বাজারে বিক্রি হচ্ছে অপরিপক্ব লিচু
রসালো ও সুস্বাদু ফল লিচুর কথা এলে প্রথমেই চলে আসে দিনাজপুরের নাম। কেবল জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হতে চলল এরই মধ্যে দিনাজপুরের বিরামপুরের হাট-বাজারে দেখা মিলছে লিচুর। প্রতি ১শ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩শ টাকা দরে। এসব অপরিপক্ব লিচু ঝুঁকি নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগাম লিচু বিক্রি করলে দাম একটু বেশি পাওয়া যায়। তাই তারা লাভের আশায় আগেভাগে বাগান থেকে এই লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। কৃষি অধিদপ্তর বলছে, লিচুর প্রকৃত সময় আসতে এখনো দুই সপ্তাহ বাকি। আর বর্তমানে বাজারে যেসব লিচু উঠেছে সেগুলো অপরিপক্ব হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।  এদিকে চিকিৎসক বলছেন, অপরিপক্ব লিচু খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ মারাত্মক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। রোববার (১৯ মে) সকালে বিরামপুর পৌর শহরের নতুন বাজার, পুরোনো বাজার, ঢাকা মোড় ফলপট্টি, কলেজ বাজার, কেটরাহাট, কাটলাহাট, মুকুন্দপুর বাজার, হাবিবহপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে এসব লিচু বিক্রি করতে দেখা যায়। এই লিচু দেখে অনেকেই আগ্রহ করে কিনছেনও। অনেকে হাতে নিয়ে দেখছেন, দামও করছেন। যে কেউ মুখে দিয়েই, না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ আবার অল্প হলেও কিনছেন। উপজেলার বিসকিনি গ্রামের আরিফ লিচু কিনতে এসে বলেন, লিচু এখনো পরিপক্ব হয়নি। হালকা টকটক লাগছে। সবাই কিনছে, তাই আমি ১০০শ মাদ্রাজি লিচু কিনছি। তবে দাম চড়া। বিরামপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান, উপজেলায় ১১৪ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। অল্টারনেট বেয়ারিংয়ের কারণে আম ও লিচু এক বছর উৎপাদন বেশি হলে প্রাকৃতিকভাবেই পরের বছর ফলন কিছুটা কম আসে। তবে অতিরিক্ত দাবদাহের কারণে কিছুটা ফলন কমেছে। বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রসুল রাখি জানান, এই লিচুতে যে এনজাইমগুলো থাকে, এ এনজাইমগুলো যদি খালি পেটে খায় কেউ, অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় লিচু খেয়ে বাচ্চা মারা যাওয়ার যে খবর আমরা পাই, লিচু থেকেই এ সমস্যাটা হয়।  দিনাজপুর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, এ বিষয়ে আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বাজার মনিটরিং করব।
১৯ মে, ২০২৪

ধানের পরিবর্তে চিটা, সর্বস্বান্ত কৃষক
যশোরের অভয়নগরে তেজগোল্ড জাতের ধান চাষ করে ধানের পরিবর্তে চিটা হয়ে শতাধিক কৃষক সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ১৫০ বিঘা জমিতে ৭৮ জন চাষিদের ধানক্ষেতে চিটা হয়ে গেছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেয়াপাড়া এলাকার মাঠে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে গ্রামের ৭৮ জন চাষিকে ফ্রিতে তেজগোল্ড জাতের ধান বীজ দেওয়া হয়। আমরা সবাই মিলে একযোগে এ ধান চাষ করি ভালো ফলনের আশায়। গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে কঠোর পরিশ্রম করে পেলাম ধানের পরিবর্তে চিটা। উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠকর্মীদের পরামর্শে সরিষার আবাদ শেষে হওয়ার পর আমরা ৭০-৮০ জন তেজগোল্ড ধানের বীজ নিয়ে চাষ করি। ধানের গাছ ও গোছা ভালো হলেও এখন ধান কাটার সময়ে আমরা সব ধান চিটা পাচ্ছি। ধানচাষি আয়ুব মোল্লা, শহিদুল গাজী, রেজাউল ইসলাম, শাহাজান হোসেন, জাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠকর্মী দেব্রত বাবু ও অন্য মাঠকর্মীদের পরামর্শে আমরা তেজগোল্ড জাতের ধান বীজ নিয়ে চাষ করি। দারিদ্র্যতার কারণে ধারদেনা করে ধান চাষে পানি ও সার কীটনাশক ব্যবহার করি। তাছাড়া কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার দেয় সেগুলোই ব্যবহার করি। ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। পানি ৪ হাজার টাকা, চাষের সময় ২ হাজার ৪শ, কীটনাশক বালাই নাশক ২ হাজার, কাটার জন্য ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। পরিশেষে ধান কাটার সময় দেখি সব ধান চিটা হয়ে গেছে।  তারা আরও বলেন, আমরা চাষিরা এখন কোথায় কার কাছে যাব। আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়েই জীবনযাপন করতে হবে। শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন বলেন, কৃষকের কোনো ক্ষতি আমরা কখনো চাই না। মাঠকর্মীদের পরামর্শে যে ঘটনা ঘটেছে এতে কৃষকদের ভাগ্যে চরম বিপর্যয় নামবে। কৃষি কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাই। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, দেয়াপাড়া ধান চাষিদের যে ক্ষতি হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় তা করব। চাষিদের ধানক্ষেতের এই অবস্থার সঠিক তদন্ত করা হবে।
