গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানব পতাকা প্রদর্শনের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করেন।  মানব পতাকা প্রদর্শনের পাশাপাশি সমাবেশে তারা ৩টি দাবি জানান। সেগুলো হলো- গাজায় গণহত্যা বন্ধ করা; বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দমননীতি বন্ধ করা এবং ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা বন্ধ করা। এসময় সমাবেশে যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে আজকে যা হচ্ছে তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর ঘটনা। গাজায় ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে ৬৭ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সবচেয়ে বড় ধ্বংসযজ্ঞের রেকর্ড ভেঙেও অনেক উপরে চলে গেছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলিরা। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ হচ্ছে নারী-শিশু এবং ৮০ শতাংশ সাধারণ নাগরিক। যাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।  তিনি আরও বলেন, গতকাল ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক মিসর সীমান্তে অবস্থিত রাফা দখলের মাধ্যমে আরও খারাপ অবস্থায় পড়বে গাজাবাসী। রাফা দখলের মাধ্যমে ইসরায়েলীরা মিসর-ইসরায়েলের যে ডেভিড চুক্তি সেটি ভঙ্গ করেছে। এটিই একমাত্র সীমানা যেখান দিয়ে আহত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য এইড আসতো, ক্ষুধার্ত লোকদের জন্য খাবার আসত। আজ সেই রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। আমরা আশা করবো ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হবে। মানবাধিকারকর্মী শারমিন মুরশিদ বলেন, ইসরায়েলকে সুস্পষ্ট মদদদাতা হল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিদের রক্তে-রন্ধ্রে জমে আছে গণহত্যা ও  দখলদারিত্ব। তারা একটার পর একটা দেশ ও জাতিকে শেষ করে আসছে। ইরাক, লিবিয়া  আফগানিস্তানের মতো দেশকে কতগুলো মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তারা নিধন করেছে। তাদের হাতে রয়েছে মিডিয়া, তাদের হাতে তথ্যের শক্তি এবং তাদের হাতে রয়েছে অর্থ। আর তারা সেটাকে অপব্যবহার করে প্রতিবার মিথ্যের দোহাই দিয়ে মানুষ খুন করেছে। লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট রাখাল রাহা বলেন, এই আগ্রাসন শুরু হয়েছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই। তারপর থেকেই নানা চড়াই উতরাই পার করে আজকের এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনকে জাতিগত উচ্ছেদ বা জাতিগত নির্মূলের অবস্থায় নিয়ে গেছে ইসরায়েল। এই উচ্ছেদ আয়োজন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই হামলায় সরাসরি মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্রকে এটার প্রতি সমর্থন থেকে ফিরে আসতে হবে।  ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, আজকের এই আয়োজনে আমরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের কয়েকটি দাবি থাকবে। তা হল- গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে করতে হবে; আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও দমননীতি বন্ধ করতে হবে এবং ইসরায়েলকে সব প্রকার সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের একটি মানব পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের আপামর জনতার সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।  
০৯ মে, ২০২৪

গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান খেলাফত মজলিসের
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল। তিনি বলেন, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল যে বর্বরতা ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা নজিরবিহীন। ইসরায়েলি আগ্রাসন রুখতে মুসলিম বিশ্বকে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে সংগঠনের কার্যালয়ে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত থানা দায়িত্বশীল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহসাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইফুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক, দক্ষিণের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সেলিম হোসাইন, এসএম সানাউল্লাহ, ড. আনিসুর রহমান শিপলু, আবদুল হান্নান সরকার ও হাফেজ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘ভয়াবহ নজির’ স্থাপন করেছে গাজায় গণহত্যা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা ‘ভয়াবহ নজির’ স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দাও করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলের ‘নিপীড়ক সরকারকে’ তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পেস্টে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। খবর এনডিটিভির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র ইসরায়েলের নাম না করেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, এই ভূখণ্ডটিতে গণহত্যা ‘ভয়াবহ নজির’ স্থাপন করেছে এবং মানব ইতিহাসে এটি ‘বড় লজ্জার’ বিষয় হিসেবে টিকে থাকবে। পোস্টে কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক গাজায় হাসপাতালে বোমা হামলা এবং ডাক্তারদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগের ঘটনাও উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে ইসরায়েলের ‘নিপীড়ক সরকারকে’ তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের নামে গাজা উপত্যকায় তাণ্ডব চালানো হয়েছে এবং এর ফলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে ‘মানবিক সংকট’ দেখা দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় যা করার অনুমতি দিয়েছে, তা ইতিহাসে শুধু সমগ্র মানবতার জন্যই বড় লজ্জা নয়, মানব জাতির জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে থাকবে।’ তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় পরিচালিত গণহত্যার বিষয়ে বিশ্ব ‘অন্ধ’ এবং একটি পুরো জাতি যখন ‘সাহায্য ভিক্ষা চাইছে’ তখনো কেউ সেখানে পা রাখছে না। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘গণহত্যার বিষয়ে অন্ধ হলে (চোখ বন্ধ করে রাখলে) সেটি দায়মুক্তির সঙ্গে পরিচালিত হয়, হাজার হাজার নিরপরাধ শিশুর নির্দয় হত্যাকাণ্ড থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া, একটি সমগ্র জাতি অনাহারে থাকছে এবং সাহায্য ভিক্ষা করছে, তখন হাসপাতালগুলোতেও বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে, ডাক্তাররা নির্যাতিত এবং অপমানিত হচ্ছেন এবং রোগীদেরও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একটি নিপীড়ক সরকারের জাহাজগুলোকে আমাদের বন্দরগুলো ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের (ইসরায়েলি সরকার) আরও বেশি তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের অমানবিক তাণ্ডবকে আরও ত্বরান্বিত করা—এসবই এখন একটি ভয়াবহ নজির স্থাপন করেছে।’ প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়াজ না উঠালে সবাইকে এর জন্য ‘অকল্পনীয় মূল্য’ দিতে হবে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সব নিয়ম, মানবতা এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করা হয়েছে। মানবতাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে এবং আমাদের প্রত্যেককে এক দিনের জন্য একটি অকল্পনীয় মূল্য দিতে হবে, যদি না আমরা আমাদের কণ্ঠ থেকে আওয়াজ না তুলি এবং আজ যা সঠিক তার পক্ষে না দাঁড়াই।’ প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে দল হিসেবে কংগ্রেস ধারাবাহিকভাবে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়ে এসেছে। গত বছরের অক্টোবরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি) ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে সমর্থন করে এবং এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাবও পাস করে। এ ছাড়া ভারতের এই প্রধান বিরোধী দল হামাসের হামলার নিন্দাও জানিয়েছে। দলটি বলেছে, কোনো ধরনের সহিংসতার মাধ্যমে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যাবে না।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গাজায় গণহত্যা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সবসময় গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, গাজায় যা ঘটছে, তা গণহত্যা। তাই আমরা কখনোই এটিকে সমর্থন করি না। গত শনিবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণের ফাঁকে তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার ও তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের অধিকার রয়েছে। গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। সেখানে যা ঘটছে, তা খুবই দুঃখজনক। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা। বিশ্বনেতাদের প্রতি ফিলিস্তিনের দুর্দশাগ্রস্ত শিশু, নারী ও জনগণকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে তাদের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছে। দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলি অভিযানের ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কখনোই এ ধরনের আক্রমণকে সমর্থন করেনি। ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত। তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাবে দুটি রাষ্ট্রের তত্ত্ব রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করা উচিত। আজ ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী: মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। এ উদ্দেশ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দর থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ছাড়ার কথা রয়েছে। আজ সকাল ১১টায় ফ্লাইটটির ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। টানা চতুর্থবারের মতো ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সরকারি সফর। সেখানে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এ ছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইমেন পলিটিক্যাল লিডারের প্রেসিডেন্ট সিলভানা কোচ-মেহরিন, সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যান্ড পার্টনারশিপ অ্যাক্সেল ভ্যান টর্টসেনবার্গ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক পেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস, মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. স্যার নিক ক্লেগও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসিজের নির্দেশ কার্যকর চান সাইফুল হক
গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক বিচার আদালত- আইসিজের নির্দেশ প্রদানকে স্বাগত জানিয়ে অনতিবিলম্বে এই আদেশ বাস্তবায়নে পশ্চিমা বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।  তিনি বলেন, আইসিজের আদেশে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অন্যায় যুদ্ধ ও আগ্রাসন বন্ধের কথা সরাসরি না থাকলেও রায়ের বিভিন্ন ধারা কার্যকরী করতে হলে ইসরায়েলকে এই অন্যায় ও অপরাধমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিতীয় দিনের সভার শুরুতে এসব কথা বলেন সাইফুল হক।  তিনি বলেন, আইসিজের শুক্রবারের রায়ের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের মদদে গাজায় ইসরায়েল যে পরিকল্পিত গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। সাইফুল হক আইসিজের এই রায় বাস্তবায়ন করতে অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসী যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান।  একইসঙ্গে ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত জীবিত গাজাবাসীদের মানবিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। গাজায় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসারও দাবি জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক। সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মাহমুদ হোসেন, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, এপোলো জামালী,  সজীব সরকার রতন, নির্মল বড়ুয়া মিলন, শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, নীলুফার ইয়াসমিন, আবুল কালাম আজাদ, সাবিনা ইয়াসমিন, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।  সভায় আগামী দিনের আন্দোলনের কর্মসূচি এবং পার্টির সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজায় গণহত্যা বন্ধের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
