিল তিন মাসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু কোনো টাকাই দেয়নি। তিনি বলেন, জমির নামে কোনো টাকা দেয়নি। দোকান ভাড়া, বাসা ভাড়াসহ লাখ টাকা আয় আসে সম্পত্তি থেকে। কিন্তু আমরা পাই মাসে পাঁচ হাজার টাকা। বাসার দুইটি গেটের একটিরও কোনো চাবি দেয় না। পানির মোটরের নিয়ন্ত্রণও তাদের কাছে। প্রয়োজনের সময় পানি পাওয়া যায় না। শ্বশুরের কেনা প্রায় ২০ লাখ টাকার গাড়ি বিক্রি করে নিজে নতুন গাড়ি কিনে সেটি নিজে ব্যবহার করছেন। সেটিরও কোনো অংশ পাইনি। ক্লাস এইটে পড়ুয়া ১৫ বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগে তিন কক্ষের ফ্ল্যাটে আমরা থাকতাম। তবে কয়েক বছর আগে ছোট বোনকে এনে দুই কক্ষ দিয়ে দেয়। সে তার পরিবারসহ এখানে থাকে। আমাদের দেওয়া হয়েছে একটি কক্ষ। অথচ ওই বোনের এখানে জমি নেই। আমার স্বামীর জমি থাকলেও আমাদের থাকার জায়গা নেই। সে যদি বেঁচে থাকত, স্বামী যদি বেঁচে থাকত, বিছানায়ও পড়ে থাকত। আমার সঙ্গে এ রকম অন্যায় করতে পারত না। মৃত মোসলেমের কিশোরী কন্যা বলেন, আজ বাবা নেই বলে কোনো বিচার পাচ্ছি না। তিন বেলা ঠিকমতো খেতেও পাই না। ভয়ে ও আতঙ্কে থাকতে হয়। গায়ে হাত তুলতে আসে তারা। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা কোথায় যাব, কার কাছে থাকব। বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ, সাহায্য চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি আয়েশা আক্তার। গত ২৭ এপ্রিল সকালে মেয়ের জন্য নাশতা বানাতে রান্না ঘরে ঢুকলে তাকে বাধা দেন ফ্ল্যাটের দুই কক্ষের বাসিন্দা তার ননদ। এক পর্যায়ে মা-মেয়েকে ধরে মারধর করেন। তাদের চুল ধরে টানাটানিসহ মারধরের ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এ ছাড়াও একাধিক অভিযোগের কপি পাওয়া যায়। তবে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির কোনো ভাগ যেমন পাননি, তেমনই ভাগ্যের পরিহাসে পাননি বিচারও। বিষয়টি নিয়ে তার দেবর খায়রুল আহমেদ আমিনের সঙ্গে কথা হয়। সব সম্পত্তি নিজেদের দখলে আছে বলে জানান তিনি। তার ভাষ্য, ভাতিজি ও ভাবি ফ্ল্যাটে থেকে দেহব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তিনি জানান, ভাবি-ভাতিজি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে জমি বিক্রির জন্য বায়নার টাকা নিয়েছেন। দলিল হলে তারা চলে যাবেন। জমির দখল, বাড়িতে যথাযথ ওয়ারিশ দেওয়া, দোকান ভাড়াসহ সম্পত্তির অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজনের নাম বলে তাদের কাছে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল নিজেই পরিশোধ করেন বলেও জানান তিনি। তবে সম্পত্তি থেকে আরও বেশি টাকা আয় হয় এমন বিষয় উল্লেখ করলে কোনো জবাব দেননি তিনি। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া জমিজমাসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সাভার উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাসেল ইসলাম নূর আদালতে দখল উচ্ছেদ মামলার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকে যে কোনো ধরনের আইনগত সহায়তা দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
০২ মে, ২০২৪

জমি দখল নিতে ভ্যানচালককে মারধর, এসআই প্রত্যাহার
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে কবির শেখ নামে এক ভ্যানচালককে মারধর করেছন সন্নাসী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রওশন ফেরদৌস। কবির শেখকে মারধর থেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই এসআইকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। আহত অন্য দুজন হলেন ভ্যানচালকের স্ত্রী শিউলি বেগম ও শ্যালক রাজু শেখ। পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল হাসনাত খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভিডিওটি আমার নজরে এসেছে। প্রাথমিকভাবে ওই এসআইকে ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ ভ্যানচালক কবির শেখ বলেন, একই এলাকার খলিল আকনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের বিরোধ। এর জেরে খলিল আমার বাড়ির জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন।  তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে হঠাৎ করে সন্নাসী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রওশন ফেরদৌস আমার বাড়িতে আসেন। জমি থেকে ঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেন। আমি তাকে জমির মালিকানা সংক্রান্ত রেকর্ড ও দলিলসহ বিভিন্ন তথ্য জানিয়ে বলেছি আমি কেন জমি ছাড়ব? এরপরই ওই পুলিশ কর্মকর্তা লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সাদা টিশার্ট পড়া ওই পুলিশ কর্মকর্তা লাঠি দিয়ে কবিরকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। এ সময় ভ্যানচালকের স্ত্রী পুলিশের হাত থেকে রক্ষার জন্য চিৎকার করছেন।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

