হৃদয়বিদারক হারের পরও গর্বিত মার্করাম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় দলের কাছে ৭ রানে পরাজয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম তার দলের প্রতি গর্ব এবং হৃদয়ভঙ্গের মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করেন। যদিও তারা তাদের প্রথম আইসিসি ট্রফি অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে, মার্করাম পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে তার দলের পারফরম্যান্স এবং লড়াইয়ের মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে একটি রোমাঞ্চকর ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ট্রফি হাতছাড়া করতে হয়। ফলে ভারত তাদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয়। ম্যাচের পরে, মার্করাম তার দলের যাত্রা এবং দৃঢ়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘এই অসাধারণ অভিযানের প্রতিফলন করতে আমাদের কিছু সময় লাগবে। পিচ থেকে তেমন সাহায্য না পাওয়া সত্ত্বেও বোলাররা ভালো করেছে। সবকিছু বলতে গেলে সুতোর উপর ঝুলছিল এবং যদিও এটি আমাদের পক্ষে যায়নি, আমি আমার খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্বিত।" মার্করাম আরও বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ খেলায়, শেষ বল পর্যন্ত কিছুই শেষ হয়না। আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা যোগ্য ফাইনালিস্ট, তবে আজ এটা আমাদের জন্য ঘটেনি। একটি জিনিস নিশ্চিত: আমরা এমন লোক হিসেবে পরিচিত হব যারা মাটিতে থাকলেও খুব ভাল যোদ্ধা, এবং এটি আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’ টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ লড়াই দেখানো দক্ষিণ আফ্রিকান দল শেষ ওভারে ট্রফি হাতছাড়া হওয়ায় কাঁদতে থাকে। কুইন্টন ডি কক শুরুতেই একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন, কিন্তু রেজা হেন্ড্রিকস এবং মার্করাম ব্যর্থ হন।   তবে তা সত্ত্বেও, ডি কক এবং ট্রিস্টান স্টাবস দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলায় রেখেছিলেন। স্টাবসের আউট হওয়া একটি বড় ধাক্কা ছিল, কিন্তু হেনরিচ ক্লাসেনের অসাধারণ পারফরম্যান্স দলকে আশা জাগায়। দুর্ভাগ্যবশত, ক্লাসেনের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে শেষ হয়, এবং প্রোটিয়াসরা গতি পুনরুদ্ধার করতে লড়াই করে। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে, ডেভিড মিলার দক্ষিণ আফ্রিকার আশা হয়ে ওঠেন। তবে, সূর্যকুমার যাদবের একটি দর্শনীয় ক্যাচের কারণে মিলার আউট হওয়া, ভারতের পক্ষে ম্যাচটি সীল করে দেয়। আবারও, দক্ষিণ আফ্রিকা এত কাছাকাছি এসে শিরোপা অর্জন করতে ব্যর্থ হলো এবং সিনিয়র স্তরের আইসিসি ট্রফির সন্ধান অব্যাহত রাখল। পরাজয়ের পরেও, পুরো টুর্নামেন্টে দলটি যে দৃঢ়তা এবং কঠোরতা দেখিয়েছে তা তাদের ভক্ত এবং ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সম্মান এবং প্রশংসা অর্জন করেছে।
৩০ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী; গর্বিত ও ধন্য
রাজনীতি মূলত রাষ্ট্রনীতি প্রণয়নের পদক্ষেপ। রাজনীতি কার্যত একটি গতি, যা প্রকৃতি থেকে অবিচ্ছেদ্য ও অতি অবশ্যই মানুষের মনের সবচেয়ে শক্তিশালী আবেগময় উচ্ছ্বাসের চূড়ান্ত রূপ। রাজনীতি ফলত রাজবুদ্ধি, যা রাজনৈতিক সমাধানের পথ দেখাতে গোষ্ঠীগত উদ্রেক। এদিকে রাজনৈতিক দল তখনই দাঁড় হচ্ছে, যখন ধরে নেওয়া হচ্ছে জনগোষ্ঠী একটি দলের আদর্শিক অবস্থানকে সম্মান জানানোর প্রস্তুতিতে রয়েছে। প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের অধীনে জনপ্রিয় কোনো দল সর্বদা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো কিংবা প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে থাকা দলটি দেশ শাসনের জন্য অযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। প্রচলিত একটি মতবাদ আছে। তা হলো, ‘পার্টি স্পিরিট হলো জনশ্রেণির স্বার্থে কিছু অল্পসংখ্যক মানুষের পাগলামি।’ সব সময়েই বলি, পাগলামো না থাকলে নতুন কিছু সৃষ্টি হয় না। বিপ্লব করা যায় না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা যেমন ব্যাখ্যা করতে পারবে, কিন্তু পাল্টে ফেলতে হলে রাজনীতিকদের লাগবে। তাদের চরিত্রে পাগলামি থাকতে হবে। জনগণের প্রতি নিবেদিত প্রয়াসে গিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মধ্যেই রাজনীতির সার্থকতা বটে। সার্থকতার অনন্য দিক পর্যালোচনা করলে সর্ব উদাহরণযোগ্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে দেখার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের জনপ্রিয়, শ্রেষ্ঠ এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সকল সদস্যদের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি দল ও দেশের জন্য কালোত্তীর্ণ মহানায়ক, যার আদর্শে অনুরণিত থেকে আমি ও আমরা আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী পালনের মাহেন্দ্রক্ষণে উপনীত হয়েছি। একই সঙ্গে আমরা গর্বিত ও ধন্য, যখন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের ও বাংলাদেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। খুব ছোট্ট করে আমার বাবা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানকেও স্মরণ করছি, যিনি ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দল পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। পাগলামোর কথা বলছিলাম। এও সত্য যে, গুটি কয়েক মানুষের তথা কথিত নামধারী কিছু রাজনীতিকদের লাভের জন্যও রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়। সেখানেও কয়েকজন ব্যক্তি পাগালামি করে! পরনে সামরিক পোশাক থাকলেও তাদের পাগলামির পেছনে নিজেকে ক্ষমতাধর ঘোষণা করা ছাড়া আর কিছু দেখা যায় কি? বাংলাদেশে যখন একদিকে জনমানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে, অধিকার আদায়ের দাবিতে আওয়ামী লীগের সংগ্রামী দীর্ঘ পথচলার পথ বিস্তৃত... অন্যদিকে সুবিধাভোগী হয়ে প্রতিবিপ্লব করে রক্তপাতকে আলিঙ্গন করে কাউকে কাউকে শাসক হতে দেখা গেছে। তাদের এমন বিশিষ্টতা, রাজনৈতিক শর্ত পূরণ করে না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় হালে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোটের জন্য  অতিশয় উদ্বিগ্ন থাকে। কিন্তু তারা ভোটের ময়দানে অনুপস্থিত থাকে। তারা বোঝাতে চায় যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা নাকি জিতবে! অথচ, বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীল থাকা এই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে, এদের নামধারী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে অঞ্চলভিত্তিক মানুষের কোনো সু সংযোগই নেই। অসহিষ্ণু এই সকল দলগুলোর প্রতি এখনো আওয়ামী লীগ সহনশীল, যখন তাঁদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে আমাদের দলের মুখপাত্রবৃন্দ বলতে চায় যে, জনগণের কথা চিন্তা করে, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করে, সু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে, দলের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে রাজনীতি করুন। নিজ দলের প্লাটিনাম জয়ন্তী ঘিরে দেশের সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে চাই যে, নিজেদেরকে প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের মাধ্যমে ফলত জনগণের স্বার্থ উদ্ধারে রাজনীতি করুন। এতে করে আপনাদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ থাকবে। নতুবা, রাজনৈতিক দল হিসেবে বয়স ৭৫ কিংবা ১০০ পূরণ হবে না। আওয়ামী লীগের চলার পথের বয়স ও প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আমাকে, শোক থেকে শক্তির প্রেরণা জোগায়। আওয়ামী লীগ, সুচিন্তক একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিসেবে বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির তাঁবু হিসাবেই যাত্রা শুরু করেছিল। এই দলটির নেতৃবৃন্দকে কার্যত মাতৃভাষার জন্য বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন পন্থায় লড়তে হয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে অধিকার আদায়ে লড়তে পারার মতো ইতিহাসে একমাত্র দলটার নামই হল আওয়ামী লীগ। ১৯৬২, ১৯৬৬ হয়ে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মতো প্রেক্ষাপট জনশ্রেণির স্বার্থ উদ্ধারের রাজনীতি ছিল। কেন তা ভুলে যেতে যায় বাংলাদেশের নামধারী রাজনৈতিক দলগুলো? দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া দলটির নাম আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন দেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়ে পুরো জাতিকে এককাট্টা করলেন, তখন আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের বুকে জায়গা নিলাম। সেই হিমালয় পাহাড়সম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক সত্তাকে রাজনৈতিক অপশক্তি হত্যা করল। আমার বাবা এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ অপরাপর তিন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ ও মনসুর আলীকে জেলখানায় হত্যা করা হলো। