দেশ এখন ভয়াবহ সংকটে রয়েছে : গণঅধিকার পরিষদ
দেশ এখন এক ভয়াবহ সংকটে রয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে জামান টাওয়ারের সামনে এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করেছে দলটি।  তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে ঠান্ডা খাবার, পানি ও ফল বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।  দলটির একাংশের আহবায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, দেশ এখন এক ভয়াবহ সংকটে। সরকার জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে নিত্য-নতুন ইস্যু সামনে আনছে।  গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, সারা বাংলাদেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। মানুষের জীবন প্রায় যায় যায় অবস্থা। তীব্র গরমের মধ্যে আমরা গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ পথচারীদের মধ্যে খাবার পানি এবং ফল বিতরণ করছি। গণঅধিকার পরিষদ শুধু রাজপথের রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমেও আমরা জনগণের পাশে আছি এবং পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সোহেল মৃধা, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

হয়রানির উদ্দেশ্যেই ভিপি নুরের বিরুদ্ধে পরোয়ানা : গণঅধিকার পরিষদ
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ভিন্নমত দমন, সরকারবিরোধীদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি এবং হয়রানির উদ্দেশ্যেই ভিত্তিহীন মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এ দেশের মানুষের কাছে এক সংগ্রামী চরিত্রের নাম। হামলা-মামলা করে অতীতেও তার মনোবল ভাঙা যায়নি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেও তার মনোবল দুর্বল করা যাবে না। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল রাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাশেদ খান। নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গণঅধিকার পরিষদের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঈদ ও নববর্ষের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণ শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে ছাত্রলীগের এক নেতার করা ভিত্তিহীন একটি মামলায় চট্টগ্রামের আদালত গতকাল (সোমবার) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।  রাশেদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিলুপ্ত হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন হলেও ২০২২ সালে নুরুল হক নুরের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কথিত মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মামলাটি দায়ের করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার।  তিনি বলেন, একতরফা, ডামি করতে নির্বাচনের পূর্বে বিরোধীদের গণগ্রেপ্তার, রাতে আদালত বসিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের শাস্তি এবং তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সরল স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে- অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আদালতও এখন সরকারের তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছে। বিচারব্যবস্থাও কার্যত এখন সরকারের হাতে বাক্সবন্দি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নোবেলজয়ী ড. ইউনূসও যার ভুক্তভোগী। রাশেদ খান বলেন, দেশ এক গভীর রাজনৈতিক ও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, লুটপাট ও অর্থপাচারে জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট; অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে কেএনএফের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান। সীমান্তে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের হত্যা, ভারতকে ট্রানজিট, এমনকি বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও ঢাকায় ঈদের পূর্বে ইসরায়েলের বিশেষ বিমানের অবতরণে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে জনগণের ন্যায় আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।  তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বরাবরই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন। সরকার গণঅধিকার পরিষদের এই আপসহীন কণ্ঠ থামিয়ে দিতেই গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।  তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে বিরোধী দলসমূহের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের আপসহীন যুগপৎ আন্দোলন চলছে। ফ্যাসিবাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, সহসভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

মাসব্যাপী গণ-ইফতার কার্যক্রমে গণঅধিকার পরিষদ
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিনে এক হাজার মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণের মাধ্যমে গণ-ইফতার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডের জামান টাওয়ারের সামনে এই কার্যক্রম শুরু হয়। পুরো রমজান মাসব্যাপী গণ-ইফতার বিতরণ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছে দলটি। গণ-ইফতার বিতরণ কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, আমরা আমাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমও চালিয়ে যাবো। তিনি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিলের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, দেশে এখন নিত্যপণ্যের যে দাম তাতে সাধারণ মানুষের যায় যায় অবস্থা। এমন একটা অবস্থায় আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে গণ-ইফতার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি।  গণঅধিকার পরিষদের গণ-ইফতার বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয়ক করা হয়েছে দলটির নেতা তারেক রহমানকে। তিনি বলেন, আমরা পুরো মাসব্যাপী এই ইফতার বিতরণ কার্যক্রম চালাবো, ইনশাআল্লাহ। ইফতার বিতরণ কর্মসূচিতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১২ মার্চ, ২০২৪

