Mon, 08 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ আনন্দ ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
Kalbela
image/svg+xml
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
৭ ঘণ্টা আগে
দশ লাখ টাকার মাছ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ
৮ ঘণ্টা আগে
হঠাৎ অসুস্থ খালেদা জিয়া, নেওয়া হবে হাসপাতালে
৮ ঘণ্টা আগে
গলা পানি পেরিয়েও ত্রাণ পেলেন না তারা
৯ ঘণ্টা আগে
মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ‘পিস্তল’সহ আটক দুই
১০ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৮ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
এক শর্তে কালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার সিয়াটলে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের। বাইডেন বলেন, আমি যেমনটা বলেছি, এটি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা চায় তাহলে আমরা আগামীকালই একটি যুদ্ধবিরতি করতে পারব। আর যুদ্ধবিরতি আগামীকাল থেকেই শুরু হবে। গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
১২ মে, ২০২৪
চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে। খবর রয়টার্সের। গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য ইজ্জাত এল-রিশেক বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদনের বিষয়ে আবারও আশ্বস্ত করে হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করেছে। এই প্রস্তাবে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কায়রোতে পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েল। নতুন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে হামাসের প্রস্তাব নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তেল আবিব নিজেদের আপত্তি জমা দিয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত সোমবার (৬ মে) হামাসের একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। হামাসের এমন বার্তার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ইসরায়েলের সব দাবি পূরণ করেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের কাটছাঁট। তবে এতে এমন বিষয়ও রয়েছে যাতে ইসরায়েল রাজি হবে না। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি : ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রাজি হলেও ইসরায়েলের তালবাহানা
দীর্ঘ সাত মাসের যুদ্ধের পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পর তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস রাজি হলেও তাদের দাবি-দাওয়া এখনো পূরণ হয়নি। এমনকি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে স্থল হামলা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ফলে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা এত দূর আগালেও ইসরায়েলের তালবাহানায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্সের। সোমবার (৬ মে) হামাসের একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। হামাসের এমন বার্তার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ইসরায়েলের সব দাবি পূরণ করেনি। তবে চুক্তি আলোচনা অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে তেল আবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের কাটছাঁট। তবে এতে এমন বিষয়ও রয়েছে যাতে ইসরায়েল রাজি হবে না। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এবার রাশিয়া-চীনের ভেটো
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি পাস হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১ দেশ। বিপক্ষে দেয় তিন দেশ। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে একটি দেশ। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘে এ ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী নীতি ইসরায়েলের ওপর কোনো চাপ তৈরি করছে না বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রের আনা খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দেয় রাশিয়া ও চীন। খবর আলজাজিরার। জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, এই খসড়াটি অত্যন্ত রাজনীতিকরণ করা হয়েছে এবং এতে রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য কার্যকর সবুজ সংকেত রয়েছে। তা ছাড়া কীভাবে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া যাবে, তার কোনো পরিকল্পনা নেই খসড়া প্রস্তাবে। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধিও। উল্লেখ্য, গাজায় আরও মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে ও বেসামরিকদের সুরক্ষায় বেশি কিছু করতে মিত্র ইসরায়েলের ওপর অনবরত চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সাড়ে পাঁচ মাস ধরে চলা যুদ্ধের এ সময়কালে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটির বিরোধিতা করেছে এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া সব প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা খসড়া প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, প্রায় ছয় সপ্তাহ স্থায়ী একটি ‘আশু ও টেকসই যুদ্ধবিরতি’ বেসামরিকদের সুরক্ষা দেবে ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ অনুমোদন করবে। খসড়া প্রস্তাবে ইসরায়েলি জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবের ভাষ্যে যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতির সময়টিতে ‘স্থায়ী শান্তি প্রচেষ্টা’ জোরদার করার উদ্যোগগুলো আরও জোরালো করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় চলা আলোচনার প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। এদিকে কাতারে ফের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমরা দ্রুতই চুক্তিতে পৌঁছাব। তবে এখনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই মুহূর্তে ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করছেন।
২৩ মার্চ, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে চীন-রাশিয়ার ভেটো
