বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস, বাড়তে পারে গরম
সারা দেশে চলমান বৃষ্টিপাত আগামী ৬ জুলাইয়ের পর থেকে কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ের পর সারা দেশে গরমের তীব্রতা বাড়তে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি। বুধবার (৩ জুলাই) আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  আবুল কালাম মল্লিক বলেন, জুলাই মাসে স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি বেশি হয়। তবে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত হলেও জলীয় বাষ্পের কারণে গরমের অনুভূতি বাড়তে পারে।  তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারি ও অতিভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লঘুচাপ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।  আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী ৫ ও ৬ তারিখ রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট অঞ্চলে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত) সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দিনাজপুরে ১২৭ মিলিমিটার। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল ভোলায়, ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে, ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৩ জুলাই, ২০২৪

গরম নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
দেশে দিন দিন বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে। এরপরও গরম কমছে না। যেসব অঞ্চলের ওপর তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। তাপমাত্রা হ্রাস পেলে অস্বস্তিভাবও কমে আসবে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) আগামী তিন দিনের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।  পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার (২৬ জুন) রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের দুএক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণেরও আশঙ্কা রয়েছে।   পরের দিন বৃহস্পতিবার রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের দুএক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হতে পারে। শুক্রবার রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের দুএক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  এ ছাড়াও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা প্রথম দিন কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এরপর তাপপ্রবাহ আরও কমে যেতে পারে।
২৬ জুন, ২০২৪

বৃষ্টির সঙ্গে গরম বাড়ার পূর্বাভাস
সুরমা, কুশিয়ারা, সোমেশ্বরী ও পুরাতন সুরমা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়েই বইছে। তবে এই চার নদীতেই বর্তমানে কমছে পানি। এতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অন্যদিকে বাড়ছে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি। তবে এতে নতুন করে বন্যার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এক সপ্তাহ ধরে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সিলেটে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বিশাল মেঘমালা নিয়ে এবার দেশের উত্তরাঞ্চলের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এমন অবস্থায় দেশের ৩ বিভাগে ভারি ও বাকি ৫ বিভাগের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি হলেও সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও হবিগঞ্জের মারকুলিতে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া নেত্রকোনার দিরাইয়ে পুরাতন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সোমেশ্বরী নদী বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এই চারটি নদী ছাড়া দেশের সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে বইছে। উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমছে। লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, সোমেশ্বরী, সুরমা, কুশিয়ারা ও পুরাতন সুরমার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও এই চার নদীর পানি কমছে। তাই আপাতত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা নেই। যমুনা-পদ্মার পানি স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এসব অঞ্চলেও বন্যার শঙ্কা নেই। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টিপাত কমে এসেছে। তাই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে জামালপুর, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুর জেলায়, ১৫ মিলিমিটার। তবে সপ্তাহের শেষ দিকে সারা দেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির কারণে সারা দেশে তাপমাত্রা কমে এসেছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নেত্রকোনায়, ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৪ জুন, ২০২৪

