সিলেটে সাড়ে ২৮ লাখ টাকার মাদক জব্দ
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ২৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ, মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সজল কুমার সরকার।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার বলদি গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে এনাম আহমদ (৪৫), কোতয়ালী থানার কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াছির মিয়ার ছেলে আম্বিয়া টিপু (৪০) ও বলদি গ্রামের ফজর আলী।  পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই আনুমানিক রাত ১২টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে বিদেশগামী যাত্রী সেজে সিলেট থেকে গোলাপগঞ্জের উদ্দেশে মাদকদ্রব্য নিয়ে যাচ্ছিল দুই আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযান চালায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এলোপাতাড়ি গাড়ি চালাতে থাকে আসামিরা। পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহায়তায় উপজেলার পৌর এলাকার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া নামকস্থান থেকে বিপুল মাদকদ্রব্যসহ ২ জনকে ও তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আরও জানায়, আসামিদের সঙ্গে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ৮ হাজার ২শ পিস ইয়াবা, নগদ ১ লাখ ২ হাজার টাকা, একটি প্রাইভেটকার, দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মূল্য আনুমানিক ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মাছুদুল আমিন কালবেলাকে বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 
২ ঘণ্টা আগে

মতিউরের চার ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দ
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।  দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে বসুন্ধরায় তিনটি ফ্ল্যাট ও শাম্মী আখতার শিভলীর নামে জিগাতলায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে মতিউরের নামে ১১৪ শতাংশ জমি, তার স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ৫২২ শতাংশ জমি, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে ২৭৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এ ছাড়া মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতার নামে বসুন্ধরায় পাঁচ কাঠা প্লট এবং শাম্মী আখতার শিভলীর নামেও পাঁচ কাঠা প্লট রয়েছে।
০৪ জুলাই, ২০২৪

৬ ব্রাহমা জাতের গরু জব্দ দুদকের
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় সাদিক এগ্রোর খামারে অভিযান চালিয়ে ছয়টি ব্রাহমা জাতের গরু জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে খামারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তিনি জানান, তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের দল সাদিক এগ্রোতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা ছয়টি ব্রাহমা গরুর সন্ধান পায়। ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ। অভিযানের সময় সাদিক এগ্রোর মালিক ও ব্যবস্থাপক কাউকে পাওয়া যায়নি। ব্রাহমা জাতের গরুর মাংস বেশি হয়। জাতটির উৎপত্তি ভারতে। পরে যুক্তরাষ্ট্রে আরও দুই থেকে তিনটি জাতের সংমিশ্রণে এটিকে উন্নত করা হয়। দুই থেকে আড়াই বছরের দেশি গরুর ওজন যেখানে ২৫০ থেকে ৩৫০ কেজি হয়, সেখানে ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার কেজি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, ব্রাহমা গরু বাংলাদেশে পালনের অনুমতি দেওয়া হলে দুধ বেশি দেওয়া গরুর পালন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ব্রাহমা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাদিক এগ্রোর বিরুদ্ধে ব্রাহমা গরু আমদানির অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালের ৫ জুলাই তাদের আমদানি করা ১৮টি ব্রাহমা জাতের গরু ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জব্দ করে ঢাকা কাস্টম হাউস। পরে সেগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হেফাজতে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হয়।
০৪ জুলাই, ২০২৪

শাহজালালে সাড়ে ৪ কোটি টাকার সোনা জব্দ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৩৮টি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে সোনার এই বারগুলো জব্দ করা হয়। ওমানের মাস্কাট থেকে অবতরণ করা সালাম এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে এসব সোনার বার জব্দ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় শাহজালাল বিমানবন্দরে অবৈধ সোনা আসছে। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওমানের মাস্কাট থেকে আসা ওভি-৪৯৭ নম্বর ফ্লাইটটি রামেজিং করা হয়। তারা জানান, এ সময় সিট নং ২ (ডি-ই-এফ) এর উপরে লাগেজ রাখার কেবিনে কালো স্কচটেপে মোড়ানো দুটি ভারী বস্তু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে সেখান থেকে ৩৮টি সোনার বার জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা যায়নি।
০৩ জুলাই, ২০২৪

