কুষ্টিয়া বহল বাড়িয়া স্কুলে এসএসসি ৯৯ ব্যাচের পুনর্মিলনী
কুষ্টিয়া বহল বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচ শতাধিক লোক এই আয়োজনে অংশ নেন। বুধবার (১৯ জুন) দিনব্যাপী এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। রুহুল কে সাগরের (মিলন) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আনছারুজ্জামানকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকে সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে বহলবাড়িয়া হাই স্কুলের মাঠ। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের ওই ব্যাচের পুনর্মিলনী উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেদের শৈশব। সবাইকে আবার একসঙ্গে পেয়ে যেন কর্মজীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল সাবেক শিক্ষার্থীদের। পুরোনো ক্যাম্পাসকে নতুন করে ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে ছিল অনেক কসরত। প্রাণের বিদ্যালয়ে মধুর মিলনে সতীর্থরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন তৈরি করেন। বিদ্যালয়ের ৯৯ ব্যাচের পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের অন্যতম  রুহুল কে সাগর (মিলন) বলেন, ২৫ বছর পর বহলবাড়িয়া স্কুলের উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ব্যাচ, বন্ধুত্বের টানে শৈশবের মধুর স্মৃতিচারণায় ঈদের তৃতীয় দিন ব্যতিক্রমধর্মী মিলনমেলার আয়োজন করেছে। ব্যাচের সদস্যদের অনেকেই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত। সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শৈশব-কৈশোরের খোঁজে এখানে ছুটে এসেছি। রঙিন বেলুন উড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে উদ্বোধন করেন বহলবাড়িয়া হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আনছারুজ্জামান । তিনি বলেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন রচিত হয়। সুখ-দুঃখের স্মৃতি রোমন্থন করার সুযোগ ঘটে। এর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়। উদ্বোধনের আগে ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রয়াত শিক্ষক ও সহপাঠীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মিলনমেলায় অংশ নেওয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে ব্যাগ দেওয়া হয়। এছাড়া শোভাযাত্রা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বালিশ খেলা, চেয়ার খেলা, হাড়ি ভাঙা খেলাসহ বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্নভাবে কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখায় সম্মাননা পান রুহুল কে সাগর (মিলন), সালমা আক্তার ও সোহেল রানা। এছাড়াও সম্মাননা দেওয়া হয় ৯৯ ব্যাচের সব শিক্ষককে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন ডাবলু, অবসরপ্রাপ্ত ওসমান গনি, অবসরপ্রাপ্ত ইয়াসিন আলী খান, অবসরপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম মানিক, মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, মো. তাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ চয়ন উদ্দিন, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলামকেও সম্মাননা দেওয়া হয়।
২১ জুন, ২০২৪

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাত পদে ১১৫ জনের বিশাল নিয়োগ
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অধীনে সাত পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ১৪ মে পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : সিভিল সার্জন কার্যালয়, কুষ্টিয়া পদ ও জনবল : সাতটি, ১১৫ জন  কর্মস্থল : কুষ্টিয়া প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদন শুরুর তারিখ : ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ১৪ মে, ২০২৪ ১. পদের নাম : স্বাস্থ্য সহকারী পদসংখ্যা : ৯৭টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২. পদের নাম : পরিসংখ্যানবিদ  পদসংখ্যা : ০৩টি  বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা : পরিসংখ্যান/গণিত/অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি ৩. পদের নাম : কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান  পদসংখ্যা : ০১টি  বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)  শিক্ষাগত যোগ্যতা : রেফ্রিজারেশন এয়ার কন্ডিশনিং ট্রেডে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ৪. পদের নাম : স্টোর কিপার  পদসংখ্যা : ০৪টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫. পদের নাম : সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা : ০১টি  বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি ৬. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা : ৫টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭. পদের নাম : গাড়িচালক  পদসংখ্যা : ০৪টি  বেতন :  ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তবে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। আবেদনের বয়সসীমা : ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি : ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা জমা দিতে হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

