ছাত্রলীগকে চাকরি দিতে কোটা পুনর্বহাল
ছাত্রলীগ-যুবলীগকে চাকরির সুযোগ করে দিতেই আওয়ামী লীগ সরকার কোটা পুনর্বহাল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কোটা বাতিলের জন্য দেশের তরুণ-ছাত্রসমাজ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিল। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার কোটা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। এখন সরকারের লোক দিয়ে রিট করিয়ে হাইকোর্টের মাধ্যমে আবার তা পুনর্বহাল করা হলো। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রিজভী। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের উদ্যোগে এ সভা হয়।
০৭ জুন, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ রাবি শিক্ষার্থীদের
বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে প্রতিবাদ জানান তারা। মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আঠারোর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘মেধাভিত্তিক নিয়োগ চাই, প্রতিবন্ধী ছাড়া কোটা নাই’, ‘সকল কোটা বাতিল হোক, মেধাবীদের চাকরি হোক’- সহ বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে উপস্থিত হয়। ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, আমি নিজে একজন শারীরিক অক্ষম ব্যক্তি হয়েও আমি এই কোটার বিরোধিতা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে কোটা থাকতেও আমি কোটার ব্যবহার না করেই সাধারণ মেধাতালিকায় ভর্তি হয়েছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নই, আমরা চাই তারা তাদের প্রকৃত সম্মান পাক। তবে তাদের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থী বঞ্চিত যেন না হয়। আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সানজিদা জানান, একজন নারী হিসেবে আমার প্রথম শ্রেণির চাকরিতে আমার জন্য কোটা বরাদ্দ আছে। তবুও আমি এই কোটার বিরোধিতা করছি। কারণ আমার মধ্যে যদি মেধা-দক্ষতা থাকে তাহলে নিজ যোগ্যতায় আমি চাকরি অর্জন করতে পারব। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মেয়ের সে সক্ষমতা আছে। পাকিস্তান আমলের যে বৈষম্য মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযোদ্ধরা শেষ করেছিলেন সেই বৈষম্য যদি তাদের প্রজন্মের মাধ্যমে ফিরে আসে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি  ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম বলেন, সরকারের কাছে আহ্বান এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না যে সিদ্ধান্তে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে চান তাহলে তাদের স্বর্ণখচিত আবাসনের ব্যবস্থা করে দেন, তাদেরকে প্রতি মাসে লাখ টাকা সম্মানি দেন, দেশের ছাত্র সমাজ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে না। তবে, ছাত্রসমাজ সাধারণ শিক্ষার্থীর মেধার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটার বৈষম্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলবে। বাংলাদেশ বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তি পেতে যে রক্ত দিয়েছিল কিন্তু আজ ২০২৪ সালে এসে এই  বৈষম্যের স্বীকার হতে যাচ্ছে যা কোন সাধারণ শিক্ষার্থী মেনে নিবে না। সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী সজীব বলেন, আগেও ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের আন্দোলন হয়েছে এবং বাতিল হয়েছিল। এরপরে ২০২৪ সালে এসে গতকাল হাইকোর্টের রায় দিয়েছে কোটা পুনর্বহালের। এমন হলে আবারও আন্দোলন গড়ে তুলবো। আমরা মেধাবীদের দিয়ে দেশ গড়তে চাই, অযোগ্যদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করতে চাইনা। অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এহসানুল মারুফের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
০৬ জুন, ২০২৪

ছাত্রলীগকে চাকরির সুযোগ করে দিতেই কোটা পুনর্বহাল করেছে সরকার : রিজভী
ছাত্রলীগ-যুবলীগকে চাকরির সুযোগ করে দিতেই আওয়ামী লীগ সরকার কোটা পুনর্বহাল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কোটা বাতিলের জন্য দেশের তরুণ-ছাত্রসমাজ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিল। তাদের আন্দোলনের মুখে সরকার কোটা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। এখন সরকারের লোক দিয়ে রিট করিয়ে হাইকোর্টের মাধ্যমে আবার তা পুনর্বহাল করা হলো।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।   বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়। রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার নামে বাবা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, এখন আওয়ামী লীগ নেতা। মামা আওয়ামী লীগের এমপি, খালু আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা- এদের ঢুকানোর জন্যই এই প্রক্রিয়া চলছে।  রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন ক্ষণজন্মা। তিনি কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। তিনি বলেন, ক্ষমতা দখলে রেখে অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার অসৎ অভিপ্রায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনাশ করার জন্য সরকার বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বেনজীরদের দিয়ে সরকার বিএনপির কত নেতাকর্মী, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, শ্রমিক থেকে শুরু করে কতজনকে যে অপহরণ করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা করিয়েছে- এই ঘটনাগুলো আজিজ এবং বেনজীর সাহেবের। এসব ঘটনা আজকে মানুষ শুধু বিস্ময়ে শুনছে, খবরের কাগজে পড়ছে আর বিস্মিত হচ্ছে। আমরা তো মাত্র ছিটেফোঁটা জানি, ভিতরে যে আরও কত কি আছে? গুণী মানুষরা এখন কারাগারের লোহার খাঁচায় এমন মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, ড. ইউনূস বলেছেন- তিনি আধা ঘণ্টার মতো লোহার খাঁচায় ছিলেন। আর দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় যে নেত্রী তিনি বছরের পর বছর লোহার খাঁচার মধ্যে আবদ্ধ। আজকে ড. ইউনূস সাহেবরা সম্মানিত নন, এখন সম্মানিত কে? বেনজীর-আজিজ সাহেবরা সম্মানিত। তিনি বলেন, বেনজীরের স্ত্রীর নামে ৬৪৬ বিঘা জমি। অথচ এই  ভদ্রলোক বেনজীর সাহেব, তিনি ওসিদের সম্মেলনে ওসিদেরকে বলেন- দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স থাকতে হবে। যদি হঠাৎ করে শয়তান এসে বক্তব্য দেয় তোমরা সৎভাবে চল, তোমরা ন্যায় সঙ্গতভাবে চলো, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো- এটা যেমন বিস্ময়কর ব্যাপার হবে, ঠিক তেমনি এই সরকারের মন্ত্রীরা যখন উপদেশ দেয়, এই সরকারের আমলারা যখন কোনো উপদেশ দেয়, তখন সেটিই মনে হয়।  তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন চোখ দিয়ে পানি ফেলতেও ভয় পায়-যদি এটা আওয়ামী লীগের লোক দেখে, যদি পুলিশ দেখে, পরে যদি আমার আবার বিপদ হয়। মানুষ এখন হৃদয়ের মধ্যে কান্নাকাটি করছে, অন্তরের মধ্যে কান্নাকাটি করছে অর্থাৎ মানুষ কান্না করতেও ভয় পাচ্ছে, এই সমাজ এই রাষ্ট্রের মধ্যে আমরা বসবাস করছি।    অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দেশের তাঁত শিল্প ও তাঁতি সমাজের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, তাঁত শিল্পসহ  বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অভূতপূর্ব অবদান রয়েছে। তিনি কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তাঁতি দলের সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।
০৬ জুন, ২০২৪
X