গাজায় গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধে এ রায় দেয়।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আইসিজের রায় নিয়ে তিনি কথা বলেন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রায়কে আমরা ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছি। আমরা মনে করি, ফিলিস্তিনি যে গণহত্যা হচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে- সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে এ রায় সহায়ক হবে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কূটনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। আশা করি, ইসরায়েল আইসিজের রায় মেনে চলবে এবং গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে মন্ত্রী জানান, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা বলেছেন, ১০ বছর আগে যখন ঢাকায় এসেছিলাম, তখন ট্র্যাফিক জ্যাম পোহাতে হয়েছিল। আজ বিমানবন্দর থেকে খুব সহজেই এখানে চলে আসতে পেরেছি। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কারণেই সম্ভব হয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দেশটি বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগ রয়েছে ইউকের। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ এমপিবৃন্দ সফরে এসেছেন। এ দেশের সংসদের সাথে ইউকে সংসদের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধিও এই সফরের উদ্দেশ্য। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান। তারাও আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। কিছুদিন আগে ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাথে এ বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, সেটিও আজকের বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রাখাইনে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে দেশের অবস্থান প্রশ্নে তিনি বলেন, এই উত্তেজক পরিস্থিতি কিছু দিন ধরেই চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছেন। আমরা এ বিষয়ে সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে যদি মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে। নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখক রোহিঙ্গার কারণে ইতোমধ্যেই আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। মানবিক কারণে তখন আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি, মিয়ানমারের পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বৈঠকে উপস্থিত পাঁচ দিনের সফরে আসা যুক্তরাজ্যের হাউজ অভ কমন্সের অন্য সদস্যরা হলেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ও সাবেক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থনীতি মন্ত্রী পল স্কালি, লেবার পার্টির এমপি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির সদস্য নিল কোয়েল, বিরোধীদলীয় (লেবার পার্টি) হুইপ লেবার পার্টির এন্ড্রু ওয়েস্টার্ন।  একইসাথে সফররত হাউজ অভ কমন্সের সিনিয়র পার্লামেন্টারি এসিস্ট্যান্ট ডোমিনিক মোফিট, কুইনস কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান কানেক্ট চেয়ারম্যান জিল্লুর হুসেইন ও কানেক্ট এর প্রধান নির্বাহী ড. ইভলিনা বানায়ালিভা এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সুমন চৌধুরী বৈঠকে যোগ দেন।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজায় গণহত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ
গাজায় গণহত্যার মতো অপরাধ ঠেকাতে এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দিতে ইসরায়েলকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে। শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগে অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে এ নির্দেশ দেন আদালত। তবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের যে আদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা চেয়েছিল, তাতে সায় দেননি জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত। এদিকে যুদ্ধবিরতি বা যুদ্ধ বন্ধের কোনো আদেশ না দেওয়ায় গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা এবং চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। রায়ে আদালতের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিচারক জে দোঙ্গু বলেন, ‘আদালত ইসরায়েলকে নির্দেশ দিচ্ছেন, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত যেন না হয়, সেজন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেনারা যেন কোনো ধরনের গণহত্যা সংঘটিত না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং গণহত্যার নির্দিষ্ট (অভিযুক্ত) প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছতে দিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে।’ এ ছাড়া ত্রাণ পৌঁছানো এবং গণহত্যা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দখলদার ইসরায়েলকে। তবে যেটি ধারণা করা হয়েছিল—গাজায় ইসরায়েলকে তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ আদালত দেবেন, সে ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আইসিজের বিচারক জে দোঙ্গু এর আগে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায় দেওয়ার এখতিয়ার এ আদালতের রয়েছে এবং ইসরায়েলের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই মামলা খারিজ করে দেবেন না। গাজায় আগ্রাসন ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে গত বছরের শেষের দিকে আইসিজেতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি মাসের শুরুতে আদালতে মামলাটির দুই দিনের শুনানি হয়। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সুরক্ষার তাগিদও দেওয়া হয়। অবশ্য ইসরায়েল আদালতকে এই মামলাটি সরাসরি খারিজ করে দিতে বলেছিল। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, তারা আশা করছেন জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ‘এই মিথ্যা এবং বিশেষ অভিযোগগুলো ছুড়ে ফেলে দেবেন’। দক্ষিণ আফ্রিকা দুই সপ্তাহ আগে অভিযোগ করে, ইসরায়েলের আকাশ ও স্থলভাগ আক্রমণের লক্ষ্য গাজার ‘জনসংখ্যাকে ধ্বংস’ করা। আইসিজে তার অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে আরও বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার যে অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে, সেসব অভিযোগের সঙ্গে কিছু বিষয়ের মিল রয়েছে। এ কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ মামলা চলবে। আইসিজের যে ১৭ জন বিচারকের প্যানেল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত দেন, তাদের মধ্যে ১৫ জন স্থায়ী বিচারক। এর বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েলের একজন করে বিচারক রয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে আকস্মিকভাবে ঢুকে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা এবং অন্তত ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। ওইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে। ইসরায়েলি বর্বরতায় এ পর্যন্ত ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ অভিযানে ইসরায়েল রাষ্ট্রীয়ভাবে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায়। উল্লেখ্য, আইসিজে রায় মানতে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে না পারলেও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গুরুত্ব বহন করে।