অনিয়ম-দুর্নীতি / কুষ্টিয়া মেডিকেলে কেনাকাটায় লুটপাটের আয়োজন
চুক্তির দুই মাসের মধ্যে সব পণ্য সরবরাহ করার কথা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তবে পেরিয়ে গেছে প্রায় এক বছর। এখনো সেই পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। তালিকায় থাকা ১৯ ধরনের পণ্যের মধ্যে তিনটি সরবরাহ করা হলেও দাম ধরা হয়েছে বেশুমার। এর মধ্যে একটি পণ্যের প্রকৃত দাম এক কোটি টাকা হলেও এটি কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেই পণ্য সরবরাহের সময় প্রত্যাখ্যানও করেছিল। দীর্ঘসময়ে পণ্য সরবরাহ ব্যর্থতা এবং কম দামি পণ্য বেশি দামে সরবরাহের অপরাধে শাস্তি হওয়ার কথা থাকলেও উল্টো পুরস্কৃত হতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এতদিন পর সেই পণ্য নতুন করে বুঝে নিয়ে পরিশোধ করা হবে বিল। কেনাকাটায় লুটপাটের এমন আয়োজন করা হয়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসপি ট্রেডিং হাউসের যোগসাজশে এমন আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের যন্ত্রাংশ কেনাকাটার ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ঠিকাদারি কাজ পায় এসপি ট্রেডিং হাউস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ৪ জুন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক চৌধুরী সারওয়ার জাহান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক হাফিজুর রহমান পুলকের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে এক মাসের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহের কথা ছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তবে এরপর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো পণ্য বুঝিয়ে দেয়নি। নথি থেকে জানা যায়, নিউরো সার্জারি বিভাগের নানা ধরনের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার কথা ছিল ঠিকাদারের। এর মধ্যে কেবল তিনটি পণ্য সরবরাহ করা হয়। সেগুলো হলো ইমেজ গাইডেড নিউরো নেভিগেশন সিস্টেম ফর ক্রানিয়াল অ্যান্ড স্পাইনাল সার্জারি, ইনট্রা অপারেটিভ নার্ভ মনিটর ফর ক্রানিয়াল অ্যান্ড স্পাইনাল সার্জারি সেট এবং থ্রিডি ভিজ্যুয়ালাইজেশন মাইক্রোসকোপ সিস্টেম ফর মাইক্রো নিউরো সার্জারি সেট। এর মধ্যে থ্রিডি ভিজ্যুয়ালাইজেশন মাইক্রোসকোপ সিস্টেম ফর মাইক্রো নিউরো সার্জারি সেটের দাম এক কোটি টাকা। তবে এই পণ্যের যে বিল জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে লেখা রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। সূত্র জানায়, এসব পণ্য সরবরাহ করা হলেও তা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বিলও দেয়নি। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন অস্বাভাবিক বিল জমা দেওয়ার বিষয়টি তদন্তও করেনি। সূত্র বলছে, বিষয়টি দফারফার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার চূড়ান্ত বৈঠক হওয়ার কথা। সূত্র বলছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরো কাজের বিল পাওয়ার জন্যে দেন-দরবার করছে। সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়া, অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণসহ নানা দুর্বলতা ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাঁপ করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। জানা যায়, সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে না পারার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একটি চিঠি দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এতে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে ডলার সংকট হওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঠিকাদার সময়মতো যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারেননি। ওই চিঠিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির আবেদন করে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক মঞ্জুরও হয়। তবে তথ্য বলছে, এর পরও বেশ কয়েকমাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু যন্ত্রপাতিগুলো সরবরাহ করা হয়নি। এসপি ট্রেডিং হাউসের প্রোপাইটার হাফিজুর রহমান পুলক কালবেলার কাছে দাবি করেছেন, তিনি সব পণ্যই সরবরাহ করেছেন। তার ভাষ্য, ‘কোনো আর্থিক অনিয়ম হয়নি। চুক্তি অনুসারে ১৯ ধরনের পণ্যই তাদের দিয়েছি।’ তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেননি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা তাদের কাছ থেকে মাত্র ৬টি পণ্য পেয়েছি। রোববার (আজ) সেগুলো সম্পর্কে যাচাই বাছাই করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কোনো বিলই এখনো পরিশোধ করা হয়নি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। সব পণ্য এখনো তারা দেয়নি। কেন তারা সব পণ্য দেয়নি, তার কারণ জানতে চাওয়া হবে। এরপর তদন্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এসব পণ্য যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট মেইনটেইনেন্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের টেকিনিক্যাল ম্যানেজার এম এন নাশিদ রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘কুষ্টিয়া মেডিকেলের কেনাকাটার বিষয়ে কিছু জানি না। সংশ্লিষ্টরাই ভালো বলতে পারবেন।’
২৪ মার্চ, ২০২৪

কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার সামনে বাসে আগুন
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশের জব্দকৃত হানিফ পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা বাসটিতে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।     কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে হঠাৎই কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের জব্দকৃত হানিফ পরিবহনের বাসটিতে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন। তবে এরই মধ্যে বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়। তবে তার ধারণা কোনো নাশকতা নয়, শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।  একই দাবি করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা। উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর বিকেলে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ৮ মাইল নামক স্থানে যাত্রীবাহী এই বাসটি উল্টে যায় এতে অন্তত ২৬ যাত্রী আহত হন। পরে কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। 
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

নাশকতার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আটক
নাশকতার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মেজবাউর রহমান পিন্টুকেও আটক করা হয়। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোরব) দুপুর ১২টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের জেলা বিএনপির নিজ কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। এ সময়  ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি বোমা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, ইটপাটকেল উদ্ধার করে পুলিশ।  কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ নেতাকর্মীরা নাশকতার লক্ষ্যে একত্রে জড়ো হচ্ছিলেন। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৮টি বোমা, বেশকিছু লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও ইটপাটকেলও উদ্ধার করা হয়।  তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। অপরদিকে, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আটক করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদকে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে আটক করে পুলিশ। আর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আটক করা হয় নিজ বাড়ি থেকে।  তাদের আটকের বিষয়টিকে দুঃখজনক দাবি করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল বিএনপি। কিন্তু শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনকে অশান্ত করতে সরকার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে। এভাবে সরকার পতন আন্দোলন ঠেকাতে পারবে না সরকার। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলেও জানান পৌর বিএনপির সভাপতি।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

কুষ্টিয়া কারাগারের দুই কয়েদির মৃত্যু
সাড়ে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাস্ট্রিক ও হার্ট অ্যাটাকের কারণে গতকাল তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েদি আজমল গত রাত ১টা ১০ মিনিটে আর আবুল কালাম সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে মারা যান।  কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা জানান, মৃত আজমল (৬০) দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুরের খলিলের ছেলে। তিনি একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০২২ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। গতকাল বুকে ব্যথা হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসক মৃত্যুর কারণ হিসেবে লিখেছেন কার্ডিয়াক শকড।  মারা যাওয়া অপরজন হলেন- আবুল কালাম (৪০)। তিনি কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মাদক সংক্রান্ত মোবাইল কোর্টে ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত ২৮ জুলাই জেলখানায় পাঠানো হয়। গতকাল গ্যাসট্রিকের কারণে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে মারা যান তিনি। চিকিৎসক লিখেছেন সারডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।  জেলার জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি হাসপাতাল থেকেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
১১ আগস্ট, ২০২৩
X