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা এ প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে শুক্রবার গাজায় অবিলম্বের যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবে জাতিসংঘে ভোটাভুটি হয়। তবে খসড়া এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছে তিন দেশ। তারা হলো চীন, রাশিয়া ও আলজেরিয়া। অন্যদিকে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১১ দেশ। এছাড়া প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল গায়ানা। ভেটো দেওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবাঞ্জা বলেন, এ প্রস্তাব হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি। গাজায় প্রথমদিকে ইসরায়েলকে থামাতে কিছু করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তারা এমন সময় যুদ্ধবিরতির কথা বলেছে যখন গাজা কার্যত পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা এখানে একটি পুরোনো ভণ্ডামির প্রদর্শনী দেখছি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে পচীন রাশিয়া এ প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কারণ তারা যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় চায়। মার্কিন দূত লিন্ডা-থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, চীন ও রাশিয়া চায় যেকোনোভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্র হেরে যাক। এজন্য তারা ভেটো দেয়। রাশিয়া আরেকবার প্রগতির সামনে রাজনীতিকে নিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবে গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি চাওয়া হয়। এটির মাধ্যমে যুদ্ধও বন্ধ হবে একইসাথে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করা হবে। এছাড়া প্রস্তাবে গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহের কথাও বলা হয়। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সে সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর আটক জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসকেও চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত বুধবার সৌদি সংবাদমাধ্যম আল হাদাথকে বলেন, আমি মনে করি এই প্রস্তাব একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ইসরায়েলের পাশে আছি। তাদের আত্মরক্ষার প্রতি আমাদের সম্মান আছে। গাজায় যে সব বেসামরিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং চরম দুর্দশায় আছেন তাদের প্রতিও আমাদের নজর দিতে হবে। তাদের সুরক্ষার বিষয়টা আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে। তারা যেন মানবিক সহায়তা পেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
২২ মার্চ, ২০২৪
রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর কঠিন : বাইডেন
পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) ফিলাডেলফিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা বলেন তিনি। খবর আলজাজিরার। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার চলতি বছরের রমজান শুরু হতে পারে। পবিত্র এই মাসে বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান রোজা রাখেন। রমজান শুরুর আগে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে বাইডেন বলেন, ‘এটি কঠিন মনে হচ্ছে।’ গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন। বর্তমানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন আরেকটি চুক্তি সম্পাদনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এবারের আলোচনার মূল লক্ষ্য গাজায় যুদ্ধবিরত এবং হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করা। এ ছাড়া এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।
০৯ মার্চ, ২০২৪
রমজানে গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে তা হবে খুবই বিপজ্জনক
আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নতুন গতি পেয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি আলোচনা। বেশ জোরেশোরে চলছে এ যুদ্ধবিরতির আলোচনা। তবে এবার রমজানের যুদ্ধবিরতির আলোচনা সফল না হলে তা নিয়ে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাইডেন বলেন, রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে তা খুবই বিপজ্জনক হবে। মঙ্গলবার তিনি এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এছাড়া যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি গ্রহণের বিষয়টি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের ওপর নির্ভর করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনা চলছে। এছাড়া গাজার বাসিন্দাদের জন্য বিমান থেকে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে মার্কিন সামিরিক বাহিনী। এমন সময়ে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গাজায় আরও ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়ে কোনো অজুহাত চলবে না। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলার কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। উপত্যাকায় ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় ইসরায়েলের প্রতি হতাশা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যদিকে শর্তের ব্যাপারে হামাস নমনীয় না হওয়ায় তা নিয়েও হতাশা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করলেন। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বাইডেন বলেন, এটা এখন হামাসের হাতে। এ বিষয়ে ইসরায়েলিরা সহযোগিতা করছে। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি যৌক্তিক। তারা কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানতে পারবেন। তবে যুদ্ধবিরতি দরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রমজানের কারণে যুদ্ধবিরতি করতে হবে। রমজানেও যদি এ পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে ইসরায়েল ও জেরুজালেমের অবস্থা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে নির্মমতা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ লোক নিহত হয়েছে।
