সংসদে ক্ষোভ শিক্ষা খাতে টাকা ছাড়া কিছুই হয় না
শিক্ষা খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্য লেগেই আছে। টাকা ছাড়া এই খাতে কিছুই হয় না। এই দুর্নীতির কারণে গোটা জাতি গ্রাস হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত বেকার যুবকরা আত্মহত্যা করছে। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় তারা এসব কথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছয়জন সংসদ সদস্য ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন বক্তব্য দেন। ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, শিক্ষায় বরাদ্দ সবসময় জিডিপির লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে থাকে। শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, বৈষম্য লেগেই আছে। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক, শিক্ষাক্রম ও আঞ্চলিক বৈষম্য রয়েছে। মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা একই কর্মস্থলে পাঁচ-সাত বছর ধরে থেকে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন। বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথ বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রশংসনীয়। তবে কুড়িগ্রামের চিলমারীর কেউ বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে নিয়োগ পেলে তিনি যোগদান করেন না। পার্বত্য এলাকায় তো আরও সমস্যা। এ কারণে শিক্ষক নিয়োগের পরও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই নিয়োগটি অঞ্চলভিত্তিক করার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের শূন্যপদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। পংকজ নাথ আরও বলেন, হাইকোর্ট এমপিদের সভাপতি হতে বারণ করলেন। বারবার এমপিরা এটা নিয়ে কথা বলেছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন আপিল করবেন। আসলে এমপিদের সবাই অপমান করেন। সবাই এমপিদের অসম্মান করতে খুব উৎসাহ বোধ করেন। জানি না হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আদৌ আপিল করেছেন কি না। জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ভবন হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার মানের পরিবর্তন হয়নি। আমার পাকা বাড়ি, পাকা পায়খানা, কিন্তু খাবার নেই। এটা হচ্ছে আজকের শিক্ষার অবস্থা। নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, রেলের খালাসি পদে ২ হাজার ১০০ জন ছেলেমেয়ের চাকরি হয়েছে, যাদের সবাই মাস্টার্স পাস। এটা খুবই কষ্টের বিষয়। আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বাড়ানোর পক্ষে। তিনি বলেন, সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি। শিক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। টাকা ছাড়া কোনো শিক্ষক অবসর ভাতা পাচ্ছেন না। আমার শ্যালক শিক্ষক ছিলেন, মারা গেছেন। আমি নিজে তিন বছর তার হয়ে তদবির করেছি, কিন্তু অবসর ভাতা পাননি। এখানে টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। এই সর্বগ্রাসী দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণে গোটা জাতি গ্রাস হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত বেকার যুবকরা আত্মহত্যা করছে। ঝিনাইদহ-২ আসনের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী প্রশাসনিক ব্যয় কমিয়ে শিক্ষা গবেষণায় ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দূরবর্তী জায়গায় অনেকে যোগদান করেন না, এটা ঠিক। তারপরও বিগত ছয় মাসে ৯৯ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এটি একটি সমস্যা, যা আমরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। এই যে একটা বাধা আছে, আমরা আইন সংশোধনের মাধ্যমে তা নিরসনের চেষ্টা করছি। মন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। শিক্ষার তিনটি মন্ত্রণালয় ছাড়াও আরও ১৯টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার জন্য ব্যয় হয়। সেগুলোর অর্থ এই হিসেবে কিন্তু আসেনি। আমরা মনে করি, শিক্ষার জন্য যে বরাদ্দ সেটা যথাযথ।
০১ জুলাই, ২০২৪

উইকেট নিয়ে আফগান কোচের ক্ষোভ
