ভূমিকম্পসহনীয় নগরায়ণে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর
ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়ণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।  শনিবার (১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (রাজউক অংশ) এর উদ্যোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়ণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সবাইকে একসঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্পসহনীয় নগরায়ণে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দ্রুত নগরায়ণ, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সকল জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে। ঝুঁকি সংবেদনশীল ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন নীতি ও কৌশলসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে একটি স্থায়ী ও ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ে তোলা যেতে পারে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন, তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে অবকাঠামোগত নকশা পরীক্ষা ও পরিদর্শন এবং গুণগত ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকার, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই মিলে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি তার বক্তব্যে সেমিনার থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাসমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব জেলা ও উপজেলা শহরে প্রয়োগের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার,  স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি,  আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।  সেমিনারে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভূমিকম্প দুর্যোগ ঝুঁকির বিভিন্ন দিক এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।  রোববার (০২ মে) বিকেল ৫টায় সেমিনারটি শেষ হবে।
০১ জুন, ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে : গণপূর্তমন্ত্রী 
আগামী দিনে বিজয়নগর তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। তিনি বলেন, খুনি-গ্রেনেড হামলাকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। জামায়াত-বিএনপি যেন আর দেশের মানুষের রক্ত শুষে খেতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমি বিজয়নগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিজয়নগরের কোনো উন্নয়ন অপূর্ণ থাকবে না। শিক্ষা সংস্কৃতির জন্য যা যা করার দরকার তাই করব। আপনারা আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আজ যে জনসমুদ্র দেখিয়ে গণসংবর্ধনা দিয়েছেন এজন্য আমি বিজয়নগরবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। বিজয়নগরের মানুষ দুবেলা পেট ভরে ভাত খাবে, তাদের বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মান উন্নত হবে।  শিগগিরই বিজয়নগরে একটি উপশহর হবে, একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে, আরও উন্নত রাস্তাঘাট হবে। বাংলার মাটিতে আবার যেন বিএনপি-জামায়াত মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।  সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা।   অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী মন্টু, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন,  উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম,  ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুর্নিমল সাহা, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি হালিমা চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হৃদয় আহমদ।  অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. শাহানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. লোকমান হোসেন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহামদুর রহমান মান্না, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাড. তাসলিমা খানম নিশাত, বিশিষ্ট শিল্পপতি লূৎফর রহমান মুকাই আলী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শুভনসহ জেলা-উপজেলা আ.লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। 
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যারা অপতথ্য বাজারে ছড়িয়েছে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে : গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিষয়ে মানুষ নানা কথা বলেন, অনেকেই অপতথ্য ছড়ান। তবে আমি কিছু কাজ করেছি, কখনও অতিরিক্ত টাকা লাগেনি। কিন্তু নানা খবর চাওড় আছে। যারা অপতথ্য বাজারে ছড়ায় তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজউক অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, ফাইল রেখে দেওয়া ঠিক নয়। অনেকে দূরভীসন্ধীমূলক ফাইল রেখে দেয়। অনেক সঠিক ফাইল রেখে দেয়। এটা কখনো কাম্য নয়। আপনাদের ঠিকভাবে কাজ করতে হবে। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। ভালোবাসা মানে মানুষের কাজকে সম্মান দেখানো। যদি ঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে কেউ ঠেকাতে পারবে না।  বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যখন বঙ্গবন্ধু দেশের হাল ধরেন, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল শূন্য। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ শূন্য রিজার্ভ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান পরিস্থিতি থেকেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, রাজউককে সঠিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে রাজধানীর উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ পৌঁছাতে রাজউকের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আর উন্নত বাংলাদেশের রাজধানীকে সাজাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  এ সময় রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪
X