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসা যেমন বঙ্গবন্ধুর ঘর ও রাজনীতির অন্দর মহলের খবর আগলিয়ে রাখতেন... ঠিক তদ্রূপ বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার হত্যার পর বেগম জোহরা তাজউদ্দীনের আওয়ামী লীগের খণ্ডকালীন আহ্বায়ক হয়ে রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকার ওই লড়াইটাকেও আমি মনে রাখি। এদিকে আমিই সব সময়ে লিখে ও বলে জানাচ্ছি যে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নারীর নাম শেখ হাসিনা। কারণ, তার নেতৃত্ব দেওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা, রাজনৈতিক অপশক্তি মোকাবিলা করার দক্ষতা, দল পরিচালনা করার লক্ষণীয় দিক, মানবিক পর্যালোচনায় বিবেক শ্রেণির প্রতিনিধি হয়ে পড়া... তাকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করে। তিনি নিজে যেমন পরিবারের প্রায় সবাইকে হারিয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এমন অর্জনে পৌঁছিয়েছেন, আমিও তেমন আমার বাবাকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে একই পন্থায় শক্তি অর্জন করতে সচেষ্ট হয়েছি। দেশের মানুষের কাছেও আমার আমাদের জিজ্ঞাসা, আমরা কী হারায়নি? মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিলেন। বঙ্গবন্ধু থেকে আহসানউল্লাহ মাস্টার ! শীর্ষ পর্যায় হতে তৃণমূলের সব পর্যায়ে আমাদের মারা হয়েছে। ২১ আগস্ট নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় আমরা আইভি রহমানকে কি হারাইনি? বজ্রকণ্ঠের সেই মোহাম্মদ হানিফ ভুক্তভোগী হয়ে আর ফিরতে পারেননি! অন্যদিকে ১৯৯০'র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেতৃত্বদানকারী দলটির নামও আওয়ামী লীগ। অপরদিকে,  রাষ্ট্রীয় সেবা বা ক্ষমতায় থাকার অস্বস্তির দিকও আছে। তা যদি হয় টানা মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা হয় ! মনে রাখতে হবে, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্যই সুদীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করে আসছে, যাবে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অনুশীলনে থেকে আওয়ামী লীগ এক সময় পাকিস্তানে সত্যিকারের বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর ভর করে ধর্মনিরপেক্ষ তথা অসম্প্রদায়িক রাজনীতির মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কায়েমের দৃষ্টান্ত হয়ে আওয়ামী লীগের আদর্শিক অবস্থান নিশ্চিত হয় বলে মনে করার সুযোগ রয়েছে।। ঘটনা প্রবাহের সাথে তাল মিলিয়ে গোষ্ঠীগত নেতৃত্বের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে নিজেদের উপযোগী সিদ্ধান্ত নিতেও আওয়ামী লীগ কার্পণ্য করে না। জনঅনুভুতির আবেগকে আমলে নিতে জানে আওয়ামী লীগ। মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের জন্য ইসলামের প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা, তা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ সোচ্চার ছিল, আছে। আবার  ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে শক্ত করে ধরে রাখার দলের নামও আওয়ামী লীগ। দেশের সংখ্যালঘু মানুষগুলোর এই জন্যই আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা আছে বলে অনুমিত হয়।   গ্রিক দার্শনিক প্লেটো সর্বদা তাগিদ রেখে বলতেন, সমাজের নিকৃষ্ট লোক দ্বারা শাসিত হওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ নিকৃষ্ট শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে দাঁড় হয়েই পথচলা আরম্ভ করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলার মানুষের স্বাধীনতা দিতে নেতৃত্ব দিয়েছিল সেই আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতা ছাড়া জীবন আত্মাবিহীন দেহের মতো। প্রচলিত এমন মতবাদে সিক্ত হওয়ার জন্য পেছনের রাস্তাকেও স্মরণ করতে হবে এই দেশের মানুষের। তাদেরকে চিন্তা করতে হবে  যে, আমরা কেমন ছিলাম? বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধু তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে বসে থাকেনি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগই দেশটাকে সামনের দিকে নিয়ে গিয়েছে। কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের, অতি অবশ্যই দলের সভানেত্রীর। তার অদম্য হয়ে লড়াই করার মানসিকতা আওয়ামী লীগকে সমৃদ্ধ করেছে।  এরিস্টটল বলেছিলেন যে, মানুষ স্বভাবতই রাজনৈতিক জীব। বঙ্গবন্ধু পেরেছিলেন তার দেশের সকল মানুষকে রাজনৈতিক কর্মী তৈরি করতে। আবার আরেকটি মতবাদ আছে। যেমন,  রাজনীতি রক্তপাত ছাড়া যুদ্ধ আর যুদ্ধ রক্তপাতের রাজনীতি। শেখ হাসিনা বৈশ্বিক পর্যায়ে বলেন, যুদ্ধ আসলে  রাজনৈতিক সমাধানের পথ নয়। তাহলে ধরে নেওয়া যায়, শেখ হাসিনা রাজনীতির প্রধান শর্ত পূরণ করে পথ চলতে জানেন।  