গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের প্রতিষ্ঠান
গ্রামীণ ব্যাংক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লাইন্সেসধারী প্রতিষ্ঠান নয় বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, এটি এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী বা ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। এটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান, যা ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত। যদিও পরে চার্টারের বাইরে গিয়ে নানা রকম ব্যবসা প্রসারিত করেছে। এই ব্যাংককে বিশ্বে যেভাবে পরিচয় দেওয়া হয়, তা সঠিক নয়। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সে সময় সমাজকল্যাণে নিবন্ধিত কোনো এনজিও বেআইনি কাজ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, পাবলিক মানি যেটা এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের জন্য, তার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি করতে যখনই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তখনই বিদেশিদের নিয়ে ঘাড়ের পর চড়াও হয়েছে। বলা হয়েছে, পাবলিক স্পেস সোশ্যাল সেক্টরের জন্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
০১ জুলাই, ২০২৪

সংসদে দীপু মনি / গ্রামীণ ব্যাংক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিষ্ঠান
গ্রামীণ ব্যাংক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লাইন্সেসধারী প্রতিষ্ঠান নয় জানিয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এটি এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। এটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিষ্ঠান।  তিনি বলেন, এটি ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদিও এরপরে নানা রকম ব্যবসায় প্রসারিত করেছে তার চার্টারের বাইরে গিয়ে। এই ব্যাংককে যেভাবে বিশ্বে পরিচয় দেওয়া হয়, তা সঠিক নয়। রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর  ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সমাজকল্যাণে নিবন্ধিত কোনো এনজিও বেআইনি কাজ করলে তার বিরুদ্ধে তথ্য দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।  তিনি বলেন, পাবলিক মানি যেটা এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের জন্য এ অর্থের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা করবার যখনই সরকার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে তখনই ‍বিদেশিদের নিয়ে সরকারের ঘাড়ের ওপর চড়াও হয়েছে। বলা হয়েছে পাবলিক স্পেস সোশ্যাল সেক্টরের জন্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৩০ জুন, ২০২৪

‘আইন মেনেই গ্রামীণ ব্যাংক সাত প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে’
গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক ড. ইউনূসের সাতটি প্রতিষ্ঠান দখল করেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি সঠিক নয়। আইন মেনেই গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সাতটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূসের কোনো মালিকানা বা শেয়ার নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। গতকাল শনিবার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ড. ইউনূস গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তাদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান তিনি ব্যবসার মুনাফা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ড. ইউনূসের সেই অভিযোগের জবাব দিতেই এই সংবাদ সম্মেলন ডাকে গ্রামীণ ব্যাংক। এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ জুবায়েদ, আইন উপদেষ্টা মাসুদ আক্তারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ড. ইউনূস মানি লন্ডারিং করেছেন—এমন প্রমাণ হাতে রয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড—এসব প্রতিষ্ঠান গড়তে গিয়ে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা সরিয়েছেন। গত সাত মাস নিরীক্ষা (অডিট) করে তারা এসব তথ্য পেয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ড. ইউনূস ব্যবসার মুনাফা দিয়ে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান করেননি। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক ড. ইউনূসের কোনো প্রতিষ্ঠান জবরদখল করেনি। সবকিছু আইন মেনে করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ড. ইউনূসের নয়; বরং গ্রামীণ ব্যাংকের। সাইফুল মজিদ বলেন, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম—এসব প্রতিষ্ঠান নব্বইয়ের দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক আর্থিক তথ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তথ্য ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ড. ইউনূসের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরও বলেন, সাতটি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে নিতে তারা চিঠি দিয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী ও গ্রামীণ শক্তি—এই সাত প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান ও পরিচালক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ড. ইউনূস আটটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন। এ তথ্য সঠিক নয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের আবেদন শুরু রোববার
ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনায় পুঁজিবাজারে আসছে ‘ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড’। আগামী রোববার এ ফান্ডের সাবস্ক্রিপশন অর্থাৎ আবেদন ও টাকা জমা নেওয়া শুরু হবে। আবেদন করা যাবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে। বিনিয়োগকারীদের কাছে এ ফান্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোড শোর আয়োজন করেছে। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে একটি রোড শো হয়। নতুন এই মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আকার ২০০ কোটি টাকা। এর প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। ফান্ডটির স্পন্সর গ্রামীণ ব্যাংক। এই ফান্ডের ১০০ কোটি টাকা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X