Thu, 04 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
এমপি আনার হত্যা, যেভাবে পালিয়ে যান ফয়সাল
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরে উন্নয়ন ইস্যু প্রাধান্য পাবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ ঘণ্টা আগে
দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার : নিতাই রায়
৪ ঘণ্টা আগে
পরিবেশ দিবসের পুরস্কার বিতরণ করলেন মন্ত্রী
৪ ঘণ্টা আগে
সরকারের ষড়যন্ত্র সফল হবে না : গয়েশ্বর
৪ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৪ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দুই কোরিয়ার
আবারো নতুন একটি অস্ত্র পরীক্ষা করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার। চলতি সপ্তাহে সর্বাধুনিক একাধিক ওয়ারহেড বা সূচালো মাথাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে কিম জং উনের প্রশাসন যা দুই কোরিয়ার মধ্যে নতুন করে বিবাদের জন্ম দিয়েছে। রাজধানী পিয়ংইয়ং বলেছে যে তারা এই সর্বাধুনিক একাধিক ওয়ারহেড বা সূচালো মাথাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং এর কয়েক ঘণ্টা পরে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ‘সফল’ হয়েছে বলে ব্যাপক গুণগান গাইতে থাকে। বৃহস্পতিবার প্রমাণ হিসাবে এ সংক্রান্ত কিছু ছবিও প্রকাশ করে দেশটি। তবে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া পিয়ংইয়ংয়ের এই দাবিকে ‘প্রতারণা এবং অতিরঞ্জন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয় এই দাবিকে সামনে রেখে নিজস্ব প্রমাণও প্রকাশ করেছে তারা। এদিকে উত্তর কোরিয়ার এই দাবির সত্যতা সম্পর্কে অনেকটা গোলক ধাঁধায় বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ও সেখানে তারা অস্ত্র কতটা উন্নত করে তুলছে, নানা জটিলতার কারণে সেটা যাচাই করা সহজ নয়। তবে উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ দাবি সত্য হলে, তারা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বলেই প্রমাণিত হবে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একাধিক ওয়ারহেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করা কঠিন এবং এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে যে প্রযুক্তি দরকার সেটা অর্জন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্র এবং ১৯৬০-এর দশকে এ ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনেরও এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানা গেছে। পিয়ংইয়ং এখন ঘোষণা করছে, তারাও এমন সক্ষমতা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বিশেষজ্ঞরা উত্তর কোরিয়ার এই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, দেশটির কিছু সময়ের জন্য এমআইআরভি সক্ষমতা অর্জনের সম্ভাবনার রয়েছে। এমআইআরভি হলআ আলাদাভাবে একাধিক লক্ষ্যে নিক্ষেপ করা যায় এমন পুনঃপ্রবেশকারী যান। এটি এমন এক প্রযুক্তি যেখানে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ওয়ারহেড যুক্ত থাকে যা উৎক্ষেপণের পরে আলাদা হয়ে যায়। এরপর ওয়ারহেডগুলো তাদের নিজস্ব রকেট দ্বারা চালিত হয়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে অস্ত্রটিকে বিশেষভাবে কার্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। উত্তর কোরিয়া দাবি, প্রতিটি ওয়ারহেড তাদের লক্ষ্যবস্তুতে ‘সঠিকভাবে’ আঘাত হেনেছে। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ওয়ারহেডগুলো কতো দূর পর্যন্ত উড়েছে সেটা পরিমাপ করতে ‘সংক্ষিপ্ত পরিসরে’ ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানায় রাষ্ট্রীয় মিডিয়া। এ বিষয়ে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়েছে। এর অর্থ হলো এটি বাইরের মহাকাশে প্রবেশ করেনি বরং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতরেই অবস্থান করেছে। উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র বিশেষজ্ঞ এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ভ্যান ভ্যান ডিয়েপেন বলেছেন, পরীক্ষা সফল হয়েছে কি না এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য যাই হোক না কেন, এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট তা হলো উত্তর কোরিয়া হয়তো কিছুটা সাফল্য অর্জন করে থাকতে পারে। মার্কিন সরকার, যাদের কাছে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি বিশ্লেষণ করার সবচেয়ে ভালো উপায় রয়েছে, তারা এ বিষয়ে আলোকপাত করতে পারে বরং সেটাই করা উচিত হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, বিস্ফোরিত মাঝ-আকাশেই
