কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবারও দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। ট্রেন অবরোধের ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নামেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এদিকে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে উঠছে আজ বৃহস্পতিবার। কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে, নাকি রাষ্ট্রপক্ষের আপিলে কোটা স্থগিত হবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দুই পক্ষই। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ পুরো কোটা ব্যবস্থা বাতিল হয়। পরে গত ৫ জুন হাইকোর্টের রায়ে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী আজ বিষয়টির ওপর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা। আপিল শুনানিকে সামনে রেখে আজ সকাল ১১টা থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের রায় না হওয়া পর্যন্ত একই স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। গতকাল শাহবাগে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা আসে। জানা গেছে, গতকাল দুপুর ২টা থেকে ঢাবির প্রতিটি হল থেকেই শত শত শিক্ষার্থী কোটার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে জড়ো হন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মিছিল নিয়ে কলা ভবন, ভিসি চত্বর, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট ও মৎস্য ভবন এলাকা হয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান শুরু করলে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ফলে শাহবাগকে সংযুক্তকারী প্রতিটি সড়কেই সৃষ্ট তীব্র যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। বিকেল ৫টায় আন্দোলনকারীরা শাহবাগ ত্যাগ করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবিতে আন্দোলন করছেন। সেগুলো হলো পরবর্তী সময়ে সরকার কোটা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। রেললাইন অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের: কোটা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা গতকাল দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইনে চলমান ট্রেন অবরোধ করে সেখানে অবস্থান নেন তারা। তারা সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে বিভিন্ন হল থেকে সমবেত হন বাকৃবির তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি কে. আর. মার্কেট হয়ে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। সেখানে একটি প্রতিবাদ সভা করেন শিক্ষার্থীরা। সভা শেষে সেখান থেকে আব্দুল জব্বার মোড় পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি আব্দুল জব্বার মোড়ে পৌঁছলে শিক্ষার্থীরা ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রেখে রেললাইন অবরোধ করে মিছিল করেন। সড়ক অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের: কোটা বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুর আড়াইটায় তাঁতীবাজারে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন তারা। ফলে সড়কটিতে প্রায় ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের: গতকাল বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় ববি শিক্ষার্থীরা: হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় কাফনের কাপড় পরে তাদের রাস্তায় অবরোধ করতে দেখা গেছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধরা সড়ক অবরোধ করেন। দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ: কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও গোল চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের চোখ আজ আদালতের শুনানির দিকে। [প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন ঢাবি প্রতিনিধি, বাকৃবি প্রতিনিধি, জবি প্রতিনিধি, জাবি প্রতিনিধি, বরিশাল ব্যুরো ও শাবিপ্রবি প্রতিনিধি]
০৪ জুলাই, ২০২৪

কোটা বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বেলা ১২টা থেকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উথাপন করেন। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ১৮’এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নূর বলেন, স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে যেমন নুর রাস্তায় নেমে পিঠে লিখেছিল স্বৈরাচার নিপাত যাক, ঠিক তেমনি বৈষম্য দূর করে কোটা নিপাত করা হবে।  তিনি বলেন, বৈষম্য দূর করার জন্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিল। আবার সেই বৈষম্য শুরু হয়ে গেছে। কোটা বহাল রেখে দেশে মেধাবী শূন্য করা হচ্ছে। এটা অবিলম্বে বাতিল চান তারা। আন্দোলনকারী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করেছেন আমরা জানি না। আমি নিজে মেয়ে হয়েও বলছি,আমাদের মেয়েদের জন্য আলাদা কোটার প্রয়োজন নেই। নারী-পুরুষ আমরা সবাই সমান। কোটা বাতিল হোক এটাই আমাদের চাওয়া। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম,সিরাজুল ইসলাম,লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. মিরাজ হোসেন, নাইমুর রহমান ও ইংরেজি বিভাগের তামিম প্রমুখ।
০১ জুলাই, ২০২৪

কোটা বাতিল দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ
সব চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (৯ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এ অবরোধে অংশ নেন। এ সময় সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়লে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। জানা যায়, কোটা বাতিলের দাবিতে অবরোধ শেষে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হন শিক্ষার্থীরা। অবরোধকালে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সুজয় শুভ, সিবাত আহমেদ, ভূমিকা সরকার, আনিকা সরকার, মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রমুখ। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈষম্য মেনে নেব না। আমরা আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী কোটা বাদে সব বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত রায়ের প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে অংশ নিয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, আমরা এখানে মূলত কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে এসেছি। আমি একজন নারী, আমি চাই যে, নারী কোটা না থাকুক। এর মাধ্যমে নারীদের সমাজে আরও বেশি হেয় করা হয়। ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বরিশাল বন্দর থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুল বলেন, শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে আমরা তাদের কাছে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করার অনুরোধ করি। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করেছেন। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
০৯ জুন, ২০২৪
X