ভোট হলো একটি নাগরিক ধর্মানুষ্ঠান। এমন বিখ্যাত মন্তব্যের পক্ষে আমি। আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আওয়ামী লীগের বিচরণ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সক্ষমতা পরখ করে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করুক, এমন স্বপ্নে বিভোর আছি। অর্থাৎ, প্রকারান্তরে একটি বিশেষে পক্ষের জনশ্রেণিকে বলছি, আপনার রুচির সংকটকে মোকাবিলাকরত একটি দর্পণ দাঁড় করিয়ে নিন। অতঃপর ভাবুন। নতুন প্রজন্ম রাজনীতি নিয়ে কৌতূহলী হোক। ওরা আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে গবেষণা করুক। দলের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে এমন প্রত্যাশা করি। আমরা রাজনীতিকেরাও যেন ওদের সামনে আদর্শ হয়ে থাকতে পারি। আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যেন সমাজের জন্য অনুকরণীয় হয়ে বিচরণ করতে পারে। রাজনীতির দিকে ঝুঁকুন, নতুবা রাজনীতি আপনার দিকে ঝুঁকবে। এমন প্রেক্ষিত তৈরি করার দিকটি, আওয়ামী লীগের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জও বটে।  লেখক: এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মেয়র, রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
২২ জুন, ২০২৪

তাসকিনের চোখে তিনি কিংবদন্তি / রেকর্ড গড়ে গর্বিত সাকিব
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রেকর্ড হলো সাকিব আল হাসানের। দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সবকটি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড আছে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রেকর্ডটি ছুঁয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে নয়টি বিশ্বকাপেই খেলতে পেরে গর্বিত বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাকিব। ভবিষ্যতেও এই সংস্করণের টুর্নামেন্টে খেলার আগ্রহের কথা বলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তবে বাংলাদেশের তরুণদের চোখে সাকিব একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তারই সতীর্থ তাসকিন আহমেদ থেকে শুরু করে শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিবরা বলেছেন সেসব কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবকটি আসরে খেলতে পেরে বিশেষাধিকার প্রাপ্তি দেখছেন সাকিব। আইসিসিকে তিনি বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেলতে পেরে আমি নিজেকে বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত মনে করছি। সব আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অনেক গর্বিত ও খুশি।’ আরও খেলার ইচ্ছার কথা বিসিবির এক ভিডিওতে বলেছিলেন তিনি। এবার বললেন আইসিসিতে, ‘বিশ্বকাপ আসরগুলোতে আমি অনেক বেশি স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আশা করি আরও কয়েকটা আসর আসছে (খেলতে পারব)।’ ১৮ বছর ধরে জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলা সাকিব সতীর্থদের চোখে কেমন। তাসকিন বললেন, ‘সাকিব আল হাসান মানে কিংবদন্তি। নিজের ধরনে ক্রিকেট খেলেও কীভাবে বিশ্বক্রিকেটে বড় তারকা হওয়া যায় তিনি সেই উদাহরণ তৈরি করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং আমাদের জন্য ওই নমুনা দেখিয়েছেন।’ সাকিবের সঙ্গে খেলতে পারাকে অনেক পাওয়া উল্লেখ করে শরিফুল বলেন, ‘আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। সিনিয়র-জুনিয়র সবাইকে তিনি অনেক ভালোভাবে সমর্থন করেন। তার সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করতে পারা আমাদের জন্য গর্বের।’ আরেক পেসার তানজিম সাকিব বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ভালো পারফর্ম করে আসছেন সাকিব ভাই, যা এখনো বজায় রয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে হয় এবং আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হয় যেভাবে। তিনি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন, যা আমাদেরও অনেক অনুপ্রাণিত করে।’
০৮ জুন, ২০২৪

শিরোপায় একহাত রেখে গর্বিত আনচেলত্তি