সম্ভাব্য হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে এ পরীক্ষায় সফল হতে পারেনি দেশটি। বুধবার (২৬ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে তা উৎক্ষেপণের পর মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোরের দিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আহে দক্ষিণ সীমান্তের দিকে একটি ময়লাভর্তি বেলুন পাঠায় উত্তর কোরিয়া। এ ঘটনার জেরে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেয়ন বিমানবন্দর তিন ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পিইংইয়ংয়ের কাছাকাছি একটি এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিস্তারিত বিশ্লেষণ করছে। দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, হাইপারসনিক বলে মনে হওয়া ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। তবে উৎক্ষেপণের পর এটি প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে। জাপানের পক্ষ থেকেও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে আছড়ে পড়েছে।
২৬ জুন, ২০২৪
যুদ্ধ হলে ইসরায়েলে ৫ লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে লেবানন
যে কোনো মুহূর্তে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা শুরু করতে পারে ইসরায়েল। অন্যদিকে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, ইসরায়েল হামলা চালালে সমুচিত জবাব দেবে তারা। ইসরায়েলের স্পর্শকাতর সব লক্ষ্যবস্তুর ফুটেজ প্রকাশ করে সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকিও দিয়ে রেখেছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের গ্র্যান্ড শিয়া মুফতি শেখ আহমাদ কাবালান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, লেবাননের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করা হলে ইসরায়েল অভিমুখে পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে হিজবুল্লাহ। খবর আল আরাবিয়ার। শেখ আহমাদ কাবালান রোববার বৈরুতে এক বক্তব্যে বলেন, পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েল যেন পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত সহ্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বিধ্বংসী ক্ষমতা ইহুদিবাদী দখলদার সরকারকে ৭০ বছর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা ইসরায়েলের স্বার্থ নয় বরং প্রতিরোধ ফ্রন্টের স্বার্থ রক্ষা করবে। প্রতিরোধ ফ্রন্ট কেবল লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হিজবুল্লাহকে পরাজিত করা সম্ভব বলে এক চরম বিভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কাছে সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও গত আট মাস ধরে তারা গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরাজিত করতে পারেনি। অথচ গাজার যোদ্ধারা সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সাধারণ মানের অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করছে। পক্ষান্তরে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এক বিশাল সমরাস্ত্র ভান্ডার। লেবাননের শিয়া গ্রান্ড মুফতির এ হুঁশিয়ারির আগে হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ গত বুধবার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ইহুদিবাদীরা যদি লেবাননের বিরুদ্ধে পূর্ণ-মাত্রার আগ্রাসন চালায়, তাহলে ইসরায়েলের কোনো অংশ তার যোদ্ধাদের হামলা থেকে বাদ যাবে না। এরপর রোববার হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করে তেল আবিবকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ তেল আবিবকে এই বার্তা দিতে চেয়েছে যে, পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে এসব স্থাপনাকে টার্গেট করা হবে।
২৫ জুন, ২০২৪
‘যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েলে ৫ লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে লেবানন’
