স্বৈরাচারের চল্লিশায় বাঁধন
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই রাজপথে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের ৪০ দিন উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে  ‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’ উদযাপন হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর মিরপুর-১০ নম্বরে আজমল হাসপাতালের গলিতে এই আয়োজন করে মিরপুরবাসী। এতে অতিথি হিসেবে দাওয়াত পান বাঁধন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে তার উপস্থিত হওয়ার একটি ছবিও প্রকশ করা হয়। বাঁধন ছাড়াও এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মো. নাহী, মাসুদুর রহমান, ফারদিন হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, শ্রমিক, দিনমজুর ও এলাকাবাসী।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের চল্লিশা উপলক্ষে ইবিতে নৈশভোজ
বাঙালি মুসলমানদের একটি বহুল পরিচিত ঐতিহ্য রয়েছে। কেউ মারা গেলে ৪০তম দিনে দোয়া, অনুষ্ঠান ও খাবারের আয়োজন করা হয়। এ রকম আয়োজনকেই ‘চল্লিশা’ বলা হয়। রীতি অনুযায়ী এটি সব এলাকায় পালন করা হয়। চল্লিশা মূলত শোক পালনের উদ্দেশ্যে পালন করা হলেও এবার ব্যতিক্রমী চল্লিশা ‘উদযাপন’ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। তিনি পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ৪০ দিন উপলক্ষে এই চল্লিশার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে চল্লিশা উপলক্ষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজ সম্পর্কে বিভাগটির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান কালবেলাকে বলেন, স্বৈরাচার সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত থেকে শুরু করে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ স্বৈরাচার পতনের দিনক্ষণ গণনাসহ এমন কিছু নিদর্শন রেখে যেতে চায় যেটা দেখে পরবর্তী প্রজন্ম বুঝতে শিখবে যে স্বৈরাচারীদের পরিণতি কী হতে পারে। সেই আলোকে আমরা স্বৈরাচারের পতনের ৪০ দিন পূর্তি উপলক্ষে ভোজের আয়োজন করছি। আমরা মনে করি, এ আয়োজন স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ হিসেবে লেখা থাকবে। আরেক শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, আমরা এটি স্বৈরাচারেরর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ঘৃণা ছড়িয়ে দিতেই এ আয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে দেশে কখনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের সর্বস্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। মানুষ তার নিজ অধিকার ভোগ করে সুখে শান্তিতে বসবাস করুক।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
X