শীতার্তদের পাশে গণঅধিকার পরিষদ
শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন কালভার্ট রোড এলাকায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে দলটি।   শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির শুরুতে গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, সারা দেশে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। সকলকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশে কত রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন আছে, অথচ শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর মতো তেমন কাউকে দেখতে পাচ্ছি না আমরা। শুধু রাজনৈতিক প্রোগ্রামই নয়, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রমও জরুরি।  গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, আমরা আজকে ৫৫০ জন মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলাম। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। সারা দেশে আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ করব আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। রাজনৈতিক মাঠে শুধু আন্দোলন সংগ্রামই নয়, এর পাশাপাশি গণমানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।  তিনি আরও বলেন, শীতের প্রকোপ দিনকে দিন বাড়ছে। ১৯টি জেলায় ১০ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা নেমে আসছে। কিন্তু এই ডামি সরকার জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। অথচ আমরা মুখে বলছি জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান, আরিফ বিল্লাহ, ইমামউদ্দিন, আবদুল্লাহ, ফায়সাল, ছাত্রনেতা মোল্লা রহমতুল্লাহ প্রমুখ।   
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোটের দিন গণকারফিউ পালন করুন : গণঅধিকার পরিষদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন গণকারফিউ পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে বলব আগামী ৭ তারিখ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণকারফিউ পালন করুন, ঘর থেকে কেউ বের হবেন। আগামীকাল শনিবার (৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া হরতালেও আপনাদের নৈতিক সমর্থন চাই আমরা। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকে ‘একতরফা-ডামি’ নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড় সংলগ্ন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে গণঅধিকার পরিষদের গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর। সমাবেশ শেষ গণমিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে হয়ে প্রেস ক্লাব ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। গণঅধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, সমাবেশ শুরুর আগে রিকশাওয়ালা মাইক নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে রিকশাসহ মাইক নিয়ে যায় পুলিশ। গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে আফ্রিকা অঞ্চলের মতো ব্যর্থ-অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য এই সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণ এই ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন বর্জন করেছে। কোনো বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা ক্ষমা করে দিতে চাই, মহব্বতের সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। সেজন্য আপনাদের একতরফা নির্বাচন থেকে সরে আসতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ সঞ্চয় ভেঙে বাড়তি খরচ মেটাচ্ছে, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে আর সরকারি দলের লোকেরা উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে। ১৫ বছরে দেশের ১৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। লাঙ্গল, নৌকা, ট্রাক, ঈগল সবই শেখ হাসিনা মার্কা। কাজেই স্থানীয় সম্পর্ক কিংবা প্রভাবে বা এক-দেড় হাজার টাকার জন্য কেউ ৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

গণঅধিকার পরিষদ থেকে রেজা কিবরিয়ার পদত্যাগ
গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি দলটির সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক চিঠির মাধ্যমে এই পদত্যাগ করেন তিনি। ওই চিঠিতে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রেজা কিবরিয়ার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে কালবেলাকে জানান, ব্যক্তিগত কারণে ড. রেজা কিবরিয়া গণঅধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

‘একতরফা’ নির্বাচনে গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায় সরকার : গণঅধিকার পরিষদ
৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার (১ জানুয়ারি) কাকরাইল মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শুরু করে দলটি। এরপর কাকরাইল, সেগুনবাগিচা এলাকায় লিফলেট বিরতণ ও গণসংযোগ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। সংক্ষিপ্ত পথসভায় গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিনে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অগ্রিম ধন্যবাদ দিতে পারি যে, তিনি টানা চতুর্থবারের মতো একটি কর্তৃত্ববাদ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। আমরা তাকে আরও ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু উন্নয়ন মানে কি শুধুই মেট্রোরেল, ব্রিজ, কালভার্ট? জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন কোথায়? আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ১৪ ও ১৮ সালে গলাটিপে হত্যা করেছে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসল, সেটি কেন ১১ সালে বাতিল করল? কারণ তারা দেখেছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বারবার ক্ষমতায় আসা যায় না। এইবার ২৪ সালের ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের দাফন করতে চায়, কিন্তু এ দেশের জনগণ সেটি হতে দিবে না। দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসন থেকে এ দেশের মানুষ মুক্তি চায়। এই সরকারের পাতানো নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৯ জন খুন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজারের অধিক। শুধু গত ডিসেম্বর মাসেই ১৫ জন রাজনৈতিক কর্মী কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ৬ জনকে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। তাই দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে এই স্বৈরাচার সরকারকে যে কোনো মূল্যে বিদায় করতে হবে। তবেই মিলবে মুক্তি। উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেন, জনসমর্থনহীন সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে  ভোট ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।  জনগণ একতরফা এই ভুয়া নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের নতুন বছরের অঙ্গীকার, মুক্ত করব স্বৈরাচার। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাড. নাজিম উদ্দিন। গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন আকাশ, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।
০১ জানুয়ারি, ২০২৪