যে কোনো মুহূর্তে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা শুরু করতে পারে ইসরায়েল। হামলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশও দিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি। অন্যদিকে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, ইসরায়েল হামলা চালালে সমুচিত জবাব দেবে তারা। ইসরায়েলের স্পর্শকাতর সব লক্ষ্যবস্তুর ফুটেজ প্রকাশ করে সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকিও দিয়ে রেখেছে হিজবুল্লাহ। এমন সময় লেবাননের গ্রান্ড শিয়া মুফতি শেখ আহমাদ কাবালান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, লেবাননের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করা হলে ইসরায়েল অভিমুখে পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে হিজবুল্লাহ। তিনি রোববার বৈরুতে এক বক্তব্যে বলেন, পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েল যেন পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত সহ্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বিধ্বংসী ক্ষমতা ইহুদিবাদী দখলদার সরকারকে ৭০ বছর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। লেবাননের শিয়া গ্রান্ড মুফতি আরও বলেন, উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা ইসরায়েলের স্বার্থ নয় বরং প্রতিরোধ ফ্রন্টের স্বার্থ রক্ষা করবে। প্রতিরোধ ফ্রন্ট কেবল লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। শেখ আহমাদ কাবালান বলেন, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হিজবুল্লাহকে পরাজিত করা সম্ভব বলে এক চরম বিভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিনি জানান, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কাছে সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও গত আট মাস ধরে তারা গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরাজিত করতে পারেনি। অথচ গাজার যোদ্ধারা সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সাধারণ মানের অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করছে। পক্ষান্তরে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এক বিশাল সমরাস্ত্র ভাণ্ডার। লেবাননের শিয়া গ্রান্ড মুফতির এ হুঁশিয়ারির আগে হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ গত বুধবার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ইহুদিবাদীরা যদি লেবাননের বিরুদ্ধে পূর্ণ-মাত্রার আগ্রাসন চালায় তাহলে ইসরায়েলের কোনো অংশ তার যোদ্ধাদের হামলা থেকে বাদ যাবে না। এরপর রোববার হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করে তেল আবিবকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ তেল আবিবকে এই বার্তা দিতে চেয়েছে যে, পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে এসব স্থাপনাকে টার্গেট করা হবে।
২৪ জুন, ২০২৪
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বাড়িঘর ও বাসে আগুন
টানা তিন দিন ধরে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটির হামলায় ইসরায়েলের বাড়িঘর ও একটি বাসে আগুন লেগে গেছে। গত শুক্রবার টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা শুক্রবার রকেট, ড্রোন ও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের মেতুলা ও দখলকৃত শেবা ফার্মস এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, লেবানন থেকে চালানো এ হামলায় মেতুলার দুটি বাড়ি ও একটি বাসে আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা ও দেশটির কৃষকদের লক্ষ্য করে অন্তত পাঁচটি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একটি এলাকায় আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে চারটি দল কাজ করছে। অন্য এলাকায় আগুনের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দেড় শতাধিক রকেট হামলা করে হিজবুল্লাহ। সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমি ও আপার গ্যালিলিও এলাকায় এ হামলা করা হয়। এ ছাড়া গত বুধবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সকাল থেকে দফায় দফায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, আট মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এটি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর চালানো অন্যতম বড় রকেট হামলা। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, লেবানিজ গোষ্ঠীটির এবারের হামলায় লক্ষ্য করা হয়েছে তাইবেরিয়াসকে। চলমান যুদ্ধে এর আগে এই অঞ্চলে কোনো রকেট ছোড়েনি হিজবুল্লাহ। রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। এর আগে গতকাল রাতে লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে দখলদার ইসরায়েল হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হামলার প্রতিবাদেই একসঙ্গে এত রকেট ছোড়া হয়েছে।
১৬ জুন, ২০২৪
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বাড়িঘর ও বাসে আগুন