তাড়াইলে শ্মশানের জমি দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে শ্মশানের জমি দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের কোবাদিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় রবিদাস সম্প্রদায়ের টিমল রবিদাস বাদী হয়ে ১৫ মার্চ পাইকপাড়া গ্রামের ১০ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর শ্মশানের জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ঘর নির্মাণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন। তারা বলছেন, জমিটি বেহাত হলে এলাকায় মরদেহ সৎকার করা কঠিন হবে। এমন বাস্তবতায় প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী বেদেনা খাতুন, বাবুল মিয়া, নজরুল ঠাকুর, সাইকুল ঠাকুর, খায়রুল ঠাকুর, রফিকুল ঠাকুর, রুবেল ঠাকুর, কাজল আক্তার, রেখা আক্তার ও গোপী আক্তার। টিমল রবিদাস কালবেলাকে বলেন, এই জমি আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। মূলত এই জমিতে রবিদাস সম্প্রদায়ের মরদেহ সৎকার করা হয়। আগে থেকেই ভূমিখেকোরা এই জমি নিজেদের বলে দাবি করত। জমিটি ছিনিয়ে নিতে আমাদের বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে প্রভাবশালী দখলদার বাহিনী। তিনি জানান, জমি রক্ষায় কিশোরগঞ্জ আদালতে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে মিস ট্রান্সফার মামলা করা হয়েছে। মামলার রায় আগামী মাসেই হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মামলায় দখলদার বাহিনী হেরে যাবে জেনে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে, পাকা ঘর বানিয়ে শ্মশানটি দখলের পাঁয়তারা শুরু করেছে। আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা প্রশাসন ঘর তোলা বন্ধ করে দেয়। গত ২১ মার্চ, বৃহস্পতিবার বিদাদীপক্ষের নজরুল ঠাকুর গং শ্মশানের জমি নিজেদের দাবি করে তাড়াইল উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। নজরুল ঠাকুর গংদের দাবি ভূমির সিএস, এসএ ও আরএসসহ যাবতীয় কাগজপত্র তাদের নামে রয়েছে। এদিকে গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে এই জমিতে নজরুল ইসলামরা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আলী আরিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। আরিফ কালবেলাকে বলেন, সেখানে স্থাপনা তুলতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে আগামী ২৯ মার্চ, শুক্রবার থানায় বসার কথা বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন কালবেলাকে বলেন, শুক্রবার সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নজরুল ঠাকুররা নিজেদের ভূমি দাবি করে মাটি কেটে ঘর তৈরির কাজ করছিল। ঘর নির্মাণে নিষেধ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার সব কাগজপত্রসহ থানায় বসার জন্য উভরপক্ষকে বলা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরবর্তী প্রতিবেদন দেবেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা কমিটির সভাপতি মিশুক ভৌমিক ও সম্পাদক সাগর দে জানান, গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্মাণাধীন চেলাঘর ভেঙে দিয়েছেন।
২৩ মার্চ, ২০২৪

সরকারি জমি দখল করে চেয়ারম্যানের কোটি টাকা বাণিজ্য
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ৪১ একর জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে চেয়ারম্যান মো. আবু সালেহ বাবু। উপজেলার ১০নং আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেঁকী বাজারের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এ জমি নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশপথে বঙ্গবন্ধু চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও গ্রামের সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি আইন অমান্য করে নওয়াবেঁকী হাটবাজারের পেরিফেরিভুক্ত সরকারি সম্পত্তি যোগসাজশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও জবরদখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বারবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নওয়াবেঁকী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।  