গেমিং টেবিলের নামে ফের আসছে ক্যাসিনো সরঞ্জাম
কাগজপত্রে গেমিং টেবিল দেখিয়ে দেশে ফের নিয়ে আসা হয়েছে ক্যাসিনো সরঞ্জাম। টাইগার করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা পণ্য চালানে পাঁচটি ক্যাসিনো টেবিল পেয়েছেন শুল্ক কর্মকর্তারা। এ কারণে পণ্য চালানটি আটকে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডের পর এসব সরঞ্জাম আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল থাকলেও মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে এ ধরনের পণ্য নিয়ে এসেছেন টাইগার করপোরেশনের মালিক আরাফাত রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে চীনা গেমিং টেবিল ঘোষণা দিয়ে মূলত ক্যাসিনোর পাঁচটি টেবিল নিয়ে এসেছে রাজধানী ঢাকার টাইগার করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি খালাসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার পর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ চালানটি কায়িক পরীক্ষা করে। এতে পণ্য চালানের মধ্যে ক্যাসিনোর টেবিল দেখতে পান শুল্ক কর্মকর্তারা। এতে আটকে যায় টাইগার করপোরেশনের পণ্য চালান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘ক্যাসিনো টেবিল আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধ পণ্য। ঘোষণা ও ঘোষণা ছাড়া কোনোভাবে এ পণ্য আমদানি করা যাবে না। একটি পণ্য চালানে ক্যাসিনো টেবিল পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে আমদানিকারককে শোকজ করা হবে। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফকিরেরপুল ইয়াংম্যান্স ক্লাবে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। এরপর একে একে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ক্লাবে র্যাবের ধারাবাহিক অভিযানে বেরিয়ে আসতে থাকে ক্যাসিনোর অন্ধকার জগৎ। এর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের তৎকালীন বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। সেই অভিযানের প্রাথমিক ধাপেই পদ হারান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। পরে তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়। শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে যুবলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পদ হারান সংগঠনটির তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সে সময় রাজধানীতে আটটি ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে তিনটি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আনুমানিক ২৭০ কোটি টাকার মতো এফডিআর ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। সেই সময় ঢাকায় ফকিরেরপুল ইয়াংম্যান্স ক্লাব, ওয়ারান্ডার্স ক্লাব, মোহামেডান ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ, কলাবাগান ক্রীড়া চক্র, ধানমন্ডি ক্লাব, ফু-ওয়াং ক্লাব এবং চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা, আবাহনী ও মোহামেডান ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এসব ক্লাব থেকে কয়েক কোটি টাকা দামের ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধার করে সংস্থাটি। সেই সময় ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ছাড়াও যুবলীগ নেতা কাজী আনিসুর রহমান, এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীম, সেলিম প্রধান, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সহসভাপতি এনামুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মোট ৫৫টি মামলা হয়। এর মধ্যে বিচারিক আদালতে এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি মামলার রায় হয়েছে। এতে জি কে শামীম, সেলিম প্রধান, এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়াসহ ২০ জনের সাজা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডের পর আমদানি নীতি আদেশে ক্যাসিনো সরঞ্জাম আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে; কিন্তু এই নিষিদ্ধ পণ্য মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করেছে টাইগার করপোরেশন, যার মালিক আরাফাত রহমান। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন এই টাইগার করপোরেশন মে মাসে চীন থেকে একটি পণ্য চালান নিয়ে আসে। এই পণ্য চালান শুল্কায়নের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে প্রতিষ্ঠানটির মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের ইস্ট ওয়েস্ট এজেন্সি লিমিটেড। জানা গেছে, টাইগার করপোরেশনের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় তাদের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ইউনিট। আর বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পরপণ্য চালানটি লক করে। পরে ১ জুন পণ্যের চালানটি কায়িক পরীক্ষা করে। এতে বাসের স্পেয়ার্স পার্টস থেকে শুরু করে পিভিসি কোডেট নামীয় পণ্য পায়। এর সঙ্গে ছিল ৫০০ কেজি ওজনের পাঁচটি টেবিল। এ টেবিল দেখেই শুল্ক কর্মকর্তারা ক্যাসিনো টেবিল হিসেবে শনাক্ত করেন। এই পণ্য চালানে ঘোষণা অতিরিক্ত পণ্য ছিল বলেও কায়িক পরীক্ষার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাইগার করপোরেশনের মালিক আরাফাত রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘চীন থেকে গেমিং টেবিল আমদানি করেছি। এটা কোনো ক্যাসিনো টেবিল নয়। তার দাবি, ক্যাসিনো টেবিল আরও বড় হয়, তার টেবিলের সাইজ ছোট, তাই এটা গেমিং টেবিল। তবে তারা আমাকে গেমিং টেবিলের পরিবর্তে অন্য কিছু দিয়েছে কি না, এখনো দেখতে পারছি না।’ পণ্য চালানের বিষয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ইস্ট ওয়েস্ট এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওহাব খন্দকার কালবেলাকে বলেন, ‘টাইগার করপোরেশনের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানটি কয়েকদিন আগে আমাদের অফিসে এসে পণ্য চালান খালাসের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। তাদের ইনভয়েস ও দলিল অনুযায়ী আমরা ঘোষণা দিয়েছি। কাস্টম হাউস এই পণ্য চালানটি আটকে দিয়েছে। কায়িক পরীক্ষার জন্য বলার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ পণ্য চালানে ক্যাসিনো টেবিল পাওয়া গেলে আসলে আমাদের কী করার আছে? আমরা সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে শুধু তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাজ করেছি। আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে এলে তার দায় তো আর আমাদের না।’
০৯ জুন, ২০২৪

ক্যাসিনো সহোদর এনু-রুপনের সাত বছরের সাজা
অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে আরও একটি মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ-৮-এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ৫২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিন এনু-রুপনসহ কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, দুর্নীতিবাজ ও মানিলন্ডাররা শুধু সম্পদ চুরি করে না, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের স্বপ্ন চুরি করছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে প্রত্যেকের উচিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা। দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করে। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন—শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভূঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায়ও অভিযান চালায় র্যাব। এরপর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ এ মামলাটি করেন। এতে ১১ জনকে আসামি করা হয়। তবে তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ওয়ারী থানায় করা অর্থ পাচার আইনের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

এবার অস্ট্রেলিয়া-সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো
ঈদুল আজহায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সৈকত নাসির পরিচালিত সিনেমা ‘ক্যাসিনো’। এতে জুটি বেঁধেছেন নিরব হোসেন ও শবনম বুবলী। এবার দেশের বাইরেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরে এর মুক্তির কথা ভাবছে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। দেশের বাইরে সিনেমা মুক্তি নিয়ে নিরব বলেন, “প্রবাসীরা আপনজন ছেড়ে দেশের বাইরে থাকেন। কাজ করে কীভাবে পরিবারকে ভালো রাখা যায় প্রতিনিয়ত সেই চেষ্টাই চালিয়ে যান। তারা বিনোদন খুবই কম পান। সেই পরিশ্রমী মানুষগুলো ‘ক্যাসিনো’ দেখবে ভেবে ভালো লাগছে। ভালো গল্পের সিনেমা এটি, কাজও ভালো হয়েছে। ঈদ উৎসবে দর্শক সিনেমাটি ভালোভাবে নিয়েছে। আশা করছি, দেশের বাইরের দর্শকদেরও সিনেমাটি ভালো লাগবে।” বুবলী বলেন, ‘থ্রিলার-অ্যাকশন ঘরানার সিনেমা এটি। আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের সিনেমা—এটি ভালো লাগার। আমার বিশ্বাস, দেশের দর্শকের মতো বাইরের দেশের দর্শকরা সিনেমাটি পছন্দ করবেন।’ নিরব-বুবলী ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন তাসকিন রহমান, দিলরুবা দোয়েল প্রমুখ। গল্প লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আসাদ জামান। প্রযোজক রাজিব সারোয়ার। প্রসঙ্গত, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘প্রিয়তমা’, ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘প্রহেলিকা’ মুক্তি পেয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এবার সেই পথেই এগিয়েছে ‘ক্যাসিনো’।
২৩ জুলাই, ২০২৩

ক্যাসিনো সেলিমের জামিন চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন
দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অনলাইন ক্যাসিনোর মূলহোতা সেলিম প্রধান জামিন চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেছেন। গতকাল সোমবার তার আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল জামিন আবেদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী জানিয়েছেন, সম্প্রতি সাজার বিরুদ্ধে সেলিম প্রধানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এখন আমরা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছি। ৫ জুলাই চেম্বার আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি হবে। গত ৩০ এপ্রিল জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় সেলিমকে ৮ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
০৪ জুলাই, ২০২৩

ক্যাসিনো ঘুরবে নিজের চাকায়
একটা সময় ছিল, যখন শাকিবের বাইরে কোনো নায়কের সঙ্গে কাজ করেননি শবনম বুবলী। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে টানা পাঁচ বছর এভাবেই চলেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে ‘ক্যাসিনো’ সিনেমার মাধ্যমে। এতে প্রথমবার শাকিব খানের বাইরে গিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন বুবলী। নায়ক হিসেবে জুটি বাঁধেন নিরব। এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে সেই ‘ক্যাসিনো’। গত শুক্রবার গুলশানে সিনেমাটির মুক্তি উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’-এ এসে নিজের বক্তব্যে সে কথাই ফের স্মরণ করলেন বুবলী। বললেন, ‘শাকিব খানের বাইরে ক্যাসিনো সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার নিরব ভাইয়ের সঙ্গেই জুটি হয়েছিলাম। তিন বছর আগে সিনেমাটির শুটিং হলেও এর গল্প ও নির্মাণ ২০২৩ সালে এসেও সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে।’ বুবলী আরও বলেন, ‘ক্যাসিনো সিনেমাটির নাম শুনেই অনুমান করা যায় এর বিষয়বস্তু কী। বেশ মারমার কাটকাট অ্যাকশন নির্ভর সিনেমা এটি। টিজারটি যখন রিলিজ হয়, দর্শকরা সেটা ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আধুনিক গল্পে ও আধুনিক নির্মাণের সিনেমা ক্যাসিনো।’ ঈদে এত সিনেমার ভিড়ে দর্শক ‘ক্যাসিনো’ কেন দেখবে, এ বিষয়ে বুবলীর ভাষ্য, ‘ঈদের সব সিনেমাই তার নিজস্ব ম্যারিটে চলবে। ক্যাসিনোও তার ম্যারিটেই (নিজের যোগ্যতা) চলবে। সিনেমাটি যখন দর্শক দেখবে তখন একটা উন্মাদনা নিয়ে তারা হল থেকে বের হবেন। সিনেমাটির গল্প ও নির্মাণ সমসাময়িক মনে হবে।’ ২০১৯ সালে বাংলাদেশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্যাসিনো ব্যবসায় প্রশাসনের অভিযান এবং দেশে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয় উঠে এসেছে ছবির গল্পে। এতে বুবলীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিরব। একজন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে দেখা যাবে তাকে। আয়োজনের শুরুতেই নিরব বললেন, ‘ক্যাসিনো বিগ বাজেটের ফিল্ম। ঈদের দিন সিনেমাটি দেখে হল থেকে বের হয়ে প্রশ্ন করবেন কী দেখলাম! দ্বিতীয়বারও দেখতে চাইবেন তারা।’ ক্যাসিনো নির্মাণ করেছেন সৈকত নাসির। প্রযোজক রাজিব সরওয়ার। গল্প লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু। চিত্রনাট্য আসাদ জামানের। জানা যায়, ছবিটির শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে, শেষ হয় ২০২০ সালে। নিরব-বুবলী ছাড়াও অভিনয় করেছেন দিলরুবা দোয়েল, রিয়েলি, তাসকিন রহমানসহ অনেকে।
২৫ জুন, ২০২৩
X