শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
গুলশানে চিত্রনায়িকা ববির রেস্টুরেন্টে লুটপাট, মামলা দায়ের
রাজধানীর ‍গুলশানে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির রেস্টুরেন্টেু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  গত ২৩ জুন দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হলেও বিষয়টি রোববার (৩০ জুন) সাংবাদিকদের নজরে আসে।  মামলার আসামিরা হলেন- মোসা. শাহিনা ইয়াসমিন (৫৬), জয়, সাকিব (৩৫), মো. হারুন (৪০), জাওয়ান আল মামুন (৩০), মাহাবুবুল আলম কচি (৪৫) এবং মো. আল আমিন (৩৫)।  মামলাকারী মো. আব্বাস নামের এক ব্যক্তি। তিনি নায়িকা ববির রেস্টুরেন্টের অন্যতম পার্টনার আবুল বাশারের ছোট ভাই।  মামলার এজাহারে বলা হয়, আবুল বাশার ও ইয়ামিন হক ববি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত আসামি মোসা. শাহিনা ইয়াসমিনের ‘ওয়াই এন সেন্টার’-এর ৬ তলার একটি ফ্লোর ভাড়া নেন। ভাড়ার অ্যাডভান্স হিসাবে ৭ লাখ টাকা এবং মে মাসের ভাড়া হিসাবে ২ লাখ ৫০ হাজারসহ মোট ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা শাহিনা ইয়াসমিনকে দেন। এরপর ভাড়া নেওয়া ফ্লোরে BOBSTAR DINING নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালু জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।  কিন্তু এরইমধ্যে হঠাৎ মৌখিকভাবে রেস্টুরেন্ট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন আসামি মোসা. শাহিনা ইয়াসমিন। এ ঘটনায় তারা আবুল বাশার ও ইয়ামিন হক ববি বিষয়টি আপস-মীমাংসার কথা বলেন। ২৩ জুন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রেস্টুরেন্টটিতে যান ভিকটিম। এ সময় তিনি রেস্টুরেন্টের তালা ভাঙা দেখেন। ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান রেস্টুরেন্টের জন্য ভেতরে সমস্ত মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এসব মালামালের মূল্য প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।  এ সময় ভিকটিম আবুল বাশার ওই ভবনের সামনে যান। তখনই ভবনের মালিক ও আসামি মোসা. শাহিনা ইয়াসমিনের নির্দেশে আসামি জয় তার ডান চোখ উপরে ফেলার জন্য লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঠিক তখনই আসামি সাকিব আবুল বাশারকে হত্যার উদ্দেশে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম হন তিনি। এছাড়া মো. হারুন নামে অপর এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে আবুল বাশারের ঘাড়ে আঘাত করলে এতে আহত হন তিনি। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে থাকা জাওয়ান আল মামুন হত্যার উদ্দেশে আবুল বাশারের গলা চেপে ধরেন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা অন্য আসামিরা তাকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন।  অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার সময় ভিকটিমের হাতে থাকা ৪ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ঘড়ি, পকেটে থাকা নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, গলায় দেড় ভরি ওজনের আনুমানিক ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি চেইন এবং ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি আইফোন-১৫ প্রোম্যাক্স নিয়ে যায় আসামিরা।  পরে রেস্টুরেন্টের অন্যতম অংশীদার ইয়ামিন হক ববি ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত গুলশান থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।   
৩০ জুন, ২০২৪

বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। এর পরও নায়ককে কেন্দ্র করে দুই নায়িকার দ্বন্দ্ব বছরজুড়ে লেগেই থাকে। শাকিবকে কতটা ভালোবাসেন, সেটাই বোঝাতে চান তারা।  কদিন আগেই অপু বলেছিলেন, তার স্বামীর (শাকিব খান) ক্ষতি করার চেষ্টা বা তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্যকারীদের এড়িয়ে চলেন। সেসব মানুষের সঙ্গে মেশেন না। এবার বুবলীও একই সুরে সুর মিলিয়েছেন। যা নিয়ে আবার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বুবলীকে খোঁচা দিয়েছেন অপু বিশ্বাস। শাকিবের স্ত্রী দাবি করে নায়িকা বুবলী বলেন, আমার স্বামীকে কেউ অসম্মানজনক কথা বললে তাকে এড়িয়ে চলব।  কদিন আগে প্রযোজক-পরিচালক এমডি ইকবালের ‘বিট্রে’ থেকে বাদ পড়ে এ কথা বলেছেন বুবলী। এদিকে নিজেদের ফেসবুকে অপু বিশ্বাস হাসির রিঅ্যাক্ট দিয়ে নিউজের থাম্বনেল শেয়ার করেছেন। যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি পোস্টটি সরিয়ে নেন। পরে আবার নিজের আইডিতে পোস্টটি শেয়ার করে অপু লিখেছেন, ভুল করে পেজে শেয়ার হয়েছিল। এটা আমার পেজের জন্য উপযোগী নয়। পেজ অ্যাকটিভ ছিল খেয়ালই করতে পারিনি। এদিকে বুবলীর দাবি নির্মিতব্য ‘বিট্রে’ সিনেমা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়নি, নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ইকবালের দাবি, বুবলী যদি স্বেচ্ছায় সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ান তাহলে তার পারিশ্রমিক ফেরত দিক। সঙ্গে ৪০ শতাংশ শুটিং হয়েছে সেই টাকার দাবি করেন ইকবাল। 
২৯ জুন, ২০২৪

‘আমাকে রিমান্ডে কী করেছে বললে কী হবে জানি না’
চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কারণে চাকরি হারাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন।  গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরীমণি বলেন, নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ, ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের সম্পর্কে পরীমণি বলেন, এটাও তো বলব না। এই সবকিছুই ২৭ দিনের মধ্যে পড়ে। আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, এটাও কেউ কখনো জানতে চায়নি। তাই আমি এটা নিয়েও কথা বলব না। আমি জানি না, যখন বলব তখন যে কী হবে। তবে সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার! প্রেম-ভালোবাসা যা-ই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। আবারও বলছি, আমার মনে হয়, সে অন্য কোথাও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার।  এক প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে তো কেউ এর আগে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তার আগেই তো এত অপবাদ, এত কিছু...। যেখানে সম্পর্কটা ডিফাইন করার আগে এত অপবাদ নিয়ে ফেলছি, সেখানে এই সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে কথা বলার জায়গাও তো জনগণ রাখেনি। সম্পর্কের বিষয় যদি আসে, এটা তো একজনের ব্যাপার না, দুজনের পক্ষ থেকেই আসে। এখন পর্যন্তও আমাদের সম্পর্কটা তো মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা প্রেমে ছিলাম, না কি কী করছি, কোনো কিছুই তো পরিষ্কার নয়। তবে যদি এ রকম মনে হয়, আমাকে নিয়ে কথা বলছে, আমাকে অপরাধী বানাচ্ছে, তারপর আমি কথা বলব। আমার মনে হয় না, সে কোনোরকম এ ধরনের কথা বলবে। কারণ, পুরো বিষয়টির মধ্যেই আমি নেই। কারও হয়তো কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাকলায়েনের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, এটা হলে সে দোষ তো আর আমি নেব না। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে পরিচয়, যোগাযোগ শুরু হয় গোলাম সাকলায়েনের। তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাকলায়েন পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন বলে মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 
২৫ জুন, ২০২৪

সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে পরীমণির
চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কারণে চাকরি হারাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন।  গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে পরিচয়, যোগাযোগ শুরু হয় গোলাম সাকলায়েনের। তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন তৎকালীন ডিবির এই কর্মকর্তা।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ১ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ২ আগস্ট রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে পরীমণির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে জানা যায়, ১ আগস্ট সাকলায়েনের পূর্ব পরিকল্পনা ও তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় পরীমণি তার রাজারবাগের সরকারি বাসায় যান। সেখানে প্রায় ১৭ ঘণ্টা অবস্থান করে ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন। এবার এডিসি সাকলায়েন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এ বিষয়ে গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলোকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে পরীমণি বলেছেন, নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ, ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে তো কেউ এর আগে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তার আগেই তো এত অপবাদ, এত কিছু...। যেখানে সম্পর্কটা ডিফাইন করার আগে এত অপবাদ নিয়ে ফেলছি, সেখানে এই সম্পর্কটা কী, তা নিয়ে কথা বলার জায়গাও তো জনগণ রাখেনি। সম্পর্কের বিষয় যদি আসে, এটা তো একজনের ব্যাপার না, দুজনের পক্ষ থেকেই আসে। এখন পর্যন্তও আমাদের সম্পর্কটা তো মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা প্রেমে ছিলাম, নাকি কী করছি, কোনো কিছুই তো পরিষ্কার নয়। তবে যদি এ রকম মনে হয়, আমাকে নিয়ে কথা বলছে, আমাকে অপরাধী বানাচ্ছে, তারপর আমি কথা বলব। আমার মনে হয় না, সে কোনোরকম এ ধরনের কথা বলবে। কারণ, পুরো বিষয়টির মধ্যেই আমি নেই। কারও হয়তো কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাকলায়েনের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, এটা হলে সে দোষ তো আর আমি নেব না। সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পরীমণি বলেন, এটাও তো বলব না। এই সবকিছুই ২৭ দিনের মধ্যে পড়ে। আমাকে রিমান্ডে কী করেছে, এটাও কেউ কখনো জানতে চায়নি। তাই আমি এটা নিয়েও কথা বলব না। আমি জানি না, যখন বলব তখন যে কী হবে। তবে সাকলায়েনের জন্য খারাপ লাগছে, সে ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার! প্রেম-ভালোবাসা যা-ই হোক না কেন, এটা শুধু একটা অদ্ভুত কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। আবারও বলছি, আমার মনে হয়, সে অন্য কোথাও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার। 
২৫ জুন, ২০২৪

পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতেন সাকলায়েন
অভিনেত্রী পরীমণির বাসায় বিভিন্ন সময় রাত্রীযাপন করতেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন। মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টে এমন প্রমাণ মিলেছে। গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-২ শাখা থেকে উপসচিব রোকেয়া পারভিন জুঁই স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে পরিচয়, যোগাযোগ শুরু হয় গোলাম সাকলায়েনের। তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন তৎকালীন ডিবির এই কর্মকর্তা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ১ আগস্ট ভোর ৬টা থেকে ২ আগস্ট রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে পরীমণির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে জানা যায়, ১ আগস্ট সাকলায়েনের পূর্ব পরিকল্পনা ও তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় পরীমণি তার রাজারবাগের সরকারি বাসায় যান। সেখানে প্রায় ১৭ ঘণ্টা অবস্থান করে ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন। এতে আরও বলা হয়, সাকলায়েন ও পরীমণির সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনমনে এ বিষয়ে নানারূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয়। সাকলায়েন বাংলাদেশ পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্বের বাইরে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। সাকলায়েন বিবাহিত ও এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও পরীমণির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, পরীমণির সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন ও নিজের সরকারি বাসভবনে নিজ স্ত্রীর অবর্তমানে সময় কাটানোর মতো ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উল্লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সাক্ষীদের জবানবন্দি, অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক লিখিত জবাব, মৌখিক বক্তব্য ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি পুনরায় বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সার্বিক পর্যালোচনাস্তে ২য় কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‌‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনকে বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  প্রসঙ্গত, পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্বে ছিলেন সাকলায়েন। পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসার পর প্রথমে তাকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হয়। পরে তাকে ঝিনাইদহ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।
২৫ জুন, ২০২৪

ব্যবসায়ী নাছিরের মামলায় জামিন চাইবেন পরীমণি 
ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করবেন।  সমন জারির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর সত্যতা পেয়ে গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি। পরে গত ১৮ এপ্রিল আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরীমণিকে হাজির হতে সমন জারি করেন।  তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই উল্লেখ করে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমণি অসৎ উদ্দেশে বাদী নাছির মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমণি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের উপরে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্ক যুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভিতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল এসট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যার ফলে আসামি পরিমণির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভিতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকীকে বাদী নাছির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে গিয়ে বাদী নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি প্রদর্শন পূর্বক ২-৩টা কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদিনীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মামলার বাদী নাছির উদ্দিন মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, পরীমণি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ছিল। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সেই রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আমি সব সময় ন্যায় বিচার চেয়েছি, এখনো আমি ন্যায় বিচার চাই। এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।  
২৪ জুন, ২০২৪