লিখিত অভিযোগে ব্যবসায়ীরা জানায়, আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেঁকী হাট-বাজারের পেরিফেরিভুক্ত সম্পত্তিতে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মোশারাফ হোসেনের সহযোগিতায় সরকারি আইন অমান্য করে ওই স্থানে মাথাপিছু ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে ২৩টি দোকান অবৈধভাবে নির্মাণকাজ শুরু করেন। যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ৫টি দোকান নির্মাণ করে মাসিক ৫ হাজার টাকা হারে ভাড়া তুলেছেন চেয়ারম্যান।  ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দলীয় কর্মসূচি করার কোনো জায়গা না থাকায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এই জায়গায়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বঙ্গবন্ধু চত্বর নাম দেয়। তবে বর্তমান ইনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু চত্বরের সেই ম্যুরাল অপসারণ করে সেখানেই নিজস্বভাবে মার্কেট নির্মাণ করেছে। আমরা চাই আমাদের বঙ্গবন্ধু চত্বর থাকুক। তবে সেখানে কেন অবৈধ্য মার্কেট হবে। চেয়ারম্যানের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ইউপি সদস্য স্বপন কুমার বৈদ্য বলেন, জায়গাটি পেরিফেরিভুক্ত ১নং খাস ক্ষতিয়ানের জমি। তবে চেয়ারম্যান বলছে এটি ইউনিয়ন পরিষদের জমি। জায়গাটি যদি পরিষদের হয়ে থাকে তাহলে তা উন্নয়নের কাজে লাগলে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে এর উন্নয়নের নামে যদি চেয়ারম্যানের পেটে যায় তাহলে সেখানে আমাদের আপত্তি। এ বিষয়ে আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সালেহ বাবু বলেন, জায়গাটি আমাদের পরিষদের। তাই আমরা কাজ করছি। কোন খাতের টাকা দিয়ে এসব কাজ করছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে মার্কেট নির্মাণ করছি। পরে আমি আমার টাকা নিয়ে নেব। তবে নিজের টাকায় কাজ করার আইনগত বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেনি। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, সরকারি জায়গায় চেয়ারম্যানের মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি ইতিমধ্যে আমাদের নজরে এসছে। শ্যামনগরের ইউএনওকে কাজ বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২১ মার্চ, ২০২৪

সরকারি জমিতে প্লট ব্যবসা করছে তানিসা প্রোপার্টিজ
খুলনা শহরের কাছাকাছি ছিমছাম-নিরিবিলি পরিবেশে প্রতি কাঠা জমি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকায়। এসব জমি কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। যদিও এসব জমি কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়। একটি বেসরকারি আবাসন কোম্পানি জমিগুলো প্লট আকারে তৈরি করে বিক্রি করছে। এর মধ্যে সরকারি খাসজমিও রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এর প্রতিবাদ জানালেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে প্রশাসন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কয়েকবার ওই এলাকা ঘুরে এলেও ব্যবস্থা নেননি। জানা গেছে, খুলনা মহানগর সংলগ্ন ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছে এই আবাসন প্রকল্প। সেখানেই তানিসা প্রোপার্টিজ নামের একটি বেসরকারি আবাসন কোম্পানি প্রায় ৯ বিঘা সরকারি খাসজমি ও খাল দখল করেছে। জমিগুলো ইউনিয়নের থুকড়া ভূমি অফিসের আওতাধীন বিলপাবলা মৌজার অধীন। এমন অবৈধ কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড এস এম আশীষ মমতাজের বিরুদ্ধে। তিনি একাধিকবার ঘটনাস্থলে যান। সবকিছু দেখেও কোনো পদক্ষেপ নেননি। এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিষয়টি তাকে অবহিত করলেও রহস্যজনক কারণে তিনি নীরবতা পালন করছেন। সরেজমিন দেখা যায়, বিলপাবলা মৌজার ১নং খতিয়ানভুক্ত এসএ দাগ নং ৪৬১৪, আরএস দাগ নং ৪০১৬১-এর ১ দশমকি ৭৭ একর এবং এসএ দাগ নং ৪৬১০, আরএস দাগ নং ৪০১৬৪ ও ৪০১৬৫-এর ১ দশমিক ০৬ একর সরকারি জমি তানিসা প্রোপার্টিজ দখলে নিয়েছে। ১৩নং গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম তুহিন কালবেলাকে বলেন, মোস্তর মোড় এলাকার বিলপাবলা মৌজার তিন দাগে মোট ২ দশমিক ৮৩ একর জমি তানিসা প্রোপার্টিজ দখল করেছে। দখলকৃত কিছু জমি ইতোমধ্যে প্লট আকারে বিক্রি করে দিয়েছে তারা। জমির কিছু অংশে কোম্পনিটি পাকা রাস্তা নির্মাণ করেছে এবং