গরম হলেও ঈদে মেঘনার তীরে দর্শনার্থীদের ভিড়
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ এলাকায় ভাঙন রক্ষায় ব্লক বসানো নদীর হার্ডপয়েন্ট ও ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদ উৎসবে ঘুরে বেড়ানো ও বিনোদন করার মতো তেমন কোনো স্থান নেই। ফলে ঈদ বা যে কোনো উৎসব এলে কর্মস্থল থেকে ছুটিতে আসা বিনোদনপ্রেমীরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে মেঘনা নদীর তীরে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আসেন। এ বছরেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে এবার ভ্রমণ পিপাসু বিনোদনপ্রেমী মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। ভ্যাপসা গরমকে উপক্ষো করে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল মেঘনা নদীর তীরে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আর মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াতে। অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, প্রেমিক-প্রমিকারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা, ভটভটি, নছিমন, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশা এমনকি শ্যালো চালিত ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকায় ঈদের দিন সকাল থেকে মানুষ আসতে থাকে। সামনে মেঘনা নদী। একটু পরেই বিশাল জলরাশি। বিকেলে পশ্চিমে সূর্যাস্ত দেখতে চমৎকার পরিবেশ। তাই এলাকাবাসী মেঘনা পাড়ের নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার। মতলবের এখলাছপুর, মোহনপুর, আমিরাবাদ এলাকায় মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ রক্ষা করার জন্য ব্লক বসিয়ে হার্ডপয়েন্ট-গ্রোয়েন নির্মাণ করা হয়। আর এই ব্লক বসানো হার্ডপয়েন্ট মেঘনা নদীর তীর উপজেলার বিনোদনের স্পট (মিনি কক্সবাজার) হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। নদী ভাঙন রোধসহ এসব স্থাপনা ভ্রমণ পিপাসুদের বেড়ানোর মনোরম স্থান হিসেবে মতলবসহ আশেপাশের উপজেলা ও জেলার মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। ঈদের দিন সোমবার ও ঈদের পরেরদিন মঙ্গলবার মেঘনার তীরে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল। সেখানে ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা ও আইসক্রিমসহ বিভিন্ন দোকানিরা অস্থায়ীভাবে পসরা সাজিয়ে বসতে ভুল করেনি। তাদের বিক্রি বেশ ভালো হওয়ায় তারাও খুব খুশি। অনেক দর্শনার্থী-বিনোদনপ্রেমীরা ট্রলারে সাউন্ড বক্স নিয়ে এসেছিল। গানের সঙ্গে নেচেছিল অনেকে। এখলাছপুর নয়াকান্দি হার্ডপয়েন্টে ও ষাটনল লঞ্চঘাট মেঘনা নদীর পাড়ে ভ্রমণের জন্য অর্ধশতাধিক ইঞ্চিনচালিত ট্রলার ও নৌকা নিয়ে মাঝিরাও প্রস্তুত ছিল। ট্রলার কিংবা নৌকা ভাড়া করে ঝুঁকির মধ্যেও ভ্রমণ পিপাসুরা ঘুরে বেড়িয়েছেন। এমনকি মেঘনা-পদ্মা পাড়ের পার্শ্ববর্তী চরগুলোতেও ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। উৎসাহ উদ্দীপনার কোনো কমতি দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। গত দুই দিন ধরে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর, মোহনপুর, ষাটনল ও আমিরাবাদ মেঘনা নদীর তীরে। দর্শনার্থী হাসিবুর রহমান শান্ত বলেন, নদীর এ প্রাকৃতিক দৃশ্য, থইথই পানির দৃশ্য, সন্ধ্যার সময় মেঘনা পাড়ে এসে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য ও এমন সুন্দর খোলামেলা জায়গা আশেপাশের কোথাও নেই। তাই ভাতিজাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানে এসে খুবই ভালো লেগেছে। তবে এখানকার পরিবেশ ভালো রাখতে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। আবার জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। তাহলে দিন দিন ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে। এদিকে সন্ধ্যার পরেও অনেককে গ্রেয়েনে ও হার্ডপয়েন্টে মেঘনা পাড়ে মুক্ত বাতাসে বসে থাকতে দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে সেখানে সোলার বাতি বসানো প্রয়োজন বলেও জানান অনেকে।
১৯ জুন, ২০২৪

ভ্যাপসা গরম কমবে কবে?
দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও কমেনি ভ্যাপসা গরম। বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।  সংস্থাটি বলছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবের কারণে সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে। এতে করে কমে যাবে গরমের তীব্রতা। মঙ্গলবার (১৮ জুন) এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।  আবহাওয়া অফিস বলছে, খুলনা বিভাগসহ পটুয়াখালী, ভোলা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী এবং পাবনা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব শুরু হওয়ায় সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্ত সারা দেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।  খুলনায় সোমবার (১৭ জুন) দেশের সর্বোচ্চ ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের বেশ কিছু স্থানেই তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে ছিল।
১৮ জুন, ২০২৪

হাজিদের জন্য সৌদির সতর্কবার্তা
চলতি বছরে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুন) এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তীব্র গরমের মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ায় সতর্কবার্তা জারি করেছে সৌদি আরব। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রীষ্মের মৌসুমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ায় তীব্র গরম সৌদিতে। ফলে হাজিদের জন্য তাপ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত বছরের মতো এবারও সৌদিতে জুন মাসে তীব্র গরম অব্যাহত রয়েছে। ফলে সমতল ভূমিতে প্রতিদিন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করছে। এ ছাড়া কোনো কোনো পাহাড়ি অঞ্চলে এ তাপমাত্রা গিয়ে ৭০ ডিগ্রিতে ঠেকেছে। বর্তমানে মক্কায় গত ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।  মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পানি সরবরাহ কেন্দ্র বসানো হয়েছে। এ ছাড়া হজের কার্যক্রম সম্পাদন করতে হাজিরা যে অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান করবেন সেগুলো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।  মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তায় হজযাত্রীদের সবাইকে ছাতা ব্যবহারের আহ্বান করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত যথাসম্ভব বাইরে না বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।  হাজিদের মিনায় যাত্রার মধ্যে দিয়ে হজের এ অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গতকাল মিনায় পৌঁছেছেন হাজিরা। এ বছর সারাবিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মুসলিম হজ পালন করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন এ ইবাদতে শামিল হবেন। ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, মিনায় অবস্থান করা সুন্নাত। ফলে হাজিরা সেখানে অবস্থান করবেন। এরপর আরাফা ও মুজদালিফায় অবস্থান, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা, সাফা মারওয়া পাহাড়ে সায়ী করা এবং তাওয়াফ ও দমে শোকরের মাধ্যমে আগামী মঙ্গলবার হজের কার্যক্রম শেষ হবে।
১৫ জুন, ২০২৪