ত্রিনিদাদে প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৫৬ রানে অল আউট হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এটা সর্বনিম্ন স্কোর। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে কোনো দলেরও এটা সবচেয়ে কম রান। এমন বিপর্যয়ের পেছনে উইকেটকে দায়ী করেছেন আফগান কোচ জনাথন ট্রট। একতরফা সেমিফাইনালে আফগানিস্তান হেরেছে ৯ উইকেটে। ম্যাচ শেষে আফগান কোচ জনাথন ট্রট বলেন, ‘খুব বেশি অভিযোগ করে নিজেকে বিপদে ফেলতে চাচ্ছি না। কিন্তু একটা কথা বলতে চাই। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এ ধরনের পিচে করা উচিত নয়। দুই দলের কাছেই সমান সুবিধা থাকা উচিত। আমি বলছি না, একেবারে পাটা উইকেট করা উচিত। কিন্তু এমন পিচে খেলানো উচিত যেখানে সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটারকে ভাবতে হয় না যে, বল মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ব্যাটারদের একটু হলেও আত্মবিশ্বাস দেওয়া উচিত।’ ট্রট আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সবাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চায়। কেউ নিজের উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করে না। এ ধরনের উইকেটে বোলাররা অনেক বেশি সুবিধা পায়। তবে স্বীকার করতে হবে যে, দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের থেকে ভালো বল করেছে। ওরা উইকেটে বল রেখেছে। বাকি কাজটা পিচ করে দিয়েছে।’ ফাইনালে ওঠার পর এইডেন মার্করাম বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বেশ কিছু কঠিন পিচে খেলেছি। তবে আমরা খুশি যে, ত্রিনিদাদের পিচে আমাদের আর খেলতে হবে না।’
২৮ জুন, ২০২৪

নীরবতা ভেঙে আফগান কোচের ক্ষোভ
আবারও উইকেট বিতর্ক। প্রশ্ন উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও একটি স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে। প্রথম সেমিফাইনালের উইকেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট।  ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমির স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অল আউট হয় আফগানিস্তান। নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড এটি। এ ছাড়া আইসিসির বৈশ্বিক আসরের নকআউটের সর্বনিম্ন স্কোরও।  মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ফাইনালে ওঠে প্রোটিয়ারা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় আফগানরা। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এখন আলোচনায় ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমির স্টেডিয়ামের উইকেট।  ম্যাচ শেষে আফগান ইংলিশ কোচ বলেন, খুব বেশি অভিযোগ করে নিজেকে বিপদে ফেলতে চাইছি না। কিন্তু একটা কথা বলতে চাই- বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এ ধরনের উইকেট করা উচিত নয়। দু’দলের কাছেই সমান সুবিধা থাকা উচিত। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি বলছি না, একেবারে ফ্লাট উইকেট করা উচিত। কিন্তু এমন পিচে খেলানো উচিত যেখানে সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটারকে ভাবতে হয় না যে বল মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ব্যাটারদের একটু হলেও আত্মবিশ্বাস দেওয়া উচিত।  টি-টোয়েন্টিতে এ ধরনের উইকেট ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটার, টি-টোয়েন্টিতে সবাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চায়। কেউ নিজের উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করে না। এই ধরনের উইকেটে বোলাররা অনেক বেশি সুবিধা পায়। তবে স্বীকার করতে হবে, দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের থেকে ভালো বল করেছে। ওরা উইকেটে বল রেখেছে। বাকি কাজটা পিচ করে দিয়েছে। প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরও উইকেটের আচরণ নিয়ে খুশি নন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামও। তিনি বলেন, পুরো বিশ্বকাপে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাদের।  দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেন, আমরা শুরু থেকেই বেশ কিছু কঠিন উইকেটে খেলেছি। নিউইয়র্কেও কঠিন উইকেটে ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও বেশ কয়েকটা মাঠে ব্যাট করা কঠিন। আমরা খুশি যে ত্রিনিদাদের উইকেটে আমাদের আর খেলতে হবে না। 
২৭ জুন, ২০২৪

সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে সংসদে ক্ষোভ