টানা তিন ধরে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটির হামলায় ইসরায়েলের বাড়িঘর ও একটি বাসে আগুন লেগে গেছে। শুক্রবার (১৪ জুন) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা শুক্রবার রকেট, ড্রোন ও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের মেতুলা ও দখলকৃত শেবা ফার্মস এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, লেবানন থেকে চালানো এ হামলায় মেতুলার দুটি বাড়ি ও একটি বাসে আগুন ধরে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা ও দেশটির কৃষকদের লক্ষ্য করে অন্তত পাঁচটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একটি এলাকায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে চারটি দল কাজ করছে। অন্য এলাকায় আগুনের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। בעקבות ירי רקטות מלבנון, שריפה פרצה סמוך לקיבוץ יראון שבגליל העליון ומאיימת להגיע לבתים@rubih67 pic.twitter.com/KtYvujzZqz — כאן חדשות (@kann_news) June 14, 2024 এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দেড় শতাধিক রকেট হামলা করে হিজবুল্লাহ। সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমি ও আপার গ্যালিলিও এলাকায় এ হামলা করা হয়। এ ছাড়া গত বুধবার (১২ জুন) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সকাল থেকে দফায় দফায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গত ৮ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এটি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর চালানো অন্যতম বড় রকেট হামলা। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, লেবানিজ গোষ্ঠীটির এবারের হামলায় লক্ষ্য করা হয়েছে তাইবেরিয়াসকে। চলমান যুদ্ধে এর আগে এই অঞ্চলে কোনো রকেট ছোড়েনি হিজবুল্লাহ। রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। এর আগে গতকাল রাতে লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে দখলদার ইসরায়েল হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হামলার প্রতিবাদেই একসঙ্গে এত রকেট ছোড়া হয়েছে।
১৫ জুন, ২০২৪
বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া
গাজায় রক্তাক্ত অভিযান চালিয়ে চার জিম্মিকে উদ্ধারের মধ্যেই ভয়ংকর খবর পেয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করেছে লেবাননের যোদ্ধাদের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান থেকে গাজায় বোমা ফেলা হচ্ছে। এতে সেখানকার স্থাপনা বালুর ডিবির মতো গুঁড়িয়ে পড়ছে। সেই যুদ্ধবিমানই তাড়া খেল। বলা হচ্ছে, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এবারই প্রথমবারের মতো এ ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নেতানিয়াহুর সেনারা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের দিকে প্রথমবারের মতো বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। রোববার দক্ষিণ লেবাননের আকাশে উড়া এমন একটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এমন ধাওয়া দেয় প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটির একটি ইউনিট। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলেছে, হিজবুল্লাহ বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের ধাওয়ার মুখে পড়লেও কোনো গুরুতর হুমকির মুখে পড়েনি ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি। গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধ শুরুর পর এবারই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হলো। ইসরায়েলি বিমানকে লক্ষ্য করে বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরই উপকূলীয় শহর টায়ারের কাছে ড্রোন হামলার মাধ্যমে হিজবুল্লাহর পুরো দলটিকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেছে আইডিএফ। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইরানপন্থি প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটি। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা করে আসছে। হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সমর্থনে তারা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করছে। এসব পাল্টাপাল্টি হামলায় দুপক্ষের বহু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা নিয়ে সফরের প্রাক্কালে হামাসের সিনিয়র নেতা এই সামি আবু জুহরি এমন আবেদন জানান বলে তথ্য দেয় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১১ জুন, ২০২৪
মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা!