গত সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয়ে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ লিগ শিরোপা। শুক্রবার রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ১-০ গোলে হারানোয় শিরোপার ট্রফি থেকে দূরত্ব কমাল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।  এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়তে থাকা বার্সার সঙ্গে গ্যালাক্টিকোদের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪। লিগের ৩৩ ম্যাচ শেষে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলা কাতালানদের পয়েন্ট ৭০। লিগের বাকি ছয় ম্যাচে রিয়ালকে পেছনে ফেলে শিরোপা জয় অসম্ভব বার্সার জন্য।  শুক্রবার রাতে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে রিয়ালের জার্সিতে একমাত্র গোলটি করেন ১৯ বছর বয়সী আর্দা গুলের। চলতি মৌসুমের শুরুতে ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। ফলে মৌসুমজুড়ে বেঞ্চে বসে থাকতে হয় এ তুর্কি মিডফিল্ডারকে।  তবে এ ম্যাচে প্রথমবারের মতো সুযোগ পান রিয়াল মাদ্রিদের একাদশে। ম্যাচের ২৯ মিনিটে গোল করে সেই সুযোগ বেশ ভালোভাবে কাজে লাগান গুলের। রাইট ব্যাক দানি কালভাহালের অ্যাসিস্টে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল প্রতিপক্ষে জালে জড়ান তিনি।  মঙ্গলবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এ জন্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম, আন্তোনিও রুডিগার ও এদোয়ার্দো কামাভিঙ্গার মতো বড় তারকাদের বাইরে রেখে একাদশ সাজান ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তি।  এরপরও জয় পেতে সমস্যা হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্টদের। ম্যাচ শেষে গোলদাতা ও জয়ের নায়ক গুলের-এর প্রশংসা করে আনচেলত্তি বলেন, ‘আর্দা গুলের গোল করেছে, সে ভবিষ্যতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে যাচ্ছে। কোনো সন্দেহ নেই যে আগামী বছর সে এখানেই থাকছে।’  রিয়ালের হাতের নাগালে লিগ শিরোপা। এমন পরিস্থিতিতে একাদশে বড় পরিবর্তন আনা স্বাভাবিক। তবে এ ম্যাচের প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিয়েছে রিয়াল। এমন সমালোচনার জবাবে ইতালিয়ান এ কোচ বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে অনেকে ভেবেছিল রিয়াল এখানে বেড়াতে এসেছে। তবে দলের ফুটবলাররা তেমনটা ভাবেনি। ফুটবলাররা গর্ব করার মতো কাজ করেছে। আর তাদের মনে জয়ের আকাঙ্ক্ষাটা সব সময় থাকে।’
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত
বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের শুভেচ্ছা বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ কথা বলেন। ব্লিঙ্কেন তার বার্তায় বলেন, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জনগণকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই বার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকটে সাড়া দেওয়া, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। ‘আমাদের এই অংশীদারত্ব একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার আরেকটি বছর উদযাপন করছে, তখন আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি এবং এই প্রচেষ্টাসমূহ বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করবে। দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তরিকতার কথাও তুলে ধরেন মার্কিন সেক্রেটারি অভ স্টেট। তিনি বলেন, আমি এই বিশেষ দিনে সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আগামী বছরে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আমরা উন্মুখ।
২৭ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের শুভেচ্ছা বার্তায় মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট এন্টনি জে ব্লিঙ্কেন এ কথা বলেন। দিবসটিতে পাঠানো বার্তায় তিনি বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই বার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকটে সাড়া দেওয়া, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। ‘আমাদের এই অংশীদারিত্ব একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার আরেকটি বছর উদযাপন করছে, তখন আমরা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি এবং এই প্রচেষ্টাসমূহ বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করবে। দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট বলেন, আমি এই বিশেষ দিনে সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং আগামী বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আমরা উন্মুখ।
২৬ মার্চ, ২০২৪

গর্বিত দায়িত্বে সুমি
