খুবি সোশিওলোজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয়, সম্পাদক শহিদ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশিওলোজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৪ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ড. সঞ্জয় কুমার চন্দ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম। ড. সঞ্জয় কুমার চন্দ সোশিওলোজি ডিসিপ্লিনের ২০০৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। মো. শহিদুল ইসলাম ২০০৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত আছেন। শনিবার (২৯ জুন) রাত ১২টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত অনলাইনে এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। ৪৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৪৩৮ জন। ভোটের হার ৮৯ শতাংশ। কমিটির সদস্যরা হলেন সহসভাপতি তানভীর আহমেদ সোহেল এবং অমিত সমাদ্দার, অর্থ সম্পাদক বেলাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আশিকুর এলাহী এবং সাব্বির রহমান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সাজ্জাত হোসেন রাজন। এ ছাড়াও অন্য সদস্যরা হলেন অফিস ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, স্টুডেন্ট অ্যান্ড জেন্ডার সম্পাদক করিমন নেছা, যোগাযোগ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রাজিবুল ইসলাম রাজিব, আইসিটি ও গবেষণা সম্পাদক মো. আল আমিন শেখ, ক্রীড়া সম্পাদক রিপন মল্লিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাসমিন নাহার অ্যানি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম এবং কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শেখ নাজমুস সাকিব কল্লোল, মো. শাহিন ইসলাম, অনিক সাহা, মো. মনিরুজ্জামান সৈকত, নাসির উদ্দিন ও মেহেদি হাসান।
০১ জুলাই, ২০২৪

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে খুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল আদেশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৭ জুন) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে এ মানববন্ধন শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না, কোটা বাতিল করো, ন্যায় বিচার আনো, কোটা ব্যবস্থা নয়, আমরা চাই সমতা, কোটার জলে শিক্ষা নেই মুক্তি চাই। কোটার নামে অন্যায় নয় মেধার দ্বারা উঠবে জয়, ১৮র হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে কোটা প্রথার কবর দেয়’ ইত্যাদি স্লোগানযুক্ত প্লাকার্ড নিয়ে উপস্থিত হন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষা ব্যবস্থা হতে পারে না। দেশের বিপুলসংখ্যক বেকার সমস্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মতো বৈষম্যমূলক বিভীষণ চাপিয়ে দেওয়া হলে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা এই রায়ে অসন্তুষ্ট। তারা আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করতে হবে। মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের চাকরি দিতে হবে। মোট কোটা আছে ৫৬ শতাংশ আর মেধাবীদের জন্য মাত্র ৪৪ শতাংশ। এটা মেধাবীদের জন্য একটা বৈষম্য। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখে আমরা বলতে চাই হাইকোর্ট যেন কোটার পুনর্বহাল বাতিল করে। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি বাতিল না করা হলে আগামী যে কোনো সময় বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেবেন বলে ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 
০৭ জুন, ২০২৪

‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে খুবি শিক্ষক সমিতি’
ফিলিস্তিনে নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে হাদী চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী ও সহসভাপতি তরুণ কান্তি বোসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মো. ইয়াছিন আলী, প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী, প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান, প্রফেসর ড. মো. আনিসুর রহমান, প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার চন্দ, সহযোগী অধ্যাপক কাজী হুমায়ুন কবীর, সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী কর্তৃক নারী, শিশু, স্কুল, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে জঘন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এই বর্বরোচিত হামলা সারা বিশ্বে শান্তিকামী সাধারণ মানুষকে ব্যথিত করছে এবং তা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। আমরা এই প্রতিবাদী মানববন্ধন থেকে বর্বরোচিত এই হামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানাই।
০৬ জুন, ২০২৪

কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে টানা তৃতীয়বার খুবি
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) পৃথিবীর শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় টানা তৃতীয়বার স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)।  র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২০১ থেকে ১৪০০ এর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংস ২০২৫: টপ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিস’ শীর্ষক এই তালিকা মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাঙ্কিং মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কিউএস তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৪০০+ এ ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি এ বছর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং (৬০১-৬৫০ এর মধ্যে) এবং সাউদার্ন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়েও (১৮৯) মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ের সূচকগুলো হলো- একাডেমিক রেপুটেশন, সাইটেশনস পার ফ্যাকাল্টি, অ্যাম্প্লয়মেন্ট আউটকামস, অ্যাম্প্লয়ার রেপুটেশন, ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট রেশিও, ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক এরং সাসটেইনেবিলিটি। এতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন যথাক্রমে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, ৫ শতাংশ, ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ১ শতাংশ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ও র‌্যাঙ্কিং কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর সেহরীশ খান বলেন, বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি গবেষণার জন্য যথোপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তার কর্মমেয়াদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল- আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান সৃষ্টি করা। এরইমধ্যে কিউএস র‌্যাঙ্কিং, টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং এবং টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উঠে এসেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে। রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, বর্তমান উপাচার্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক্ষেত্রে পরিবর্তনের ছোঁয়া এখন দৃশ্যমান। যেখানে আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়া ছিল স্বপ্নের মতো, সেখানে পরপর তিনবার কিউএস র‌্যাঙ্কিং এবং টানা দুইবার টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং ও প্রথমবার টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি প্রকাশনা, অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই সাফল্য অব্যাহত থাকলে অতিদ্রুত দেশের শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল- আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করা। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। তিন বছরের ব্যবধানে র‌্যাঙ্কিংয়ের অবস্থানেও এসেছে উন্নতি। এ ছাড়া টানা দুইবার টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং এবং এ বছরই প্রথম টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়েও স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি একটি অন্যরকম অনুভূতি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তার প্রমাণ। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বদলে যাওয়ার পেছনে অবদান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী কর্মকাণ্ড এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণে এসব কিছু সম্ভব হয়েছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আগামীতে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলেও ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যায় কিউএস। এরপর থেকে এককভাবেই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে তারা। কিউএসের প্রকাশিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য র‌্যাঙ্কিংগুলোর একটি মনে করা হয়। এই র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন আটটি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়। প্রতিটি সূচকে ১০০ করে স্কোর থাকে। সব সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্কোর নির্ধারিত হয়। 
০৫ জুন, ২০২৪