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে জাতীয় সংসদে তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন সংসদ সদস্যরা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুর্নীতি সরকারের সব অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানো হয়েছে। তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরও কেন দুর্নীতি হবে? দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলেও রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির দায় নিতে হচ্ছে। আমরা সব পলিটিশিয়ানরা নাকি দুর্নীতি করি। আর ওনারা (আমলারা) কিছু করে না। বাড়ি-গাড়ি করে দেশে-বিদেশে, বেগম পাড়ায়। সুইস ব্যাংকে টাকা রাখে। আজকে দোষ কিন্তু পলিটিশিয়ানদের। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় তারা চাকরিতে নিয়োগের সময় হলফনামা বাধ্যতামূলক এবং প্রতি পাঁচ বছর পর বা পদোন্নতির সময় হলফনামা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান। আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দুর্নীতি সরকারের সমস্ত অর্জন ম্লান করে দিচ্ছে। জিরো টলারেন্স নীতির পরেও দুর্নীতি দমন করতে পারেনি বা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আজকে বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা যায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়। বাজার কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, যদি বাজারে দুর্নীতির অবাধ প্রবাহ থাকলে সেটি কখনো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, এবার দুটি ঘটনায় সারা দেশে আলোচিত হয়েছে। একটা গরুর দাম এক কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে। এটা কারা কিনল? কেন কিনল? বৈধ উপায়ে আয়ে এটা কিনতে পারে না। অবৈধ যাদের উপায়ে যাদের আয় তারা খামখেয়ালিভাবে এভাবে কিনতে পারে। একটা ছাগল কিনল ১৫ লাখ টাকা দিয়ে। এটা কারা করতে পারে। যাদের অবৈধ আয় আছে তারা। বৈধ আয়ে কখনো টাকা পানিতে ফেলতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দুর্নীতিটাকে আগে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। হানিফ বলেন, সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানো হয়েছে। তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরও কেন দুর্নীতি হবে? আজকে দুর্নীতির কথা উঠলে সবাই প্রথমে আঙ্গুল দেখায় রাজনীতিবিদদের দিকে। রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এটা দেশে প্রচলন আছে। অথচ সংসদ সদস্যদের মধ্যে মন্ত্রী ছাড়া কারও নির্বাহী ক্ষমতা নেই। তারা কীভাবে দুর্নীতি করবে? দুর্নীতি হয়তো সরকারের উন্নয়ন ও কেনাকাটায়। সেখানে একজন রাজনীতিবিদের সুযোগ কোথায়? যদি সরকারি কর্মকর্তারা তার সঙ্গে জড়িত না থাকে। হানিফ আরও বলেন, ২০১৮ সালে জনপ্রশাসনে তথ্য এসেছিল এক হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা হয়েছিল। এ রকম হাজার হাজার মতিউররা আছেন। দফায় দফায় বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরেও দুর্নীতি কমানো সম্ভব হয়নি। দুর্নীতির বিধি-বিধানকে বরং আরও নমনীয় ও শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। নামমাত্র দণ্ড দিয়ে তাদের চাকরিতে বহাল রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তারে অনুমতি নেওয়া লাগে না। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হয়। সরকারি কর্মচারী আইন-২০১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি করতে উৎসাহিত করেছে। সরকারি চাকরিজীবীরা ১ বছরের কম শাস্তি পেলে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাবেন না। তাকে তিরস্কার, বিভাগীয় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। যা সুশাসনের সহায়ক না। অথচ স্থানীয় প্রতিনিধিদের এরাই তাৎক্ষণিক বরখাস্ত রাখার ক্ষমতা রাখে। এই আইনের কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের আইনের আওতায় আনতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটা কার্যত অপরাধী সুরক্ষা আইন হিসাবে বিবেচিত। তিনি আইনটি পুর্নবিবেচনা করার অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে প্রথমে ভোগের রাস্তা বন্ধ করতে হবে। রেজিস্ট্রি অফিস, গাড়ির শো-রুম, স্বর্ণালংকার দোকান এখানে প্রতি মাস শেষে যারা জমি, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট রেজিস্ট্রি করেছেন তাদের তালিকা নিয়ে বিশেষ টিম পাঠিয়ে আয়ের বৈধ উৎস জানার কৈফিয়ত চাওয়া হোক। একইভাবে গাড়ি ও স্বর্ণালংকারের দোকান থেকে তালিকা নিয়ে বৈধ আয়ের উৎস জানতে চাওয়া হোক। আমার বিশ্বাস তাহলে অবৈধ আয়কারীদের ভোগ বিলাস বন্ধ হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের হলফনামা দিতে হয়, সমস্ত সম্পদের বিবরণ দিতে হয়। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের হলফনামা দিতে হয় না। আমার প্রস্তাব থাকবে চাকরিতে নিয়োগের সময় হলফনামা বাধ্যতামূলক এবং প্রতি পাঁচ বছর পর বা পদোন্নতির সময় হলফনামা দিতে হবে। যাতে তার সম্পত্তির পরিমাণ জাতি জানতে পারে। এ ছাড়া রাজনীতিবিদরা আনক্লাসিফাইড হয়ে যাচ্ছে। লালমনিরহাট-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, আজকে আমরা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছি। আমি ১৯৮৫ সালে যখন উপজেলা চেয়ারম্যান হই তখন হাতিবান্ধায় ১০টি ইউনিয়ন ছিল। ১৯৮৭ সালে সার্ভে করে হিসাব করলাম ইউনিয়নগুলোর পাকা বাড়িগুলো কাদের। দেখলাম ৯২ শতাংশ বাড়ি হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের। এখন তো আর বলাই যাবে না। এত বাড়ি, এত জমি এত ঘরবাড়ি হলো- আমাদের এত ইন্টেলিজেন্স কেউই টের পেল না। রক্ষক ভক্ষক হলে যা হয়। সেটাই হয়েছে। এদের হাতেই সবকিছু। আমাদের টিআর কাবিখার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখন ডিসি সাহেবকে দেওয়া হয়। বিভাগীয় কমিশনারদের দেওয়া হয়। ইউএনওকেও দেওয়া হয়। আমরা কারা? আমাদের গুরুত্ব তো এভাবেই কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থাকতে নিয়োগ কমিটিতে জেলা প্রেসিডেন্ট বা সাধারণ সম্পাদককে সদস্য রেখেছিলাম। তিন বছর আগে সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা সব পলিটিশিয়ানরা নাকি দুর্নীতি করে। আর ওনারা সবকিছু করেন। অন্য কিছু করে না। বাড়ি গাড়ি করে দেশে বিদেশে, বেগম পাড়ায়। কোন কোন পাড়ায় বাড়ি করে। সুইস ব্যাংকে টাকা রাখে।  আজকে দোষ কিন্তু আমাদেরই। পলিটিশিয়ানদের।  সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি না থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে না। মানুষের মঙ্গল করা যাবে না। আমরা তো পেছনে পড়ে গেছি।
২৫ জুন, ২০২৪

সুযোগ পেয়েও কাজে না লাগানোয় মাশরাফীর ক্ষোভ
প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে খেলার হাতছানি। ১২ ওভার ১ বলে করতে হতো ১১৬ রান। অথচ সেই সুযোগটি নেয়নি বাংলাদেশ। এমনকি আফগানিস্তানের কাছে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে টাইগাররা। এমন হারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্তজা। তিনি লিখেছেন, ‘এই ম্যাচ ১২.১ ওভারে জেতার জন্যই খেলা উচিত ছিল বাংলাদেশের। আর সেটি করতে গিয়ে যদি ৫০ রানেও অলআউট হতো দল দর্শকরা সেটিকে সহজভাবে নিত।’   তিনি আরও লিখেছেন, ‘আর যদি এই ম্যাচ জিততাম, বিবেকের কাছে হেরে যেতাম। এই ম্যাচ আর দশটা ম্যাচের মতো ছিল না আমাদের কাছে। এটা ছিল ইতিহাস গড়ার সমান। এরপরও অবশ্যই আশা দেখি বা দেখব ইন শা আল্লাহ।’ আসরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরি করেন লিটন দাস। ৪৯ বলে অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। এ নিয়ে মাশরাফী লিখেছেন, ‘লিটনের ইনটেন্ট আর নন স্ট্রাইকের নীরবতা দেখে বোঝা যায় ক্লিয়ার কোনো মেসেজ ব্যাটিং ইউনিটের কাছে ছিল না। আর যদি থেকেই থাকে তাহলে এক বলার দুই ওভার পরপর পরিবর্তন হয়েছে, যেটা শেষমেশ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, স্রেফ ম্যাচটা জিতি। প্রথমবারের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা আফগানদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন আফগানদের, কি দারুণ তাদের শারীরিক ভাষা, শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া এবং শেষে তাদের সেলিব্রেশন। নিশ্চই কাবুল এখন কাঁপছে।’
২৫ জুন, ২০২৪

লাউয়াছড়া উদ্যানে প্রবেশ ফি দ্বিগুণের বেশি, দর্শনার্থীদের ক্ষোভ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ ফি দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। তাদের মতে, প্রবেশ ফি বাড়ানোর কারণে এখন থেকে কেউ অযথা প্রবেশ করে বন্য প্রাণীদের বিরক্ত করবেন না। তবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দর্শনার্থীরা। নতুন ও আগের প্রবেশ ফি মিলিয়ে এবার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বেড়েছে। গত ১৩ জুন লাউয়াছড়ার টিকেট কাউন্টারের কালেক্টরের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ৯টি আইটেমে নতুন করে নির্ধারিত টাকা প্রবেশ ফি নেওয়ার নির্দেশনা দেয় বন বিভাগ। আগে লাউয়াছড়ায় প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য প্রবেশ ফি ছিল ৫০ টাকা। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৫ টাকা। অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। জাতীয় উদ্যানটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে আগে বিদেশি পর্যটকদের গুণতে হতো ৫০০ টাকা। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকায়। এ ছাড়া শুটিংয়ের জন্য প্রবেশ ৬ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়। পিকনিক পার্টির জন্য জনপ্রতি ১১ টাকা নেওয়া হলেও নতুন সূচিতে এখন তা হয়েছে ২৩ টাকা। পার্কিংয়ের জন্য ছোট গাড়ির ফি ছিল ২৭ টাকা; এখন সেটা বেড়ে ১১৫ টাকা এবং বড় গাড়ি ফি ১০৫ থেকে বেড়ে ২৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ঈদের ছুটিতে শ্রীমঙ্গল ঘুরতে যান তাপস বড়ুয়া বলেন, পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে শ্রীমঙ্গল এসেছি। গতকাল সকালে লাউয়াছড়ায় গেট থেকে ফিরে এলাম। লাউয়াছড়ায় প্রবেশ করতে প্রায় ৮০০ টাকার টিকিট কাটতে হচ্ছে। পরে আর ভেতরে প্রবেশ করিনি। লাউয়াছড়া উদ্যানের ট্যুরিস্ট গাইড শাহীন মিয়া বলেন, টিকিটের দাম বাড়ার কারণে অনেকেই গেট থেকে ছবি তুলে চলে যাচ্ছেন। গেটের সামনে তাই ভিড় বেশি থাকে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেঞ্জার্ড ওয়াইল্ডলাইফের (সিউ) সমান্বয়ক সোহেল শ্যাম বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ ফি বাড়ানোর বিষয়টি আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। এখানে প্রবেশ ফি বাড়ানোর কারণে পর্যটক কম ঢুকবেন। আমরা প্রায়ই দেখি, পর্যটকেরা লাউয়াছড়ায় ঢুকে প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করেন, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলেন। হইহুল্লোড় করেন। এতে প্রাণীরা সমস্যায় পড়ে। মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাউয়াছড়ায় প্রবেশ ফি বাড়ানোর ফলে এখন থেকে পর্যটক কিছুটা কম প্রবেশ করবেন।’ তার মতে, কম পর্যটক ঢুকলেও সরকারের আগের মতোই রাজস্ব আদায় হবে। এটি প্রাণীদের জন্যও ভালো।
১৮ জুন, ২০২৪

মিরনজিল্লার হরিজনপল্লি উচ্ছেদ চেষ্টায় ক্ষোভ জানিয়ে ৬০ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
দেশের ৬০ বিশিষ্ট নাগরিক ঢাকা (দক্ষিণ) সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মিরনজিল্লার হরিজন সম্প্রদায়কে পূনর্বাসন ব্যতিরেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেইসঙ্গে বিষয়টি মানুষের জীবনের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার বিবেচনা করে মিরনজিল্লা হরিজন সম্প্রদায়কে পূর্নবাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবি জানিয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দেশের ৬০ বিশিষ্ট নাগরিক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মিরনজিল্লা কলোনিতে ৩ ও ৪ জুন উচ্ছেদ অভিযানে চার প্লাটুন পুলিশ চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ওই নির্ধারিত দিনে তারা কিছু করেনি। কিন্তু গত ৯ জুন বেলা এগারটার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বাধা দেন। কর্তৃপক্ষ একটি বাউন্ডারি দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙ্গে ওই দিনের মতো ফিরে আসে। এর পূর্বে ৬ জুন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মিরনজিল্লা হরিজন পল্লী উচ্ছেদের প্রতিবাদে বংশালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আগা সাদেক সড়কে কলোনির সামনে ‘বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ’ মানববন্ধনের আয়োজন করে। তারা সমস্বরে বলেছেন, বংশালের এই পল্লী ঘিরে ৪০০ বছরের পুরোনো বসতি। যেখানে কয়েক হাজার মানুষ গাদাগাদি করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চলমান এই অবস্থার এখান থেকে উচ্ছেদ হলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব, মেয়রের এই সিদ্ধান্ত চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলেও মনে করেন হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ।   