তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে কুয়াশা
কাগজে-কলমে শীত অনেটাই বিদায় নিয়েছে। যদিও বসন্তের হিমেল বাতাসে শেষ রাত তুলনামূলক কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। এরই মধ্যে তাপমাত্রা কমে কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। অন্যদিকে ফাল্গুনের শুরুতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এ নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আবহাওয়া পূর্বভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চট্টগ্রামে ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যথাক্রমে ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও ২৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।   প্রথম দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমবে। তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। দ্বিতীয় দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা আগের মতোই থাকবে।   তৃতীয় দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। বর্ধিত পাঁচ দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাসহ খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দিনাজপুরে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, রোটা ভাইরাসের শঙ্কা
‘হামাক কেহ কম্বল দেয় না বাঁ, তোমরা কি দিবা আইছেন’। দিনাজপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে দৌড়ে এসে এমনটিই জানান মরিয়ম বেওয়া। টানা শৈতপ্রবাহ চলছে দিনাজপুরে। মৃদু থেকে মাঝারি, এরপর তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পরে তা আরও কমে নিচে নেমে আসে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এ জেলার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে জীবন-জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। কথা হয় নিম্ন নগর বালুবাড়ি এলাকার কৃষক কলিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এমন ঘন কুয়াশায় জীবনে প্রথম দেখলাম। ঠান্ডায় কাজ করা খুবই কষ্ট। ঠান্ডার কারণে আয় অনেক কমে গেছে। এতে সংসার চালাতে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, দিনাজপুর জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শীতের সময় রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ার সংক্রমণ হয়। শিশুদের ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়াও বয়স্ক ও শিশুদের শীতজনিত শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাবধানে থাকতে বলেন তিনি।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কালবেলাকে জানান, জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ %। 
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

তাপমাত্রা আরও কমে কাঁপছে উত্তরের জেলা, ঘন কুয়াশায় ‘দৃষ্টিভ্রম’
নওগাঁয় ঘড়ির কাটায় তখন বেলা ১১টা পার হতে চলল। কিন্তু বাইরে বের হলে ভোর ৫টা বাজে বলে যে কারও ভ্রম হতে পারে। কারণ, ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে পরিস্থিতি ভোরের মতোই রয়েছে। সূর্যের দেখা মেলার কোনো আশাও উঁকি দিচ্ছে না। তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। প্রায় গত তিন সপ্তাহ থেকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু এ অঞ্চলের জনজীবন। এখানে কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১১ ডিগ্রির ঘরে। এবার উত্তরের জেলা নওগাঁয় ৭-এর ঘরে নেমেছে তাপমাত্রা। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বদলগাছী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা এটিই চলতি শীত মৌসুমে নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছিল। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বিষয়টি মুঠোফোনে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। হামিদুল হক বলেন, শীত যাচ্ছে না। আরও কয়েক দিন এ রকম থাকবে। বর্তমানে নওগাঁর ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। এ ছাড়া ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা আরও নিচের দিকে নেমে যেতে পারে বলেও জানান তিনি। শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এদিকে আকাশ মেঘলা, কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জনজীবন জবুথবু হয়ে পড়েছে। নেমে এসেছে তীব্র শীতের ভয়। আর খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে বেকায়দায়। নওগাঁর সাধারণ মানুষ শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। আর যারা জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন তারা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে পথঘাট। ১০ হাত পরের কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহ চলাচল করছে। শহরে লোক ও যানবাহন চলাচল অনেক কম। মাঠে কৃষিকাজ প্রায় হচ্ছেই না। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষেরা কনকনে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষার জন্য অনেকেই বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলার ধারে বসে তাপ পোহাচ্ছেন। অন্যদিকে দিন দিন শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শীতের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

ঘন কুয়াশায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিসির নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, সোমবার রাত ১২টা থেকে প্রচণ্ড কুয়াশার দেখা দেওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কেটে গেলে সকাল ৬টার দিকে আবারও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