প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ৩ বছরে খুবি উপাচার্য
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসেবে ২০২১ সালের ২৫ মে যোগদান করেন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। করোনা মহামারির এক স্থবির পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষা কার্যক্রমকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই ছিল তার প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া গবেষণায় উদ্যম সৃষ্টি, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ সচল করাও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। আবার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিযুক্ত দ্বিতীয় উপাচার্য হওয়ায় তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাও ছিল বেশি। কর্ম মেয়াদের তিন বছরে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন- তা উঠে এসেছে কালবেলার প্রতিবেদনে। সমাধান হয়নি আবাসন সংকটের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন তার দায়িত্বের তিন বছর পূর্ণ করেছেন। এই সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার দিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। গবেষণা বরাদ্দ বাড়ার ফলে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা আরও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত আবাসন সংকট আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকটা ভোগান্তির কারণ হয়ে পড়েছে। এই সমস্যাটি সমাধান করলে আশা করি আমাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। রাহুল কুমার সরকার, তৃতীয় বর্ষ, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছে খুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি উন্নত হয়েছে পড়ালেখার মান, বাড়ছে গবেষণা ,বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে আসছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। শিক্ষার্থী হিসাবে এগুলো অবশ্যই গর্বের। আশা করি আগামী বছরেও এই উন্নয়নের ধারা বাজায় থাকবে। তামান্না রহমান তন্নী , চতুর্থ বর্ষ, ইংরেজি ডিসিপ্লিন গবেষণার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হচ্ছে প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে অগ্রগতি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তার গবেষণা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছে। বার্ষিক গবেষণা বাজেট ১.৩৫ কোটি থেকে ৫.৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যার ফলে শুধুমাত্র গত বছরেই ১,২৬৬টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ সেশন এবং কর্মশালা পরিচালনা করে আসছে। পরিবেশ সচেতনতার অংশ হিসেবে গোলপাতার ছাউনি দিয়ে তৈরি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবান্ধব ক্যাফেটেরিয়া। এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রীকে পুনরুজ্জীবিত করেনি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক আবেদনও বাড়িয়েছে, যা ছাত্র এবং কর্মীদের জন্য একটি শীতল এবং আরও টেকসই পরিবেশ তৈরি করেছে।  মজবুত গবেষণা অবকাঠামোর ভিত্তি স্থাপনের সঙ্গে এটি আশা করা যায় যে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও ফলাফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে উৎকর্ষ অব্যাহত রাখবে। সায়মা আক্তার এশা, এমএসএস, দ্বিতীয় বর্ষ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসে পরিণত করা আমাদের সম্মানিত ভিসি মহোদয় এই প্রতিষ্ঠানের সাথে বহু বছর কাটিয়ে তবেই ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু সম্পর্কে অবগত তাই তার প্রতি প্রত্যাশাটাও বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক। এর অনেক কিছুই হয়ত পূরণ হয়েছে আবার হতাশার সাথেই বলতে হয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তেমন কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। আবাসন সংকট চরম মাত্রা ধারণ করেছে, দেশের এ অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ১ম ও ২য় বর্ষের মধ্যম ও নিম্ন আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অসহনীয়। আবাসনের দায়িত্বে থাকা সম্মানিত শিক্ষকদের ডিসিপ্লিন-প্রীতি, দুর্নীতি নিত্যদিনের ঘটনা; তাদের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব কার?  প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতা, সময়ক্ষেপণ ও অসম্মানজনক উক্তি নিয়মিত ঘটনা৷ শিক্ষার্থীরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, তাদের প্রতি এত অবহেলা কেন? সবার জন্য স্বচ্ছতা ও সুশাসন একান্ত প্রয়োজন। আশা করি, সম্মানিত ভিসি মহোদয়ের সঠিক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসে পরিণত হবে, যেখানে ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় আইন জানার অধিকার জানা থাকবে, তাদের সাথে ঘটা অন্যায়ের শাস্তি তারা দেখতে পারবে। গবেষণার পাশাপাশি নৈতিকা ও মূল্যবোধেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এক নম্বর হবে, এটাই প্রত্যাশা। ভিসি মহোদয়ের সুস্বাস্থ্যের ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি৷ মো. জিহাদ হাসান,  চতুর্থ বর্ষ, ইংরেজি ডিসিপ্লিন এগিয়ে যাবেন রিসার্চ বেসড ইউনিভার্সিটি বিনির্মাণে উপাচার্য হিসেবে ড. মাহমুদ হোসেন স্যার অনবদ্য, অসাধারণ। এরকম একজন গবেষণা কেন্দ্রিক স্কলার মানুষ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারাই পাল্টে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ধ্যানধারণা, গবেষণার ফান্ডিং নিয়ে অনেক অগ্রগতি সাধন করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের ল্যাব সুবিধা বাড়ানোসহ গবেষণা কেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপকার হিসেবে তার অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নতি ও সাধন করে যাচ্ছেন তিনি। উপাচার্য হিসেবে তার অবদান অনস্বীকার্য। আমি মনে করি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশীয় ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার জন্য মাহমুদ হোসেন স্যারের বিকল্প কমই আছে। রিসার্চ বেসড খুলনা ইউনিভার্সিটি বিনির্মাণে স্যার সুস্থতার সঙ্গে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে এগিয়ে যাবেন এই কামনা করি। সৈয়দ সাজিদুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষার্থী, সয়েল, ওয়াটার এন্ড এনভারমেন্ট ডিসিপ্লিন
২৫ মে, ২০২৪