০৬ মে, ২০২৪

ইয়াবাসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইয়াবাসহ কাউসার আহমেদ নামে এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন কাউসারের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কাউসার আহমেদ চারঘাট উপজেলার হাবিবপুর এলাকার বাসিন্দা এবং বাগাতিপাড়া কৃষি অফিসে কর্মরত আছেন। আরেক আসামি ভ্যানচালক মাসুদ আলী একই এলাকার বাসিন্দা। বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ভবসিন্ধু রায় বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দপ্তরের আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেই ব্যবস্থা নেবে। বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি নান্নু খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ কাউসারের ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে বুধবার (১ মে) তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।
০১ মে, ২০২৪

অফিস থেকে কৃষককে বের করে দিলেন কৃষি কর্মকর্তা
পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোরো ধান। তাই এর প্রতিকারে পরামর্শ পেতে কৃষক ফজলুর রহমান এক গুচ্ছ ধান নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন কৃষি অফিসে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া তো দূরে থাক, কৃষি কর্মকর্তারা তাকে অফিস থেকে গালাগাল করে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তথ্য সংগ্রহে গেলে দুই সাংবাদিকের সঙ্গেও অসদাচরণ করেন ওই কৃষি কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিযেছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান (৬৫) বলেন, এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে বোরো আবাদ করেছি। কিন্তু কিছুদিন ধরে পোকার আক্রমণে কচি ধানের চারা মারা যাচ্ছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে থেকে কৃষি ও কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার কথা থাকলেও তারা মাঠে যান না। তাই সকালে বাধ্য হয়ে এক গুচ্ছ ধান নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য আসি। এ সময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজনকে বিষয়টি জানান কৃষক। তিনি তার ধানের চারাগুলোর ছবি তুলে রাখার কথা বলেন ও জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের মোবাইল নম্বর চান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।  ফজলুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষককে বলেন, ‘আমি কি আপনার কামলা দিই। আপনি কি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছেন। আপনি বললেই মাঠে যেতে হবে। যা পারেন করেন। আপনি বেরিয়ে যান। যদি বয়স্ক লোক না হতেন তাহলে আপনাকে দেখে নিতাম।’  এ সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগ দেন অফিসের অন্য স্টাফরাও। একপর্যায়ে কৃষক ফজলুর রহমানকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। চোখের পানি মুছতে মুছতে অফিস থেকে বের হয়ে যান ফজলুর রহমান। উপজেলা চত্বরে ওই কৃষক এ ঘটনা দুই সাংবাদিককে জানান। তারা ফজলুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় কৃষি অফিসে যান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারের কক্ষে গিয়ে সাংবাদিকরা কৃষকের এই অভিযোগের বিষয়টি জানান। এ সময় সাংবাদিকদের সামনেই রাজিয়া তরফদার ওই কৃষকের সঙ্গে কঠিন স্বরে কথা বলেন এবং আচরণ ঠিক হয়নি বলে তার দিকেই অভিযোগ তোলেন। এ সময় সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের ওপরও চড়াও হন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার বলেন, কৃষকের অভিযোগ শুনেছি। যদি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কোনো দোষ থেকে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি জানার পর দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজনকে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ জানান, কৃষি অফিসের দায়িত্বই হচ্ছে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করা। সেখানে কৃষকের অভিযোগের প্রতিকার না করে অফিসের বাইরে বের করে দেওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

দিনাজপুরে ৬ গুণ লাভে রঙিন ফুলকপি চাষ