মৌলভীবাজারে কুয়াশা কেটে গেছে, তবু কনকনে ঠান্ডা
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভোরে ঘন কুয়াশা ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে কুয়াশা কমতে থাকে। তবে হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বলেন, রোববার শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারে সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে রোদে উষ্ণতা খুবই কম। এদিকে শীতে দুর্ভোগে নিম্নআয়ের মানুষ। পুরোনো কাপড় ও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন তারা। তেমনি বিপাকে কৃষকরা। শ্রীমঙ্গলের সজুববাগ এলাকার হাবির উল্লাহ নামের এক কৃষক বলেন, ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তাদের বীজতলায় ধানের হালি চারার বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। তমাল কালাকার নামের আরেক কৃষক জানান, গবাদি পশুপাখি নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। নিজেদের ব্যবহৃত পুরোনো শীতবস্ত্র ও পাটের বস্তা গবাদিপশুদের গায়ে জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

শীত বাড়বে না কমবে, কী বলছে আবহাওয়া অফিস
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। একই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।  পূর্বাভাস বলা হয়, সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ পরিস্থিতি আগামী কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে। আরেক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়তে পারে। আর সেই সঙ্গে পাঁচ বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। রাতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ শীত থাকছে আরও কয়েক দিন। দিনাজপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর, কিশোরগঞ্জের নিকলি, নওগাঁর বদলগাছী, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, কুড়িগ্রামের রাজারহাট এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলাতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

আগামী তিন দিনে যেসব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী তিন দিন দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। তবে কয়েকটি বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির কারণে ঘনকুয়াশা কমে গিয়ে বাড়তে পারে শীত। আবহাওয়ার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া কোথাও কোথাও মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) খুলনা বিভাগের দু এক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। সেইসঙ্গে খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে পারে। বৃষ্টির প্রভাবে কেটে যাবে কুয়াশা, কম যাবে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কমতে পারে দিনের তাপমাত্রাও। অন্যদিকে, বর্ধিত পাঁচ দিনে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের। একই সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও ঘন কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি এবং চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

কুয়াশা কমলেও বেড়েছে শীত
শ্রীমঙ্গলে কুয়াশার প্রকোপ কমলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতের মাঝে দেখা মিলছে না সূর্যের। অন্য দিকে বইছে উত্তরের তীব্র বাতাস। সব মিলিয়ে শীতে করুণ অবস্থা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রান্তিক জনপদের সাধারণ মানুষের।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলে সকাল ৬টায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৯ টায় ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  মাঘের শুরুতেই শীতে কাঁপছে শ্রীমঙ্গল। কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনরাত সমান তালে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। তাপমাত্রার পরিমাপ সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ কাছাকাছি থাকায় মানুষের মধ্যে শীত বেশী অনুভূত হচ্ছে। টানা কয়েকদিনের শীতের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের টিকরিয়া গ্রামে কৃষক শাহিদ আলী বলেন, আবাদকৃত জমিতে সেচ দিতে গিয়েছিলাম। এত কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস যে, কাজ করাই কঠিন হয়ে গেছে। চা বাগানের চা শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা ও কনকনে শীতের মধ্যেও ভোরে চা বাগানে কাজ করতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, আজ সকাল ৬টায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রির ভেতরে ওঠানামা করছে।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

উত্তরের জেলায় আজও সূর্যের দেখা নেই, কমেছে কুয়াশা
লালমনিরহাটে গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) কুয়াশা কম। তবে হিমেল হাওয়ার কারণে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে কৃষিনির্ভর তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। প্রচণ্ড শীতেও শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষজন বের হচ্ছেন জীবিকার সন্ধানে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে কুয়াশা কম থাকায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ করা গেছে। এদিকে প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। তীব্র ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের হাড়ে যেন কাঁপুনি ধরেছে। এ ছাড়া ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অনেকে আসছেন।  লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় শীতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, শীতের কারণে কয়েক দিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ চলছে। বরাদ্দকৃত দুই দফায় পাওয়া ২৬ কম্বল বিতরণ শেষের দিকে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

