স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে নীলফামারীতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ
ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর চলমান হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে নীলফামারীতে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে সোমবার (৬ মে) দুপুরে নীলফামারী সরকারি কলেজ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়।  ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে ছাত্র সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ্ আপেলর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি জয়দেব রায়, সাধারণ সম্পাদক মাসদ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসমিউল আযম, দপ্তর সম্পাদক সংগীত দ্বীপংকর, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হাসিব আহমেদ আকাশ, শাকিল হোসেন, আতিক হোসেন, হোস্টেল শাখা সভাপতি এমদাদুল হক প্রমুখ। ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান ইসরায়েলের হামলা, নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা দাবি করেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে তাদের ওপর সব হামলা, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের চৌরঙ্গী মোড়স্থ জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশের জাতীয় ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
০৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনের পক্ষে ঢাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশ আয়োজন করে সংগঠনটি। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ সংবলিত ব্যানার দেখা যায়। এ ছাড়াও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রা ও সমাবেশে অংশ নেয় নেতাকর্মীরা। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড; স্বৈরাচার নিপকত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, জয় জয় ফিলিস্তিন; ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের এই ছাত্র আন্দোলন আর দেশীয় গণ্ডির ভেতর সীমাবদ্ধ নেই। সীমান্ত বেরিকেট, ভাষার ব্যবধান সবকিছু মুছে দিয়ে একাকার হয়ে গেছে যুদ্ধ-মুক্ত, ন্যায় ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে। আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনে সমবেত হয়েছেন নির্যাতিত নিষ্পেষিত ফিলিস্তিনের বন্ধুরাও। আমাদের পূর্বপুরুষরা নিজেদের দেশের মুক্তির জন্য বীরত্বের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করেছে ঠিক তেমনি আমরাও ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের পাশে দাঁড়াব। ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবর্জিত নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি আগ্রাসনের জন্য যারা অস্ত্র এবং অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে, ইতিহাসের কি অমোঘ পরিণতি, সেখান থেকেই এই দুর্বার প্রতিবাদের জয়ধ্বনি শুরু হয়েছে। যারা জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিলে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভ্যাটো দিয়েছে, সেই দেশের তারুণ্য আজ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে 'হ্যাঁ' বলেছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যতবার 'নো' বলেছে, তার চেয়ে বহুগুণ জোর দিয়ে এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা 'ইয়েস' বলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে যারা কথা বলেছে এবং ইসরায়েল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছে, পুলিশি হামলার শিকার হয়েও যারা কণ্ঠস্বরকে উচ্চ করেছে তাদের প্রতি ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আমরা সংহতি জানাই, অভিনন্দন জানাই। কারণ, দশকের পর দশক ধরে গাজাকে যুদ্ধ নগরীতে পরিণত করে পুরো ফিলিস্তিনকেই ক্রমান্বয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যেখানে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন চলছে, সেখানে আড়াই হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্দোলন করার কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিষ্কারাদেশ জারি করা হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশি নাগরিক মাইমুনা ইসলাম নোহা স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বহিষ্কারাদেশের আওতায় নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বাঁচানোর জন্য তার শিক্ষক সামনে এগিয়ে গেলে তার পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের প্রতি ধিক্কার জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে যারা নির্মম নির্যাতন ও নিষ্পেষণ পরিচালনা করে তাদের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এ সময় সাদ্দাম হোসেন ইংরেজিতে একটি শান্তি স্মারক পড়ে শোনান। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর সৈকত এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
০৬ মে, ২০২৪
X