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপির চাষে লাভ হয়েছে ৬ গুণ। উপজেলার গোবিন্দপুরে ২০ শতক জমিতে সোনালি রঙের ফুলকপি চাষ করে এ লাভের মুখ দেখেছেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তিনি। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, খানসামা-দারোয়ানি আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে কৃষক আবুল কালাম আজাদের ক্ষেতে তাকালেই নজরে পড়ে সবুজ পাতায় মোড়ানো ফুলকপি। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলেই নজরে কাড়ে সবুজ পাতার মধ্যে সোনালি ফুলকপি। ইতোমধ্যেই তা ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।  জানা যায়, সাদা ফুলকপির সঙ্গে সবাই পরিচিত হলেও উপজেলায় এবারই প্রথম চাষ করা হয়েছে রঙিন ফুলকপির। ভ্যান্টেলিনা জাতের রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন জাতের এ ফুলকপিগুলোর দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে বেশি। তবে দেখে মনে হতে পারে সাদা ফুলকপির ওপর রঙ দেওয়া হয়েছে। মূলত সোনালি রঙের ফুলকপির চাষ হয়েছে এবার। নতুন জাতের ফুলকপি দেখতে প্রতিদিন মানুষ ওই কৃষকের ক্ষেতে ভিড় করছেন।  উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে উচ্চমূল্যের নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষি বিভাগের বীজ, সার ও উপকরণ সহায়তায় নতুন জাতের এ রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। যা এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো চাষ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রঙিন ফুলকপি ক্ষেত পরিদর্শন করেন দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রাকিবুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণ কুমার রায় ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পৃথ্বীরাজ রায়।  রঙিন ফুলকপি চাষি আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে বলেন, ২০ শতক জমি চাষে বীজ, সার ও পরিচর্যা বাবদ খরচ প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে এ জমির প্রায় ১৮০০-২০০০ পিস ফুলকপি বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ৩৮-৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। সেই সঙ্গে রঙিন এ ফুলকপি চাষে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার বেশি ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার কালবেলাকে বলেন, নতুন এ জাতের ফুলকপি পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। সেই সঙ্গে অল্প পুঁজিতে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন। এজন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ সার্বিক বিষয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছে।  দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. রাকিবুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ জাত সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি বাজারে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি পাবে ভোক্তারা।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রঙিন বাঁধাকপি চাষে সাড়া ফেলেছেন আবদুর রহমান
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলার মহেশপুরে রঙিন বাঁধাকপির চাষ ভালো হওয়ায় দারুণ খুশি কৃষক আবদুর রহমান। পরীক্ষামূলকভাবে নিজের জমিতে এভাবে বাঁধাকপি চাষ করে অনেকটা সফলতার কাছে পৌঁছে গেছেন তিনি। যার কারণে এলাকার তরুণরা রঙিন বাঁধাকপি চাষে অনুপ্রাণিত হতে প্রতিনিয়ত তার ক্ষেতে ভিড় জমাচ্ছেন।  বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানমের নেতৃত্বে একটি টিম আবদুর রহমানের রঙিন বাঁধাকপির ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন।  কৃষক আবদুর রহমান বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল রঙিন বাঁধাকপি চাষ করার। পরে অল্প জায়গায় এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে আমার স্বপ্ন পূরণে নিজের জমিতে কপির বীজ বুনি। এখন ফলন দেখে আমার মনে হচ্ছে আমি সফলতার অনেকটা কাছাকাছি চলে এসেছি। ভালো দামে এগুলো বিক্রি হবে আশা রাখছি। আগামী বছর আরও ব্যাপকভাবে রঙিন কপি চাষের প্রস্তুতি নেব। তবে আমার এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে উপজেলা কৃষি বিভাগ সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ও মিগজাউমের আঘাতে ভেঙে না পরেও রঙিন বাঁধাকপি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন কৃষক আবদুর রহিম। ঝুঁকি নিয়ে আমাদের ওপর ভরসা রেখে কৃষিপণ্য উৎপাদনে এ কৃষক এগিয়ে আসায় তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। স্বপ্নবাজ কৃষিজীবীদের অনুপ্রাণিত করার জন্যই কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করছে। আমাদের বিশ্বাস ওনাদের হাতেই সমৃদ্ধ হবে হাজীগঞ্জের সবুজ শ্যামল কৃষিখাতগুলো। এ সময় বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহপরাণসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X