উদ্ভাবক ও গবেষক গৌতম কুমার রায়ের কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
কেমিক্যাল পেস্টিসাইড পরিবেশ, প্রকৃতি, জীব তথা মানুষের জন্য আত্মঘাতী এক উপাদান। তা মাটি, জল, বাতাস, আলো, জীব ও জীবন এমনকি মানুষের ধ্বংসলিলা বা বড় বড় ও ভয়াবহ রোগের উপাদান। এই বিবেচনায় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে এক চিন্তা থেকে পরিবেশ ও মানুষকে রক্ষা করতে গৌতম কুমার রায় আবিষ্কার করেন হারবাল পেস্টিসাইড। যা নিয়ে ঢাকার সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টে প্রফেসর ড. সোহেল রানার তত্ত্বাবধানে শুরু হয় গৌতম কুমার রায়ের উদ্ভাবনী এক গবেষণা কার্যক্রম ।  গৌতম কুমার রায়ের মতে, ঐতিহাসিকভাবে ব্যবহৃত বাংলাদেশি ঔষধি উদ্ভিদ আতা গাছের পাতায় জীবাণুরোধী এবং ফাইটোকেমিক্যাল কার্যকলাপ সম্পর্কে জানা পদ্ধতি শুকনো এবং চূর্ণ গাছের পাতা বিভিন্ন দ্রাবক দিয়ে ভিজিয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য নমুনা নেওয়া হয়। সমস্ত নির্যাস অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, ফিজিকোকেমিক্যাল এবং ফার্মাকোলজিকাল অনুসন্ধানের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। ডিস্ক ডিফিউশন অ্যাস ব্যবহার করে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ক্রিয়াকলাপ মূল্যায়ন করা হয় এবং ব্রোথ মাইক্রোডিলিউশন পদ্ধতিগুলি গ্রাম-পজিটিভ বা গ্রাম-নেগেটিভ প্যাথোজেনিক বন্য-টাইপ ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে উদ্ভিদের নির্যাসের অ্যান্টিবায়োটিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কার্যকলাপের সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক ফাইটোকেমিক্যাল এবং ফার্মাকোলজিকাল স্টাডি থেকে, এটা স্পষ্ট যে আতা পাতার সমস্ত নির্যাস, মিথানল, ক্লোরোফর্ম এবং ইথাইল অ্যাসিটেট শক্তিশালী জৈব সক্রিয় উপাদান প্রক্রিয়াকরণে প্রমাণিত হয়েছে। যদিও সমস্ত নির্যাসের মধ্যে ডিফারেনশিয়াল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, মেথানোলিক নির্যাসটি সমস্ত পরীক্ষিত অণুজীবের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। এটি ই. কোলাইতে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকলাপকেও শক্তিশালী করেছে। উদ্ভিদের নির্যাসের জৈব সক্রিয় উপাদানগুলিকে ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল কার্যকলাপের অধিকারী দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়ী রাসায়নিক উপাদানগুলিকে আলাদা করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। এই গবেষণা আরও প্রাণান্ত ও বাস্তবমুখী করতে গবেষক দলে যুক্ত হয় ফার্মেসি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, রসায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এবং মৎস্য বিভাগ, বাংলাদেশ এর প্রফেসর ড. সোহেল রানা, গৌতম কুমার রায়, মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন, আসিফ শাহারিয়ার, হালিমা জাহান মিম, বিবি খাদিজা পাপিয়া, ফয়জানুর রব সিদ্দিক, আহনাফ বিন আর কিউ খান, রাহাতুল ইাসলাম এবং নূর ফাতেমা, আনোয়ার পারভেজ। সন্দিগ্ধ গবেষণাটি ২০১২ খ্রিস্টাব্দে সম্পাদনা করা হয়। দীর্ঘ পরিমার্জন ও পরিবর্ধন শেষে গত ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে CHEMISTRY & BIODIVERSITY খণ্ড : 21, সংখ্যা : 3/e202301495. প্রথম প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০২৪। আন্তর্জাতিক জার্নালে তা প্রকাশিত হয়। গবেষণা প্রবন্ধ ‘বর্ধিত অ্যান্টিবায়োটিকের জন্য রেটিকুলাটার বায়োঅ্যাকটিভ আর্সেনাল উন্মোচন করা’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কৃষিতে ইএনএম ব্যবহারে ঢাবির গবেষকদের সাফল্য, সবুজ বিপ্লবের সম্ভাবনা
ইঞ্জিনিয়ারড ন্যানোমেটেরিয়াল(ইএনএম) ব্যবহারের মাধ্যমে বীজের অঙ্কুরোদগম এবং উদ্ভিদের সার্বিক বৃদ্ধি ঘটানোর প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল গবেষক। এ উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া অনুসরণে সমগ্র বিশ্বের কৃষি উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সবুজ বিপ্লবের সম্ভাবনা দেখছেন এই গবেষকরা। গবেষণাটিতে যৌথভাবে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শিক্ষক ড. আহসান হাবীব এবং ড. স্বর্ণালী ইসলাম। এতে সহযোগিতা করেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া ইসলাম, সৌমিক দে শোভন, আসিফ রহমান দীপ্ত এবং আতিক বি. জাকির। তাদের দীর্ঘ দেড় বছর প্রচেষ্টার পর ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে এসে এ গবেষণা সফলতার মুখ দেখে। ২০২২ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের আর্থিক সহায়তায় শুরু হয় ন্যানো পার্টিকেলসের উপর এই গবেষণা। জানা গেছে, গবেষকরা ইঞ্জিনিয়ারড ন্যানোম্যাটেরিয়ালসকে (ইএনএম) কৃষিতে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই ন্যানোম্যাটেরিয়ালগুলির বৈশিষ্টের মধ্যে উদ্ভিদের টিস্যুতে প্রবেশ করার ক্ষমতা, উচ্চ শোষণ ক্ষমতা, প্রতিক্রিয়াশীল সাইট, অনুঘটক কার্যকলাপ এবং রাসায়নিক স্থিতিশীলতা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ইএনএম এর বৈশিষ্ট্যগুলিকে ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রতিকুল পরিবেশে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অধিকতর পুষ্টিযুক্ত শস্য উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষণাটি কৃষিতে বীজের অঙ্কুরোদগম হার, চারাগাছের বৃদ্ধি এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ন্যানো পার্টিকেলগুলির ব্যবহার সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। এ গবেষণার সফলতা সম্পর্কে ড. আহসান হাবীব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের গবেষণাটি টেকসই কৃষির অগ্রগতিতে এবং চাষাবাদ পদ্ধতিতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। জিঙ্ক অক্সাইড ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার প্রতিকূল পরিবেশে অঙ্কুরোদগম হার বাড়ানো এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও জিঙ্ক অক্সাইড ন্যানো পার্টিকেল উদ্ভিদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এনজাইমেটিক কার্যকলাপের উন্নতিতে অভাবনীয় সম্ভাবনা দেখিয়েছে। গবেষকগণ সিডপ্রাইমিং প্রক্রিয়াগুলিকে অপ্টিমাইজ করার ক্ষেত্রে ন্যানো পার্টিকেল এর ‘আকার’এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। এছাড়াও এতে কৃষিক্ষেত্রে ন্যানো পার্টিকেলের সুনিশ্চিত ব্যবহারকে বেগবান করতে বিভিন্ন আকারের জিঙ্ক অক্সাইড ন্যানো পার্টিকেল সিন্থেসিস এর বেশ কয়েকটি পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। এসব বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির পাশাপাশি গবেষকদল নির্ভুল এবং দ্রুতগতিতে বীজের অঙ্কুরোদগম সনাক্তকরণের একটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম উদ্ভাবন করেছেন। যা মূলত ফিল্ড লেভেলে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এ সম্পর্কে ড. আহসান হাবীব ব্যাখ্যা করে বলেন, সিস্টেমটি দক্ষতার সাথে ফসলের বৃদ্ধি নিরীক্ষণ করে নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের সুবিধা দেয়।  এছাড়া, গবেষকদলের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত বাংলাদেশের মানুষের জন্য দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, উপযোগী এবং পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাদের উদ্ভাবন বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে এবং আনতে পারে কৃষিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন।  গবেষণার সার্বিক বিষয়ে আরও সহযোগিতা করেন মো. আরমান হোসেন শুভ, ড. মাহাবুব আলম ভূঁইয়া, ড. মো. নুরুল আমিন ও ড. তাসলিম উর রশিদ।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতের বইমেলায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর গবেষণাগ্রন্থ ‘পরিবেশ ফোকলোর’
ভারতের ইতিকথা পাবলিকেশন থেকে তরুণ ফোকলোর গবেষক আরমিন হোসেনের তৃতীয় গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘পরিবেশ ফোকলোর’ প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় প্রকাশনীর স্টলে (৪৮৫ নং) গবেষণাগ্রন্থটি পাওয়া যাবে। আরমিন হোসেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ইতিমধ্যে ফোকলোরের বিভিন্ন বিষয়ে তার গ্রন্থ ও গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ‘পরিবেশ ফোকলোর’ বইটিতে তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক উভয়ক্ষেত্রে পরিবেশ ও ফোকলোরের মধ্যকার সম্পর্কের অনুসন্ধানলব্ধ জ্ঞানকাণ্ডকে প্রসারিত করার প্রয়াস করেছেন তিনি। আরমিন হোসেন বলেন, প্রকৃতি বা পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ মানুষ। মানব সংস্কৃতির উপর প্রকৃতির যেমন প্রভাব রয়েছে তেমনি মানুষ প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের প্রয়াসে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলেছে। ফোকলোরের বিশাল একটা অংশ পরিবেশ বা প্রকৃতি নির্ভর। এ ধরনের সাংস্কৃতিক উপাদান যুগ যুগ ধরে পরম্পরার ধারায় মানবজাতি লালন করে আসছে। যার সঙ্গে লোকবিশ্বাস, সংস্কারের অকৃত্রিম সংযোগ রয়েছে।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