টেকনাফ সীমান্ত থেকে ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ
টেকনাফের সাবরাং সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ দশমিক ১১৭ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান আসছে এমন তথ্যে গত শনিবার রাতে অভিযান চালায় বিজিবি। গতকাল রোববার দুপুরে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, মাদক আসছে এমন তথ্যে কয়েকটি উপ দলে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নেয় অভিযানিক দলের সদস্যরা। শনিবার রাত ১০টার দিকে তিন ব্যক্তিকে ব্যাগ হাতে নাফ নদ পার হয়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে হাড়িয়াখালীর দিকে যেতে দেখে। গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায় তারা। সে সময় টহল দল তল্লাশি চালিয়ে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। ভেতরে পাওয়া যায় ২ দশমিক ১১৭ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ধারালো একটি কিরিচ। লে. কর্নেল মহিউদ্দীন বলেন, পরবর্তী সময়ে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হলেও চোরাকারবারি বা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে।
০১ জুলাই, ২০২৪

বগুড়ায় জোড়া খুন : প্রধান আসামির পিস্তলসহ গুলি জব্দ
বগুড়ায় ঈদের রাতে জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুর লাইসেন্স করা একটি পিস্তল ও ৩৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।  গত সোমবার রাতে সদর থানা পুলিশের একটি দল তার উপশহরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিগুলো জব্দ করে।  জোড়া হত্যা মামলার বাদী হেনা বেগমের অভিযোগ, শহরের চকরপাড়ায় তার ছেলে শরিফ ও তার বন্ধু রুমনকে হত্যার সময় পিস্তল দিয়ে গুলি ছোঁড়া হয়েছিল। এতে শরিফের আরেক বন্ধু হোসাইন ওরফে হোসেন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তবে পুলিশ বলছে, এই পিস্তল দিয়েই গুলি করা হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, জব্দ করা লাইসেন্স করা পিস্তলটি চীনের তৈরি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত অস্ত্রটি নবায়ন করা। জোড়া হত্যাকাণ্ডের সময় এই অস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  তিনি বলেন, গুলির হিসাবও ঠিক আছে কি না বা গুলি ব্যবহৃত হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই জোড়া হত্যা মামলায় সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুসহ ৪ আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি গতকাল পর্যন্ত তারা স্বীকার করেনি। গতকাল রিমান্ডের ২য় দিন পার হয়েছে। আরও ২ দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গত ১৭ জুন ঈদের দিন মধ্যরাতে শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ায় এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আরও জানান, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে চারজনকে রিমান্ডে আনা হয়েছে তারা হলো মামলার প্রধান আসামি বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া উপশহর এলাকার মৃত আকিল আহমেদের ছেলে সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু। নিশিন্দারা খাঁ পাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে শেখ সৌরভ (২৩), সুলতানগঞ্জ পাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আজবিন রিফাত (১৯) ও নিশিন্দারা খাঁ পাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাঈম হোসেন (২৬)। চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।  গত ২৪ জুন তাদের ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. শাহিনুজ্জামান তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
২৬ জুন, ২০২৪

সিলেটে ৮ লাখ টাকার চিনিসহ ট্রাক জব্দ
সিলেটের শহরতলী ধোপাগুলা বাজারে মহানগর ডিবি পুলিশের অভিযানে প্রায় আট লাখ টাকার ১৩০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে মহানগর ডিবি পুলিশের চিনি উদ্ধার করে ও একটি ট্রাক জব্দ করে। এদিন রাত ৯টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ডিবি) শাহরিয়ার আল মামুন নির্দেশনায় পরিচালিত বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে এসএমপি বিমানবন্দর থানাধীন ধোপাগুলা বাজারের সামনে চেকপোস্ট বসানো হয়।  এ সময় কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত থেকে একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন হলুদ-নীল রংয়ের টাটা হাইড্রলিক ট্রাক সিলেট শহরের দিকে আসছিল। ট্রাকটি থামার জন্য সংকেত দিলে চালক না থামিয়ে দ্রুত গতিতে (বাইপাস পয়েন্ট-কোম্পানীগঞ্জ) কাকুয়ারপাড় রাস্তার ওপর গাড়ি রেখে অজ্ঞাতনামা চালক ও তার একজন অজ্ঞাতনামা সহযোগী গাড়ি থেকে নেমে পূর্ব পার্শ্বের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ১৩০ বস্তা ভারতীয় চিনি ও ট্রাকটি জব্দ করে। উদ্ধার হওয়া চিনির বাজার দর ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৬ জুন, ২০২৪