শারমিন সুলতানা সুমি। দেশের ব্যান্ড ইন্ডস্ট্রির পরিচিত একটি নাম। তার চিরকুট ব্যান্ড নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। করছেন দেশের প্রতিনিধিত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে যাত্রা শুরু গানের দলটি নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড স্করয়পিয়নসের সঙ্গেও মঞ্চ শেয়ার করেছেন। গান পরিবেশনের পাশাপাশি সুমি এর আগে সংগীত নিয়ে অতিথি শিক্ষকের দায়িত্বেও পালন করছেন। যা ছিল তার জন্য গর্বের। এমনই আরেক গর্বের সংবাদ সুমি নিজেই জানালেন। গত বছর আন্তর্জাতিক সংগীতবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে নরওয়েতে যান শারমিন সুলতানা সুমি। নিশীথ সূর্যের দেশটির ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডগারের প্রফেসর ড্যানিয়েল নরগেডের আমন্ত্রণ পান। এবার আমন্ত্রণ পেলেন আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার স্কুল অব মিউজিক ডিপার্টমেন্টের একটি ক্লাসের অতিথি প্রভাষক হিসেবে। ওই ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের সামনে অনলাইনে আগামী ২২ মার্চ ক্লাস নিবেন তিনি। বিষয়টি কালবেলাকে সুমি নিজেই নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলা গানের সঙ্গে নিজেদের ব্যান্ড নিয়ে গত ২১ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছি। প্রায় ১১ বছর ধরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই এবার কথা বলব। এর আগে নরওয়ের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ হয়েছিল। তবে এবার আমেরিকায় যাওয়া হবে না। জুমের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আমার কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। এই কাজের অনুভূতি আমাকে গর্বিত করে। নিজের দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে কথা বলাটা সবসময় আমার কাছে শান্তির, সম্মানের ও গর্বের।’ বর্তমানে কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে ব্যান্ড চিরকুট। ঈদের পর তাদের ব্যস্ততা আরও বাড়বে বলেও জানান সুমি। চলছে তাদের নতুন অ্যালবামের কাজও। ২০১০ সালে নিজেদের প্রথম অ্যালবাম ‘চিরকুটনামা’ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে চিরকুট। এরপর তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘যাদুর শহর’ প্রকাশ হয় ২০১৩ সালে। নিজেদের গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেও প্রশংসা কুড়িয়েছে দলটি। সে তালিকায় আছে ‘ডুব’ সিনেমার ‘আহা জীবন’, ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার ‘না জানি দুনিয়া’, ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার ‘এ শহরের কাকটাও জেনে গেছে’ ইত্যাদি। দেশে-বিদেশে নিয়মিত স্টেজ পারফর্ম করেও পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। চিরকুট ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ শারমিন সুলতানা সুমি, পাভেল আরিন, দিব্য নাসের, আরাফ, জাহিদ নীরব ও রায়হান ইসলাম শুভ্র।
১৫ মার্চ, ২০২৪

ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত রুশ রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, রাশিয়ায় শেখানো হয় এমন অন্যান্য এশীয় ভাষার মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে বাংলা। দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুকদের আকর্ষণ করে এ ভাষা। রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস বাংলাভাষী কূটনীতিকদের নিয়ে গর্বিত। আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেন, তাদের দক্ষতা কূটনৈতিক মিশনের দৈনন্দিন কার্যক্রমেই অপরিহার্য নয়, বরং বিভিন্ন প্রটোকল অনুষ্ঠানেও তাদের বেশি প্রয়োজন হয়। মানতিৎস্কি আরও বলেন, এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণটি মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর রিয়েল-টাইম মোডে বাংলায় অনুবাদ করা। তিনি ঢাকায় কর্মরত আছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বার্তায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘১০ ফেব্রুয়ারি পেশাদার ছুটি উদযাপনের এই দিনে রুশ কূটনীতিকদের কাজকে অর্থবহ ও আনন্দময় করার জন্য বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুপ্রতীম জনগণকে ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।’ ১০ ফেব্রুয়ারি কূটনৈতিক কর্মী দিবস- একটি পেশাদার ছুটির দিন। এদিন মস্কো এবং বিদেশে অনেক মিশনে কর্মরত সব কর্মচারীকে একত্র করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও ছুটির দিনটি ২০০২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু করলেও তারিখের পছন্দটি বিরাট ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে। কারণ এটি ১৫৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা প্রথম রাষ্ট্রদূত প্রিকাজের প্রাচীনতম নথিভুক্ত করাকে তুলে ধরে। রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেছেন, এই ছুটির দিনটি রাশিয়ার কূটনৈতিক পরিষেবার ধারাবাহিকতার প্রতীক। এর পেশাদার ঐক্য এবং মহৎ পথনির্দেশক নীতি ও আদর্শ প্রদর্শন করে। তিনি আরও বলেন, শত শত বছরের ইতিহাসজুড়ে রুশ কূটনীতিকরা যেসব দেশে সেবা প্রদান করেন, সেসব দেশের ভাষা শেখার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। মানতিৎস্কি বলেন, জাতীয় ঐতিহ্য এবং অভ্যাস, আকাঙ্ক্ষা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধা সর্বদা রাশিয়ান কূটনৈতিক পরিষেবার ঘোষিত মৌলিক মূল্যবোধ। সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়ার সম্রাট পিটার দ্য গ্রেটের শাসনামলে এশীয় দেশগুলো রাশিয়ার সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বাণিজ্য ও রাজনৈতিক যোগাযোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ভাষাগত এবং যোগাযোগ দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন ছিল। রাষ্ট্রদূত  বলেন, ‘এই প্রয়োজনীয়তা রাশিয়ায় প্রাসঙ্গিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত করে।’ মানতিৎস্কি বলেন, আজ প্রাচ্য গবেষণায় গভীর শিক্ষা প্রদান করে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলোর ইনস্টিটিউট এবং মস্কোর এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট-পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টাল অনুষদ, ভ্লাদিভোস্টকের ফার ইস্টার্ন ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রিজওয়ানে গর্বিত পঞ্চগড়
বল হাতে যেমন আগ্রাসী, ব্যাট হাতে তেমনই বিধ্বংসী—একজন বিশেষজ্ঞ পেস অলরাউন্ডার বলতে যা বোঝায় সব বিদ্যমান চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের মধ্যে। যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পেছনে রয়েছে তার অনন্য ভূমিকা। টুর্নামেন্টজুড়েই ছন্দে থাকা রিজওয়ান ফাইনালে খেলেন ৬০ রানের দাপুটে ইনিংস। আসরজুড়ে ৩১.৭৫ গড়ে করেছেন ১২৭ রান, নিয়েছেন ৩ উইকেট। উদীয়মান এই পেস অলরাউন্ডারকে নিয়ে এখন গর্বিত তার জেলা পঞ্চগড়। পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসেছেন রিজওয়ান। বয়সভিত্তিক পর্যায়ের প্রতিটি ধাপে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। উপমহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চেও দেখালেন স্নায়ুচাপের বীরত্ব। এই যুবা অলরাউন্ডারকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তার শৈশবের কোচ সাজু ইসলাম। তার বিশ্বাস, একদিন জাতীয় দলের হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রিজওয়ান। ২০১৬ সালে রিজওয়ানের ক্রিকেট চর্চায় সঙ্গী ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার ক্রিকেটার সাজু। রিজওয়ান সম্পর্কে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি যতটা কাছে থেকে দেখেছি, সে পরিশ্রমী ক্রিকেটার। মেধা ও শ্রম দিয়ে রিজওয়ান চাপকে জয় করেছে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও সমান দক্ষ সে। নিশ্চয়ই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সে একদিন জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’ উদীয়মান এই পেস অলরাউন্ডারকে ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, ‘দেবীগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান শরিফুলের পরে রিজওয়ান বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বদরবারে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। একই উপজেলা এবং একই জেলা থেকে দুজন ক্রিকেটার বাংলাদেশের হয়ে খেলছে। সত্যিই এটা অভাবনীয়। আমাদের প্রত্যাশা, রিজওয়ান জাতীয় দলেও জায়গা করে নেবে।’ কষ্টের পথ পেরিয়ে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠতে থাকা রিজওয়ানকে নিয়ে খুশি তার পরিবার। বাড়িতে চলছে উৎসবের আমেজ। ছেলের কৃতিত্বের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তার বাবা চৌধুরী মো. তানভীর যোবায়ের হোসেন বলেছেন, ‘রিজওয়ানের সাফল্যে আমরা আনন্দিত। রিজওয়ানকে আমি বেশি সময় দিতে পারিনি। তার সাফল্যের পেছনে সবথেকে বেশি অবদান ওর মায়ের। এ ছাড়া ক্রিকেট একাডেমির শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনায় সে এ পর্যায়ে উঠে এসেছে। জানুয়ারিতে রিজওয়ানের যুব বিশ্বকাপ আছে। সে যেন সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে পারে, সবার কাছে এ দোয়া চাই।’ ২০২০ সালে বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করার কারিগর পেসার শরিফুল ইসলামও পঞ্চগড়ের সন্তান। এবার আরও এক পঞ্চগড়ের ক্রিকেটারের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান তার জেলার ক্রিকেট সমর্থকরা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