বিশ্বসেরা গবেষণায় বেরোবির ৫৯ গবেষক
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিভিন্ন বিভাগের ৫৯ জন গবেষক এ বছর বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান দখল করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও গবেষণা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। বেরোবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু রেজা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থানে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস রহমান, তৃতীয় স্থানে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, চতুর্থ স্থানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রোকাইয়া সালাম এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাকিব। আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিফিক র‌্যাঙ্কিং’-২০২৪ এর তালিকা প্রকাশ করে। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ২০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক। সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত পাঁচ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে এ র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে। সংস্থার ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারা বিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ ও ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার ও চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
১০ জানুয়ারি, ২০২৪

বিশ্বসেরার তালিকায় বেরোবির ৫৯ গবেষক
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিভিন্ন বিভাগের ৫৯ জন গবেষক এ বছর বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান দখল করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও গবেষনা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। বেরোবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু রেজা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থানে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস রহমান, তৃতীয় স্থানে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, চতুর্থ স্থানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রোকাইয়া সালাম এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাকিব। আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিফিক র‌্যাঙ্কিং’-২০২৪ এর তালিকা প্রকাশ করে। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ২০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক। সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত পাঁচ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে এ র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে। সংস্থার ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারা বিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ ও ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার ও চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
১০ জানুয়ারি, ২০২৪

কাসাভার ১৩ পদের খাবার তৈরি করলেন বাকৃবির গবেষক
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির কাসাভার (যা শিমুল আলু হিসেবে পরিচিত) ১৩ পদের মুখরোচক খাবার তৈরি করেছেন। যার ব্যবহার দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি তরুণদের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করেছেন ওই গবেষক। তিনি এবং তার গবেষণা দল দীর্ঘ সময় ধরে কাসাভা (শিমুল আলু) নিয়ে গবেষণা করে প্রক্রিয়াজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেন। কাসাভার মূলের অংশ প্রক্রিয়াজাত করে কাসাভা রুটি, চিপস, কাসাভা-স্টার্চ, পশুখাদ্য, পাই, কেক, আটা, পাকুড়া, সিদ্ধ কাসাভা আলু, হালুয়া, তেল পিঠা, চপস, কাসাভা আলুর তরকারিসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাদ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ওই গবেষক দল। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ-বিজ্ঞান বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন। তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব এবং মাটির অনুর্বরতার বিবেচনায়, দেশের মানুষের শর্করার চাহিদা মেটাতে, বাংলাদেশে এ ফসলের মাঠ পর্যায়ের গবেষণা করে সফলতা পেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির জানান, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শর্করা জাতীয় খাদ্য এবং প্রায় ৮০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য, যা বাংলাদেশে শিমুল আলু হিসেবে পরিচিত। হেক্টরপ্রতি এই আলুর গড় ফলন ৩৫ থেকে ৫০ টন যেখান ধানের গড় ফলন ২ থেকে ৩ টন। পাতার ফলন হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৫ টন। এ ফসল চাষে মাটির ক্ষয় হয় বলে মূলত বাড়ির পাশের পতিত জমি ও পড়ে থাকা উঁচু জমিতে চাষের জন্য উপযুক্ত। এটি উচ্চ তাপমাত্রা এবং কম উর্বর মাটিতেও জন্মাতে সক্ষম। তবে মানুষ ও প্রাণির জন্য এ খাবার সর্বাবস্থায় সিদ্ধ করে খেতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই সময়ে মানব জাতিসহ গৃহপালিত প্রাণির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বৈরি আবহাওয়ায় ধান-গমের উৎপাদন কমছে। অপরদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। এমতাবস্থায় ধান, গম, চালের ওপর নির্ভরতা কমাতে পারে কাসাভা। গবেষক আরও জানান, কাসাভা সিদ্ধ করে, পুড়িয়ে এমনকি গোল আলুর মতো অন্যান্য তরকারির সঙ্গেও রান্না করে খাওয়া যায়। কাসাভা আটা গমের আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি, পরোটা, কেক তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। আমেরিকার দেশ হাইতি, মেক্সিকান রিপাবলিক, পেরাগুয়ে, পেরু, আফ্রিকার তানজনিয়া, কেনিয়া, জাম্ববিয়া, ঘানা, নাইজেরিয়া এবং এশিয়ার ভিয়েতনাম, ভারতের কেরালা ও তামিলনাড়ু রাজ্যে এবং ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনে এই আলু স্যুপ, চিপস, ট্যাপিওকা (সাগুসদৃশ খাবার), পুডিং ইত্যাদি হিসেবে খাওয়া হয়। এ ছাড়া কাসাভার পাতার প্রক্রিয়াজাতকরণের পর উদ্ভাবিত পিলেট এবং আটা গরু, ছাগল, মহিষ, মাছ এবং পোলট্রিকে খাবার হিসেবে দেওয়া যায়। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মে চাষ করে হেক্টরপ্রতি ৫০ টন ফলন পাওয়া গিয়েছে। বীজ ও শাখা কাটিংয়ের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়। প্রতি হেক্টরে প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার গাছ লাগানো যায়। গাছ লাগানোর ৭ থেকে ১০ মাস পরে আলু উত্তোলনের উপযোগী হয়। আলু তোলার ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে অন্যথায় পচন ধরতে শুরু করবে। এ ছাড়াও তিনি জানান, কাসাভা গাছের সর্বত্র বিষাক্ত সায়ানোজেনিক গ্লুকোসাইড থাকে। তাই বিষাক্ত কিছু জাতের কাসাভার ডগা এবং পাতা খেয়ে গরু-ছাগল মারা যেতে পারে। তবে সিদ্ধ বা প্রক্রিয়াজাত করলে এই বিষক্রিয়া আর থাকে না। তাই কাসাভা আটা, স্টার্চ সম্পূর্ণ নিরাপদ। আলু উত্তোলনে মাটি ক্ষয় হওয়ার কারণে ফসলি জমিতে চাষ না করাই উত্তম। এ জন্য বড় পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ না করে মাঝারি বা ছোট পরিসরে চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৩

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি নিয়ে গবেষণার জন্য ইগ নোবেল পুরস্কার
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি নিয়ে গবেষণার করে এবার ইগ নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ডাচ গবেষক ভাইনান্ড ভ্যান টিলবার্গ। তবে নোবেল নাম হলেও এটা নোবেল ফাউন্ডেশনের পুরস্কার নয়। এটা ব্যঙ্গাত্মক নোবেল পুরস্কার। এনএল টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, ক্লাস বা লেকচার একঘেয়ে হবে বলে আগে থেকেই ধরে নেওয়ার মানসিকতা সেই ক্লাস বা লেকচারকে আরও বেশি বিরক্তিকর ও একঘেয়ে করে তুলতে পারে। তিনটি সমীক্ষায় স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ক্লাস বিরক্তিকর হবে এমন ভাবনাই সেই ক্লাসকে বিরক্তিকর করে তোলার জন্য যথেষ্ট। কেবল শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকরাও বিরক্ত হতে পারেন। বিশেষ করে যদি তারা বছরের পর বছর ধরে উদাসীন শিক্ষার্থীদের একই জিনিস শিখিয়ে যান, তবে শিক্ষকদের মাঝেও বিরক্তি কাজ করতে