ভাটার ভ্যাট বাকি থাকায় ক্রেতার ইট জব্দ
সাতক্ষীরা সদরের একটি ইটভাটার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পরিশোধ না থাকায় সাধারণ এক ক্রেতার ক্রয় করা দুই ট্রলি (২ হাজার) ইট জব্দ করেছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সাতক্ষীরা সার্কেল।  শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ অফিসার রাশিদুল হাসান ইকবালের নেতৃত্বে কাস্টমস কর্মকর্তারা সদরের বাবুলিয়া বাজার থেকে এসব ইট জব্দ করেন।  ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে সাধারণ ক্রেতার ক্রয় করা ইট জব্দ করায় কাস্টমসের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।  কর পরিশোধ না করা ওই ইটভাটাটি সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের শেখ শহিদের মালিকানাধীন মেসার্স নিবরাজ ব্রিকস্।  ভুক্তভোগী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া মাঠপাড়া এলাকার আবু ওয়ালিদ জানান, আমরা ২০২২ সালে নগদ টাকা দিয়ে মেসার্স নিবরাজ ব্রিকস্ থেকে ইট ক্রয় করে আমাদের মামার বাড়ি আবাদের হাটের শিয়ালডাঙ্গা এলাকায় দুই বছরের মতো রেখেছিলাম। আজ বিকেলে মামার বাড়ি থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে দুটি ট্রলিতে (২ হাজার) ইট নিয়ে রওনা হয়েছিলাম। পথিমধ্যে বাবুলিয়া বাজার এলাকায় কাস্টমস কর্মকর্তা আমার ওই ইটগুলো আটক করে। আমাদের কাছে থাকা ভাটার রশিদ দেখিয়েছি। কিন্তু তার পরেও আমাদের কথা তারা না শুনে ইটগুলো আটক করে নিয়ে গেছে।   তিনি আরও বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের দাবি আমাদের ভ্যাট পরিশোধ হয়নি। কিন্তু আমরা তো সবকিছুই পরিশোধ করে ইট ক্রয় করেছি। আমাদের কাছে মেমো আছে কিন্তু তাও তারা কোনো কথা শুনতে চায়নি। সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ আনোয়ার হোনেস মিলন বলেন, জীবনে প্রথম বার দেখলাম বিক্রেতার কাছে পাওনা টাকার জন্য ক্রেতার পণ্য জব্দ হয়। কাস্টমস কর্মকর্তাদের এটা কী ধরনের হয়রানি এটি আমার বধোগম্য নয়। ক্রেতার ইটসহ পরিবহন কেন জব্দ করা হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা কাস্টমসের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ অফিসার মাজহারুল মেজবাহ বলেন, ক্রেতার ইট জব্দ করা হয়েছে এটি লিখেন না। আপনার লেখেন ভ্যাট পরিশোধ না করায় ইটভাটা মালিকের পরিবহন জব্দ করা হয়েছে।
১৫ জুন, ২০২৪

সিলেটে ১১ ট্রাক চিনি জব্দ
সিলেটে নয় দিনের মাথায় ফের জৈন্তাপুরে বিজিবির অভিযানে ১১ ট্রাক ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) সকালে জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ঘিলাতৈল থেকে এ চালান জব্দ করে বিজিবি। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার মো. আসাদুন্নবী। বিজিবি জানায়, সিলেট সেক্টর ১৯ বিজিবির আওতাধীন জৈন্তাপুর রাজবাড়ি ক্যাম্প অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ চিনি জব্দ করা হয়। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানকারীরা চিনি ভর্তি একটি মিনি ট্রাক ও ১১টি পিকআপ ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ৫৬ হাজার কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এরইমধ্যে জব্দকৃত মালামাল কাস্টমস বিভাগে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এর আগে ৬ জুন  সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন ২নং হাটখোলা ইউনিয়নের উমাইরগাঁওয়ের ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক থেকে পুলিশ ১৪টি ট্রাক ভর্তি ২ হাজার ১১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে। যার মূল্য ছিল দেড় কোটি টাকারও বেশি। এটাই সিলেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চোরাই চিনির চালান। অভিযানকালে একটি প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার ৬ দিন পর ১২ জুন সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন রংগীটিলা এলাকা থেকে মো. মনসুর আলী (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  পুলিশ বলছে, মনসুর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারের পরে পুলিশের কাছে প্রাথমিক স্বীকরোক্তির পর আদালতেও স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। পুলিশ আরও বলছে, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে গ্রেপ্তারকৃত আসামির কাছ থেকে। তার দেওয়া তথ্যসমূহ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৫ জুন, ২০২৪

রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার পাবে ইউক্রেন
জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যবহার করতে দিতে সম্মত হয়েছে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭। এটি দেওয়া হবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এটা রাশিয়াকে আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া যে, ‘আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি না’, তবে মস্কো এর পাল্টা হিসেবে ‘সর্বোচ্চ বেদনাদায়ক’ পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এই অর্থ চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কম কিন্তু এটি দেখা হচ্ছে ইউক্রেনকে যুদ্ধ ও দেশটির অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা হিসেবে। খবর রয়টার্সের। ইতালিতে জি৭ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং জো বাইডেন ১০ বছরমেয়াদি একটি দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিটিকে কিয়েভ ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এ চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে কিন্তু এখানে ওয়াশিংটন সৈন্য পাঠিয়ে সহায়তা করবে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি জি৭ভুক্ত দেশগুলোতে রাশিয়ার প্রায় ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফ্রিজ বা জব্দ করা আছে। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এসব জব্দ করা হয়। এসব সম্পদ থেকে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার সুদ আসে। জি৭-এর পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ৩ বিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সরিয়ে ইউক্রেনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বার্ষিক সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হবে। ইতালির পুগলিয়াতে এবারের জি৭ সামিট হচ্ছে। সেখানেই এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, এই ৫০ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনের জন্য ব্যবহার করা হবে এবং রাশিয়াকে আরেকবার বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, ‘আমরা পিছপা হচ্ছি না’। তিনি বলেন, পুতিন আমাদের অপেক্ষা করিয়ে রাখতে পারবেন না। তিনি আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করতে পারবেন না এবং আমরা যুদ্ধে জয় না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে আছি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আমেরিকা ও অন্য সহযোগী দেশগুলোকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। নতুন নিরাপত্তা চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সত্যিকার অর্থেই ঐতিহাসিক দিন এবং আমাদের স্বাধীনতার পর (১৯৯১) এটাই ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী চুক্তি। জি৭ভুক্ত দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসব দেশ ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। চুক্তিটির প্রশংসা করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক একে ‘গেম চেঞ্জিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। মে মাসে ইউক্রেনকে ৬১ বিলিয়ন ডলারের যে সামরিক সহায়তার কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তার তুলনায় এই ৫০ বিলিয়ন ডলারকে বড় সহায়তা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে কিয়েভে কেউ কেউ নগদ অর্থ সহায়তার জন্য চেষ্টা করছিল। তারা চেয়েছিল শুধু সুদ নয়, বরং জি৭ দেশগুলোতে আটকে থাকা ৩০০ বিলিয়ন ডলারের পুরোটাই ইউক্রেনকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটি নাকচ করে দিয়েছে। তবে যেহেতু এই অর্থ চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে পৌঁছাবে না, সে কারণে চলমান যুদ্ধে এর প্রভাব পড়বে সামান্যই। এখনকার জন্য ইউক্রেন আরও অস্ত্রের দরকার বলে জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা সামলাতে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার। একই সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও চাইছে তারা। ইউক্রেন আশা করছে এগুলো এবারে গ্রীষ্মেই সেখানে পৌঁছাতে শুরু করবে। জি৭ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, নতুন নিরাপত্তা চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের বিষয়টি রয়েছে। এ ঋণ চুক্তিকে ইউক্রেনের জন্য বড় ধরনের প্রতীকী বিষয় মনে করা হচ্ছে। কারণ দেশটির ওপর আগ্রাসন চালানো দেশকেই অর্থ দিতে বাধ্য করা হবে। আর এটা শুধু দেশটির পুনর্গঠনেই নয় বরং ইউক্রেনের নিজেকে আত্মরক্ষার জন্যও। জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা বলেন, রাশিয়াকে শাস্তি দিতে পশ্চিমাদের এ পদক্ষেপ যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। যদিও এ ঋণের কারণে ইউক্রেন থেকে রাশিয়া সরে আসবে এমনটির সম্ভাবনা কম। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশি সম্পদ জব্দ করা আছে বেলজিয়ামে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, দেশগুলো রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করে ইউক্রেনকে দিতে পারে না। জি৭-এর সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা ‘সর্বোচ্চ বেদনাদায়ক’ পাল্টা পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।
১৫ জুন, ২০২৪
X