পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে সোহেল
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের কোম্পানীঘাট এলাকার একটি বাসার টয়লেট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত বুধবার রাতে গাজীপুরের সালনা ইপসা উত্তর মোল্লাপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রী মেহেরুন নেছা মীম অন্য পুরুষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে এমন সন্দেহের জেরে স্বামী সোহেল তাকে হত্যা করে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০-এর লালবাগ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান। গত মঙ্গলবার মীমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার মামা কামাল কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। ঘাতক সোহেলের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, সোহেলের সঙ্গে মীমের তিন বছর আগে বিয়ে হয়। দুজনেই একটি কলম কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তাদের দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের সঙ্গে মীমের কথা হয়—এমন সন্দেহে সোহেল প্রায়ই তাকে মারধর করত। মীম শেরপুর আদালতে সোহেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাও করেছিলেন। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে দুই মাস আগে কামরাঙ্গীরচরে নানির বাড়িতে চলে যান মীম। সেখানে মীম ও তার মা নানির সঙ্গে থাকছিলেন। র‌্যাবের কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ১০ থেকে ১২ দিন আগে সোহেল নানির বাসায় যায়। মীমকে আর কোনোদিন নির্যাতন করবে না বলে কথা দিয়ে সেখানে থাকা শুরু করে। ১৫ আগস্ট সোহেল মীমকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
১৮ আগস্ট, ২০২৩
X