পারে। এমন গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন ভ্যান টিলবার্গসহ চীন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবছর এমন কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ইগ নোবেল দেওয়া হয়, যা প্রথমে মানুষকে হাসায় এবং তারপর ভাবায়। এমন সব বাস্তব ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়, যা প্রথমে তুচ্ছ ও অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও সমাজে এ বিষয়গুলোর সত্যিকার প্রভাব রয়েছে। নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে মিল রেখে কিছুটা হাস্যরস মিশিয়ে নামকরণ করা হয়েছে ইগ নোবেলের।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ইউজিসি অধ্যাপক হলেন দুই বিশিষ্ট গবেষক
দেশের দুজন বিশিষ্ট গবেষককে ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ ২০২২’ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তারা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ওশানোগ্রাফি অ্যান্ড হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. আফতাব আলম খান এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী। গতকাল ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ নিয়োগ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী দুই বছরের জন্য তারা এ দায়িত্ব পালন করবেন। যোগদানের তারিখ থেকে মেয়াদকাল গণ্য হবে। সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুবিনা খোন্দকারসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ নিয়োগে শিক্ষা, গবেষণা, প্রকাশনা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্ম-অভিজ্ঞতা, গবেষণা কাজে সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত খ্যাতিমান শিক্ষক-গবেষকদের ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ দেওয়া হয়। একজন সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত অধ্যাপক সেসব সুযোগ-সুবিধা পান তারাও পাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আফতাব আলম খানের বর্তমান কর্মস্থল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী বাকৃবির সঙ্গে সংযুক্ত থেকে গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন।
১৪ জুলাই, ২০২৩

বিশ্বসেরার তালিকায় হাবিপ্রবির ১১১ গবেষক
অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ১১১ গবেষক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩২। গত শুক্রবার এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে ১২ ক্যাটাগরিতে ২১৮ দেশের ২১ হাজার ৯৭৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৫২ গবেষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশের ১৮০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ১৬৫ গবেষক স্থান পেয়েছেন। হাবিপ্রবির গবেষকদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন ক্যাটাগরিতে ফুড প্রেসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মারুফ আহমেদ। দ্বিতীয় অ্যানিম্যাল প্রডাকশন ক্যাটাগরিতে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উম্মে ছালমা, তৃতীয় জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল ব্রিফিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. আব্দুল গাফফার মিয়া, চতুর্থ মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড মলিকুলার জেনেটিক্স ক্যাটাগরিতে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল হক, পঞ্চম মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীম হোসেন। এ ছাড়া গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ, সপ্তম ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজ্জাত হোসেন সরকার, অষ্টম ক্রপ ফিজিওলজি অ্যান্ড ইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম, নবম জেনেটিক্স অ্যান্ড প্ল্যান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো হাসানুজ্জামান এবং দশম অবস্থান এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ নুর কবিরের। গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের পাঁচ বছরের এইচ-ইনডেক্স, আই১০ ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর বিশ্বসেরা গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করে এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স।
০৩ জুলাই, ২০২৩
X