যদিও বস্তি উচ্ছেদ মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে পুনর্বাসন ছাড়া কোন বস্তি বা কলোনী উচ্ছেদ করা যাবে না। কারণ সংবিধানে জনগনের বাসস্থানের অধিকার রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত। সেইসঙ্গে সুপ্রীম কোর্ট অভিমত দেয় যে, বাসস্থানের অধিকার তার জীবন ধারনের অধিকারের সামিল যা আমাদের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত ৬ জুনের সংবাদে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ মে হরিজন সেবক সমিতির পক্ষ থেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর দেওয়া চিঠিতে কলোনির আবাসন সংকট সমাধানে পাঁচটি ১০ তলা ভবন নির্মাণের আবেদন করা হয়। একই বছরের ১৬ মে দক্ষিণ সিটির ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়াল হোসেন মেয়র বরাবর দেওয়া চিঠিতে মিরনজিল্লা হরিজন সুইপার কলোনিতে ১০ তলা বিশিষ্ট পাঁচটি ভবন নির্মাণের অনুরোধ জানান।    কিন্তু বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক কাঁচাবাজার করার নামে হরিজনদের কলোনির একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া শুধু অমানবিক নয়, তা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না বা আবাসন থেকে বঞ্চিত হবে না, সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) পুরান ঢাকার বংশালের আগা সাদেক রোডের মিরনজিল্লার সুইপার কলোনির সংখ্যালঘু হরিজন সম্প্রদায়কে গৃহহারা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কি প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গীকার মানার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে না? তাই নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে দাবি জানাচ্ছি কোন অবস্থায়ই মিরনজিল্লার হরিজন সম্প্রদায়কে পূনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা যাবে না। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তার হস্তক্ষেপ আশা করছি। একইসঙ্গে সরকার ও সিটি কর্পোরেশনকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, এই সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ, যার মূল কথাই হচ্ছে কাউকে পিছনে ফেলে রাখা যাবে না, আর প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীর মধ্যে রয়েছেন— মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. জেড আই খান পান্না, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ।
১৪ জুন, ২০২৪

চার রান না ‘পাওয়া’য় নেটিজেনদের ক্ষোভ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো হারানোর দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ। তবে একেবারে তীরে এসে তরী ডুবেছে টাইগারদের। বোলারদের দাপটে প্রোটিয়াদের ১১৩ রানে আটকে দিয়েও চার রানে ম্যাচ হারতে হয় টাইগারদের। এ হারে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দায় যেমন আছে, তেমনি রয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়েরও। নেটিজেনদের দাবি বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রিকেট ভক্ত, সকলে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারিং নিয়ে।    সোমবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়ার ১১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করছিল বাংলাদেশ। দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা টাইগারদের পথ দেখান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহীদ হৃদয়। ১৭তম ওভার শুরুর সময় জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলেন ২৪ বলে ২৭ রান। কিন্তু নাটকীয় সব ঘটনা ঘটে ওটনিল বার্টম্যানের করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে। প্রথম বলটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লেগে ফাইন লেগ দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। প্রোটিয়া ফিল্ডারদের আবেদনে সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে রিয়াদকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার।  দ্রুত রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ। এতে দেখা যায় বলটি লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে ছিল। ফলে বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় আম্পায়ারকে। রিভিউতে মাহমুদউল্লাহ আউট থেকে বাঁচলেও ক্ষতি হয়ে যায় চার রান হারিয়ে। আর এই চার রানেই ম্যাচ হারে টাইগাররা।   ম্যাচের সেই আউট নিয়ে বিশ্লেষকদের সঙ্গে সমালোচনায় মেতেছেন সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এ আউট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বারবার। দাবি তুলেছেন আইসিসির এই অদ্ভুত নিয়ম পরিবর্তনের।  