ঈদের আগে গরম কমছে না
মৌসুমী বায়ু আগেভাগেই চলে আসায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও গরম কমছে না। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে যে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা ঈদের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আগামী তিন দিন দেশের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা ও খুলনা বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, পটুয়াখালী এবং আরও ১৫ জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা আরও ৫-৬ দিন অব্যাহত থাকবে। তবে বুধবার ঢাকায় বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে। ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, তার কোনো আভাস দিতে পারেননি এই আবহাওয়াবিদ। মঙ্গলবার রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশে সর্বোচ্চ ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, চাপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, খাগড়াছড়ি, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। বুধবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। বৃহস্পতিবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
১১ জুন, ২০২৪

বৃষ্টির সঙ্গে ভ্যাপসা গরম আরও দুদিন
সারা দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। তবে দেশের সবখানে এর প্রভাব তেমন নেই। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আকাশ মেঘলা থাকলেও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে, যা চলতে পারে আরও দুদিন। গতকাল শুক্রবার তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে ২৮ জেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ দেশের ২২ জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার চার বিভাগে ভারি বর্ষণ হতে পারে। আগামী সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে সারা দেশে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হলেও দেশের সবখানে এর প্রভাব নেই। এতে দেশের সবখানে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা নেই। তবে আগামী ১০ থেকে ১২ জুনের মধ্যে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় অল্প বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছুটা পরিবেশ ঠান্ডা হলেও শনিবার আবার গরম থাকবে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ দিন ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চাঁদপুর জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। শনিবার সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
০৮ জুন, ২০২৪

শিগগিরই ভ্যাপসা গরম কমছে না
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। গতকাল সোমবারও ১০ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিন অতিভারি বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে সংস্থাটি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সপ্তাহজুড়ে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। উত্তরাঞ্চল ছাড়া সারা দেশে গরমের অনুভূতি বেশি থাকবে। বর্ষা আসার আগমুহূর্তে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক কালবেলাকে জানান, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত থাকলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে। টানা বৃষ্টিপাত বলতে একটানা তিন থেকে সাত দিন বৃষ্টিপাতকে বোঝায়। কিন্তু থেমে থেমে যদি বৃষ্টিপাত হয়, তাহলে তাপমাত্রা তেমন কমে না। বৃষ্টি থেমে গেলেই আকাশ মেঘমুক্ত হয় এবং সূর্যের কিরণকাল বৃদ্ধি পায়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করে। ফলে গরমের অনুভূতি বেশি থাকে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গরমের এই অনুভূতি থাকবে আরও কিছুদিন। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এ পরিস্থিতি বজায় থাকবে। রিমালে টানা দুদিন বৃষ্টির কারণে বাতাসে ও মাটিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে শরীরের ঘাম শুকাচ্ছে না, অস্বস্তি লাগছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ২৬৮ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে এক মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। আজ (মঙ্গলবার) সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। ভারি বর্ষণের সতর্কতা: দুটি বিভাগে তিন দিনের জন্য অতিভারি বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ভারি (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারি (৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।
০৪ জুন, ২০২৪

শিগগিরই কমছে না ভ্যাপসা গরম
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। আজ সোমবার ১০ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের জন্য অতিভারি বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে সংস্থাটি।  আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সপ্তাহজুড়ে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চল ছাড়া সারা দেশে গরমের অনুভূতি বেশি থাকবে।  আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক কালবেলাকে জানান, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বর্ষাকালে টানা বৃষ্টিপাত থাকলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়। টানা বৃষ্টিপাত বলতে টানা তিন দিন থেকে সাত দিন বৃষ্টিপাত বোঝায়। কিন্তু থেমে থেমে যদি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে এই তাপমাত্রা তেমন একটা কমে না। বৃষ্টি থেমে গেলেই আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে পড়ে এবং সূর্যের কিরণকাল বৃদ্ধি পায়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করে, ফলে গরমের অনুভূতি বেশি থাকে।  সোমবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ২৬৮ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে এক মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। মঙ্গলবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয়, এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ভারি বর্ষণের সতর্কতা: দুটি বিভাগে তিন দিনের জন্য অতিভারি বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ভারি (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। 
০৩ জুন, ২০২৪
X