আনার হত্যা / গ্যাস বাবু স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়নি : আইনজীবী
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার আসামি কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়নি। জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে না দেখিয়েই কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আসামি গ্যাস বাবুর ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহারের শুনানি শেষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী এসব কথা বলেছেন।  তিনি আরও বলেন, জবানবন্দিতে যে বক্তব্য বলা হয়েছে সেটা সত্য ও ইচ্ছাকৃত না। এই বক্তব্য তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলানো হয়েছে। মূলত মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তধীন কোনো মামলায় আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি জনসম্মুখে প্রকাশ করার একটা বাধা রয়েছে। কারণ এটা হচ্ছে প্রাইভেট ডকুমেন্টস। এটা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।  এদিন আসামি গ্যাস বাবুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার আইনজীবী ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহার ও সুচিকিৎসা চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনটি নথিভুক্ত করেন।  একইসঙ্গে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তাকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এর আগে গত ৯ জুন আদালত আসামি বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে গত ১৪ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওইদিন জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
০৪ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা / জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে শিমুল-তানভীরের আবেদন
কলকাতার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার দেশে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বাদে অপর ছয় আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন।  তবে এদের মধ্যে শিমুল ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভুইঁয়া তাদের জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  গত ২২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাহাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  মামলার এজাহারে আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, গত ৯ মে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম রাত ৮টায় আমাদের বর্তমান বাসা ফ্ল্যাট নং-৮০৪, ৮ম তলা, বিল্ডিং নং-০৫, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সংসদ সদস্য ভবন, থানা- শেরেবাংলা নগর, ডিএমপি, ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। পরে গত ১১ মে বিকাল আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আমার বাবার সঙ্গে মোবাইল নম্বর ০১৭৫৫৩৫০৩৫০-এ ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ইন্ডিয়ান সিম নম্বর +৯১৭০৬৩২১৪৫৬৯ থেকে উজির মামার ০১৭১১-২৭২৯১২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি মেসেজ আসে- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি। আমার সাথে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে আমার বাবাকে অপহরণ করেছে।
০৪ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা : জবানবন্দি দিচ্ছেন আ.লীগ নেতা বাবু
সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু জবানবন্দি প্রদান করছেন।  শুক্রবার (১৪ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড চলছে। এর আগে গত ৯ জুন আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে আসামি বাবু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।  এই মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।  এ ছাড়া গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু আট দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
১৪ জুন, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা / শিমুল ভূঁইয়ার দায় স্বীকার 
কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় আদালতে আসামি শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানউল্লাহ সাঈদ দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (৫ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে গত সোমবার শিলাস্তি রহমান ও মঙ্গলবার তানভীর ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গত ২৪ মে শিমুল ভূঁইয়াসহ তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ৩১ মে দ্বিতীয় দফায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড করেন। তাকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। পরে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে ডরিন উল্লেখ করেন, গত ৯ মে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম রাত ৮টায় আমাদের বর্তমান বাসা ফ্ল্যাট নং-৮০৪, ৮ম তলা, বিল্ডিং নং-০৫, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সংসদ সদস্য ভবন, থানা- শেরেবাংলা নগর, ডিএমপি, ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। পরে গত ১১ মে বিকাল আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আমার বাবার সঙ্গে মোবাইল নম্বর ০১৭৫৫ ৩৫০ ৩৫০-এ ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ইন্ডিয়ান সিম নম্বর +৯১৭০৬৩২১৪৫৬৯ থেকে উজির মামার ০১৭১১-২৭২ ৯১২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি মেসেজ আসে- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে আমার বাবাকে অপহরণ করেছে। উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য আনার চিকিৎসা করাতে ১২ মে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। কলকাতার অদূরে বরাহনগরে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে এক রাত থাকার পর ১৩ মে দুপুর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। পরে ২২ মে নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ৫৬-বিইউ ফ্ল্যাটে খুন হওয়ার কথা জানায় সিআিইডি।
০৫ জুন, ২০২৪

সিলেটে চাঞ্চল্যকর অমিত হত্যার রহস্য উদঘাটন
সিলেটের দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ইতোমধ্যে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দিতে ওঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। এর আগে মঙ্গলবার (২১ মে) আসামি দুজনকে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার কালিগচ্ছের (ধরন্তি) মৃত জামাল ভূঁইয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমি (২০) এবং ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট নগরীর সাগরদিঘীরপাড় এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে তাহমিদ আহমদ (২৬)। তারা সিলেট নগরীর আরামবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া। তাদের দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, অমিতের সঙ্গে সুমাইয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় এবং তারা হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকবার কথা বলেছে। কথা বলার একপর্যায়ে তারা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে চায়। তবে অমিত বারবার ফোন করে ডিস্টার্ব করার কারণে সুমাইয়া তার ওপর বিরক্ত ছিল। সেজন্য সুমাইয়া তার পাড়ার প্রভাবশালী বড় ভাই ফয়সালকে বিষয়টা অবগত করে। যার কারণে অমিতকে ফোন করে হাজারীবাগ এলাকায় নিয়ে আসতে বলে ফয়সাল।  গত ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে অমিত শাহী ঈদগাহ এলাকাস্থ মিনারগেটের নিচে সুমাইয়ার সঙ্গে দেখা করে। সেখান থেকে মোটরসাইকেল করে হাজারীবাগ এলাকায় যায় তারা। সেখানে আগে থেকে থাকা ফয়সাল ও তার ৪ থেকে ৫ জন সঙ্গীর সাথে অমিতের কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি করে। হাতাহাতির একপর্যায়ে ফয়সালসহ অন্যান্য আসামিরা অমিতের হেলমেট দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারতে থাকে। তখন সুমাইয়ার প্রেমিক তাহমিদ ঘটনাস্থলে আসে এবং মারামারিতে অংশগ্রহণ করে। মারামারির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে অমিতের মৃত্যু হয় এবং তার মরদেহ এয়ারপোর্ট থানাধীন হোসনাবাদ এলাকায় ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস (৪২) বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
২৪ মে, ২০২৪

নাটোরে প্রার্থীকে অপহরণ মামলায় যুবলীগ নেতার জবানবন্দি
নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা সুমন আহমেদ (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে যুবলীগ নেতা সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করে। নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা সুমন ও নাজমুল হককে গতকাল বিকেলে সদর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন আসামি সুমনের জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। সন্ধ্যার পর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সুমন জবানবন্দিতে প্রার্থী দেলোয়ারকে অপহরণ ও মারধরের কথা স্বীকার করেছেন। তার সঙ্গে আর কারা ছিলেন, তাও বলেছেন। গত সোমবার নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুর্বৃত্তরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিংড়ার কলম ইউনিয়নের পারসাঐলে বাড়ির সামনে যাওয়া হয়। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করেছে পুলিশ; তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

আসামির জবানবন্দিতে বেরিয়ে এলো ঝালকাঠির চাঞ্চল্যকর রুবেলের হত্যারহস্য