লোহিত সাগরে মোতায়েন থাকা মার্কিন বিমানবাহিনী রণতরী আইজেনহাওয়ারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি যোদ্ধারা। ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। হুতির সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি শুক্রবার (৩১ মে) এ দাবি করেছেন। খবর রয়টার্সের। ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ছয়টি হামলা চালিয়েছে। এতে ১৬ জন নিহত ও বেসামরিক নাগরিকসহ ৪১ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার জবাব দিতেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে মার্কিন বিমানবাহিনী রণতরী আইজেনহাওয়ারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে কিনা, প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। হুতির সামারিক মুখপাত্র বলেন, হোদেইদাহ প্রদেশের সালিফ বন্দর, আল-হক জেলার একটি রেডিও ভবন, ঘালিফা শিবির ও দুটি বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। মার্কিন ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীও জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে ‘হুতি লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে, যাতে গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে আর বিঘ্ন ঘটাতে না পারে। উল্লেখ্য, গেল কয়েক মাস ধরে ইয়েমেনের হুতি সদস্যরা লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, যে জাহাজগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক রয়েছে, সেগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করছে তারা।
৩১ মে, ২০২৪
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পূর্ব সীমান্তে জাপান সাগরে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী জাপান সাগরে একের পর এক স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। বৃহস্পতিবার এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, পিইয়ংইয়ং বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্বাঞ্চলের উপকূলে অন্তত ১০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ৩৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে সক্ষম। উত্তর কোরিয়ার এ আচরণকে উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি জাপানও নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, জাপানের সমুদ্রসীমার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ধরনের উসকানিমূলক আচরণেরও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র থেকে মুক্তে করা ইস্যুতে বৈঠক করেছেন চীন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তার। এ জোটের সবশেষ ২০১৯ সালে বৈঠক হয়েছিল। সোমবারের এ বৈঠকের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে পিইয়ইয়ং। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ ঘটনাকে গভীরভাবে উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়েছে, নিজেদের পরামাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েছে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবেশী দেশগুলোর এমন আচরণ তারা প্রত্যাশা করে না বলেও উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ২৭ মে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে আরও একটি ‘গোয়েন্দা’ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। কিন্তু উৎক্ষেপণের চার মিনিটের মাথায় সেটি সাগরে ভেঙে পড়ে। কেসিএনএ জানায়, ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ‘গোয়েন্দা’ উপগ্রহটি ভেঙে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এবারই প্রথম ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে তরল অক্সিজেন-পেট্রোলিয়াম ব্যবহার করেছিল উত্তর কোরিয়া। সেটির গোলযোগের কারণেই কয়েক মিনিটের মধ্যে সমুদ্রে ভেঙে পড়ে উপগ্রহটি।
৩০ মে, ২০২৪
বিধ্বংসী সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত
আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের যুগে প্রবেশ করল ভারত। দেশটি এবার শূন্য থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। বুধবার (২৯ মে) করা এই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে নিজেদের প্রযুক্তিতে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নরেন্দ্র মোদির সশস্ত্র বাহিনী। আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সু৩০-এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে রুদ্রম-২ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি সহজে শত্রুপক্ষের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারে। এটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি পরিসর থেকে শত্রুর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এবং রাডার সংকেত বিশ্লেষণে সক্ষম। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিভিন্ন উচ্চতা থেকে নিক্ষেপ করা যায়। শূন্য থেকে এটি ভূমিতে থাকা শত্রুর ঘাঁটিতে আছড়ে পড়ে। রুদ্রম-২ হলো দেশীয়ভাবে উন্নত ‘সলিড-প্রপেলড এয়ারলঞ্চড মিসাইল সিস্টেম’, যা অনেক ধরনের শত্রু সম্পদকে ধ্বংসে ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে শত্রুর ট্র্যাকিং সিস্টেম ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তছনছ করে দিতে পারে। এর ফলে ভূমিতে থাকা শত্রুপক্ষ আকাশ থেকে হওয়া হামলা ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হবে, যা যুদ্ধে সহজে ভারতকে জয় এনে দেবে। সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দ্রুত উন্নতি বলছে, ভারত ধীরে ধীরে প্রতিরক্ষা খাতে পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠছে। বর্তমানে রাশিয়ার তৈরি অ্যান্টি রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র কেএইচ-৩১ ব্যবহার করছে ভারত। রুদ্রম পুরো দমে উৎপাদন শুরু হলে ভারতের সশস্ত্রবাহিনী আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এই মাসের শুরুর দিকে ভারত সফলভাবে টর্পেডো সিস্টেমের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধযান পরীক্ষা করেছে। এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন সংস্করণের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল।
৩০ মে, ২০২৪
আরও
X