চিত্রনায়িকা সুনেত্রা আর নেই
সাড়াজাগানো চিত্রনায়িকা সুনেত্রা আর নেই। ভারতের কলকাতায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। আশি-নব্বইয়ের দশকে বড় পর্দায় ঝড় তুলতেন মায়াবী চোখের এই অভিনেত্রী।  অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে জায়েদ খান লিখেছেন, ‘একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, শৈশবের আমার পছন্দের একজন নায়িকা, চোখের প্রেমে পড়ত যে কেউ, তিনি সুনেত্রা। অনেক দিন আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায় গিয়েছেন। আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলাম। আজকে হঠাৎ শুনলাম তিনি আর নেই, মৃত্যুবরণ করেছেন। নীরবে নিভৃতে চলে গেলেন। এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়। আপনি ভালো থাকবেন ওপারে। অনেক চলচ্চিত্র দেখব আর আপনাকে মিস করব।  সুনেত্রা মূলত ওপার বাংলার অভিনেত্রী। যদিও ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সুনেত্রা। তার মূল নাম রীনা সুনেত্রা কুমার। থিয়েটারের মাধ্যমেই অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর। এই অভিনেত্রী চিত্রনায়ক জসীম, ফারুক, সোহেল রানা, আলমগীর, ওয়াসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন, জাফর ইকবাল, নাদিম (পাকিস্তান), মান্নাদের বিপরীতে অভিনয় করে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। সুনেত্রার দর্শকপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘বোনের মতো বোন’, ‘যোগাযোগ’, ‘ভুল বিচার’, ‘সাজানো বাগান’, ‘রাজামিস্ত্রি’, ‘ঘর ভাঙ্গা ঘর’, ‘কুঁচবরণ কন্যা মেঘবরণ কেশ’, ‘শুকতারা’, ‘সুখের স্বপ্ন’, ‘রাজা জনি’, ‘বাদশা ভাই’, ‘ছোবল’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘দুঃখিনী মা’, ‘বন্ধু আমার’, ‘বিধান’, ‘নাচে নাগিন’, ‘সর্পরাণী’, ‘বিক্রম’, ‘উসিলা’, ‘লায়লা আমার লায়লা’, ‘শিমুল পারুল’, ‘ভাবীর সংসার’, ‘আমার সংসার’, ‘ধনরত্ন’, ‘নির্দয়’, ‘উচিত শিক্ষা’, ‘ঘরের সুখ’, ‘সাধনা’ ও ‘আলাল দুলাল’। প্রসঙ্গত, দেড় মাস আগে গত ২৩ এপ্রিল কলকাতায় মারা যান সুনেত্রা। অথচ এতদিনে সে খবর কেউ জানতেও পারেনি। অবশেষে শুক্রবার (১৪ জুন) চিত্রনায়ক জায়েদ খানের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসে। মানুষ জানতে পারে, না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
১৪ জুন, ২০২৪

মঞ্চের আড়ালে শাকিবকে জাপটে ধরলেন পরী
চিত্রনায়িকা পরীমণি মানেই আলোচনা। তিনি যেখানেই যান না কেন থাকেন আলোচনার তুঙ্গে। এবার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে জাপটে ধরে আলোচনায় রক্ত’খ্যাত নায়িকা। শাকিব-পরীর সেই একান্ত মুহূর্তেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) ঢাকা ফ্যাশন ডে ২০২৪-এর চোখ ধাঁধানো আয়োজনে হাজির হয়েছিলেন সিনে ইন্ডাস্ট্রিসহ ফ্যাশন দুনিয়ার নামিদামি তারকারা। ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার পিয়াল হোসেনের আয়োজনে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন শাকিব খান। অনুষ্ঠানে নায়কের সঙ্গে মঞ্চে হাঁটতে দেখা যায় পরীকেও। তবে মঞ্চের আড়ালে দেখা হওয়ার সময় একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। সেই ছবি নিয়েই আলোচনা তুঙ্গে। বড় পর্দায় শাকিব-পরীকে ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ ও ‘ধূমকেতু’ সিনেমায় দেখা গেছে। দুই তারকাই বৈবাহিক জীবন নিয়ে নানা তিক্ত পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে পাড়ি দিয়েছেন। শাকিবের পরিবার থেকে নতুন করে পাত্রী খোঁজা হচ্ছে। তবে আদৌ পরী আবার বিয়ে করবেন কি না সেটি এখনও খোলাসা করেননি এ নায়িকা। আপাতত অতীত পেছনে ফেলে ক্যারিয়ারে ফোকাস করতে চাইছেন এই দুই তারকা।
০৮ জুন, ২০২৪