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার বলতলা গ্রামে ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি খুন হন ওই এলাকার বারেক খানের পুত্র রুবেল খান। পরে মরদেহ পাওয়া যায় তার পাশের বাড়ি বাবুল হাওলাদারের ঘরে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হত্যার পর প্রথমে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একমাত্র টার্গেটে ছিলেন বাবুল হাওলাদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ঘটনার দিন তিনি ওই ঘরে ছিলেন। মামলায় ১৪ আসামির মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা এখনও পলাতক রয়েছেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল সিআইডি। আদালতে নিজেকে এককভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন খাদিজা। খাদিজাকে একমাত্র আসামি করে দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেয় মামলার বাদীপক্ষ। এরপরই তদন্তে নতুন মোড় নেয়। প্রায় দুই বছর কারাবন্দি থাকাকালে জেল সুপারের মাধ্যমে নিজের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেন খাদিজা। পরে তিনি জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। জানা গেছে, বলতলা গ্রামে একসময় রুবেলের পরিবার ছিল মুর্তিমান আতংক। শুধু বলতলা নয়, পাশের ইউনিয়ন আওরাবুনিয়ার ছোট কৈখালী গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় ও অন্য সব জনগণের সম্পত্তি দিনে দুপুরে গরুছাগল লুট করা, রাতে ডাকাতির অভিযোগ ছিল। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করত না। গেল এক দশকে ওই এলাকার বিভিন্ন বিরোধে একে একে খুন হয়েছিলেন রুবেলের পরিবারের তিন সদস্য, দাদা হাকিম খান, বাবা বারেক খান ও ভাই রাসেল খান। সর্বশেষ খুন হয় ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি রুবেল খান। সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যার পর খাদিজার স্বামীসহ জড়িত অন্যরা নানা কৌশলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে খাদিজা যেন শুধু তাকে জড়িয়ে জবানবন্দি দেন। তাকে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে তাকে জামিনে বের করে আনা হবে।  এতে বাইরে থেকে জড়িত অন্যরা তাকে জামিন করানোর ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারবে। খাদিজাকে তারা বোঝায় যে নারীদের খুব বড় সাজা হয় না। তবে দিনের পর দিন জেলে বন্দি থাকার পর খাদিজার এক সময় বুঝতে পারে যে কেউ তার খোঁজখবর নিচ্ছে না। একই অপরাধ করে তার স্বামীসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর তিনি চার দেয়ালের ভেতরে কষ্টে আছেন। এরপরই খাদিজা তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করে এলে কাহিনি ফাঁস করার মনস্থির করেন। মামলা মোড় নেয় অন্যদিকে। খুনের রহস্য বের করতে গিয়ে সিআইডি জানতে পারে যে, রুবেলের জমির বর্গাচাষ করত তার প্রতিবেশী বাবুল হাওলদার। এক দিন বাবুলের একটি ছাগল ধরে নিয়ে জবাই করে খেয়েছিলেন রুবেল খান। বর্গাচাষি বাবুল ছাগল হারিয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে নালিশ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন রুবেল। বাবুলকে বেদম প্রহার করে রুবেল। এতে বাবুল গুরুত্বর আহত হয়। ছাগল হারানো ও মারধরের ক্ষোভ পুষে রেখে জমির মালিক রুবেলকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন বাবুল ও তার স্ত্রী খাদিজা। এ পরিকল্পনায় তারা যুক্ত করেন এলাকার কয়েকজন দাগি অপরাধীকে, যারা ছিল রুবেলের প্রতিপক্ষ। মূলত রুবেলের পরিবারের অন্য যে তিন সদস্য হত্যার শিকার হয়েছিলেন, সেসব মামলার আসামি। রুবেলের শত্রুপক্ষকে এক করে ঠান্ডা মাথায় মিশন সফল করা হয়। ছাগল হারানো এবং নিজে রুবেলের হাতে পিটুনির ক্ষোভ থেকে বদলা নিতেই হত্যা মিশনে ১৪ জন জড়িয়ে পড়েন। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সিআইডির কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, ছাগল হারানো ও তার বিচার চাইতে গিয়ে মার খেয়ে বর্গাচাষি বাবুল তার জমির মালিক রুবেল খানকে শায়েস্তা করার ফাঁদ পাতেন। কে কে রুবেলের ‘শত্রু’ হিসেবে পরিচিত, তাদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করেন। রুবেলের ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত নান্না হাওলাদার, সুমন হাওলাদার ও লিটন হাওলাদারের সঙ্গে বৈঠকও করেন বাবুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবুলের স্ত্রী খাদিজাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেন। খাদিজা দিনের পর দিন রুবেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শুরু করেন। এর মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়।  পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি সকালে বাবুল তার জমির মালিক রুবেলকে জানান, কয়েক দিনের জন্য তিনি ঢাকায় চলে যাচ্ছেন। এ সময় জমি দেখাশোনা করবেন তার স্ত্রী খাদিজা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুবেলকে ফোন করে খাদিজা জানান, বাসায় কেউ নেই। চাইলে রাতে দেখা করতে পারেন। এরপর রাতে খাদিজার বাসায় যান রুবেল খান। তবে ঢাকায় না গিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘরের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন খাদিজার স্বামী বাবুল ও তার সহযোগীরা। রুবেল ঘরে প্রবেশের পর রাতের আঁধারে বারান্দায় বসে খাদিজার সাথে গল্প করছিলেন দু’জন। ওই সময় বাবুল, শাহাদতসহ কয়েকজন রুবেলকে এলোপাতাড়ি দা দিয়ে কোপাতে থাকেন। এরপর খাটের ওপর নিয়ে মুখে কম্বল দিয়ে চাপা দেন তারা। এ সময় টিনের ঘরের ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ বাইরে চলে গেলে খাদিজার পাশের ঘরের বাসিন্দা ফাতেমা ও ফরিদা শব্দ পেয়ে এগিয়ে যান। তখন খাদিজার ঘরের পেছনের দরজা নিয়ে বাবুল এবং তার সহযোগীরা সবাই পালিয়ে যান। এ সময় খাদিজা ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন। সময় ঘরের ভেতর থেকে খাদিজা বলতে থাকেন তার স্বামী অসুস্থ থাকায় এমন শব্দ বের হচ্ছে। তবে এ কথায় তাদের সন্দেহ হয়। বারবার দরজা খুলতে খাদিজাকে বলা হলে খাদিজা দরজা না খোলায় ফাতেমা তার শ্বশুর সামাদ মাস্টারকে ডেকে আনেন। টর্চ লাইটের মাধ্যমে তারা খাদিজার ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে ভেতরে কি ঘটেছে বোঝার চেষ্টা করেন। টর্চ লাইটের আলোতে দেখেন ঘরের মেঝে রক্তে ভিজে গেছে। দ্রুত তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ আসলে তখন সবাই দরজা খুলে রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় খাটের ওপর রুবেল খানের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। জানা গেছে, খাদিজার দেওয়া তথ্য-প্রযুক্তিগত নানা দিক বিশ্লেষণ করে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে রুবেল খান হত্যাকাণ্ডে ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতা ছিল। খাদিজা ও তার স্বামী বাবুল ছাড়াও অন্যরা হলেন, নজরুল ইসলাম বাবুল, নাজমুল হাসান, কালাম হাওলাদার, শহীদুল ইসলাম, রাজু, শাহজাহান, মোতালেব, নান্না, সুমন, লিটন, সুলতান মোল্লা ও শাহাদাত। একাধিক সংস্থার হাত ঘুরে মামলাটির সর্বশেষ তদন্ত ইউনিট ছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। বর্গাচাষি বাবুল ও তার স্ত্রী খাদিজাসহ ১৪ জনকে আসামি করে গত সোমবার ১৫ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি।  মামলাটির সিআইডির পক্ষ থেকে প্রথম তদন্ত করেন পরিদর্শক ফারুক খান। তিনি বর্তমানে বরিশালে কর্মরত রয়েছেন। ফারুক বলেন, রুবেল হত্যায় যারা জড়িত তাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে আগে থেকে ৮-১০টি করে মামলা রয়েছে। তারা এলাকায় চিহ্নিত অপরাধী। আবার রুবেল নিজেও নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।  মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক সোলায়মান মাহমুদ বলেন, রুবেল পরিবার এলাকায় ‘লাঠিয়াল বাহিনী’ হিসেবে পরিচিত। তার পরিবারের চার সদস্য হত্যার শিকার হন। তবে বর্গচাষি বাবুল যেভাবে তার ছাগল খোয়ানো ও মারধরের শিকারের বদলা নিতে রুবেলের পরিবারের আগের শত্রুদের একত্রিত করে হত্যা মিশন সাজিয়েছে, এটা অচিন্তনীয়। এ মামলায় ১৪ আসামির মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা গেছে। বাকিরা এখনও পলাতক। বর্গচাষি বাবুল গ্রেপ্তারের পর আদ্যোপান্ত জানিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

পুলিশ হত্যায় ছাত্রদল নেতা আমানের দায় স্বীকার
পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় করা মামলার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম।  এর আগে গত ৬ নভেম্বর রাতে আমানকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। পরদিন ৭ নভেম্বর আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৪ নভেম্বর আদালত দ্বিতীয় দফায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন। সর্বশেষ গত ১৯ নভেম্বর আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জহির উদ্দিন স্বপন।
২০ নভেম্বর, ২০২৩

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর জবানবন্দি শেষ
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের জবানবন্দী শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলার বাদী সাক্ষ্য দেন। এদিন খালেদার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদার পক্ষে হাইকোর্টে আবেদনের বিষয়টি আদালতে উল্লেখ করা হয়। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করা হয়। তবে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। এর আগে গত ১৯ মার্চ আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। বর্তমান এ মামলার আটজন আসামি রয়েছে। মামলার অন্য সাত আসামি হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X