কিছু অংশ এখনো অবিক্রীত প্লটের মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দখল শুরু হওয়ার পরপরই আমি বিষয়টি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। এমনকি দুবার ডুমুরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দখলকৃত জমি পরিদর্শন করেছেন; কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ছাড়াও রওশন প্রোপার্টিজ, বিশ্বাস প্রোপার্টিজ ও বিসমিল্লাহ প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখলের বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তাদের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি; কিন্তু তারা এসবে কর্ণপাত করেনি। দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তানিশা প্রোপার্টিজের প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায়, গুটুদিয়া ইউনিয়নের মোস্তর মোড় এলাকার খুলনা বাইপাস সড়কের পাশে তানিসা প্রোপার্টিজের আবাসন প্রকল্প চলছে। প্রকল্পের প্রবেশ মুখে খাস খতিয়ানের ১ দশমিক ০৬ একর জমির সাইনবোর্ড দেখা গেলেও ঠিক পাশেই ১ দশমিক ৭৭ একর জমির কোনো সাইনবোর্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে প্লট ব্যতীত সেখানে বাড়তি কোনো জমির দেখাও মেলেনি। তানিসা প্রোপার্টিজ তিনটি দাগ থেকে মোট ৯ বিঘা খাস জমি দখল করেছে বলে স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, বিল পাবলা মৌজার খাস খতিয়ানের অনেক জমি বিভিন্ন প্রোপার্টিজের নামে দখল করার বিষয়টি আমরা জেনেছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তহশিল অফিস থেকে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে তানিসা প্রোপার্টিজের মালিক মো. শাহিনুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জমি দখলের বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকারÑ কোনোটিই করেননি। তিনি বলেন, মোস্তর মোড় প্রজেক্টে আমার ২৫০ বিঘা জমি আছে। সেখানে সরকারি ৮ থেকে ১০ বিঘা জমি থাকতে পারে। কিন্তু সেটা কোথায় আছে, তা জানি না। তাছাড়া খাস জমি খুঁজে বের করার দায়িত্বও আমার না। তবে খাস জমি দখল ও তানিসা প্রোপার্টিজের প্রকল্প পরিদর্শনের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ডুমুরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আশীষ মমতাজ। তিনি বলেন, তানিসা প্রোপার্টিজ নামে কোনো প্রতিষ্ঠান আমি চিনি না। তাদের জমি দখলের ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না।
১২ মার্চ, ২০২৪

কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমি দখল করে টয়লেট
কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ। গত রোববার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এদিকে বৌদ্ধ বিহারে টয়লেট নির্মাণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের বিচার দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪৪ বিশিষ্ট নাগরিক। কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিহারাধ্যক্ষ ইন্দ্রবংশ ভান্তে স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, কুয়াকাটার কেরানীপাড়া সংলগ্ন এস এ ৫৩০নং খতিয়ানের ৫৩৭৪নং দাগে ২ দশমিক ৪৪ একর জমি ১৯৪৭ সালের ৭ নভেম্বর রেজিস্ট্রিকৃত ০৯নং চুক্তিপত্র দলিলের মাধ্যমে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের জন্য কেরানীপাড়ার মগগনের পক্ষে পাড়া মাদবর নোলাউ মগ বরাবর হস্তান্তর করে। মূলত দলিল মূল্যে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ ওই জমির মালিক। কিন্তু এস এ ৫৩৭৪নং দাগের পূর্ব অংশে রাখাইন মার্কেট সংলগ্ন জমিতে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ ওই কাজ বন্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দেখিয়ে নির্মাণকাজে আপত্তি জানায়। সরেজমিন দেখা গেছে, গত ২৪ শনিবার রাতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পাবলিক টয়লেটের ছাদ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভা এলাকায় অঢেল জমি থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। জানতে চাইলে বিহারে অধ্যয়নরত ছাত্র উচাচি বলেন, আমরা এর প্রতিকার চাই। রাখাইন নারী নেত্রী লুমা রাখাইন বলেন, আমরা এর প্রতিকার চাই। সুষ্ঠু সমাধান চাই। আমাদের জমিতে কোনো স্থাপনা করতে দেব না। এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার কালবেলাকে বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত কাজ নয়। এটা পর্যটকদের জরুরি কাজ সারার জন্য। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন। কয়েকদিন আগে সিপিপির একটি প্রোগ্রাম হয়েছিল কুয়াকাটায়। তখন টয়লেট এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়েছিল যে, তাৎক্ষণিক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম কালবেলাকে বলেন, শনিবার রাতে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কোথায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিচার দাবি ৪৪ বিশিষ্টজনের: কুয়াকাটা বৌদ্ধ বিহারের জমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৪৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। গত মঙ্গলবার এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণকাজের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে বৌদ্ধ বিহারের জমির পরিবর্তে অন্য স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থানান্তর করার জোর দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমন অসাংবিধানিক নিপীড়নমূলক ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বৌদ্ধ বিহারের মতো পবিত্র স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপন কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। এ কাজটি ধর্মীয় উসকানি বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ধর্মের অবমাননার শামিল। পৌরসভা এলাকায় অনেক জমি থাকা সত্ত্বেও বৌদ্ধ বিহারের মতো পবিত্র স্থানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা সংখ্যালঘু রাখাইন সম্প্রদায়কে তাদের উচ্ছেদের চেষ্টার সুস্পষ্ট নামান্তর। কেন বৌদ্ধ বিহারের দেয়াল ভেঙে এবং উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের চেষ্টা করা হলো তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানায়। বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেনÑ সুলতানা কামাল, খুশী কবির, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, রাশেদা কে চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ড. পারভীন হাসান, শিরিন হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সওজের জমিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের দোকান নির্মাণের অভিযোগ
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণে সড়ক সরু হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ আলম বলেছেন, খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।  জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের বড়লেখা-শাহবাজপুর ভায়া দৌলতপুর সড়কের শাহবাজপুর বাজারের প্রবেশমুখে সড়কের পাশে শাহবাজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানা রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের জমির সীমানা নির্ধারণ করেনি। এ অবস্থায় সিংহভাগ সরকারি জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছে। এর একাংশে কিছু জায়গা ফাঁকা ছিল। সেখানেও চার দিন আগে দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে সচেতন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ভাড়া দেওয়ার জন্য এখানে তিনটি কক্ষ তৈরি করানো হচ্ছে।  সরেজমিনে গিয়ে সরকারি পাকা সড়ক সংলগ্ন স্থানে দোকান নির্মাণের কাজ চলতে দেখা গেছে। শাহবাজপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুল জানান, তার জানা মতে, যেখানে দোকান বানানো হচ্ছে এর বেশিরভাগ জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। সড়কের জমিতে স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করল বা এখন করছে তিনি তা জানেন না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের ইতিপূর্বের তৈরি করা দোকানের সিংহভাগ জমিই সরকারি জমি। এবার নির্মাণকাজ শুরু করতেই তিনি তাদের বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা মানা হয়নি।  এ ব্যাপারে স্কুলটির অধ্যক্ষ আব্দুল বাছিত বলেন, ‘সড়কের জমিতে নয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিজস্ব জমিতেই কমিটির অনুমোদন নিয়ে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ করে স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করা হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, সীমানা নির্ধারণ ব্যতিত সওজের জমি সংলগ্ন স্থানে কারও স্থাপনা নির্মাণ করা মোটেও সঠিক নয়। তিনি খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X