বুবলীর অভিযোগে দুজনকে সতর্ক করেছে পুলিশ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। শাকিবের হাত ধরে চলচ্চিত্রে এলেও তিনি এখন অনেক নায়কের সঙ্গেই সিনেমা করছেন। তবে মাঝে শাকিবের সঙ্গে বিয়ে ও এক সন্তানের মা হয়েছেন। তবে এসব নিয়ে বির্তক কম নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই নানা ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হয় এ নায়িকাকে।  অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শবনম বুবলী। গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট চলচ্চিত্র অভিনেতা সুরুজ বাঙ্গালী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর মৌ সুলতানাকে ডেকে সর্তক করেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, বিষয়টি কগনিজেবল অফেন্স (আমলযোগ্য অপরাধ) না, তাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এগুলো করলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তারা এটা বুঝতে পেরেছেন এবং তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। একইসঙ্গে তারা কখনই এমন করবেন না বলে গেছেন। ডিএমপির সিটিটিসি বিভাগের সাইবার ইউনিট এক বিবৃতিতে জানায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোস্টিংয়ের নামে সংস্কৃতি কর্মীদের টার্গেট করে অনবরত বুলিং করছেন এবং কুৎসা রটনা করে চলেছেন। এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী শবনম বুবলীও এহেন অপরাধের শিকার হোন, তার জিডি ও অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুরুষ অভিনেতা ও একজন নারী কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে ও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সাইবার স্পেসে যে কাউকে হেয় করা অপরাধ ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সংস্কৃতি কর্মী বা সাধারণ ভিক্টিম সবার জন্য আমাদের সাইবার সেবা উম্মুক্ত থাকবে। এদিকে, সাধারণ ডায়েরিতে বুবলী উল্লেখ করেছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে কিছু ব্যক্তি, অনলাইন পোর্টল ও টিভি চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছি।’ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রতিদিনের চিত্র’, ‘জমশেদ ভাই’, ‘মৌ সুলতানা’, ‘সনি কমিনিকেশন’, ‘এসকে উজ্জল’, সোনিয়া শিমু’, ‘ফেরদৌস কবির’, ‘আবুল হোসাইন তুফান, ‘শাহিনুর আক্তর’, ‘জাহিদুল ইসলাস আপন’সহ ১৫-২০টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেছেন বুবলী। তার অভিযোগের তালিকায় আছে দেশের ৪টি গণমাধ্যমেরও নাম।
০৯ মে, ২০২৪

পুলিশের দ্বারস্থ হলেন চিত্রনায়িকা বুবলী (ভিডিও)
ঢাকাই সিনেমার বিতর্কিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ব্যক্তিজীবন নিয়ে মাঝেমধ্যেই তিনি থাকেন খবরের শিরোনামে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুবলী প্রায়ই নানা ধরনের কটাক্ষের শিকার হন। এবার এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন এই মনের মতো মানুষ পাইলাম সিনেমার নায়িকা। অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের অভিযোগ নিয়ে এবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী শবনম বুবলী। গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।যদিও পুরো বিষয়টিই শুরু থেকে গোপন রেখেছেন তিনি।  সাধারণ ডায়েরিতে বুবলী বলেছেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবত কিছু ব্যক্তি, অনলাইন পোর্টল ও টিভি চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে তার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশকিছু ফেসবুক পেজের নাম উল্লেখ করে বুবলী থানায় একটি জিডি করেন। ‘প্রতিদিনের চিত্র’, ‘জমশেদ ভাই’, ‘মৌ সুলতানা’, ‘সনি কমিনিকেশন’, ‘এসকে উজ্জল’, সোনিয়া শিমু’, ‘ফেরদৌস কবির’, ‘আবুল হোসাইন তুফান, ‘শাহিনুর আক্তর’, ‘জাহিদুল ইসলাস আপন’সহ ১৫ থেকে ২০টি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের নাম তিনি উল্লেখ করেছেন জিডিতে। এমনকি তার এই অভিযোগের তালিকায় রয়েছে দেশের ৪টি গণমাধ্যমেরও নাম। ৮ মে ডিএমপির গুলশান বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বুবলীর জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ডিএমপির সিটিটিসি বিভাগের সাইবার ইউনিট তদন্ত করছে।’ তবে জিডি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে এখনও কিছুই বলেননি বুবলী। এদিকে শাকিব-বুবলীর বিয়েই হয়নি এমন মন্তব্য করে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছেন বুবলীর সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক এমডি ইকবাল। 
০৯ মে, ২০২৪
X