আ.লীগের ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি : গণঅধিকার পরিষদ
গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শান্তিনগর মোড়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগপূর্ব সংক্ষিপ্ত পথসভা করে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। পথসভা শেষে শান্তিনগর মোড়, মালিবাগ ও মৌচাক এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ পথসভা করে গণঅধিকার পরিষদ। গণসংযোগপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, নির্বাচন চলছে। আমরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই, ভোট দিতে চাই। তাহলে কেন নিজেদের জীবন বিপন্ন করে নির্বাচন বিরোধী আন্দোলন করছি? কারণ, সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি ‘একতরফা নির্বাচন’ করে ফেললে দেশের ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কাজেই দেশের অস্তিত্ব ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ রক্ষায় আমাদের এই আন্দোলন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের এখানে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। বারবার শেষ করতে বলছে, মাইক ব্যবহার করতে নিষেধ করছে। একটা রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কতক্ষণ চলবে, কী বক্তব্যে হবে- তাও পুলিশ ঠিক করে দিবে? মনে হচ্ছে, দেশে পুলিশি শাসন চলছে। নুর বলেন, নির্বাচন কী হবে, ভোটের হার- সবই ঠিক হয়ে গেছে। শুধু রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রার্থী, ডিসি-এসপিসহ বিভিন্ন জনকে ভাগ-বাটোয়ারা করে দিতেই ৭ জানুয়ারি ভোটের নাটক। এভাবে কতিপয় ডিসি, এসপি, কতিপয় নেতা শত কোটি, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আর সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে সবজি কিনলে মাংস কিনতে পারে না, একটা সবজি কিনলে তেল কিনতে পারে না। আর তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই লুটপাটের ধারা অব্যাহত রাখতেই আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন। আমরা জনগণকে এই একতরফা নির্বাচন বর্জনের কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। জনগণকে সাথে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যেমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি। জনগণ আমাদের বলছে, যে খেলায় রেফারি নেই, প্রতিদ্বন্দ্বী টিম নেই- সে খেলায় তারা অংশগ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি। জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের ৯২ হাজার কোটি টাকা তারা লোপাট করেছে। আবারও সেই লোপাটের জন্যই ভুয়া নির্বাচন করতে যাচ্ছে। আমরা জনগণকে বলব, ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচন বর্জন করুন। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহসভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, শ্রমিক নেতা মাহবুবুল হক শিপন প্রমুখ।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

জনগণ ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাবে না : গণঅধিকার পরিষদ
গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি কোনো ভোট হচ্ছে না। সেটি হচ্ছে প্রতিবেশী দেশের স্পন্সর্ড নির্বাচন। ভোটের নামে সরকার নতুন এক নাট্যমঞ্চের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই নাটকে জনগণ সাড়া দিবে না। আমরা গণঅধিকার পরিষদ দেশের জনগণকে আহ্বান জানাই, আপনারা আগামী ৭ জানুয়ারি পরিবারকে সময় দিন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আগামী ৭ জানুয়ারি আওয়ামী ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জনের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পুলিশ কর্মসূচি পালনে বাধা দেয় বলে সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পরে তারা পল্টন মোড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়, কিছুক্ষণ পরে পল্টন মোড়েও পুলিশ বাধা দেয় এবং মারমুখী অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে পল্টন এলাকায় ভোট বর্জনের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় ফারুক হাসান আরও বলেন, সরকারের অবৈধ এমপি-মন্ত্রী এবং আমলাগণ জনগণকে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার জন্য। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, জনগণকে ভয়ভীতি দেখালে পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না। ৭ জানুয়ারি কোনো ভোট হচ্ছে না। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবস। ফেলানী হত্যা দিবসে অবৈধ সরকারের ভোট জনগণ রুখে দিবে। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। অবৈধ সরকারকে লালকার্ড দেখান। আমরা এই সরকারকে আর কোনো সহযোগিতা করব না। এই সরকারের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই, জনগণের ভোটে এরা নির্বাচিত নয়, তাই আমরা এ রকম একটি ভোটচোর সরকারকে সহযোগিতা করতে পারি না। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা তারেক রহমান, শামসুদ্দিন, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, মোজাম্মেল মিয়াজি, মহানগর উত্তরের আবদুল্লাহ, শফিকুল ইসলাম রতন, নাজমুল হোসাই, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক ইমামউদ্দিন, ফায়সাল, হালিমা আক্তার, যুব অধিকার পরিষদের আহবায়ক সাকিব হোসাইন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মোল্লা রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
X