ট্রাম্পের ‘রক্তগঙ্গা’ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন বাইডেন
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২১ সালে ৬ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি দেখতে চান বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রচার-প্রচারণার মুখপাত্র জেমস সিঙ্গার। স্থানীয় সময় শনিবার ওহাইও অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়ে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তারই প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন শিবির থেকে বলা হয় ট্রাম্প আরেকটি ৬ জানুয়ারি দেখতে চান। খবর সিএনএনের। রক্তের বন্যা দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলার মধ্যে তিনি ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘নভেম্বর ৫ তারিখ মনে রাখবেন। আমার মনে হয়, এটা আমাদের দেশের ইতিহাসের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প এ সময় বাইডেনকে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন মেক্সিকোতে গাড়ি বানিয়ে তা আমেরিকাতে বিক্রি করছে। আমি নির্বাচিত হলে তারা এটি করতে পারবে না। আমি যদি নির্বাচিত না হই তাহলে দেশজুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাইডেন শিবির। ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের দাঙ্গার দিকে ইঙ্গিত করে বাইডেনের প্রচার-প্রচারণার মুখপাত্র বলেন, তিনি (ট্রাম্প) আরেকটি ৬ জানুয়ারি দেখতে চান। কিন্তু মার্কিন জনগণ আগামী নভেম্বরে তাকে আবারও নির্বাচনী পরাজয় দিতে চলেছে। কারণ তারা তার চরমপন্থা, সহিংসতার প্রতি ভালোবাসা এবং প্রতিশোধের নেশা প্রত্যাখ্যান করছে। পরে বাইডেনও এ বিষয়ে মুখ খুলেন। ওয়াশিংটনে এক নৈশভোজে তিনি বলেন, স্বাধীনতা আক্রমণের মুখে রয়েছে। ২০২০ সালের নির্বাচন সম্পর্কে মিথ্যাচার, এর ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চক্রান্ত, ৬ জানুয়ারির দাঙ্গা আমেরিকান গৃহযুদ্ধের পর থেকে আমাদের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০২০ সালে তারা ব্যর্থ হয়েছিল, কিন্তু হুমকি রয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের পরে, তার সমর্থকদের একটি দল ওয়াশিংটন ডিসির ইউনাইটেড স্টেটস ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়। তাদের লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বাধা দিয়ে ট্রাম্পকে ক্ষমতায় রাখা। ঘটনার তদন্তকারী হাউস সিলেক্ট কমিটির মতে, এই হামলা ছিল নির্বাচনের ফলাফলকে পাল্টে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনার চূড়ান্ত পরিণতি। এ ঘটনা চলাকালীন ও এর পরে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ১৩৮ পুলিশ কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ আহত হন।
১৮ মার্চ, ২০২৪
X