এক ব্যবহারকারী সরাসরি এ ম্যাচের আম্পায়ারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ফেসবুকের বাইরেও সামাজিকমাধ্যমের আরেকটি প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) বাংলাদেশের পক্ষে ভক্তরা পোস্ট করছেন। এক্সের অন্যতম বড় ক্রিকেটভিত্তিক অ্যাকাউন্ট ক্রিকজনস বাংলাদেশের পক্ষে পোস্ট করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য কষ্ট লাগছে।  তার সেই পোস্টে বেশিরভাগ কমেন্টকারী বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন। অন্য জায়গাতেও বাংলাদেশের পক্ষ নেওয়া হলেও অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলেছে টাইগারদের ম্যাচ শেষ করার সামর্থ্য নিয়েও। কারণ আর যাই হোক ২৪ বলে ২৭ রানের ম্যাচ কারও পক্ষে হারার কথা নয়। যেখানে হাতে উইকেট ছিল ৫টি।  আরেক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছেন এরকম আইন এখনো থাকবে কেন? তবে যাই হোক শান্ত-হৃদয়দের পক্ষে সমালোচনা হলেও এই ম্যাচের হতাশা বাংলাদেশকে পোড়াবে অনেক দিন। 
১১ জুন, ২০২৪

৩ কারণে জিয়াউর রহমানের প্রতি আ.লীগের ক্ষোভ : মিলন  
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক মিলন বলেছেন, জিয়াউর রহমানের প্রতি আওয়ামী লীগ এত ক্ষোভ কেনো? ৩টা কারণে তাদের ক্ষোভ।  তিনি বলেন, ক্ষোভে একটা কারণ হলো- আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ব্যর্থ হয়েছিল। এজন্য তারা পরশ্রীকাতর হয়। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তারিখটা যখন আসে তখন। কেননা সেদিন সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান আবারও ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছিলেন। আরেকটি কারণ হলো ৩০ মে। কারণ শেখ হাসিনা জানে সেদিন জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদিনে শেরেবাংলা নগরে ৩০ লক্ষাধিক লোক জিয়াউর রহমানের জানাজা পড়েছে। অন্যদিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জানাজা পড়েছে  ২২-২৩ জন লোক। এজন্য তাদের ক্ষোভ।  রোববার (৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই দোষটা আমাদের না। এই ব্যর্থতা তো আওয়ামী লীগের। ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। ষড়যন্ত্র করেছে আওয়ামী লীগ। অতএব নিজেদের ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমানকে, বেগম খালেদা জিয়াকে এবং তারেক রহমানকে আক্রমণ করে কথা বলা আপনাদের শোভা পায় না। ফজলুল হক মিলন বলেন, জিয়াউর রহমানের প্রবর্তিত সকল কর্মসূচি আওয়ামী লীগ পালন করে। কিন্তু শেখ মুজিবের প্রবর্তিত কোনো কর্মসূচি শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ পালন করে না। অর্থাৎ জিয়াউর রহমানের প্রবর্তিত সকল কর্মসূচি আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনাসহ সকল রাজনৈতিক দল পালন করে। কিন্তু শেখ মুজিবের প্রবর্তিত কোনো কর্মসূচি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ পালন করে না। তিনি বলেন, সার্ক গঠন করেছিল জিয়াউর রহমান। সেখানেও আপনারা যান অতিথি হয়ে। পারলে সেটা বন্ধ করেন। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জিয়াউর রহমানের। বৃক্ষ তো আপনিও লাগাইছেন। বাতিল করে দেন পারলে। খাল খনন কর্মসূচি জিয়াউর রহমানের। সেটাও আওয়ামী লীগসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল পালন করে। আপনার পিতা রক্ষী বাহিনী করেছিল। আপনি রক্ষী বাহিনী করেন। দেখি সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করে পারেন কি না? বয়স্ক শিক্ষা জিয়াউর রহমানের কর্মসূচি। বাতিল করতে পারবেন না। পল্লি চিকিৎসক জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি। বাতিল করতে পারেন নাই। অতএব জিয়াউর রহমানের প্রবর্তিত সকল কর্মসূচি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ পালন করে। আর শেখ মুজিবের কর্মসূচি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ পালন করে না। কারণ জিয়া ছিলেন দূরদর্শী। উনি মানুষের জন্য যে কর্মসূচি দিয়েছেন তা যুগের পর যুগ মানুষের কল্যাণের জন্য দিয়েছিলেন। যার জন্য এ কর্মসূচি জীবিত আছে এবং জীবিত থাকবে। মিলন আরও বলেন, আজকে উৎপাদনে, খাল খননে, জনশক্তি রপ্তানিতে, গার্মেন্টস শিল্প স্থাপনে, ওআইসি’র সম্মেলনে সবখানেই জিয়াউর