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে বললেও যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দেননি আইসিজে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দায়ের করা বহুল আলোচিত মামলার রায় দিয়েছেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। রায়ে গণহত্যা প্রতিরোধে ইসরায়েলকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দেননি আদালত। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত আইসিজে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা এ মামলার রায় দিয়েছেন। বিশ্ব আদালত বলেছেন, গাজায় গণহত্যা প্রতিরোধে ইসরায়েলকে নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইসরায়েলি বাহিনী যেন গাজায় গণহত্যা না চালায় সেটা ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে গণহত্যার যে অভিযোগ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উঠেছে তার সব প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। আদালত আরও বলেছেন, গাজা উপত্যকায় গণহত্যার প্রত্যক্ষ উসকানি প্রতিরোধ ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে ইসরায়েলকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে গত ডিসেম্বরে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলাটি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ মামলার ওপর চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিজেতে দুদিনের শুনানি হয়। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ৯টি আরজি জানিয়েছে। গাজায় সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ স্বাভাবিক রাখতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানায় দেশটি। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন। গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ ঘোষণা করা জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়। তবে গাজায় হামলা বন্ধে কোনো নির্দেশ দেননি আইসিজে।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

গাজায় গণহত্যা রোধে সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আইসিজের
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আইসিজে এই রায় দিয়েছে। খবর আলজাজিরার। আদালত বলেছেন, গাজায় গণহত্যা প্রতিরোধে ইসরায়েলকে নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইসরায়েলি বাহিনী যেন গাজায় গণহত্যা না চালায় সেটা ইসরায়েলকে নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে গণহত্যার যে অভিযোগ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উঠেছে তার সব প্রমাণ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে গত ডিসেম্বরে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলাটি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ মামলার ওপর চলতি মাসের শুরুর দিকে আইসিজেতে দুদিনের শুনানি হয়। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে ৯টি আরজি জানিয়েছে। গাজায় সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ স্বাভাবিক রাখতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ারও অনুরোধ জানায় দেশটি। শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, আদালত যেন জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন। গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ ঘোষণা করা জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়। এরপরই এই রায় দিলেন বিশ্ব আদালত। আইসিজেকে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। এটি জাতিসংঘের একটি দেওয়ানি আদালত। সদস্যভুক্ত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিরোধের বিচার করে এই আদালত। তবে এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে আলাদা। আইসিসি যুদ্ধাপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল—দুই দেশই দুই আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য। তবে রায় মানার জন্য কোনো দেশের তেমন বল প্রয়োগ করতে পারেন না আইসিজে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিওর হাইয়াত এক এক্সবার্তায় বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা যে দাবি করেছে তার বাস্তব ও আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। এটি আদালতকে ঘৃণ্য ও অবমাননাকর উপায়ে শোষণের শামিল।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যা মামলার শুনানি আজ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির করা এ মামলার আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইসরায়েল সরকারের অন্যতম মুখপাত্র আইলন লেভি বলেন, বিশ্ব আদালতের এ শুনানিতে ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বুধবার জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হামাসকে রক্ষা করতে প্রিটোরিয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাজায় গণহত্যার যে অভিযোগ এনেছে তা মোকাবেলার জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে ইসরায়েলি প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসরায়েল। গত ডিসেম্বরের শেষে গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে হামলা বন্ধের দাবিতে আইসিজেতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় তিন মাসের ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে সাড়ে ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এসব নিহতের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার শিশু রয়েছে। মামলার আবেদনে ৮৪ পৃষ্ঠার নথি সংযুক্ত করেছে দেশটি। এতে ইসরায়েলেরর বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।  আইসিজেকে বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত। এটি জাতিসংঘের একটি দেওয়ানি আদালত। সদস্যভুক্ত এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিরোধের বিচার করে এই আদালত। তবে এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে আলাদা। আইসিসি যুদ্ধাপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করে থাকে। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল— দুই দেশই দুই আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিওর হাইয়াত এক এক্সবার্তায় বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা যে দাবি করেছে তার বাস্তব ও আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। এটি আদালতকে ঘৃণ্য ও অবমাননাকর উপায়ে শোষণের শামিল।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪
X