রিজওয়ানকে নিয়ে গর্বিত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়
যুব এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। ফাইনাল ম্যাচে ব্যাট হাতে তিনি দিয়েছেন নির্ভরতার প্রতিদান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফাইনালে রিজওয়ানের ইনিংস ছিল ৬০ রানের। যা ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। আসরজুড়ে ৮৪ স্ট্রাইকরেটে ১২৭ রান করেছেন রিজওয়ান। একই সাথে বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসেছেন রিজওয়ান। যুব দলের হয়ে এর আগেও প্রমাণ করেছেন নিজেকে। এবার বড় মঞ্চে, স্নায়ু চাপের ফাইনালে দেখালেন নিজের বীরত্ব৷ যুবাদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে খুশির জোয়াড় পুরো দেশে। একই সাথে রিজওয়ানকে নিয়ে গর্বিত উত্তরের জেলার সর্বস্তরের মানুষ। রিজওয়ানকে অভিনন্দন জানানোর হিড়িক পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।  পঞ্চগড়বাসী রিজওয়ানকে নিয়ে গর্বিত। একই সাথে সুন্দর ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাসী কেউ কেউ। এই যেমন ছোট বেলার খণ্ডকালীন কোচ সাজু ইসলাম বিশ্বাস করেন, ‘এক দিন জাতীয় দলের হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রিজওয়ান।’ ২০১৬ সালে রিজওয়ানের ক্রিকেট চর্চায় সঙ্গী ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার ক্রিকেটার সাজু ইসলাম। রিজওয়ানকে দেখা হয়েছে খুব কাছে থেকে। কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘আমি যতটা কাছে থেকে দেখেছি, সে পরিশ্রমে বিশ্বাসী একজন ক্রিকেটার।পরিশ্রমে বিশ্বাসী বলেই রিজওয়ান চাপ কাটাতে পেরেছেন। তার ক্রিকেটীয় শক্তির জায়গা হলো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও করতে পারে। রিজওয়ান আমাদের পঞ্চগড় জেলার গর্ব, নিশ্চয়ই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সে একদিন জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’ রিজওয়ানকে নিয়ে দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘দেবীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান শরিফুলের পরে রিজওয়ান বাংলাদেশের হয়ে বিশ্ব দরবারে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। একই উপজেলা এবং একই জেলা থেকে দুইজন ক্রিকেটার বাংলাদেশের হয়ে খেলতেছে যা সত্যি অভাবনীয়। আমরা প্রত্যাশা করছি রিজওয়ান সামনে জাতীয় দলেও জায়গায় করে নিবে এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভালো কিছু উপহার দিবে। রিজওয়ানের জন্য শুভকামনা রইল।’ এশিয়া কাপ জয়ী রিজওয়ানের সাফল্যে খুশি তার পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে চলছে উৎসবের আমেজ।  রিজওয়ানের বাবা চৌধুরী মোঃ তানভীর যোবায়ের হোসেন কালবেলাকে জানায়, ‘রিজওয়ানের সাফল্যে আমরা আনন্দিত। রিজওয়ানকে আমি বেশি সময় দিতে পারিনি, তার সাফল্যের পিছনে সব থেকে বেশি অবদান ওর মায়ের। এছাড়া ক্রিকেট একাডেমির শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনায় আজ সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারতেছে। জানুয়ারিতে রিজওয়ানের যুব বিশ্বকাপ। সে যেন সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে পারে সকলের কাছে এই দোয়া চাই।’ উল্লেখ্য, ২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন এই জেলার শরিফুল ইসলাম। চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার হওয়ার পর তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছিল ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ খ্যাতি। বিশ্বকাপ জয়ে পঞ্চগড়বাসীর স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল শরিফুল। ফলে জেলাজুড়ে তাকে নিয়ে ছিল উচ্ছ্বাস।  এরপর জেলার মানুষের মনে তৈরি হয়েছিল নতুন এক আকাঙ্ক্ষা। কে হবেন পরবর্তী ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’, এমন কথা ছিল জনমুখে। সেসময় পঞ্চগড় থেকে উঠে আসা যে কয়েকজন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল তাদের একজন চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। বছরে তিনেকের মাথায় সে এখন এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন।  
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
X