রহমানের ছোঁয়া রয়েছে। যত কল্যাণকর কর্মকাণ্ড রয়েছে সবকিছুতেই জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। উনি কর্মসূচি ও কর্মপন্থা রেখে গেছেন। সেগুলোকে ধারণ করেই বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা আমাদের মহান দায়িত্ব। মানুষের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ড. মো. রইছ উদদীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, ড. কামরুল আহসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, রুয়েটের অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আলী নূর রহমান, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শামীউল আক্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো. আমজাদ হোসেন, শের মাহমুদসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
০৯ জুন, ২০২৪

গাজীপুরে রেলগেট সড়ক বেহাল, এলাকাবাসীর ক্ষোভ
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জয়দেবপুর লেভেল ক্রসিংয়ের দুই পাশে বেহাল সড়কের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক লাখ মানুষকে। ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সড়কটি প্রায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নির্বিকার প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সড়ক সংস্কার ও মেরামতের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, শিববাড়ি-রাজবাড়ী সড়ক গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নগর ভবন, পুলিশ সুপার কার্যালয়, জেলার সব আদালত, তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করতে হয় লাখো মানুষের। এ সড়কের জয়দেবপুর লেভেল ক্রসিংয়ের দুই পাশে ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে বড় বড় গর্ত হওয়ায় পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। মেরামতের অভাবে সড়কটিতে সামান্য বৃষ্টির পানিতেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমনিতে লেভেল ক্রসিংয়ের কারণে এই এলাকায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকত। এখন সড়কের এমন দশা হওয়ায় যানজট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে এই সড়ক ব্যবহারকারীদের। এদিকে জয়দেবপুর রেলস্টেশনের রেলগেট এলাকায় সড়ক সংস্কার, বাইপাস সড়ক নির্মাণ, সিএনজি ও অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণসহ বাসযোগ্য সিটির দাবিতে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে মানববন্ধন হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) সকালে শহরের রেলগেট এলাকায় গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ কর্মসূচি পালন করে।  সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আলী আকবর, অ্যাড. জাকির হোসেন, ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আলী আক্কাস। বক্তারা বলেন, গাজীপুর একটি বিশেষ জেলা হলেও এখানে রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। জয়দেবপুর রেলগেট এলাকায় ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানকার অধিবাসীদের। এ ছাড়া লেভেল ক্রসিংয়ে দীর্ঘ সময় যানজটে পড়তে হচ্ছে নগরবাসিকে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে সড়ক সংস্কার, রেলস্টেশন দুই পাশে বাইপাস সড়ক ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে হবে। স্থানীয় গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক বলেন, এত দিন জয়দেবপুরের রেলগেট আমাদের জন্য গলার কাঁটা ছিল। এখন এ সড়কের ভাঙাচোরা ও খানাখন্দ আমাদের সমস্যার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামত না করায় বড় বড় গর্ত হয়ে পানি জমে দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে এখানে যানজট লেগে থাকছে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। জেলা প্রশাসন তার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও এদিকে নজর দেন না। আমরা সিটি করপোরেশনে ট্যাক্স দিচ্ছি কিন্তু সেবা পাচ্ছি কোথায়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম সফিউল আজম সাংবাদিকদের বলেন, আগে কয়েকবার মেরামত করা হলেও রাস্তাটি কিছুদিন পরপরই ভেঙেচুরে যায় এবং জনদুর্ভোগ বাড়ে। এ কারণে রাস্তাটি আরসিসি করার জন্য ইতিমধ্যে ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হবে।
০৭ জুন, ২০২৪
X