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেশসেরা খুবি
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই)-এর গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে টানা দ্বিতীয়বার স্থান পাওয়ার পর এবার টাইমস হায়ার এডুকেশনের বৈশ্বিক ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। সম্প্রতি এ র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃপক্ষ। র‌্যাঙ্কিংয়ে বৈশ্বিক তালিকায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৫০০ এর মধ্যে রয়েছে, যা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবার আগে। এবারের প্রকাশিত ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। গবেষণার মান, শিল্প, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি, গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষাদান মোট ৫টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে করা ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অর্জন করছে যথাক্রমে ৪৫.২  শতাংশ, ১৭.১ শতাংশ, ৪৩.৭ শতাংশ, ১৪.৫ শতাংশ, ২২.৭ শতাংশ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ও র‌্যাঙ্কিং কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর সেহরীশ খান বলেন, বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন নিজেই একজন গবেষক। তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেন। গবেষণার জন্য যথোপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতেও উদ্যোগ নেন। এ ছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে যেতে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন। যার ফলে টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং, কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ের পর ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবক্ষেত্রে পরিবর্তনের ছোঁয়া এখন দৃশ্যমান। বর্তমান উপাচার্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্বপ্নের পথে ডানা মেলেছে। একের পর অর্জনে দেশে সুনাম ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা, প্রকাশনা, অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অতিদ্রুত বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, টানা দুইবার টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিং এবং কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার পর এবার টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান পাওয়ায় গর্বিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। গবেষণার প্রতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনোনিবেশ ও আন্তরিকতার ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ সাধনে সকলের অবদান রয়েছে। একাডেমিক ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। আমি আশা করি, অতিদ্রুত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। উল্লেখ্য, ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ বিগত ২০১৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড ইয়াং ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ শুরু করে। এতে যেসব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ৫০ বছর কিংবা তার চেয়ে কম, শুধু তাদের মধ্যে গুণগত মান বিবেচনায় ধরে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়। এবার সব মিলিয়ে বিশ্বের ৬৭৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এ র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান করতে পেরেছে, যা গত বছর ছিল ৬০৫টি। র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাদান, গবেষণা, জ্ঞান স্থানান্তর ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির ১৮টি সূচক মানদণ্ড হিসেবে গণনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মৌলিক লক্ষ্য, পাঠদান ও গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও বিবেচনায় করেছে তারা।
১৬ মে, ২০২৪

সার্বজনীন পেনশন‌ বাতিলের দাবিতে খুবি শিক্ষকদের মানববন্ধন
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমের প্রজ্ঞাপন‌ প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষকরা। রোববার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষকরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল দাবি করেন। তারা বলেন, এমন বৈষম্যমূলক পেনশন ব্যবস্থা চালু হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাইবে না। মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় না আসলে মেধাবী শিক্ষার্থীও তৈরি হবে না। এর মাধ্যমে একটি মেধাশূন্য জাতি তৈরি হবে। দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, সাধারণ শিক্ষকদের এই দাবি সমগ্র শিক্ষক জাতির দাবি। আমরা চাই মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসুক। কিন্তু তাদের জন্য প্রণোদনামূলক বেতন যদি না থাকে তাহলে মেধাবীরা এ পেশায় আসবে না। আমাদের দুটো দাবি হলো এই সার্বজনীন পেনশন স্কিমকে প্রত্যাহার এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দিতে হবে, যেন মেধাবী শিক্ষকরা জাতি গঠনে অংশগ্রহণ করতে পারে। মানববন্ধনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এস এম ফিরোজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমনসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
১২ মে, ২০২৪

খুবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ইফতার শুক্রবার
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বার্ষিক দোয়া ও ইফতার মাহফিল শুক্রবার (২২ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার দেশের ১৩টি স্থানে এ আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজক সূত্রে জানা যায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম,‌ রাজশাহী, ময়মনসিংহ, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কক্সবাজার, ঝিনাইদহ এবং চুয়াডাঙ্গাতে একইসঙ্গে এ বার্ষিক দোয়া ও ইফতার মাহফিল ও অনুষ্ঠিত হবে। ইফতার মাহফিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা স্বার্থে ঢাকা ও খুলনায় রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক অ্যালামনাইরা গত ১৯ মার্চ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পায়। এ ছাড়া আরও জানা যায়, ইফতার মাহফিলে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার জন্য থাকছে বুথের ব্যবস্থা, সেখানে নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ ও ফর্ম পূরণের মাধ্যমে সদস্য হতে পারবে। কুআ’র যুগ্ম সম্পাদক ও ইফতার আয়োজক উপকমিটির সদস্য সচিব মো. মুজাহিদুল ইসলাম সৌরভ বলেন, অ্যালামনাইদের অভূতপূর্ব সাড়া আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। আশা করছি আমরা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশে আপনাদের সহযোগিতায় একটি সুন্দর ইফতার মাহফিল করতে সক্ষম হবো।
২০ মার্চ, ২০২৪