কুয়াশা ফুঁড়ে উড়ল রং-বেরঙের ঘুড়ি
দেখা নেই সূর্যের। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পুরো এলাকা। কনকনে শীতের সকালের সেই কুয়াশা ভেদ করে হিমেল হাওয়ায় আকাশে উড়ছে রং-বেরঙের ঘুড়ি। সঙ্গে ছাদে ছাদে সমানতালে চলছে কিশোর-তরুণদের হৈ-হুল্লোড়। গতকাল রোববার পুরান ঢাকার আড়মোড়া ভাঙে এই হৈ-হুল্লোড়েই। শীতের আড়ষ্টতা কাটিয়ে হয়ে ওঠে সরগরম। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে সাকরাইন বা ঘুড়ি উৎসবে মাতেন এখানকার বাসিন্দারা। গতকাল ছিল সেই দিন। তবে এবার শীতের তীব্রতার কারণে কিছুটা ভাটা পড়ে বর্ণিল উৎসবের আমেজে। সরেজমিন দেখা গেছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকেই বাসার ছাদে ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে নেমে পড়েছে কিশোর-তরুণের দল। পরিবারের ছোট-বড় অন্যরাও নতুন পোশাক পরে শামিল হয়েছে সেই উৎসবে। ঘুড়ি কাটাকাটি নিয়ে চলছে হৈ-হুল্লোড়। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ উৎসব। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকার প্রতিটি বাসার ছাদ সাজানো হয়েছে বাহারি রঙের আলোকসজ্জায়। সকাল থেকেই উচ্চস্বরে বাজতে থাকে গান। ছিল আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে হালের ডিজে পার্টির আয়োজনও। বাড়িতে বাড়িতে চলে পিঠা তৈরির ধুম। অনেক ছাদে পরিবারের ছোটদের জন্য আয়োজন করা হয় বৈচিত্র্যময় খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সন্ধ্যায় ছিল চোখ ধাঁধানো আতশবাজির ঝলকানির সঙ্গে ফানুস ওড়ানোর চিরায়ত দৃশ্য। লাল-নীল আলোর বৈচিত্র্যপূর্ণ শত শত ফানুসে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গার তীরের শহরের আকাশ; অবতারণা হয় অপরূপ দৃশ্যের। বাংলাবাজার প্যারিদাস রোড়ের বাসিন্দা শুভ। বন্ধুদের নিয়ে সকাল থেকে ঘুড়ি ওড়ান নিজেদের বাসার ছাদে। খেলছেন কাটাকাটির খেলা। শুভ বলেন, ‘আমরা প্রায় সারাবছর সময় পেলেই বিকেলে বাসার ছাদে ঘুড়ি ওড়াই। তবে বছরের এই একটা দিনেই বেশি ঘুড়ি ওড়ে পুরান ঢাকার আকাশে। তবে এবার শীত বেশি এবং কুয়াশা থাকায় অন্য বছরের তুলনায় ঘুড়ি কম।’ লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা কিশোর মোহাম্মদ হৃদয় বলে, ‘সাকরাইন উৎসব আমার বাপ-দাদার আমল থেকে হয়ে আসছে। এদিন আমরা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই উৎসবে মাতি। ভালো খাবার খাই, ঘুড়ি-ফানুস ওড়াই, আতশবাজি ফোটাই। এ দিন বলতে গেলে আমাদের জন্য ঈদের মতো।’ কাগজীটোলার বাসিন্দা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সাকরাইন এখন পুরান ঢাকার সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুড়ি উড়িয়েছি। বাসায় ভালোমন্দ রান্না করে সবাই মিলে একসঙ্গে খেয়েছি।’
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪
X