০৬ মার্চ, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাকে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন আরেকটি চুক্তি সম্পাদনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এবারের আলোচনার মূল লক্ষ্য গাজায় যুদ্ধবিরত এবং হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করা। এ ছাড়া এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। এক এক্সবার্তায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা আমাদের জিম্মিদের মুক্তির জন্য আরেকটি রূপরেখা পেতে কাজ করছি। তাই আমি প্যারিসে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছি। আজ রাতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব। নেতানিয়াহুর এমন বার্তার পর জানা যায় চলতি সপ্তাহে অধিকতর আলোচনার জন্য আরেকটি প্রতিনিধিদল কাতারে পাঠাবে ইসরায়েল। অন্যদিকে রোববার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, বন্দি মুক্তি ও অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ‘মূল রূপরেখা’ সম্পর্কে একটি বোঝাপড়া হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন। এমন পরিস্থিতিতে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে দেশ-বিদেশ থেকে চাপে আছেন নেতানিয়াহু। প্রায় প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে হতাশ কাতার
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে স্বয়ং মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার বলেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এ বিষয়ে কোনো আশাব্যঞ্জক আলোচনা হয়নি। গত শনিবার জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে এ কথা বলে হতাশা প্রকাশ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহিম আল থানি। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে বিলম্বের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এক বিবৃতিতে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অর্জনে অগ্রগতির না হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ অচলাবস্থার মধ্যেই গাজাজুড়ে চলছে ইসরায়েলি বর্বরতা। ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানের কারণে খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়েছে। হাসপাতালটির ভেতরে এখনো দুই শতাধিক রোগী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ সংকটাপন্ন রোগীকে জরুরিভাবে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। খবর আলজাজিরার। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ থানি শনিবার জার্মানির মিউনিখে বলেন, শেষ কয়েক দিনের আলোচনায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো কিছু নেই। তবে আমরা সবসময় যেমন বলেছি, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত আশাবাদী থাকব এবং বরাবরের মতো আমরা চাপ প্রয়োগ করব। যুদ্ধবিরতি নিয়ে সর্বশেষ কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। কিন্তু আগের চুক্তিগুলো হওয়ার সময় সঙ্গে থাকার কারণে দুটি বিষয় আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। বিষয় দুটি হচ্ছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতি এবং বন্দিবিনিময়। আমি বিশ্বাস করি, এ চুক্তির বিষয়ে আমরা বৃহৎ পরিসরে আলোচনা করছি এবং সেই আলোচনায় মানবিক দিকটি নিয়ে এখনো আমরা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছি। যদি মানবিক দিকটি নিয়ে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়, তাহলে বন্দিবিনিময় বিষয়টিও সহজেই সমাধান করা যাবে বলে মনে করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতার, মিশর, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এখন পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তি হয়নি। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে বিলম্বের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এক বিবৃতিতে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অর্জনে অগ্রগতির না হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেন। হানিয়াহ শনিবার বলেন, গাজায় সংঘাত সম্পূর্ণ বন্ধ, গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনাদের প্রত্যাহার এবং অন্যায় অবরোধ তুলে নেওয়ার চেয়ে কম কিছু মানবে না হামাস। তিনি আরও বলেন, এটা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট যে, দখলদাররা (ইসরায়েল) আমাদের জনগণের স্বার্থের বিষয়ে কৌশল অবলম্বন করছে এবং বিলম্ব করে চলেছে। অন্যদিকে তাদের অবস্থান প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে আটক বন্দিদের মুক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। যে কোনো আসন্ন বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ইসরায়েলকে অবশ্যই দীর্ঘ সাজা ভোগ করা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও পেছাল নিরাপত্তার পরিষদের ভোট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট আরেক দিন পেছানো হয়েছে। রেজুলেশনের খসড়ায় মার্কিন সমর্থনের ইঙ্গিতের ভিত্তিতে এ ভোট আরও একদিন পেছানো হলো। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ প্রস্তাবটি এ নিয়ে চারবারের মতো পেছানো হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটো ঠেকাতে বিষয়টি ভোটাভুটি বারবার পেছানো হচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বরের প্রস্তাবনায় প্রথম ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সংযুক্ত আরব আমিরাতের তোলা এই প্রস্তাবের ওপর গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে আমিরাতের তৈরিকৃত খসড়া প্রস্তাবের ভাষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি থাকায় ভোট কয়েক দফায় পেছানো হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে দেনদরবার অব্যাহত রেখেছে আমিরাত। মূলত গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম নজরদাড়িতে জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে। আমিরাতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমরা সত্যিই চেষ্টা করছি। খসড়া প্রস্তাবে গাজায় বাধাহীনভাবে মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দিতে জরুরি ভিত্তিতে গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। তবে ইসরায়েল ও তাদের প্রদান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতি হামাসকে সুবিধা দেবে। এ জন্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পরিবর্তে তারা সেখানে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে। এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে চায় তেল আবিব ও ওয়াশিংটন। অবশ্য ঐতিহ্যগতভাবেই মিত্র ইসরায়েলকে নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো পদক্ষেপ থেকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের পক্ষে দুবার ভেটো দিয়েছে দেশটি।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩
আরও
X