দুবাই প্রবাসীর প্রতারণা ও হামলার শিকার খুবি শিক্ষার্থী
দুবাই প্রবাসী এক ব্যবসায়ীর প্রতারণা ও হামলার শিকার হয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী আল নোমান। তার ‘এ্যাংকর সম্রাট’ এবং ‘এ্যাকশান সুজের’ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার শিকার হন নোমান। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রয়ারি) বিকেলে ডাকবাংলা মোড় (খুলনা) সংলগ্ন দোকানে দুর্বৃত্তরা দলবল নিয়ে হামলা করে। বিষয়টি জানাজানি হয় শুক্রবার (১ মার্চ)। ভুক্তভোগী আল নোমানের দাবি, বিগত সাত বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন তিনি। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলনা নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে এ্যাংকর সম্রাট এবং এ্যাকশান সুজ। পরে দুবাই প্রবাসী আল আমিনের সঙ্গে অংশীদারি ব্যবসায় চুক্তিবদ্ধ হন নোমান। চুক্তি অনুসারে তিনি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন। মাসিক লভ্যাংশ প্রথম ছয়মাস ঠিকভাবে দিলেও পরবর্তী মাস থেকে টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকেন আল আমিন। পরে সন্দেহ হলে, নতুন চুক্তি করে ২০ লাখ টাকা ফিরিয়ে নেন নোমান। বাকি ৩০ লাখ টাকা এবং প্রতিমাসে লভ্যাংশ দেওয়ার চুক্তি হয় গতবছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত। কিন্তু চুক্তি শেষ হওয়ার পরও পাওনার ৩০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকেন আল-আমিন। পরে গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রয়ারি) টাকা দেওয়ার তারিখ থাকলেও সে টাকা না দিয়ে উল্টো লোকজন নিয়ে এসে ডাকবাংলায় দোকানে ভাঙচুর ও হামলা চালায়। ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, দুবাই প্রবাসী আল-আমিন গত তিনমাস আগে দেশে আসলে ফোনে এবং সরাসরি বহুবার তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে প্রতিবার নানা তারিখে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে থাকে। আমাদের ব্যবসায়িক ভাবনা ও তার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে আমরা কখনো তাকে অবিশ্বাস করিনি। কিন্তু গত মঙ্গলবার টাকা দেওয়ার তারিখ থাকলেও সে টাকা না দিয়ে উল্টো লোকজন নিয়ে আমাদের ডাকবাংলা দোকানে ভাঙচুর ও হামলা চালায়। বাকি ৩০ লাখ টাকা ফেরত পাওয়ার আশা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দিয়ে যায়। আল- নোমান বলেন, আমি খুলনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। হামলায় আমিসহ আমাদের দোকানের কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছে। দোকান ভাঙচুরে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণনাশের হুমকিতে মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত অবস্থায় আছি। একইসঙ্গে ব্যবসার মূলধনের ৩০ লাখ টাকা পাব কিনা জানি না। প্রতারক আল- আমিনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমার কাছে যে মূল নথিপত্র সেগুলো নিয়ে নেওয়া। যখন তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারেনি তখন আমার দোকান ভাঙচুর এবং আমাদের ওপর হামলা করে চলে যায়। আমি আমার ৩০ লাখ টাকা ফেরত চাই। এ প্রতারক যেন কারও সঙ্গে এমন প্রতারণা না করতে পারে তার জন্য সঠিক তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আল-আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।  খুলনা থানা সহকারী অফিসার নান্নু মন্ডল জানান, আমরা গত মঙ্গলবার একটি লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব দ্রুত এ অভিযোগপত্রের সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০২ মার্চ, ২০২৪

খুবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত রাফি ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পিপি) ফরিদ আহমেদ বলেন, বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের ঘটনায় ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। আদালতের নির্দেশনায় একই বছরের ১১ জানুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই সোহেল রানা আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X