Sat, 06 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
বন্যাকবলিত সিলেটে ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
৩১ মিনিট আগে
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পানির সংকট চরমে
১ ঘণ্টা আগে
জনগণের সেবক হয়ে উন্নয়নের কাজ করতে চাই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী
২ ঘণ্টা আগে
বগুড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ছয়টি পয়েন্টে ১০৬২ মিটার ঝুঁকিপূর্ণ
৩ ঘণ্টা আগে
বেলাবতে চায়না কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬
৪ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৬ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
গুলশান লেকে ডুবে গেল মোবাইল চোর
রাজধানীর গুলশান লিংক রোড এলাকা থেকে পথচারীর মোবাইল ফোন চুরি করে পালাতে গিয়ে এক ব্যক্তি গুলশান লেকের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ৯টার দিকে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোন চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে পথচারীরা ধাওয়া দিলে ওই ব্যক্তি গুলশান লেকের পানিতে ঝাঁপ দেন। সাঁতার কেটে কিছুদূর যাওয়ার পর তাকে আর দেখা যায়নি। ওসি জানান, পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে ওই ব্যক্তি। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার লিমা খাতুন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডুবুরি দল পৌনে ১১টা থেকে কাজ করছে। তবে লেকের পরিধি বড় হওয়ার এখনও তার সন্ধান মেলেনি। সর্বশেষ বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার বাশার বিন খালিদ জানান, গুলশান লিংক রোডে এখনও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে। নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
০৬ জুন, ২০২৪
বিশ্ব মা দিবস /
মিসেস গুলশান আরা বেগম স্মরণে ‘তুমি হাসিছো কাঁদিছি মোরা’
আজ বিশ্ব মা দিবস। মা দিবসে আমি লিখি অনেকটা নিয়মিতই। গত বছরও মা দিবসে আমার লেখা ছিল। তখনও আম্মা জীবিত ছিলেন। আজ যখন এ লেখা লিখছি তখন মা-হীন আমি ও আমরা। মিসেস গুলশান আরা বেগম (লিলি) (জম্ম : ১ ডিসেম্বর ১৯৬২; মৃত্যু : ১২ অক্টোবর ২০২৩ খ্রি.)। ব্যক্তিগত দুঃখবোধ থেকেই আমার এ লেখা। আমদের যে পরিবার, তা মাকে ঘিরেই আবর্তিত। আমরা পাঁচ ভােইবোন। যে কোনো শুভ-অশুভ কাজ আমরা মাকে ছাড়া করতে পারি না। আম্মা মারা যাওয়ার পর আমার মনে হয় তাকে ছাড়া চলতে শিখতে শুরু করেছি। আম্মাকে ছাড়াই এবারের একুশে বই মেলায় আমার ৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আম্মা মারা যাওয়ার পর আমার ছোট ভাই ইলিয়াস বিন কাশেম খুব অসুস্থ। আম্মার স্মরণে খুব কান্নাটি করে। প্রতিদিন সে আম্মা যে রুমে থাকতেন সে রুমে অফিস থেকে এসে নামাজ পড়ে একাকী মোনাজাত করে। মায়ের সঙ্গে তার যে আত্মিক বন্ধন তা প্রতিনিয়ত পোড়াচ্ছে। আম্মার মৃত্যুর আগে আমিও চরম অসুস্থতার মধ্য দিয়ে সময় পার করছিলাম। হাসপাতালে ভর্তি হলে আমি আম্মার শয্যার পাশে গেছি নামে মাত্র। তার কোনো সেবা শুশ্রূষা করতে পারিনি। আম্মাকে ছাড়া আমরা কোনো সুন্দর মুহূর্ত চিন্তা করতে পারি না। অথচ আমরা তাকে ছাড়াই দিব্যি আছি। কিডনি, ডায়াবেটিস ও নানা রোগব্যাধীতে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তিনি পরাজিত হওয়ার মানুষ ছিলেন না। আম্মার জীবদ্দশায় তাকে নিয়ে লিখতাম। উনাকে সেগুলো পড়ে শোনাতাম বা উনি নিজেই পড়ে হাসতেন। কত শত অভিমান, আনন্দ আর হাসি গানে আমরা দিন পার করেছি। আব্বা যখন ১৯৯০ সালে মারা যান আমরা ভাইবোনরা তখন খুব ছোট। রাজধানী ঢাকার জীবন ছেড়ে আমাদের জায়গা হয় বাইরে। জীবন ঈশ্বরের এক অপরিসীম দয়া। জীবন-মৃত্যু যে কতো কাছাকাছি তা আমরা দেখেছি। আমাদের মায়ের মৃত্যু আমাদের সবাইকে নাড়িয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় বেঁচে থাকাটাই এখন আল্লাহর একান্ত কৃপা। আমাদের আনন্দ-বেদনা সব সাঙ্গ হবে যখন আমরা শেষ হয়ে যাবো। কবির ভাষায় বলতে হয়- ‘প্রথমো যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে কেঁদেছিলে একা তুমি, হেসেছিল সবে এমনো জীবন তুমি করিবে গঠন মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন’ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শব্দ ‘মা’। দুই. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠ লাইন ‘হেরিলে মায়ের মুখ/দূরে যায় সব দুখ।’ মা হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শব্দ। কী যাদুময় শব্দ 'মা'। রক্ত শুষে নিরাপদে ধীরে ধীরে মায়ের গর্ভদেশে সন্তান বড় হয়। প্রতিটি মা সন্তানদের ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে অসহনীয় যন্ত্রণা সুখ হিসেবে হাসি মুখে সহ্য করেন। জগতের আলো দেখানোর পরও তিল তিল করে মা-ই তার সবচেয়ে প্রিয় সন্তানকে একটু একটু করে বড় করে আগামীর সম্ভাবনাময় একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হয় ‘বিশ্ব মা দিবস’। যদিও মাকে ভালোবাসতে কোনো নির্দিষ্ট দিন লাগে না। তবুও সমস্ত ব্যস্ততাকে ছুটি জানিয়ে মায়ের জন্য একটি দিন বিশেষ করা যায়। মায়ের কাছে সব দুঃখ, কষ্ট, হাসি, গল্প কথা সবই কত সহজে আমরা বলতে পারি। কারণ মা-ই আমাদের জন্য আপনার চেয়েও আপন। সন্তানের জীবনে মায়ের অবদান অপরিসীম। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখেও অন্তিম ছোঁয়া অসম্ভব। মায়ের গুরুত্ব বোঝাতে বিখ্যাত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বলেছেন। সমস্ত ধর্মেই মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শিত হয়েছে। মহানবী হজরত মুহম্মদ (স.) বলেছেন, ‘তোমাদের জন্য মায়ের পায়ের নিচেই রয়েছে তোমাদের জান্নাত’। অর্থ-সম্পদের হিসেবে আমরা ধনী গরিবের হিসেব নির্ধারণ করি। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন আসল ধনী বলেছেন তাকে, যার মা আছে সে কখনই গরিব নয়। আমাদের প্রিয় মানুষরা স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলেই আমাদেরকে ছেড়ে যান। কারো অপছন্দের সংজ্ঞায় একবার সংজ্ঞায়িত হলেই ক্ষমার অযোগ্য ঘোষণা করা হয় কিন্তু সন্তান হাজার অন্যায় করলেও মা ক্ষমা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেখক লুসিয়া মে অরকটের ভাষায়, ‘মা সব কিছু ক্ষমা করে দেন। পৃথিবীর সবাই ছেড়ে গেলেও মা কখনো সন্তানকে ছেড়ে যান না’। চারপাশে হাজার মানুষ থাকে। হাজার ঘটনাপ্রবাহ থাকে। বুদ্ধি জ্ঞান হবার তা আমরা অনুধাবন করতে পারি। কিন্তু মায়ের সঙ্গ আমরা পৃথিবীতে আসার আগেই পায়। তাই মা-ই আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। ‘আমি যা হয়েছি বা ভবিষ্যতে যা হতে চাই তার সবকিছুর জন্য আমি আমার মায়ের কাছে ঋণী’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছেন। নারীর জীবনে সবচেয়ে বড় সফলতা হয় মা হবার স্বাদ গ্রহণের মাধ্যমে। কী অদ্ভুত সুন্দর একটা বিষয় যে, একটা মায়ের থেকে আরেকটা নতুন মানুষ পৃথিবীতে আসছে। দারুণ ব্যাপার! অন্য কোনো কিছুতেই ভালোবাসার সুন্দর পরিমাপ সম্ভব হয় না যতটা অনুভব করা যায় মা হবার ফলে। ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিংয়ের ভাষায়, ‘সব ভালোবাসার শুরু এবং শেষ হচ্ছে মার্তৃত্বে’। মায়ের বিশালতা হলো সুবিশাল প্রকৃতির মতো। উদারতায় মায়ের মন প্রাণ সুউচ্চ। সন্তানের সাফল্যে মায়ের প্রশংসা তৃপ্তির অনুভূতি জোগায়। আমেরিকান চিকিৎসক ও দার্শনিক ডা. দেবীদাস মৃধা বলেন, ‘মা হচ্ছেন প্রকৃতির মতো। যে কোনো পরিস্থিতিতে তিনি তার সন্তানের প্রশংসা করেন’। একজন আদর্শ মায়ের ক্ষমতা অনেক বেশি। তিনি সন্তানকে সঠিক দিক নির্দেশনায় সাফল্যের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা পোষণ করেন। মায়ের পেটের এ সন্তানই পৃথিবী শাসন করে। ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ন বেনোপার্ট বলেছেন, ‘আমাকে শিক্ষিত মা দাও। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, তোমাদের একটা সভ্য, শিক্ষিত জাতি উপহার দেব’। প্রকৃতির অন্য প্রাণি কিংবা মানুষ সবার ক্ষেত্রেই এটি সত্য বাণী যে সন্তানের জীবন এবং সেই জীবনের সমৃদ্ধির জন্য মা আসলেই পুরোটা দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে করেন। সন্তানের জন্য মা নিজেকে সম্পূর্ণ বিলিয়ে দেন। সন্তানের জন্য উদারতায় সুউচ্চ এক প্রাণি হলো মাকড়সা। ডিম ফুটে মাকড়সার বাচ্চা হয়। বাচ্চা না হওয়া অবধি সেই ডিম নিজের দেহে বহন করে মা মাকড়সা। বাচ্চা হওয়ার পর তাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য খাবারের প্রয়োজন হয়। মা মাকড়সা তখন নিজের শরীর বিলিয়ে দেয়। খাবারের জ্বালা মেটাতে বাচ্চা মাকড়সারা মা মাকড়সার দেহকে ঠুকরে ঠুকরে খেতে থাকে। সমস্ত কষ্ট আর যন্ত্রণা মা নীরবে সয়ে যায়। একটু একটু করে খেতে খেতে মা মাকড়সার পুরো দেহখানির গন্তব্য হয় তার সন্তানদের পেটের মধ্যে। বিশাল আত্মত্যাগের কারণে মাকড়সা ই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা হিসেবে পরিগণিত। তিন. নেপোলিয়ান বলেছিলেন, Give me a good mother I will give you a good nation. আমাকে একটি ভালো মা দাও, আমি তোমাদের একটি ভালো জাতি দেবো। একজন মা-ই পারে তার সন্তানদের আদর্শবান করে গড়ে তুলতে। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় সন্তানদের বাবা হয়তো থাকে জন্মদাতা হিসেবেই। সন্তানের লালন-পালন, পড়াশোনা ও সার্বিক খোঁজখবর মাকেই নিতে হয়। সন্তানের গতিপথ ও নব নব সবই শেখে মায়ের কাছ থেকে। খুব ছোট বেলায় আমার মনে আছে যে আমি ভাবতাম আমার মা-ই বিশ্বের সব চাইতে জ্ঞানী মানুষ। অবশ্য বড় বেলায় এখনো আমার ভাবনা একই রকম রয়েছে। আমাদের সব ভাইবোনের আজকের যে অর্জন সবই তার কারণেই। আমার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা ছিলেন সংসার বৈরাগী মানুষ। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কর্মকালীন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের করাচী থেকে দেশ মাতৃকার ক্রান্তিলগ্নে দেশে এসে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং স্থানীয়দের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দেন। আমার ফুপাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কমান্ডার মোহাসীন ভাইয়ের কাছ থেকে শুনি বাবার গল্প। কীভাবে দেশে পালিয়ে পাকিস্তান থেকে দেশে আসছিলেন আর একজন সৈনিক হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধে কী করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি আবার বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে বিমানবাহিনী থেকে অবসর নেন। আমার বাবা বেঁচে থাকালীন সময়ে কখনো দেখিনি কারো সঙ্গে বীরত্ব দেখাতে। সংসার বৈরাগ্যের কারণে যতোদিন তিনি বেঁচে ছিলেন আমাদের নিয়ে তার ভাবনা ছিল না বল্লেই চলে। আমার বাবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এর কাজিরগাঁও গ্রামে। ১৯৯০ সালে আমার বাবা মো. আবুল কাশেম মৃত্যুবরণ করলে আমার মা আমাদের সব ভাইবোন কে নিয়ে যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে নিয়ে আসেন। কেশবপুর উপজেলা শহরেও আমার নানার বাড়ি আছে। তবে তিনি সেখানে আমাদের রাখেননি যে আমরা বাজারের ছেলেদের সঙ্গে মিশে বখে যাবো। রাজধানী ঢাকা থেকে মঙ্গলকোট গ্রামে এসে আমার মা অনেকটাই দিশাহারা হয়ে পড়লেও আমাদের কখনোই বুঝতে দেননি। প্রতিদিনই তিনি কাঁদতেন আমাদের অগোচরে। সেই সময় আমার মাকে আমি দেখেছি একদিকে তিন প্রচণ্ড কড়া একজন মা, একজন সফল মালিক ও অভিভাবক। আমরা যে বাবাকে হারিয়েছি কখনো বুঝতে দেননি। বাবা থাকতেও আমরা যে আদর ভালোবাসা পাইনি আম্মা তার সবটাই দিয়েছেন। বাবার পেনশন রেশন ইত্যাদির জন্য আমার বড় ভাইটাকে ও আমাকে নিয়ে যেতেন ঢাকাতে। আমার মায়ের খালু এক সময়ে যশোর-৬ এর সাংসদ গাজী এরশাদ আলী নানার মাধ্যমে একটি মালবাহী ট্রাক কেনা হয়েছিলো যা ট্রাক ব্যবসায়ীদের কাছে ইজারা দেয়েছিলেন তিনি। আমার আম্মা প্রায় প্রতিদিনই কেশবপুরে নানার বাসায় যেতেন টাকা পয়সার হিসেব করতে। ছোট বেলায় আমার কখনো মনে পড়ে না আমাদের ভাই-বোন কাউকে তিনি টাকা আনতে পাঠিয়েছেন। তখন আমার নানার বাড়ির গ্রামে জমিতে প্রচুর ফসল উৎপাদিত হতো। সেগুলো আমাদের নানীর ভাগরাদার ছিল তাদের দিয়েই বিক্রি করাতেন। পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটবে এ কারণে কখনো আমাকে বা অন্য ভাইদের বাজারে পাঠাতেন না। তবে আমার ছোট ভাইটা ভালো বাজার করতে পারতো বলে সে মাঝে মাঝে বাজার করতো বিকেলে। আমাদের সন্ধ্যার পরে কখনো বাড়ির বাইরে যেতে দিতেন না। আজ আমরা যখন আমাদের সেসব দিনের কথা ভাবি মা অনকটাই আপ্লুত হয়ে পড়েন! গ্রামে আসার পর আমাকে গ্রামের বাড়ির পাশে একটা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। ভর্তি করিয়ে দিলেন আমার ছোট ইলিয়াস বিন কাশেম রাসেলকেও। আমার ছোট বোন ফারহানা তখন খুব ছোট স্কুলে যাওয়ার মতো বয়স হয়নি। প্রতিদিনই নিজে আমাদের পড়াতেন এবং কড়া শাসনের মধ্যে জীবন চলতে লাগলো। আমি সে বছর গ্রামের ওই প্রাইমারীর মধ্যে মাত্র তিন মাস পড়াশোনা করে রেকর্ড সংখ্যক মার্কস পেয়ে স্কুল ফার্স্ট হই। ক্লাস থ্রী থেকে সরাসরি ক্লাস ফাইভে। আমরা তিন ভাইবোন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছি। আমাদের ৫ ভাইবোনের মধ্যে চারজনই সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী। আমার বড় ভাই মুহাম্মদ বিন কাশেম জুয়েল রাজধানীতে ঠিকাদারি করেন করেন। বড় বোন ছামিয়া খাতুন গরুর ফার্ম গড়ে তুলেছন। ছোট ভাই ইলিয়াস বিন কাশেম স্কয়ার গ্রুপের মাছরাঙা টেলিভিশনে কাজ করছে। ছোট বোন ফারহানা আফরোজ ঢাকা ব্যাংক এ কর্মরত। আজ আমরা যে যেখানেই আছি সব কিছুর কৃতিত্ব আমার মায়ের-ই। আজ আম্মা নেই। তারপরও মরন হয় সব কিছু তার ইশারায় চলে। মা-ই আমাদের পৃথিবী। বিশ্ব নারী দিবসে এমন একজন মহিয়সী মাকে জানাই শ্রোদ্ধা, ভালোবাসা, সালাম। (লেখক : কবি ও গল্পকার)
১২ মে, ২০২৪
অভিজ্ঞতা ছাড়া গুলশান ক্লাবে চাকরির সুযোগ
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গুলশান ক্লাব লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘রেস্ট হাউস ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : গুলশান ক্লাব লিমিটেড পদের নাম : রেস্ট হাউস ম্যানেজার পদসংখ্যা : ০১টি বয়স : সর্বোচ্চ ৪০ বছর কর্মস্থল : ঢাকা (গুলশান-২) বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা : প্রয়োজন নেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৬ মে, ২০২৪ কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদনের শেষ তারিখ : ৩০ মে, ২০২৪ শিক্ষাগত যোগ্যতা : একটি ৪ তারকা হোটেল/রিসোর্টে অনুরূপ ভূমিকার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে ডিপ্লোমাসহ ন্যূনতম স্নাতক। ইংরেজি ও বাংলা ভাষা সাবলিলভাবে জানতে হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : স্বাধীনতা টাওয়ার, ১, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা-১২০৬
০৭ মে, ২০২৪
আইএসইউ ও গুলশান কমার্স কলেজের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) এবং গুলশান কমার্স কলেজের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার আইএসইউর ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ ও গুলশান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ এম এ কালাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এতে সই করেন। চুক্তির ফলে গুলশান কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা আইএসইউতে অনার্স ও মাস্টার্সে পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ওয়েভার ও স্কলারশিপ সুবিধা পাবেন। গুলশান কমার্স কলেজ হলরুমে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইএসইউ ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক ও প্রক্টর নাসের ইকবাল, রেজিস্ট্রার ফাইজুল্লাহ কৌশিক, ডিরেক্টর (এডমিশন) গিয়াস উদ্দিনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গুলশান কমার্স কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ মার্চ, ২০২৪
গুলশানে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে স্পেন দূতাবাসের কর্মকর্তা নিহত
রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের পিংক সিটির বিপরীতে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ইসমাইল গিল সেরেনো (৫৮) নামে স্পেন দূতাবাসের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, রোববার বিকেলের দিকে গুলশান অ্যাভিনিউয়ের পিংক সিটির বিপরীতে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে স্পেনের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ওসি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ জানায়, ওই ভবনটিতে গত ছয় সাত মাস ধরে তিনি ভাড়া ছিলেন। কিন্তু গত চার-পাঁচ দিন ধরে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিলেন। রাস্তার মানুষকে মারধর ও ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার মতোও ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। ওই ভবনের কেয়ারটেকার জানান, এই সব ঘটনায় শনিবার তাকে গুলশান থানা পুলিশ নিয়ে যায় এবং ছেড়ে দেয়। পরে রোববার দুপুরের দিকে ছাদের তালা ভেঙে সেখান থেকে লাফ দেন তিনি, পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
০৩ মার্চ, ২০২৪
যে কারণে পুলিশি বাধা /
বন্ধ হলো গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার কাজ
রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের নির্দেশের পর সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতেই শুরু হয় ভাঙার কাজ। তবে অরক্ষিত অবস্থায় কাজ শুরু করলে কিছু অংশ ভাঙার পর রাতেই পুলিশি বাধায় তা বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে সকালে গুলশান-১ এর ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ গুঁড়িয়ে দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ নির্দেশ দেন। ৩০ দিনের মধ্যে শপিং সেন্টারটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার আদেশ দেন। ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। রাজউকের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী সেদিন জানান, গত জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বানী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রাজধানীর গুলশান শপিং সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত ১৩ জুলাই ভবনটি সিলগালা করে দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শপিং সেন্টারটিতে ৭২৩টি দোকান আছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ চুক্তি অনুযায়ী দেওয়া হয় ২০০ কোটি টাকা। শুরুর দিকে আপত্তি থাকলেও সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভবনটি ভেঙে নতুন শপিং সেন্টার হলে ৪০০ ব্যবসায়ী দোকান করার সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে অনেককে দেওয়া হয়েছে দোকান বরাদ্দ।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪
গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার নির্দেশ বহাল
রাজধানীর গুলশান-১-এর গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে করা আবেদন গতকাল সোমবার খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে শপিং সেন্টারটি ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে বাণী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিলেন। ২৩ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও মাহবুব হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে শপিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ৩০ দিনের মধ্যে শপিং সেন্টারটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে ওই কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতি আপিল বিভাগে আবেদন করে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গুলশান শপিং সেন্টারের ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। একই সঙ্গে ডিএনসিসিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪
ঝুঁকিপূর্ণ গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশ
রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩০ দিনের মধ্যে গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত ২৩ জুলাই রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। পরে বানী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রিট করে। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। গুলশান শপিং সেন্টারের হোটেল, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান। এর আগে জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গুলশান শপিং সেন্টারকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠি দেয়। অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলেও মালিকেরা সেটি করেননি। ঝুঁকিপূর্ণ, পরিত্যক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য। জুলকার নায়ন আরও বলেন, বারবার সতর্ক করা হলেও পরিত্যক্ত ভবনটি খালি করছে না ব্যবসায়ীরা। খালি করার জন্য একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে তারা। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯, তৃতীয় তফসিল-১৭, ইমারত নিয়ন্ত্রণ ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধানের ১৭(১) ও ১৭(২) অনুযায়ী জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি সিলগালা করা হয়েছে। তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ, ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মার্কেটটির গেটসমূহ তালাবদ্ধ ও সিলগালা করা হয়। এ সময় মাইকিংও করা হয় এবং মালামাল সরানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪
গুলশান মডেল স্কুলে ভোট দিলেন শেখ রেহানা
রাজধানীর গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১.৪৫ মিনিটে ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে আসেন। এ সময় ঢাকা-১৭ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত তার সঙ্গে ছিলেন। তপশিল ঘোষণার পর ৫২ দিনে নানা ধাপ পেরিয়ে উপস্থিত আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আজ রোববার। সারা দেশে ২৯৯টি আসনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। কোনো বিরতি ছাড়াই চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর হবে ভোট গণনা ও ফল প্রকাশ। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কারচুপি এড়াতে প্রথমবারের মতো ভোরে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ব্যালট পেপার। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশের এলাকা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর হস্তে দমনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে ইসি। তা সত্ত্বেও নাশকতা থেকে রক্ষা পায়নি দেশ। তপশিল ঘোষণার পর থেকেই বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলোর হরতাল অবরোধ-কর্মসূচির পাশাপাশি চলেছে জ্বালাও-পোড়াও। ভোটের এক দিন আগেও (শুক্রবার) যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দিয়ে কেড়ে নেওয়া হয়েছে চারজনের প্রাণ। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র। ধ্বংসাত্মক এসব কর্মকাণ্ড ভোট উৎসবে ছড়িয়েছে আতঙ্কের বার্তা। নাশকতার এই হুমকির মধ্যে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করা আক্ষরিক অর্থেই গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা বলছেন বিশ্লেষকরা। কারণ দেশ-বিদেশে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রশ্ন অনেকটাই জড়িত বলে মনে করেন তারা।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪
গুলশান শপিং সেন্টার গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ
রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই নির্দেশ বাস্তবায়নে ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় রাজউকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি করেননি। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে গত ১৩ জুলাই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ, ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে মার্কেটটির গেটসমূহ তালাবদ্ধ ও সিলগালা করা হয়। শপিং সেন্টারটিতে ৭৩০টি দোকান ছিল।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
আরও
X